নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহজ পথের পথিক

সহজ পথের পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হারাম মাল থেকে বেঁচে থাকা

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫২


(মুফতি শফি (রহ.) ও মুফতি তকি উসমানি (দাবা) ও অন্যান্য বুযুর্গানে কেরামের রচনাবলী থেকে সংকলিত)
এক: হালাল উপার্জন করা, হালাল রুজির সন্ধান করা সমস্ত মুসলমানের ওপর ফরয। হারাম রুযি খেয়ে ইবাদত করা আর পানিতে ঘর বানানো একই কথা।
দুই: বুযুর্গানে কেরাম বলেন:
-তোমরা এটা ভেবো না, হালাল উপার্জন দুঃসাধ্য বা অসম্ভব কিছু। তুমি পুরনো ছেঁড়া কাপড়ে, তরকারী ছাড়া ভাত খাওয়াকে যদি হৃষ্টচিত্তে মেনে নিতে পার, তাহলেও কি হালাল রুজি উপার্জন কষ্টকর হবে? হালাল রুজি দিয়ে, শান-শওকতের সাথে থাকাটা প্রায় অসম্ভবই বটে।
তিন: হালাল উপার্জনের বিভিন্ন উপায় আছে।
(ক) শরীয়ত কাউকে বলে না, তুমি প্রতিটি পেশা, প্রতিটি কাজের লুকোচাপা-গলিঘুঁপচি খোঁজ করে গোপন খবর বের করো, সেটা হালাল কি না। বরং মোটামুটি খোঁজ-খবরে যদি জানা যায় অর্থটা হারাম, তাহলে সেটা বর্জন করো।
(খ) হারাম হওয়ার ব্যাপার যদি কোনও সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকে, অথবা কেউ বলল, মালটা হারাম, বা হারাম মালের কোনও আলামত দেখা দিল, তাহলেই সে মাল-উপার্জন পরিহার করাটা কাম্য।
(গ) কোনও ন্যায়পরায়ণ শাসকের পক্ষ থেকে আসা সম্পদ হালাল।
(ঘ) বৈধ উত্তরাকিারসূত্রে পাওয়া সম্পদও হালাল। জায়গা-জমি থেকে প্রাপ্ত সম্পদও হালাল।
(ঙ) সুদের মারফত পাওয়া সম্পদও হারাম। সুদী ব্যাংক থেকে পাওয়া বেতন হারাম। যদি জানা যায় বেতনটা হালাল কোনও মাধ্যম থেকে এসেছে, তাহলে হালাল। মৃতের জন্যে ভাড়াকান্নার বিনিময়ে প্রাপ্ত সম্পদও হারাম। গান-বাদ্যি করে প্রাপ্ত উপার্জন হারাম। মদ-শূকর বিক্রি করে উপার্জন করা টাকা হারাম।
(চ) কারো উপার্জন-মাধ্যমের বেশির ভাগ অংশই যদি হারাম হয়, তাহলে তার উপার্জন হারাম।
(ছ) সমস্ত মুসলমানের সম্পদ হালাল। তবে যদি সুস্পষ্টভাবে জানা থাকে যে, তার সম্পদ হারাম উপায়ে উপার্জিত, তাহলে ভিন্ন কথা।
*** রাব্বে কারীম আমাদেরকে হালাল রিযিক নসীব করুন। আমীন।
(এই সিলসিলার প্রতিটি লেখাই আস্তে আস্তে পরিবর্তিত-পরিবর্ধিত-পরিমার্জিত হতে থাকবে। ইনশাআল্লাহ)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.