নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।

রাফা

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।গালি সহ্য করার মানসিকতা শুণ্যের কোঠায়।রাজাকার,আলবদর ,আল সামস মোট কথা বাংলাদেশের বিরোধী যে কোন শক্তিকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করি। তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি নব্য ছাগিয়তাবাদিদের। যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় যুদ্ধাপরাধীদের ।

রাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর গংরা জাফর স্যারের লেখাটি কখনই পড়বেনা কিন্তু আরিফ রহমানেরা অনুপ্রেরণা পাবে ঠিকই।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

ধন্যবাদ,জাফর ইকবাল স্যার।আপনাদের অনুপ্রেরণাই নতুন প্রজন্মকে পথ দেখাবে আগামির বাংলাদেশে ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

শহীদের সংখ্যা এবং আমাদের অর্ধশত বুদ্ধিজীবি
++++++++++++++++++++++++++++++

কিছুদিন আগে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, বলেছেন তাদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে_ একেক জায়গায় সংখ্যা একেক রকম। বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনে মনে হতে পারে, বাংলাদেশের গণহত্যার একটা সঠিক সংখ্যা থাকা উচিত ছিল। সংখ্যাটি ত্রিশ লাখ না হয়ে ;ঊনত্রিশ লাখ বায়ান্ন হাজার ছয়শ; পঁয়ত্রিশ জন কিংবা ত্রিশ লাখ তেত্রিশ হাজার তিনশ একুশ জন এ রকম একটি সঠিক-সুনির্দিষ্ট সংখ্যা হলে তার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হতো। যেহেতু সংখ্যাটি এভাবে নেই, তাই এটাকে নিয়ে তার সন্দেহ প্রকাশ করার অধিকার আছে, সংখ্যাটাকে বিতর্কিত বলা যেতে পারে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে পৃথিবীর কোনো বড় হত্যাকাণ্ড বা গণহত্যার সংখ্যাই কিন্তু সুনির্দিষ্ট নয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের মতো এত বড় একটা বিষয়, যেটাকে নিয়ে গবেষণার পর গবেষণা হয়েছে, সেখানেও মৃত্যুর সংখ্যা সুনির্দিষ্ট নয় বলা হয় ৫০ থেকে ৮০ মিলিয়ন (কিংবা পাঁচ থেকে আট কোটি)। নিউক্লিয়ার বোমা ফেলা হলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সেটা সঠিকভাবে অনুমান করার জন্য আমেরিকা কিছু শহর বেছে নিয়েছিল এবং সেখানে তারা আগ থেকে অন্য কোনো বোমা ফেলেনি। ক্ষয়ক্ষতির এ রকম সুনির্দিষ্ট হিসাব বের করার প্রস্তুতি নেওয়ার পরও হিরোশিমা কিংবা নাগাসাকিতে কতজন মানুষ মারা গিয়েছিল সেটি সুনির্দিষ্ট নয়। বলা হয়, হিরোশিমাতেই নব্বই হাজার থেকে দেড় লাখ এবং নাগাসাকিতে চলি্লশ হাজার থেকে আশি হাজার লোক মারা গিয়েছিল। চীনের রাজধানী নানকিংয়ে জাপানিদের গণহত্যা পৃথিবীর একটি নৃশংসতম গণহত্যা। গবেষকরা এখনও সেই সংখ্যাটি সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারেন না। তাদের হিসাবে সংখ্যাটি দুই থেকে তিন লাখের ভেতর। নাৎসি জার্মানিতে ইহুদিদের হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা হিসেবে পঞ্চাশ থেকে ষাট লাখ ধরে নেওয়া হয়। মাঝে মাঝেই গবেষকরা সংখ্যাটিকে দেড় থেকে দুই কোটি বলে থাকেন। সাম্প্রতিক গণহত্যার মাঝে রুয়ান্ডাতে তুতসিদের ওপর হত্যাকাণ্ডটি সবচেয়ে আলোচিত। এত সাম্প্রতিক ঘটনা, তথ্য আদান-প্রদানেও কতরকম আধুনিক প্রযুক্তি, তার পরও হত্যাকাণ্ডের সংখ্যাটি সুনির্দিষ্ট নয়। বলা হয়ে থাকে, সেখানে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। সোজা কথায় বলা যায়, একটা বড় ধরনের হত্যাকাণ্ডে কখনোই সঠিক সংখ্যাটা বলা যায় না। হত্যাকাণ্ডের এ রকম পরিসংখ্যান দেখে আমরা মোটেও অবাক হই না। কারণ আমরা সবাই জানি, হত্যাকারীরা তালিকা করে হত্যাকাণ্ড ঘটায় না এবং হত্যা করার পর তারা সে তালিকা প্রকাশও করে না। কাজেই সবাই একটা আনুমানিক সংখ্যা বলে থাকেন। আমাদের বাংলাদেশের বেলায়ও তাই হয়েছে, একটা আনুমানিক সংখ্যা বলা হয়েছে। একাত্তর সালে প্রায় এক কোটি শরণার্থী দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তাদের একটা বড় অংশ রোগে-শোকে মারা গেছে। তাদের সংখ্যাটা ধরা হলে একাত্তরে শহীদের সংখ্যা খুব সহজেই ত্রিশ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। যারা গণহত্যা করে তারা কখনোই স্বীকার করতে চায় না যে, তারা গণহত্যা করেছে। আর্মেনিয়ানরা প্রায় একশ' বছর ধরে চেষ্টা করে আসছে তবুও তুরস্ককে স্বীকার করাতে পারেনি যে, তারা গণহত্যা করেছে। পাকিস্তানও বলতে শুরু করেছে তারাও বাংলাদেশে গণহত্যা করেনি। যারা স্বীকার করতে বাধ্য হয়, তারাও সব সময় চেষ্টা করে সংখ্যাটাকে ছোট করে দেখাতে। আমাদের বাংলাদেশের উদাহরণটি সবচেয়ে বিচিত্র। একাত্তর সালে জামায়াতে ইসলামী সরাসরি পাকিস্তান মিলিটারির সঙ্গে এ দেশে গণহত্যা করেছে; তাই তারা চেষ্টা করে সংখ্যাটাকে কমিয়ে আনতে। সে জন্য তাদের কুযুক্তির কোনো অভাব নেই। সবচেয়ে হাস্যকর যুক্তিটি হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু নাকি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিন লাখ বলতে গিয়ে ভুলে তিরিশ লাখ বলে ফেলেছিলেন! যার অর্থ তিন লাখ পর্যন্ত হত্যা করা কোনো ব্যাপার নয়, তিরিশ লাখ হলে একটু বেশি হয়ে যায়, তাই সেটাকে মেনে নেওয়া যাবে না! জামায়াতে ইসলামীর ব্যাপারটা আমরা খুব ভালোভাবে বুঝি; কিন্তু আমি আমাদের বুদ্ধিজীবীদের ব্যাপারটা এখনও বুঝে উঠতে পারিনি। রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা যখন গণহত্যার সংখ্যাটি গ্রহণ করে নিয়েছি এবং সে সংখ্যাট যেহেতু একটা আনুমানিক এবং যৌক্তিক সংখ্যা, তখন সেই সংখ্যাটিতে সন্দেহ প্রকাশ করা হলে যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের অসম্মান করা হয়, সেটি তারা কেন বুঝতে পারেন না? পৃথিবীর বড় বড় ঐতিহাসিক হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত সংখ্যা এবং আনুমানিক সংখ্যার মাঝে যদি বিশাল ফারাক থাকে এবং সেগুলো নিয়ে যদি আমাদের বুদ্ধিজীবীরা কখনও কোনো প্রশ্ন না করেন তাহলে তারা কেন আমাদের দেশের গণহত্যার সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যুদ্ধাপরাধীদের সাহায্য করার জন্য এত ব্যস্ত হয়ে যায়? কিছুদিন আগে আমাদের দেশের পঞ্চাশজন বুদ্ধিজীবী মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আমাকে একই সঙ্গে বিস্মিত, ক্ষুব্ধ এবং আহত করেছিলেন। তার কারণ যখন এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন প্রকৃত সংখ্যাটির জন্য তাদের গবেষকসুলভ আগ্রহ প্রকাশ পায় না, পাকিস্তানি মিলিটারির নৃশংসতাকে খাটো করে দেখানোর ইচ্ছাটুকু প্রকাশ পায়। যে দেশের বড় বড় বুদ্ধিজীবী মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করেন, সেই দেশে খালেদা জিয়ার মতো একজন সেটাকে আরও এক কাঠি এগিয়ে নিয়ে গেলে আমাদের অবাক হওয়ার কিছু নেই। পাকিস্তানের জন্য তার মমতা আছে। একাত্তরে তিনি পাকিস্তানিদের সঙ্গে মিলিটারি ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন। শুধু যে খালেদা জিয়া এ দেশের শহীদদের অসম্মান করেছেন তা নয়, তার দলও খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে সমর্থন করে গেছে। দলটির মাথা থেকে আরও উদ্ভট কিছু বুদ্ধি বের হয়েছে, সেটি হচ্ছে জরিপ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যাটি বের করে ফেলা! জরিপ করে মানুষের পছন্দ-অপছন্দের কথা জানা যায়, কিন্তু একটি তথ্য বের করে ফেলা যায় - সেটি আমি জন্মেও শুনিনি!

