![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।
দুই তিন দিন আগে ফেবুতে একটা ছবি পেলাম। সেনাবাহিনী ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে এবং কয়েক জন রাস্তার মাঝখানে পিলারে উপর কান ধরে উঠবস করছে। জায়গাটা সম্ভবত হাতির ঝিলে। এরা ফুট ওভার ব্রীজ ব্যাবহার করেনি বা এ জাতীয় কিছু হবে। ছবিটা দেখে আমি হতভম্ব!!! এটা কি বাংলাদেশ নাকি মুগাবের দেশ বা আমাজানের গহীনের জন বসতি???!!!! এটা কোন ধরনের বর্বরতা? সেনাবাহিনীকেতো মেজিট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয় নাই। তাছাড়া আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হয় এবং শোধরানোর চেষ্টা করানো হয়। অপরাধীকে অপমান করার আইন নাই। অপমানের আইন আছে সৌদি আরবে। সেই দেশ যারা গরীব তাদের অপরাধের শাস্তি স্বরূপ পাছার কাপড় তুলে জন সম্মূখে দোররা মারা হয় ধর্মের নামে। আমরা কখনও জাতিগত ভাবে এমন বর্বর না। তাহলে? সামাজিক শাস্তি?? জানেন নিশ্চয় আমাদের সমাজে এলাকা, পাড়া, মসজিদ-মন্দির , ব্যাক্তি ইত্যাদি নিয়ে এক ধরনের সামাজিক বিচার আছে। কখনও কখনও এ বিচারগুলো বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেও বেশির ভাগ সময় কার্যকর। এরা ট্রাফিক আইন মানে নাই, তাই সামাজিক শাস্তি?? ধরে নিলাম তাই। কিন্তু এটাতো শাস্তি না বর্বরতা। এদের দিয়ে ঐ রাস্তা পরিস্কার করা যেত, এদের দাড়িয়ে থাকতে বাধ্য করা যেত রাস্তার এক পাশে, এদেরকে শাস্তি স্বরূপ সেনাবাহিনীর সাথে এক ঘন্টা ট্রাফিক কন্ট্রোলে সহযোগীতা করানো যেত। এতে বস্তুগত উপকারও হতো।
কিন্তু রাস্তার মাঝখানে শাস্তি নামের চরম অপমানের কারণে কেউ যদি আত্নহত্যা করতো তার দায় কে নিত? যে যেত সে ফিরতো না।
সাধু সাবধান। এটা বাংলাদেশ, নরম দেশ, নদীর দেশ। সাধুও বাঙালি, পথিকও বাঙালি।
০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩
জহিরুলহকবাপি বলেছেন: আমি মোটেও শাস্তির বাইরের কথা বলি নাই। শাস্তি আর অপমান এক না।
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪২
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: @গেম চেঞ্জার : মনের গহীনে লুকানো আর্মি বিদ্বেষটা কাজে লাগিয়ে এইউ ব্লগার একটু সুশীল হতে চেয়েছিলেন, প্রথম কমেন্টেই তাতে পানি ঢেলে দিলেন, ব্যাপারটা ঠিক হলো?
০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪
জহিরুলহকবাপি বলেছেন: বি পজেটিভ
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রথমত সেনাবাহীনী যেটা করেছে সেটা সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি সাপোর্ট করছি। যদিও সেটা তাদের কার্যতালিকায় পড়ে না।
একটা কথা আছে, বাঙালিরে দৌড়ের উপ্রে রাখলে সব ঠিক। আমি বাস্তবে এটার প্রমাণ পেয়েছি। আমার অফিসের লোকদের একটু মাথায় তুললেই নাচতে শুরু করে। আর এরা তো আমজনতা।
এখন কথা হচ্ছে, কান ধরানোর কারণে যদি আত্মহত্যা কেউ করে ফেলে। তবে?
হ্যাঁ ভাই, এই ধরণের মানুষ খুঁজে বের করে হেমায়েতপুর চিকিৎসার জন্য পাঠানো আবশ্যক। যাতে এদের ঐ কাজটি না করতে হয়।