নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সরল পথের পথিক

আমি সরল পথের পথিক

জোবায়ের হোসেন

I have no comment .

জোবায়ের হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নামাজের দাঁড়ানো অবস্থায় ২৭ মাসায়েল

১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩০

ইমানের পরে আল্লাহ্‌ তায়ালার পক্ষ থেকে দেয়া হুকুম সমুহের মধ্যে সব চেয়ে বড় হুকুম হল সালাত । আর সালাতের মাসায়েল শিক্ষা করা প্রত্যেক মানুষের জন্য ফরজ । তাই আমরা তকবীরে তাহরিমা থেকে সালাম ফিরানো পর্জন্ত সব মাসায়েল ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করা হবে ইন-শা-আল্লাহ -



দাঁড়ানোতে ৭ কাজ

১. পায়ের আঙ্গুলসমূহ কিবলার দিকে সোজাভাবে রাখা।

২. উভয় পায়ের মাঝখানে চার আঙ্গুল (উর্ধ্বে এক বিঘৎ) পরিমাণ ফাঁক রাখা।

৩. উভয় পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিদ্বয় ও গোঁড়ালিদ্বয়ের মাঝে সমান দূরত্ব রাখা।

৪. তাকবীরে তাহরীমা শুরু করা পর্যন্ত হাত ছেড়ে রাখা। (হাত বেঁধে না রাখা)।

৫. সম্পূর্ণ সোজা হওয়া (এক পায়ে ভর দিয়ে বাঁকা হয়ে না দাঁড়ানো)।

৬. ঘাড় সোজা রাখা। চেহারা জমিনের দিকে না করা।

৭. সিজদার জায়গার দিকে নজর রাখা।

[বি.দ্র. ফরয নামাযের কিয়াম (দাঁড়িয়ে নামায পড়া) ফরয]

হাত উঠানোতে ৮ কাজ

১. তাকবীরে তাহরীমার সময় হাত চাদরের ভিতরে থাকলে, বাইরে বের করা।

২. হাত উঠানোর সময় মাথা না ঝুঁকানো।

৩. হাত কান পর্যন্ত উঠানো (উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা কানের লতি স্পর্শ করা)।

৪. হাতের আঙ্গুলগুলো স্বাভাবিক ফাঁক রাখা।

৫. হাতের তালু সম্পূর্ণ কিবলামুখী করে রাখা, আঙ্গুলের মাথা বাঁকা না করা। বরং আকাশমুখী করে রাখা।

৬. তাকবীরে তাহরীমা বলার প্রাক্কালে উক্ত নামাযের খেয়াল (নিয়ত) মনে হাজির করা। [ফরয]

৭। তারপর তাকবীরে তাহরীমা শুরু করা। তাকবীরে তাহরীমা এক আলিফ থেকে বেশি না টানা।

৮. তাকবীরে তাহরীমা বলার পর সরাসরি হাত বাঁধা। (হাত বাঁধার আগে হাত ঝুলিয়ে না দেয়া)।



হাত বাঁধার ৪ কাজ

১. ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের উপর রাখা।

২. ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কনিষ্ঠাঙ্গুলি দ্বারা বাম হাতের কব্জি ধরা।

৩. বাকি আঙ্গুলগুলো বাম হাতের উপর স্বাভাবিক ভাবে অবস্থায় রাখা।

৪. নাভির নীচে হাত বাঁধা।

উল্লেখ্য-তাকবীর বলা শেষ ও হাত বাঁধা একই সময় হবে।

হাত বাঁধার পর ৮ কাজ

১. ছানা পড়া

২. আ‘উজুবিল্লাহ পড়া।

৩. বিসমিল্লাহ পড়া।

(উল্লেখ্য যে, পরবর্তী রাক‘আতে ছানা ও আ‘উজুবিল্লাহ পড়তে হয় না)