২. আমি অনেক দিন থেকে ভেবে এসেছি, বইমেলার আগে আমি আমার কিছু প্রিয় বই নিয়ে লিখব। নতুন এবং অপরিচিত লেখকদের পাঠকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব। কখনোই সেটা হয়ে ওঠেনি। তবে এবারের বইমেলায় আসা আমার সেই সুযোগটি এসেছে। যখন এ দেশে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীরা এক ধরনের বিতর্ক শুরু করেছেন, ঠিক তখন আমার হাতে একটি বই এসেছে, বইটির নাম ত্রিশ লক্ষ শহীদ :বাহুল্য নাকি বাস্তবতা বইয়ের লেখকের নাম আরিফ রহমান। (বইটির প্রকাশকের নামটি দিতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু আমি যখন এ লেখাটি লিখছি তখন পর্যন্ত বইয়ের লেখক জানেন না, বইটি এ বছর কোথা থেকে পুনর্মুদ্রণ হবে!) আরিফ কম বয়সী তরুণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং মুক্তিযুদ্ধকে সে হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করেছে। যখন এ দেশের বড় বড় বুদ্ধিজীবী মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে তর্কবিতর্ক করছে, তখন সে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তার মতো করে গবেষণা করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে যারা কুযুক্তি-অপযুক্তি দিতে থাকে তাদের একটা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছে! আমি এ বইটির জন্য একটা ভূমিকা লিখে দিয়েছি, ভূমিকাটি এ রকম ত্রিশ লক্ষ শহীদ :বাহুল্য নাকি বাস্তবতা ভূমিকা :১৯৭৮ সালের দিকে আমি যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমার পিএইচডি করছি তখন স্টিভ মোজলে নামে এক গবেষক মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে গবেষণার জন্য বাংলাদেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে বাস্তব কিছু ধারণা নেওয়ার জন্য তিনি ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনে আমাকে খুঁজে বের করেছিলেন। নতুন ভাষা শেখার তার এক ধরনের বিস্ময়কর প্রতিভা ছিল এবং আমি তাকে কাজ চালানোর মতো বাংলা শিখিয়ে দিয়েছিলাম। বাংলাদেশের জন্য তার এক ধরনের মমতার জন্ম হয়েছিল, তাই একাধিকবার এখানে ফিরে ফিরে এসেছেন।স্টিভ মোজলের সঙ্গে আমার এক ধরনের বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। বাংলাদেশ নিয়ে তার অভিজ্ঞতা তিনি আমাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বলতেন। তার একটি কথা শুনে সে সময়ে আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, ১৯৭১ সালে তোমাদের দেশে যে ভয়ঙ্কর গণহত্যা, ধর্ষণ, ধ্বংসযজ্ঞ, দেশত্যাগ, গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে; সেটা এত অবিশ্বাস্য যে, আজ থেকে ১০-২০ বছর পর পৃথিবীর কেউ এটি বিশ্বাস করবে না। মুক্তিযুদ্ধের পর তখন মাত্র সাত-আট বছর পার হয়েছে, আমি তাই স্টিভ মোজলের কথা হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। তাকে বলেছিলাম, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য। এ সত্যটির কথা পৃথিবীর মানুষ ভুলে যাবে - এটি কিছুতেই হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চার যুগ পার হওয়ার আগেই আমি হঠাৎ আবিষ্কার করেছি - স্টিভ মোজলের ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। পৃথিবীর কিছু গণহত্যা পশ্চিমা জগৎ জোর গলায় প্রচার করতে চায়; কিছু গণহত্যা নিয়ে তাদের আগ্রহ নেই। আইরিশ চ্যাংয়ের লেখা রেপ অব নানকিং বইটির ভূমিকা পড়লে মনে হয় তিনি যেন আমাদের দেশের ঘটনাটি নিয়েই তার হতাশা ব্যক্ত করেছেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা বলতে গেলে কিছুই হয়নি, বরং শর্মিলা বসুর মতো জ্ঞানপাপীদের দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে গবেষণা করানো হচ্ছে। আমাদের দেশের সত্যটুকু আমাদেরই প্রচার করার কথা; কিন্তু এ দেশে মিলিটারি শাসনের সময় ঠিক তার উল্টো ব্যাপারটি হয়েছে। একাধিক প্রজন্মের জন্ম হয়েছে, যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস না জেনে বড় হয়েছে, অপপ্রচার বিশ্বাস করেছে এবং চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর পরও তারা সত্যকে খুঁজে বের না করে নাকি-কান্না কেঁদে অনুযোগ করেছে। প্রকৃত সত্য না বলে তাদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে। সে কারণে তারা জানে না একাত্তরে কী হয়েছিল। আমরা হঠাৎ আবিষ্কার করেছিলাম, এ দেশের কয়েক প্রজন্মকে আবার নতুন করে পাকিস্তানি মিলিটারি আর তাদের এদেশীয় অনুচরদের গণহত্যা, ধর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞের কথা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব আর অর্জনের ইতিহাস আবার নতুন করে বলতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখার কথা; কিন্তু আমাদের খুবই দুর্ভাগ্য, এ দেশের সব