![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।
পরীক্ষার রেজাল্টের পর অভিবাবকের হাতে মাইর খাওয়া, কখনও কখনও স্কুলের মধ্যেই, কখনও বাসায় আমাদের সময়ের নিত্য ঘটনা ছিল। এখন কিছুটা কম। তবে আছে , প্রকট ভাবেই আছে। পরীক্ষার সাথে শুরু হয়েছে বিভিন্ন প্রতিযোগীতা : টিভিতে, এলাকায় গান প্রতিযোগীতা, না্চ প্রতিযোগীতা, জীবন প্রতিযোগীতা কত্ত কি?!!
এ সব প্রতিযোগীতায় শিশুরা বুড়ো সেজে “তুই যদি আমার হইতি” বা “ভালবাসবো বাসবো বন্ধু” কখনও “ও আমার রসিয়া বন্ধুরে তুমি কেন কোমরের বিছা হইলা না” গেয়ে পুরুস্কার জেতার লড়াইয়ে নামে। যারা প্রথম দিকেই বন্ধুরে পাওয়ার দৌড়ে পিছে পড়ে তাদের কখনও কখনও গ্রীন রুমেই চড় থাপ্পড় জোটে সবার সামনে। সবার সামনে এ ভাবে অপমান হওয়ার শিক্ষা শিশুটির ভবিষ্যতে কোন কাজে লাগবে ?
আর পুরুস্কার পেলে শিশুটির ভবিষ্যত এমন কি উজ্জল আলোক বর্ণ হতো? না পাওয়াতে কি অন্ধকার হলো?
কিছুই না। পেলে বাহাদুরি বাড়তো। হয়ত টিভি সাক্ষা্তকার পত্রিকায় হাসি হাসি অভিভাবক । অন্যন্যদের হিংসুক চোখে নিজেদের বাহাদুরি?!! মিস? তাই?!
(সন্ততি লি:?)
বাবা-মার কঠিন যুক্ত :
* ওর- থেকে কম খাওয়াইছি? * কম পরাইছি? * কম পড়াইছি ? * কম খরচ করছি? কত্ত ল-সিক!
হয়ত তাদের সব কথাই ঠিক ! কিন্তু ৫০ % ভাগের একটা হিসাব থেকেই যায়। আমার জানা মতে মানুষের ব্যাক্তিত্ব মেধা রুচির পঞ্চাশ ভাগ সামাজিক আর বাকী পঞ্চাশ ভাগ জেনেটিক্যাল বা বংশানুক্রমিক । যাতে বাবা মায়ের উভয়ই থাকে । এখন প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক : বাবা-মা পঞ্চাশ ভাগ সামাজিক অবস্থান হয়ত তাদের ভাবনা/চাহিদার অনুকুলে রেখেছেন সন্তানকে কিন্তু বাকি পঞ্চাশ ভাগের খবর কি? সেটাও প্রতিযোগীতায় প্রথম হওয়ার মততো?!
©somewhere in net ltd.