নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সরল পথের পথিক

আমি সরল পথের পথিক

জোবায়ের হোসেন

I have no comment .

জোবায়ের হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সহীহ ঈমানের কষ্টিপাথর

০৭ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-



آَمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آَمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ



তরজমা :

রাসূল ঈমান আনয়ন করেছেন ঐ সকল বস্তু সম্পর্কে যা তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও। সবাই ঈমান রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর নবীগণের প্রতি। তারা বলে, আমরা তাঁর নবীগণের মাঝে কোন পার্থক্য করি না এবং তারা আরো বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা আপনার নিকট ক্ষমা চাই, ওহে আমাদের পালনকর্তা! আমরা সকলেই আপনারা দিকে প্রত্যাবর্তন করি।

[সূরা : সূরাহ বাকারা, আয়াত ২৮৫।]



وَمَنْ يَكْفُرْ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا



“যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর, তাঁর ফেরেশতাগণের উপর, তাঁর কিতাবসমূহের ওপর এবং তাঁর রাসূলগণের ওপর ও কিয়ামত দিবসের ওপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে”।

[সূরা : সূরাহ নিসা, আয়াত ১৩৬।



হাদীসে জিবরাঈলে উল্লেখ আছে, হযরত জিবরাঈল (আ) আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে ছদ্মবেশে এসে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ঈমান কাকে বলে? জবাবে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন :



اَنْ تُؤ مِنَ بِا للّهِ وَمَلئِكَتِه وَكُتُبِه وَرُسُلِه والْيَؤمِ الاَخِرِ وَتُؤْمِنُ بِا لْقَدْرِ خَيْرِه وَ شَرِّه



ঈমানের হাকীকত হলো, তুমি মনে-প্রাণে বদ্ধমূলভাবে বিশ্বাস স্থাপন করবে আল্লাহ তা‘আলার ওপর, তাঁর ফেরেশতাগণের ওপর, আসমানী কিতাবসমূহের ওপর, আল্লাহ তা‘আলার নবী-রাসূলগণের উপর, কিয়ামত দিবসের ওপর এবং তাকদীরের ভালো-মন্দ সবকিছুই আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হওয়ার ওপর।

[সূরা: বুখারী খন্ড-১, পৃষ্ঠা-১২ ও মুসলিম। মিশকাত শরীফ, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-১১]

উল্লেখিত আয়াত ও অত্যন্ত প্রসিদ্ধ এ হাদীসটি ‘ঈমানে মুফাসসাল’-এর ভিত্তি। ঈমানে মুফাসসালের মাধ্যমে এ কথাগুলোরই স্বীকৃতি জানানো হয় এবং মনে-প্রাণে বদ্ধমূল বিশ্বাসের ঘোষণা করা হয় যে,



أَ مَنْتُ باِ للهِ وَ مَلأَئِكَتِه وَ كُتُبِهِ وَرُسُلِه وَالْيَوْ مِ الأخِرِ وَالقَدْرِ خَيْرِه وَشَرِّه مِنَ ا للهِ تَعَالي والْبَعْثِ بَعْدَا لْمَوْتِ



আমি ঈমান আনলাম বা অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে বিশ্বাস করলাম-

১. আল্লাহ তা‘আলাকে,

২. তাঁর ফেরেশতাগণকে,

৩। তাঁর প্রেরিত সকল আসমানী কিতাবকে,

৪. তাঁর প্রেরিত সকল নবী-রাসূলকে,

৫. কিয়ামত দিবসকে অর্থাৎ সমস্ত বিশ্বজগত একদিন শেষ হবে, তাও বিশ্বাস করি,

৬। তাকদীরকে বিশ্বাস করি অর্থাৎ জগতে ভালো-মন্দ যা কিছু হয়, সবই আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্ট, তাঁরই পক্ষ হতে নির্ধারিত এবং

৭। মৃত্যুর পর কিয়ামতের দিন পুর্নবার জীবিত হতে হবে, তাও অটলভাবে বিশ্বাস করি।







উল্লেখিত ৭টি বিষয়ের মধ্যে ৭নং বিষয় ৫নং বিষয়ের অর্ন্তভূক্ত একটি প্রশাখা। তবে তার বিশেষ গুরুত্বের কারণে তাকে ভিন্নভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়গুলো ঈমানের আরকান বা মূলভিত্তি । ঈমানের এ বিষয়গুলো ব্যখ্যাসহকারে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করা জরুরী। ঈমানের এ সকল বুনিয়াদী বিষয়গুলো সামনে ব্যাখ্যাসহকারে পেশ করা হবে-সহীহ ঈমানের কষ্টিপাথর

ধারা বাহিক ভাবে চলবে ইন-শা-আল্লাহ ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২

সৃজনশীলপ্রয়াস বলেছেন: আপনি গুরুত্ত বোজাতে ৬টিকে ভেঙ্গে ৭ টি বল্লেন তাতেকরে একটা খেলাফে সন্নাহ করলেন । রাসুল্লাহ (সাঃ) গুরুত্ব দিয়ে বল্লেন না আর আপনি বেশি গুরুত্ব দিলেন। রাসুল্লাহ (সাঃ) কি উম্মতের সাথে খেয়ানত করেছেন? নাকি রাসুল্লাহ (সাঃ) যেটা বোজেনি সেটা, আপনি বেশি বুজেছেন? এতটা দৃষ্টতা দেখানো আমাদের পরিহার করা উচিত। মহান আল্লাহ আমাদের ভূলগুলো খমা করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.