বুদ্ধিজীবী সেই দায়িত্ব পালন করতে রাজি নন। নিরপেক্ষতা বাক-স্বাধীনতা এ রকম বড় বড় শব্দ ব্যবহার করে তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রতিষ্ঠিত সত্যগুলোর মূল ধরে টানাটানি শুরু করেছেন। ঠিক কী কারণ - জানা নেই সাদা চামড়ার প্রতি আমাদের দেশের অনেক বুদ্ধিজীবীর এক ধরনের দাসসুলভ আনুগত্য আছে। বছরখানেক আগে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মানুষের সংখ্যা নিয়ে এক সাংবাদিকের উক্তির জন্য তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত শাস্তি দিয়েছিলেন, এ দেশে এ রকম কিংবা এর কাছাকাছি ঘটনা অনেকবার ঘটেছে; কিন্তু কখনোই আমাদের বুদ্ধিজীবীরা সেটা নিয়ে ব্যস্ত হননি। কিন্তু সম্ভবত এবারের মানুষটি সাদা চামড়া হওয়ার কারণে একজন নয়, দু'জন নয়; ৫০ জন বাংলাদেশি বুদ্ধিজীবী তার পেছনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে গেলেন। তাদের অত্যন্ত সুলিখিত বক্তব্যের চাঁছাছোলা বাংলা অনুবাদ হচ্ছে - মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মানুষের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে একটা বিতর্ক তৈরি করার অধিকার দিতে হবে! এ বিষয়গুলো আমাকে আহত করে কিন্তু বাংলাদেশের স্বনামধন্য এত বুদ্ধিজীবীর বিবৃতিকে অস্বীকার করার সাধ্যি কার আছে? এর পরের ঘটনাটি অবশ্য রীতিমতো কৌতুকের মতো। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যখন এই বুদ্ধিজীবীদের তাদের বিবৃতিকে ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন তখন হঠাৎ প্রায় সব বুদ্ধিজীবীর আদর্শ এবং অধিকারের জন্য বুক ফুলিয়ে সংগ্রাম করার সাহস উবে গেল এবং তারা বিনাশর্তে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য রীতিমতো হুড়োহুড়ি শুরু করে দিলেন। এ দেশের যে বুদ্ধিজীবীরা এ রকম একটি বিষয়ে এমন কঠিন বিবৃতি দিয়ে চোখের পলকে নিজেদের পিঠ বাঁচানোর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা শুরু করে দেন, তাদের জন্য নিজের ভেতরে সম্মানবোধ বজায় রাখা খুব কঠিন। যে বুদ্ধিজীবীরা এ দেশের তরুণ প্রজন্মকে দিকনির্দেশনা দেবেন, তারাই যদি উল্টো তাদের বিভ্রান্ত করতে শুরু করেন তাহলে আমার হতাশা অনুভব করা উচিত ছিল; কিন্তু আমি বিন্দুমাত্র হতাশ নই। তার কারণ একদিকে আমি যে রকম বিভ্রান্ত খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবীদের দেখছি ঠিক সেরকম অন্যদিক দিয়ে নতুন প্রজন্মের কিছু তরুণকে দেখছি, যাদের ভেতর নিজের দেশ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি নেই। মাতৃভূমির জন্য ভালোবাসায় তাদের কণামাত্র খাদ নেই। তারা তরুণ কিন্তু অন্য অনেক তরুণের মতো শুধু আবেগকে পুঁজি করে কথা বলে না। তারা তাদের আগ্রহের বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করে, গবেষণা করে; যারা মুক্তিযুদ্ধকে নিজের চোখে না দেখেও সেটিকে শুধু মস্তিষ্কে নয়, হৃদয়েও ধারণ করে। যারা এ দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করেছে, আরিফ রহমান ঠিক সে রকম একজন তরুণ। যে কাজটি এ দেশের বড় বড় গবেষকের করা উচিত ছিল, সে কাজটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হয়েও করে ফেলার সাহস পেয়েছে। ত্রিশ লক্ষ শহীদ :বাহুল্য নাকি বাস্তবতা নামে একটি বইয়ের ভেতরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মানুষের সংখ্যা এবং আনুষঙ্গিক যেসব বিষয় নিয়ে এ দেশে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়, সে বিষয়গুলো নিয়ে লিখেছে। সম্ভাব্য সব তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে, বিশ্লেষণ করেছে এবং সেটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেছে। এ বইটিতে সে অসংখ্য তথ্যসূত্র দিয়েছে, অনেক ছবি সংযোজন করেছে, তালিকা তুলে ধরেছে। দেশদ্রোহীর যে দলটি এককভাবে মিথ্যাচার করে যে মিথ্যাগুলোকে প্রায় বিশ্বাসযোগ্য করে ফেলেছিল, আরিফ রহমান সেই মিথ্যাগুলো সবার সামনে প্রকাশ করে দিয়েছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একাডেমিক গবেষণা করবেন তারাও এ বইয়ের অনেক তথ্য ব্যবহার করতে পারবেন। আমি আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এই তরুণ গবেষক মুক্তিযুদ্ধকে নিজের গবেষণার বিষয় হিসেবে ধরে নিয়ে ভবিষ্যতে আরও কাজ করবে; পৃথিবীর তথ্যভাণ্ডারে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একাডেমিক গবেষণার যে শূন্যতা আছে, সেই শূন্যতা পূরণ করবে। পঞ্চাশজন নিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবী আমাদের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আমাকে যেটুকু মর্মাহত করেছিলেন, একজন তরুণ ছাত্র আরিফ রহমান একা আমার মনের সেই পুরো কষ্টটুকু দূর করে দিয়েছে। তার জন্য আমার অভিনন্দন। তার জন্য আমার ভালোবাসা।

