![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পা বা পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যা শীতকালেই বেশি দেখা যায়। তবে কারও কারও সারা বছরই এ সমস্যা থাকে। এমন সমস্যা প্রসঙ্গে সোনালী’স এইচডি মেকআপ স্টুডিওর রূপবিশেষজ্ঞ সোনালী ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, পায়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। একটু যত্ন নিলেই পা থাকবে কোমল আর গোড়ালি ফাটার সমস্যাও কমে যাবে।
জেনে নিন তাঁর পরামর্শ—
বাইরে থেকে ফিরে অবশ্যই ভালোভাবে পা পরিষ্কার করতে হবে।
গোসল করার সময় সাবান ও ব্রাশের সাহায্যে গোড়ালি পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
প্রতিদিন গোসলের পর পায়ে ও গোড়ালিতে লোশন লাগাতে হবে।
একটু সময় নিয়ে পায়ের যত্ন নিন। গরম পানিতে পা ভিজিয়ে নিন। এবার এক টুকরা লেবু দিয়ে গোড়ালি ঘষে নিন। তারপর ঝামাপাথর দিয়ে গোড়ালি ঘষুন। এরপর স্ক্রাব ব্যবহার করুন এবং পা ধুয়ে নিন। পা শুকানোর পর লোশন ব্যবহার করুন। এটি সপ্তাহে এক দিন করতে পারেন।
অর্ধেক পাকা কলা মেখে নিয়ে এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে প্লাস্টিক র্যাপার দিয়ে পা মুড়ে রাখতে হবে ১০ মিনিট। তারপর এটি ধুয়ে ফেলে ঝামাপাথর দিয়ে ঘষে পায়ের গোড়ালি পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। পা ধুয়ে নিয়ে শুকানোর পর লোশন লাগাতে হবে। এতে পা থাকবে নমনীয়।
পায়ের তলার যেসব অংশ কোনো কারণে শক্ত হয়ে যায়, সেখানকার শক্ত চামড়া কাটার জন্য বিশেষ ধরনের ব্লেড কিনতে পাওয়া যায় বাজারে। বাসায় পেডিকিওর করার জন্য এটি ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে পায়ের তলার শক্ত অংশগুলো সরিয়ে ফেলতে সুবিধা হবে।
ভালো জুতা-স্যান্ডেল ব্যবহার করতে হবে, তা না হলে যাঁদের অনেক হাঁটতে হয়, তাঁদের পায়ের পাতার কোনো কোনো অংশ শক্ত হয়ে যেতে পারে।
জুতা-স্যান্ডেলে ব্যবহার করার জন্য বাজারে জেল প্যাড কিনতে পাওয়া যায়। চাইলে এগুলোও ব্যবহার করতে পারেন। একটি জেল প্যাড পায়ের পাতায় এবং আরেকটি পায়ের গোড়ালিতে ব্যবহার করতে পারেন।
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় পায়ে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে হবে, এতে পা কোমল থাকবে।
প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর পেডিকিওর করাতে হবে। যাঁদের গোড়ালি ফাটার সমস্যা খুব বেশি, তাঁরা প্রতি সপ্তাহে পেডিকিওর করাতে পারলে উপকার পাবেন।
মডেল: ইশিকা, ছবি: নকশাছেলেদের গোড়ালি ফাটার সমস্যায়
ছেলেদের গোড়ালি ফাটার সমস্যা সম্পর্কে পারসোনা অ্যাডামসের ধানমন্ডি শাখার ব্যবস্থাপক মাসুম বিল্লাহ খান বলেন, মূলত শুষ্কতা ও ধুলোবালুর কারণেই গোড়ালি ফাটে। তাই কিছু ব্যাপরে একটু যত্নবান হওয়া প্রয়োজন।
এ নিয়ে তাঁর পরামর্শ—
যাঁরা জুতা-মোজা ব্যবহার করেন, তাঁদের অবশ্যই প্রতিবার পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করতে হবে। মোজা একবার ব্যবহার করলেই সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। অপরিষ্কার মোজার কারণে দুর্গন্ধও হতে পারে, আবার এর কারণে হতে পারে জীবাণুর সংক্রমণ।
যাঁরা স্যান্ডেল ব্যবহার করেন, তাঁদের পায়ে ধুলোবালু লেগে থাকে বেশি। তাই বাসায় ফিরেই পরিষ্কার পানিতে পা ধুয়ে নিতে হবে। সম্ভব হলে কিছুটা গরম পানি দিয়ে পা পরিষ্কার করুন।
জুতার যে অংশ পায়ের দিকে থাকে, সেটি বেশি শক্ত হলে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তাই জুতা কেনার সময় বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
যাঁদের গোড়ালি ফাটার সমস্যা আছে, তাঁরা সপ্তাহে অন্তত একবার পানিতে একটু লবণ ও কিছুটা শ্যাম্পু মিশিয়ে নিয়ে সেই পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন ২০ মিনিটের জন্য। তারপর পা ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে মুছে ফেলুন। পা শুকানোর পর পেট্রোলিয়াম জেলি ও গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে রাখুন।
পায়ের গোড়ালিতে পেট্রোলিয়াম জেলি ও গ্লিসারিন লাগালে চেষ্টা করুন ঘরে স্যান্ডেল পরে হাঁটতে। ঘরে ব্যবহার করার জন্য আলাদা স্যান্ডেল রাখুন। আর যদি ঘরে স্যান্ডেল ব্যবহার না করেন, সে ক্ষেত্রে পরদিন সকালে অবশ্যই ভালোভাবে গোড়ালি পরিষ্কার করতে হবে। কারণ, ময়েশ্চারাইজার লাগানো অবস্থায় খালি পায়ে ঘরে হাঁটলে ঘরের ধুলো গোড়ালিতে আটকে যাবে।
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে পায়ের গোড়ালিতে অলিভ অয়েল লাগাতে পারেন।
সম্ভব হলে গোসলের আগে পায়ে তেল ম্যাসাজ করতে পারেন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান।
প্রতি মাসে একবার পেডিকিওর করাতে পারেন।
ফাটা গোড়ালিতে জীবাণুর সংক্রমণ হলে অথবা কোনো কারণে পায়ের ফাটা অংশ থেকে রক্ত পড়লে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
©somewhere in net ltd.