৪. সূরা ফাতিহা পড়া [ওয়াজিব]।

৫. সূরা ফাতিহা পড়ার পর নীরবে আমীন বলা।

৬. সূরা মিলানো (ফযরের প্রথম দু‘রাক‘আতে এবং ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফলের সব কয়টি রাক‘আতে) [ওয়াজিব]।

৭. সূরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়া।

৮. মাসনূন কিরা’আত পড়া।

[বি.দ্র. ফরযের প্রথম দু‘রাক‘আতে এবং ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফলের সবকয়টি রাক‘আতে কমপক্ষে বড় এক আয়াত অথবা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ কিরআত (কুরআন শরীফ) পড়া [ফরয]।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮

রাহাত লতিফ তৌসিফ বলেছেন: হু শিখলাম ধন্যবাদ

২| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

আদম_ বলেছেন: "আঙ্গুলের মাথা বাঁকা না করা। বরং আকাশমুখী করে রাখা"

কেউ বলে বাকা করেন কেউ বলে সোজা করেন----------আমরা আম জনতা কি কইরাম, কই জাইয়াম।

১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২০

জোবায়ের হোসেন বলেছেন: বাকা সোজা কথা না কথা হল হাতের তালু কেবলা মুখী আছে কিনা ।

৩| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

হাসান বিন নজরুল বলেছেন: ভালো উদ্যোগ

৪| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

জেরিফ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট

৫| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: সুন্দর

৬| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

সৃজনশীলপ্রয়াস বলেছেন: আপনার আলোচনা তথাকথিত আলোচকদের মত হয়েছে। যারা, ফিকহও মানে না, আবার হাদীসও মানেনা কিন্তু বলে আমরা মাজহাব মনেচলি। আসলে তারা কোরআন হাদীস ও ফিকহ সম্পর্কে খুব কম জ্ঞান রাখে। আপনার চেষ্টাকে আল্লাহ-পাক কবুল করুক!-আমীন।

আপনার লেখা বেশিরভাগ ভূল ও অসম্পূর্ণ, কোন-কোনটি আপত্তিকরও বটে। আপনার লেখাগুলীর দলীল কী? দলীল ভিত্তিক লেখার চেষ্টা করুন।

আল্লাহ-পাক এর পক্ষথেকে দেয়া হুকুম সমুহের মধ্যে সবচেয়ে বড় হুকুম হল ঈমান। সলাত নয়। সলাতের হুকুম হয়েছে রাসুল্লাহ (সাঃ) হিজরত করার পর।

৭| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

রেজা রাজকুমার বলেছেন: কিছু মনে করবেন না-
এইগুলা কী শুধু আমাদের দেশের জন্যই প্রযোজ্য নাকি সমস্ত দেশের মুস্লিমদের জন্য।
এই জিজ্ঞাসা মনে আসলো কারন বিভিন্ন দেশের মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে অনেক বিচিত্ররকম অভিজ্ঞতা সম্মুখীন হয়েছি।
সংক্ষেপে বলতে গেলে- আফ্রিকান অনেক দেশে তাহরীমার পর দু'হাত ছেড়ে দেয়, বুকের উপর বাঁধেনা। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে (আমীরাত, বাহরাইন ,জর্ডান) ঠিক বুকের উপর হাত বাঁধে।মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়ায় ছেলে মেয়ে এক সঙ্গে নামাজ পড়ে।
আর এখন আমেরিকায় এসে দেখতেছি অনেক মসজিদে জুমার নামাজে আযান বা খুতবা কোনটাই হয়না।
- বোখারি-তিরমিজি-মুসলিম বা আবু দাউদ - এর যেকোনটার আলোকে একটু সবক দেন না ভাই, যদি জানেন।

৮| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র...

৯| ১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮

আদম_ বলেছেন: "বাকা সোজা কথা না কথা হল হাতের তালু কেবলা মুখী আছে কিনা ।"
তাহলে কি আঙ্গুল বাকা করলাম কিন্তু তালু কেবলামুখী, তাহলে হবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.