মুহম্মদ জাফর ইকবাল
১৬-০১-২০১৬

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

রাফা বলেছেন: স্যারের মূল লেখার লিংকটা প্রথম কমেন্টেই দিয়ে দিলাম-

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

খোলা মনের কথা বলেছেন: ১। পাকিস্তানের জন্য তার মমতা আছে। একাত্তরে তিনি পাকিস্তানিদের সঙ্গে মিলিটারি ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন। কথাটি কতটুকু যুক্তিযুক্ত??? একথা বলে শুধু খালেদা জিয়াকে নয় ৭১ এর সকল মা-বোন যারা লাঞ্চিত হয়েছে সবাই কে দায়ী করলেন জাফর ইকবাল। তাছাড়া শেখ হাসিনা কার মমতায় ছিলেন??? রাও ফরমানের কথা এখনে আসেনি কেন???

২। জাফর ইকবাল সাহেব তো তখন যুবক ছিলেন (উইকিপিডিয়া হিসাব অনুযায়ী) তখন যুদ্ধ না করে এখন বড় বড় লেকচার আওড়ানোর মানে কি?? যার যুদ্ধ করার ক্ষমতা থাকা স্বত্বেও যুদ্ধ না করে, তার এমন সমালোচনার অধিকার থাকা উচিৎ না।

৩। শেখ পরিবারের কার মুক্তিযুদ্ধর অবদান আছে?? তখন তো জামাল, কামাল, হাসিনা, রেহেনা সবাই যুবক যুবতী ছিল। তারা কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছে।

৪। শেখ সাহেব শিমলা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী কে সাধারণ ক্ষমা করে দিল কোন শর্ত বা ক্ষতিপূরন ছাড়াই। প্রশ্ন হল, জান আর ইজ্জত গেছে সাধারণ মানুষের,উনি ক্ষমা করার কে ছিলেন?

আমি একক ভাবে কারোর দোষ দিতে চাই না। খালেদা জিয়া যেমন মুক্তিযুদ্ধ শহীদের সংখ্যা নিয়ে সমালোচনা করেছে এটা তিনি ঠিক করেননি। আবার সাধু বাঙ্গালী কাউকে পাই না। তাহলে একজনের সমালোচনা হবে কেন। কেও সমালোচনা করলে সবাইকে করতে হবে। দুপক্ষ অপরাধ করবে আর কেউ পাবে জুতার মালা কেউ পাবে ফুলের মালা তা হবে কেন??

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪০

রাফা বলেছেন: হুম...বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা ১৯৭১ সাল নিয়ে যে বিন্দুমাত্র ধারনা নেই তা একেবারে পরিস্কার ফুটে উঠেছে আপনার কমেন্টে।মনে ইতিহাস বিকৃতির সময়টা'তে আপনার বেড়ে উঠা।
১/সারে সাত কোটি মানুষের তুলনায় অতি তুচ্ছ একটি সংখ্যা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো।কিন্তু স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরে এসে সেই সংখ্যাটা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা না হয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।সেটা এই কারনেই যে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের কথা সবাইকে জানানোটা দা্য়িত্ব বলে মনে করে নাই।তারা ফিরে গিয়েছিলো নিজের নিজের কাজে।বলুনতো কত সংখ্যক মানুষ সরাসরি যুদ্ধ করেছিলো।আর বাকি যারা যুদ্ধ করে নাই তারা কি করেছিলো.

জাফর ইকবাল স্যার কি কোথাও দাবি করেছে তিনি যুদ্ধ করেছেন।কিন্তু তার বাবা যে অস্র গোলা-বারুদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছিলো সেটা কি মিথ্যা।দেশের জন্য নিজের জিবনটাই বাজী ধরেছিলেন সেটা কি মিথ্যা?

২//জেনারেল ওসমানি'কে চিনেনতো উনার সহকারি ছিলেন শেখ কামাল। হাসিনা সেই সময় অন্তসত্তা ছিলেন।বঙ্গবন্ধু আপনাদের ভাষায় দাওয়াত নিয়ে পাকিস্তানের কারাগারে চলে গিয়েছিলেন।বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য ১৮ বছর জেল খেটেছেন।আরো বলতে হবে।

৩/অবশ্যই সর্তসাপেক্ষে ফিরে যেতে দিয়েছিলো সেই নরপশুদের।লক্ষ লক্ষ বাঙালী যারা পাকিস্তানে ছিলো বিনিময়ে তাদের ফিরিয়ে এনেছিলেন তিনি।ভুট্টো চুক্তি লঙ্গন করেছে বিচার করেনি সেই পশুদের ।কাজেই সেই চুক্তি বলবৎ থাকারও কোন কারন নেই এখন।

সবার সমালোচনা অবশ্যই করবেন।কিন্তু বিকৃত ইতিহাসের আলোকে নয়।বেশি করে পড়ুন।এখনও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম শেষ হয়ে যায়নি তাদের কাছ থেকেও জানার চেষ্টা করুন।টাকা ও কষমতার কাছে নিজেকে সবাই বিলিয়ে দেয়নি।কেউ কেউ অবশ্যই নিজের বিবেক বিক্রয় করে দিয়েছে।তাদের কাছ থেকে সাবধান.

ধন্যবাদ,খো.ম.কথা।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

বটপাকুড় বলেছেন: দলকানা ইকবাল যুদ্ধ করবে কেমনে? ৭১ এর সময় ঢাবি তে পড়তো, আর মায়ের সাথে নৌকায় চড়ে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে এ পালিয়ে বেরিয়েছেন। আর খালেদা জিয়া নিয়ে এই বাজে কথা না বললেই কি নয়। আমার ধারনা পাকি রা তাকে জোর করে আটকে রেখেছিল।

স্বামী যুদ্ধে গেছে, আর তার বিবাহিত স্ত্রী সেনানিবাসে, পাকি রা অত্যাচার করেনি বলে মনে হয় আপনার।
খালেদা জিয়ার যতখানি যুদ্ধের প্রতি অবদান আছেন, সেই টা শেখের পরিবারের কেউ করছে কি না আমাকে দেখান

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

রাফা বলেছেন: আপনি কি জানেন খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় সেখানে ফিরে এসেছিলেন।২৬শে মার্চ তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ছিলেননা।যে দল মিথ্যার অজুহাতে স্বাধীনতার ঘোষকের দাবী করতে পারে আর সেই দলের প্রধানের এত বড় গৌরবের কথা লুকিয়ে রাখতে হবে কেনো?

