নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।

রাফা

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।গালি সহ্য করার মানসিকতা শুণ্যের কোঠায়।রাজাকার,আলবদর ,আল সামস মোট কথা বাংলাদেশের বিরোধী যে কোন শক্তিকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করি। তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি নব্য ছাগিয়তাবাদিদের। যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় যুদ্ধাপরাধীদের ।

রাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মমতা দিদির আস্বাসের নেই কোন বিশ্বাস।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:০৮



মমতা বন্দোপাধ্যায় বাংলাদেশের স্বার্থে আসেন নাই।উনি পশ্চিবঙ্গের স্বার্থ রক্ষা করার জন্যই এসেছেন।রাজনীতিতে এখন কঠিন সময় পার করছেন তিনি।বলতে গেলে কোনঠাসা অবস্থায় আছেন তিনি।কাজেই উনার উপর আস্থা রাখার অর্থই হোচ্ছে, যেই লাউ সেই কদু।



আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে কেন্দ্রিয় বিজেপি সরকারের অবস্থান কি তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে।এটা কিছুটা স্পষ্ট হবে সচিব পর্যায়ে আলোচনার পরই ।যদি বর্তমান বিজেপি সরকার যে খসড়া চুক্তিটি হয়ে আছে সেটা নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়।তাহোলে বুঝা যাবে তাদের সত্যিকার অর্থেই সদিচ্ছা আছে।



মমতা তার নিজের ইমেজ রক্ষা করার জন্যই এসেছেন।তিনি নিজে যে তিক্ততার সৃষ্টি করেছেন তার মেরামত করার জন্যই এসেছেন।বাংলাদেশের মানুষ এবং বর্তমান সরকারকে সরানোর জন্য তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার দ্বায় এড়ানোর জন্যই এই সফর।গিমিক সৃষ্টি ছাড়া এই সফরের আর কোন উদ্দেশ্য নেই।বাংলাদেশের মানুষের যে পজেটিভ ধারণা ছিলো মমতা সম্ভন্ধে তার ঠিক উল্টো ধারণার জন্ম দিয়ে ছেন তিনি তিস্তা চুক্তিকে প্রত্যাখ্যান করে।এখন যা করলেন সেটা হলো গরু মেরে জুতা দান করার মত।উনি কিছু সাংস্কৃতি জগতের মানুষকে সঙ্গী করে বাংলাদেশের ক্ষতে মলম লাগাতে এসেছেন।সেই জন্যই আস্থা রাখার কথা বলেছেন।আসলে কেন্দ্র না চাইলে তার বাংলাদেশকে দেওয়ার মত কিছুই নাই।আমরা বরং দেখতে চাইবো বর্তমান বিজেপি সরকার কোন পথে এগোয় বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক-উন্নয়নের স্বার্থে।



বর্তমান সরকার মমতা বন্দোপাধ্যায়কে যথাযথ সন্মান প্রদর্শণ করে ঠিক কাজটিই করেছে।এখন দেখার বিষয় ভারত কতটুকু সন্মান প্রদর্শণ করে তিস্তা চুক্তি নিয়ে।মূল কথা মমতা বাগড়া দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনা।দিতে পারলে সেটা শুধু কেন্দ্রিয় সরকারই পারে।আমাদের উচিত হবে মমতার আস্বাসে নির্ভর না করে বর্তমান বিজেপি সরকারের সাথে লিয়াজো রক্ষা করে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করা।আমার মনে হয় আবার পশ্চিমবঙ্গে বামরা সরকার গঠণ করবে।মমতার ভরাডুবি অবশ্যম্ভাবি ,সেই ভরাডুবি ঠেকানোর প্রচেষ্টাই করছে মমতা দিদি।



যে চুক্তির বর্ষপুর্তির অনুষ্ঠান হোতে পারতো এই বছর।এবং সেই উপলক্ষে যদি আজ মমতা আমাদের মাঝে উপস্থিত হোতেন।তাহোলেই মনে হয় আমরা বাংলার মানুষ অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাতে পারতাম।জানিনা মমতার কতটা বোধদয় ঘটেছে।বাংলাদেশ কোনভাবে ভারতের দ্বারা উপকৃত হলে তার সুফল অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ পেয়ে থাকে।এটা পরিক্ষিত সত্য।অনেক হিসেবে আমরাও পশ্চিবঙ্গের শিরা উপশিরা সচল রাখতে ভুমিকা রাখি।



আশা করি আর বাগড়া দিবেননা তিনি তিস্তা চুক্তি নিয়ে।সব ভালো যার শেষ ভালো।দেখা যাক কি হয় ভবিষ্যতে এই চুক্তি নিয়ে।



আমাদের আশা থাকবে এবার বিজেপি সরকার সদিচ্ছা দেখাবে তিস্তা চুক্তি নিয়ে।আমরা কোন বিশেষ সুবিধা চাইনা।আমরা শুধু আমাদের প্রাপ্য-টুকুই চাই।





মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৮

তোমোদাচি বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ !

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫১

রাফা বলেছেন: ধন্যবাদ,তোমোদাচি।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

সোহানী বলেছেন: হায়রে তিস্তা চুক্তি....

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

রাফা বলেছেন: কেনো, কি হলো আবার আপনার তিস্তা চুক্তি নিয়ে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.