তাহলে'তো বলতেই হয় সব নারী মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার দৃষ্টিতে দেখে উনি এবং তার দল ও সমর্থকেরা.
শেখের পরিবারের বিন্দুমাত্র অবদান নেই মুক্তিযুদ্ধে।সব অবদান একজন হুইসেল ওয়ালার।খুশি থাকেন এই ধারণা নিয়ে।

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৭

বটপাকুড় বলেছেন: আপনি কি জানেন খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় সেখানে ফিরে এসেছিলেন।২৬শে মার্চ তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ছিলেননা।যে দল মিথ্যার অজুহাতে স্বাধীনতার ঘোষকের দাবী করতে পারে
কোথায় পেয়েছেন এই তথ্য, লেখা দেখান

আর আপনি কি জানেন, শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার জন্য তাজউদ্দিন ২৫ এ মার্চের রাতে টেপ রেকর্ডার নিয়ে গিয়েছিলেন শেখের বাসায়। কিন্তু মুজিব সেই ঘোষণা দেন নি। বলছেন এই ঘোষণা দিলে, আমাকে দেশদ্রোহীর মামলায় ফাঁসাবে পাকিরা । মুজিবের দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার কোন আগ্রহ ছিল না, কারণ উনার মুল খায়েশ ছিল পাকিস্তান এর প্রধান মন্ত্রী হবেন।

২৬ শে মার্চের রাতে শেখ মুজিব কি জন্য বাসায় বসে ছিলেন, পারতেন না পালিয়ে গীয়ে যুদ্ধে অংশ নিতে ?? ভিয়েত নামের নেতারা পালিয়ে থেকে আমেরিকানদের সাথে যুদ্ধ করেন নি বছরের পর বছর। সেই খানে শেখ সাহেব তো সুখে বসে ছিলেন বাসায়।শেখের দুই মেয়ে আর বউ তো পুরো যুদ্ধের সময় পাকিদের পাহারায় ছিলেন। কেন তারা পালিয়ে যান নাই কেন? বলবেন শেখ জামাল যুদ্ধ করছেন? উনি ছিলেন ওসমানীর এডিসি। মানে সকারী। ২য় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার view this link, সেখানে শেখ পরিবারের কারোর গায়ে কোন আঁচড় পর্যন্ত নাই। কি সুপারম্যানের বংশ নাকি :-/

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

রাফা বলেছেন: প্রথমেই শেখ কামালের কথা বলি। বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর প্রথম ব্যাচের ক্যাডেট অফিসারদের একজন। ১৯৭১ সালের ৯ অক্টোবর এদের পাসিং আউট হয়। এরপর সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট শেখ কামাল প্রধান সেনাপতি এমএজি ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শেখ জামাল পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে গৃহবন্দী ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুজিব বাহিনীর একজন সদস্য হিসেবে যুদ্ধ করেছেন। ২ ডিসেম্বর লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের যেসব আলোকচিত্র আসে তার একটিতে সীমান্তের ১০ মাইল ভেতরে একটি রণাঙ্গনে সাবমেশিনগানধারীদের একজন হিসেবে ছবি ওঠে জামালের। শেখ কামালের ছবি আছে অজস্র, তার পাসআউটের, ওসমানীর সঙ্গে বিভিন্ন যুদ্ধাঞ্চলের। তারই কিছু শেয়ার করলাম।

মুক্তিযুদ্ধের সংবাদ নামে একটা এলবাম আছে। সেখানে গুতালেও কিছু চমকপ্রদ খবর চোখে পড়বে আপনাদের।

মুক্তিযুদ্ধে যারা যোগ দিয়েছেন প্রতিটি অফিসারের স্ত্রীদের বন্দী করেছিলো পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ২৬ মার্চেই অনেকে গ্রেফতার হন, যাদের স্বামীকে পাকিস্তানীরা হত্যা করেছিলো তাদের এপ্রিলেই ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ খালেদা গ্রেফতারই হন জুন মাসে আর মুক্তি পান কিংবা নেন ১৭ ডিসেম্বর। তাকে নিতে জিয়া লোক পাঠালেও তিনি যাননি। তাহলে কি তিনি মুক্তি নিতেই চাননি? নাহলে একদিন দেরী কেনো করবেন। ক্যান্টনমেন্ট তো মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রনে, তিনি আসতে না চাইলে তারা তো জোর করতে পারেন না। নীচের সারণিটা দেখলেই বুঝবেন কিভাবে কি:



শেখ মুজিব তাকে নিজের মেয়ের মতো ঘরে রেখেছেন। শেখ রেহানা ঘর ছেড়ে দিয়েছেন তাকে, বড় বোনের মতো দেখেছেন। শেখ মুজিবের নির্দেশে জিয়া তাকে ঘরে নিয়েছেন, বিনিময়ে উপসেনাপ্রধান হিসেবে পদটাও নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে এমনকি এক বিদেশীর থিসিসেও উল্লেখ রয়েছে: (Curriculum as Destiny:

Forging National Identity in India, Pakistan, and Bangladesh; by
Yvette Claire Rosser, 2003, page: 168)। আজ উনি বিশেষ জন্মদিন পালন করেন তার রক্ষাকর্তার মৃত্যুদিবসে। কৃতজ্ঞতা আর কাকে বলে

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

রাফা বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=n4Mn9_CTy8o নেন মেজর জিয়ার নিজের কন্ঠেই শুনুন স্বাধীনতার ঘোষণা।পুরোটা শুইনেন।আপনার প্রশ্ন দেইখা মনে হইতেছে দশ বছর আগে আপনার জন্ম।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

রাফা বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=NMh49Ll8QI0 আমেরিকান রিপোর্ট_

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

বটপাকুড় বলেছেন: পিছলা কাটেন কেন ভাই, আমার কোন জায়গায় লিখছি জিয়া তার স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার সময় মুজিবের নাম বলে নাই ?? জিয়া ঘোষণা দিছে, ওকে কিন্তু মুজিবের দায়িত্ব জ্ঞানহীন ভাবে পাকি দের কাছে ধরা দেয়ার ব্যাখ্যা দেন আগে।

আরেকটা কথা জিগায়, শেখ মুজিব কি জিয়াকে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে? এইটা দেখান পারলে

ইনফ্যাক্ট, জিয়া পরিস্থিতিতে পরে ঘোষণা দিয়েছেন। আপনি বীর উত্তম মেজর রফিকের লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বইটা পড়ে দেখেন। উনি ৭১ এর সময় চট্টগ্রামে জিয়ার সাথে এক সাথে যুদ্ধ করছেন।

আর শেখ কামালের কথা বলেন, উনি খালি ওসমানীর পিছে পিছে ঘুরতেন, যদি কোন রকম যুদ্ধ করতেন, তাইলে আপনাদের মত আওয়ামী লিগের সেটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বলতে কোন কমতি থাকতো না। কোন দলকে সাপোর্ট করা ভাল, কারণ একেক জনের ভাল লাগার ভিন্নতা থাকতেই পারে। সেইটার সাথে মিথ্যা যুক্তি দেয়ার দরকার নাই । বরং দেখেন শেইখ কামাল সম্পর্কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে কি লেখা আছে পিছলা কাটেন কেন ভাই, আমার কোন জায়গায় লিখছি জিয়া তার স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার সময় মুজিবের নাম বলে নাই ?? জিয়া ঘোষণা দিছে, ওকে কিন্তু মুজিবের দায়িত্ব জ্ঞানহীন ভাবে পাকি দের কাছে ধরা দেয়ার ব্যাখ্যা দেন আগে।

আরেকটা কথা জিগায়, শেখ মুজিব কি জিয়াকে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে? এইটা দেখান পারলে

ইনফ্যাক্ট, জিয়া পরিস্থিতিতে পরে ঘোষণা দিয়েছেন। আপনি বীর উত্তম মেজর রফিকের লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বইটা পড়ে দেখেন। উনি ৭১ এর সময় চট্টগ্রামে জিয়ার সাথে এক সাথে যুদ্ধ করছেন।

আর শেখ কামালের কথা বলেন, উনি খালি ওসমানীর পিছে পিছে ঘুরতেন, যদি কোন রকম যুদ্ধ করতেন, তাইলে আপনাদের মত আওয়ামী লিগের সেটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বলতে কোন কমতি থাকতো না। কোন দলকে সাপোর্ট করা ভাল, কারণ একেক জনের ভাল লাগার ভিন্নতা থাকতেই পারে। সেইটার সাথে মিথ্যা যুক্তি দেয়ার দরকার নাই । বরং দেখেন শেইখ কামাল সম্পর্কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে কি লেখা আছে,ওনার ইন্ধনে দেশের সেনাবাহিনীর সাথে রক্ষী বাহিনীর সংঘাত শুরু হয়।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৩

রাফা বলেছেন: হুমমম..জিয়া কে ছিলেন ?পাকিস্তান সেনাবাহিনির একজন সেনা কর্মকর্তা ।বঙ্গবন্ধু কেনো জিয়াকে ঘোষণা করতে বলবে।আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ধারাবাহিক দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস।এখানে পর্যায়ক্রমে নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়েছে এভাবেই গড়ে উঠেছে প্রত্যেকের দ্বায় গ্রহণ করার যায়গা।স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র কারা সৃষ্টি করেছিলেন বলতে পারবেন?নিশ্চই মেজর জিয়া নয় ,যারা করেছিলো তারাই জিয়াকে দিয়ে ঘোষণা করিয়েছিলো।জিয়ার পুর্বে রাজনিতিবিদরাও ঘোষণাটি পাঠ করেছিলো।তাহলে তাদেরকে কেনো আপনি বা আমি স্বাধীনতার ঘোষক বলছিনা।কারন একটাই এর একমাত্র এখতিয়ার ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।আপামর বাংলার জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমেই তাকে সে অধিকার দিয়েছিলো।
আরো ভালো করে জেনে রাখুন ঘোষণাটি পাঠ করার জন্য রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমকেই প্রথমে বলা হয়েছিলো।কিন্তু তিনি তখন যুদ্ধক্ষেত্রে থাকাটাই বেশি জরুরী মনে করেছিলেন।তা না হলে এই ঘোষণার পাঠক উনি নিজেই হতে পারতেন।লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বইটি কি আপনি পুরো পড়েছেন ।যদি পড়ে থাকতেন তাহলে আপনি মনে হয় নিজেই এই বইয়ের রেফারেন্স দিতেন না।
সেই বইয়েে আছে ২৫ মার্চেও জিয়া "সোয়াত" নামক জাহাজ থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনির জন্য অস্র খালাস করতে গিয়েছিলেন।সেখান থেকে বিরত করে এই মেজর রফিকই জিয়া'কে বাধ্য করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে।যেভাবেই হোক জিয়া ১জন সেক্টর কমান্ডার এবং মুক্তিযুদ্ধে তারও অবদান আছে.।তবে স্বাধীনতার পরের ভুমিকা তার সব অর্জণ ম্লান করে দিয়েছে।(সেই বিতর্কে যেতে চাইনা এখন)

আপনি কি জেনারেল ওসমানি'কে যুদ্ধ করতে দেখেছেন কোথাও ১টা প্রমাণ দিনতো/কিংবা জিয়া সরাসরি যুদ্ধ করেছেন এমন একটি ছবি দিনতো দেখি আমি।শেখ কামাল তার দায়িত্ব পালন করেছেন যেমন করেছেন জিয়া ১জন সেক্টর কমান্ডার হিসেবে।
শেখ কামাল সেনাবাহিনিতে কি করেছেন একটু ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে বলুন'তো।
বটপাকুড়।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৩

রাফা বলেছেন: একটা দিলাম,বাকিগুলো লিংকে গিয়ে নিজে পড়ুন-নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
Click this link for online archive of
নিউ ইয়র্ক টাইমস

http://select.nytimes.com/gst/abstract.html?res=F50F10F63A55127B93C5AB1788D85F458785F9



LEADER OF REBELS IN EAST PAKISTAN REPORTED SEIZED; Sheik Mijib Arrested After a Broadcast Proclaiming Region's Independence DACCA CURFEW EASED Troops Said to Be Gaining in Fighting in Cities -Heavy Losses Seen

The Pakistan radio announced today that Sheik Mujibur Rahman, the nationalist leader of East Pakistan, had been arrested only hours after he had proclaimed his region independent and after open rebellion was reported in several cities in the East.
new york 26 march 1971.

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

বটপাকুড় বলেছেন: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উইকি তে লেখা আছে https://en.wikipedia.org/wiki/Bangladesh_Army

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৮

রাফা বলেছেন: ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, আমেরিকান বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের নানা রিপোর্ট রয়েছে। যা রিপোর্ট করা হয়েছিল সেটা অবিকৃতভাবে দেয়া হলো
এখানে ।

লিস্টের কয়েকটি নাম উল্লেখ করা হল রিপোর্টিং ডেইটসহ:

১. আমেরিকান ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সী (২৬শে মার্চ, ১৯৭১)

২. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট টেলিগ্রাম (৩১শে মার্চ, ১৯৭১)

৩. আমেরিকান সিনেট রিপোর্ট (জুলাই ২৭, ১৯৭১)

৪. নিউ ইয়র্ক টাইমস ,The Times UK(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)

৫. ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল (২৯শে মার্চ, ১৯৭১)

৬. টাইম, নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৭. বাল্টিমোর সান (৪ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৮. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট- রিসার্চ স্টাডি (ফেব্রুয়ারী ২,১৯৭২)
9-Times of India 27 March 1971

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০২

াহো বলেছেন:

বই / ভিডিও প্রয়োজন নেই .বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে, প্রথম রাষ্ট্রপতি কে এসবই বলা আছে .
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ ১০ এপ্রিল ১৯৭১
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিব নগর থেকে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র জারি করা হয় এবং এর মাধ্যমে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। শপথ গ্রহণ করেন ১৭ এপ্রিল।
স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর । যতদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছে ততদিন মুজিবনগর সরকার পরিচালনার অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে এই ঘোষণাপত্র কার্যকর ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পরও এই ঘোষণাপত্র সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিল। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান প্রণীত হয় তখন সংবিধান হিসেবে এর কার্যকারিতার সমাপ্তি ঘটে।

সেদিন মুজিবনগরে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। তবে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

এপ্রিল ১৭ তারিখে গণপরিষদের সদস্য এম ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন.


========================

২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, আমেরিকান বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের নানা রিপোর্ট রয়েছে। যা রিপোর্ট করা হয়েছিল সেটা অবিকৃতভাবে দেয়া হলো
এখানে ।

লিস্টের কয়েকটি নাম উল্লেখ করা হল রিপোর্টিং ডেইটসহ:

১. আমেরিকান ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সী (২৬শে মার্চ, ১৯৭১)

২. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট টেলিগ্রাম (৩১শে মার্চ, ১৯৭১)

৩. আমেরিকান সিনেট রিপোর্ট (জুলাই ২৭, ১৯৭১)

৪. নিউ ইয়র্ক টাইমস ,The Times UK(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)

৫. ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল (২৯শে মার্চ, ১৯৭১)

৬. টাইম, নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৭. বাল্টিমোর সান (৪ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৮. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট- রিসার্চ স্টাডি (ফেব্রুয়ারী ২,১৯৭২)
9-Times of India 27 March 1971


===========================

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন,


যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান; এবং
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ
তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১




=======================



তাজউদ্দীনের ভাষণ

২৫শে মার্চ মাঝরাতে ইয়াহিয়া খান তার রক্তলোলুপ সাঁজোয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের নিরস্থ মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়ে যে নরহত্যাযজ্ঞের শুরু করেন তা প্রতিরোধ করবার আহ্বান জানিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের যুদ্ধকালীন প্রথম ভাষণ
জিয়া সহ পাঁচ সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ তাদের যুদ্ধের জন্য
তাজউদ্দীনের ভাষণ link---http://www.samakal.net/2013/07/23/7512
http://www.amadershomoys.com/content/2014/04/28/middle0174.htm





=========================
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)


(১০ এপ্রিল, ১৯৭১)

যেহেতু ১৯৭০ সালের ০৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি শাসনতন্ত্র রচনার অভিপ্রায়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল

এবং

যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ১৬৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে ১৬৭ জনই আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত করেছিলেন

এবং

যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান একটি শাসনতন্ত্র রচনার জন্য ১৯৭১ সালের ০৩ মার্চ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন

এবং

যেহেতু আহূত এ পরিষদ স্বেচ্ছাচার ও বেআইনিভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়

এবং

যেহেতু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের প্রতিশ্রুতি পালনের পরিবর্তে বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলাকালে একটি অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করে

এবং

যেহেতু উল্লেখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী একটি বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনাকালে বাংলাদেশের অসামরিক ও নিরস্ত্র জনসাধারণের বিরুদ্ধে অগুনতি গণহত্যা ও নজিরবিহীন নির্যাতন চালিয়েছে এবং এখনো চালাচ্ছে

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অন্যায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একত্র হয়ে একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে ও নিজেদের সরকার গঠন করতে সুযোগ করে দিয়েছে

এবং

যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের দ্বারা বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে

সেহেতু

সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে, সে মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য বিবেচনা করে আমরা বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এতদ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি

এবং

এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন

এবং

রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক হবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানই ক্ষমা প্রদর্শনসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী হবেন,

তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়োজনবোধে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য নিয়োগ করতে পারবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানের কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের এবং গণপরিষদের অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবির ক্ষমতা থাকবে এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্যে আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।

বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি, যে কোনো কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন।

আমরা আরও ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসেবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য আরোপিত হয়েছে তা আমরা যথাযথভাবে পালন করব।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, আমাদের স্বাধীনতার এ ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গণ্য হবে।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্যে আমরা অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে ক্ষমতা দিলাম এবং রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করলাম।

==================================


নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
Click this link for online archive of
নিউ ইয়র্ক টাইমস

http://select.nytimes.com/gst/abstract.html?res=F50F10F63A55127B93C5AB1788D85F458785F9



LEADER OF REBELS IN EAST PAKISTAN REPORTED SEIZED; Sheik Mijib Arrested After a Broadcast Proclaiming Region's Independence DACCA CURFEW EASED Troops Said to Be Gaining in Fighting in Cities -Heavy Losses Seen

The Pakistan radio announced today that Sheik Mujibur Rahman, the nationalist leader of East Pakistan, had been arrested only hours after he had proclaimed his region independent and after open rebellion was reported in several cities in the East.
New York Times - Mar 27, 197


---------------------================================

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা আমার বইতে স্পষ্ট উল্লিখিত।

[১৪৭-১৪৮, ২৭৪-২৯১, ৩০১-৩১০ পৃষ্ঠা]
শারমিন আহমদ: শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা।
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/341656/===================================================================================

1971/1972 সংবাদপত্রে
বিএনপি নেতার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে

===================

বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ

1) পাকিস্তান এখন শেষ --শেখ মুজিব---15 মার্চ 1971

2)শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন --Apr. 05, 1971
--The World: Pakistan: Toppling Over the Brink

3)গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। ---শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / টাইম সাময়িকী ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২

4)Bangladesh have suffered three consecutive years of natural or man-made disasters—a calamitous cyclone in 1970, the civil war in 1971, and a crop-crippling drought this year. Jan. 01, 1973
বাংলাদেশ পরপর তিন বছর প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয় ভোগ করে, এবং 1970 বিপন্ন ঘূর্ণিঝড় ,1971 স্বাধীনতা ,1972 একটি ফসল-অসমর্থকরণ খরা হয়েছে. জানুয়ারী 01, 1973

5)শেখ মুজিবের সময়কালে ৬০০০ হাজারের ও বেশী মানুষ সহিংসতা নিহত (মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magazine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫).

6)বাংলাদেশ. "বাস্কেট কেস", নয়, Jan. 01, 1973






লন্ডনের টাইমস পত্রিকায় ২৭শে মার্চ, ১৯৭১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর




নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর





-Times of India 27 March 1971
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর






এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971


এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971



একে খন্দকার স্বীকার করছেন তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।

দ্বিতীয় সংস্করণে নিজেই স্বীকার করছেন যে, প্রথম সংস্করণে তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।
৩২ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় স্তবকে আমি লিখেছিলাম– এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় পাকিস্তান’। আসলে তা হবে ‘এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’।’’

যিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দেবেন তিনি ইতিহাসের ওই সময়টাতে ‘এমএলএ’ ছিল, নাকি এমপিএ ছিল সেটা জানবেন না, তা কী করে হয়? যদি না-ই জানেন, তাহলে তো স্পষ্টত বোঝা যায় তিনি রাজনীতির খবরাদি রাখতেন না, সেই সময়ের সরকারের অনুগত হিসেবে বিমানবাহিনীর চাকরিটিই ঠিকমতো করে গেছেন। তো, যিনি ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণের রাজনীতির গতিধারা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতেন না, তিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দিতে আসেন কীভাবে? Click This Link




আব্দুল করিম খন্দকার
২৫ মার্চ ১৯৭১, রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে তাদের ঢাকা বেইসের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন।
১২ মে ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যু্দ্ধে যোগ দেন। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় ১০ এপ্রিল ১৯৭১।

মুজিবনগর সরকার যে সরকারের প্রধান ছিলেন শেখ মুজিব, তাদের কাছ থেকেই মাসে মাসে মাইনে নিয়েছে জনাব আব্দুল করিম খন্দকার। কেন, কী কারণে আব্দুল করিমের ৪৭ দিন সময় লেগেছিলো পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করতে সে কারণটি অজানাই রয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের পক্ষে ছোট একটি পদে থেকে মার্চ-এপ্রিল, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে কী ঘটেছে তা অনুমান করা নিঃসন্দেহে দূরহ কাজ এবং সেখানে সেই পাকিস্তানি দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুকে মূল্যায়ন করা অসম্ভব।




শেখ মুজিবের সঙ্গে জিয়ার তুলনা করতে চাইলে

পড়ে দেখতে পারেন ১৯৭১ সালের সংবাদপত্রগুলো–
কোথাও জিয়ার নাম খুঁজে পাচ্ছি না।

নিউ ইয়র্ক টাইমস, টাইম ম্যাগাজিন, ইউএসএ এবং টাইমস সংবাদপত্র, ইউকেএর ওই সময়কার কপি পেতে পারেন তাদের ওয়েবসাইট থেকে, মাত্র ১ ডলারের বিনিময়ে।





বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা
আমার বইতে স্পষ্ট উল্লিখিত।
[১৪৭-১৪৮, ২৭৪-২৯১, ৩০১-৩১০ পৃষ্ঠা]
শারমিন আহমদ
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা।
http://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/21163





বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়ে–

১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, নিউ ইয়র্ক টাইমস (২৭ মার্চ, ১৯৭১), টাইমস সংবাদপত্র, ইউকে (২৭ মার্চ, ১৯৭১), টাইম Magazine, USA (৫ এপ্রিল, ১৯৭১), আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট– history.state.gov ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, ওয়াশিংটন সময় বিকাল ৩.০৩ – ৩.৩২ গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’এর প্রতিনিধি মি. রিচার্ড হেলমস জানান–

“শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন।’’






ঝেড়ে কাশুন
১)কোন হত্যার বিচার চাইতে হলে সে কি আমার আত্তীয় হতে হবে ?

২)শেখ মুজিবের সঙ্গে জিয়ার তুলনা করতে চাইলে
পড়ে দেখতে পারেন ১৯৭১ সালের সংবাদপত্রগুলো–
কোথাও জিয়ার নাম খুঁজে পাচ্ছি না।

নিউ ইয়র্ক টাইমস, টাইম ম্যাগাজিন, ইউএসএ এবং টাইমস সংবাদপত্র, ইউকেএর ওই সময়কার কপি পেতে পারেন তাদের ওয়েবসাইট থেকে, মাত্র ১ ডলারের বিনিময়ে।

৩)জামাল-কামাল- দুজনই মুক্তিযোদ্ধা। শেখ কামাল ওসমানীর এডিসি ছিলেন। শেখ মণি মুজিব বাহিনীর প্রধান ছিলেন

৪)১৯৭১ সেনাবাহীনীর প্রধান আওয়ামীলীগ দলীয় এম পি
প্রধান সেনাপতি ও আওয়ামীলীগ দলীয় এম পি
আতাউল গনি ওসমানি ও মো. আব্দুর রব ছিলেন তখন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।
১৯৭১ সালে সেনাবাহীনীর প্রধান (মো: আবদুর রব ) আওয়ামীলীগ দলীয় এম পি
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ থেকে এমএনএ (মেম্বার অব ন্যাশনাল এসেম্বলি বা পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ সদস্য) নির্বাচিত হন।
৫) ১৯৭১ এ ২৫ মাচ‌‌' পাকিস্তান সেনাবাহিনীর টার্গেট শেখ মুজিব গ্রেপ্তার করা , অনা কোন নেতা নয়.

৬) বর্তমান সংসদে একজন সেক্টর কমান্ডার আছে , বিএমপি কি বর্তমান সংসদ সমর্থন করে?








ইতিহাস কুইজ!!
পেপার কাটিং এ দেয়া বক্তব্যটি
১. কার?
২. কবে দিয়েছেন?
৩. এ থেকে আপনি কি জানতে পারলেন?
বলতে পারেন?

https://www.facebook.com/Muktijuddhergolpo/photos/a.131064856975006.33531.129242633823895/949536005127883/?type=3&theater






৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৫৯

বটপাকুড় বলেছেন: আজব তো সেনাবাহিনীর একজন অখ্যাত মেজরের নাম কেন আসবে পেপারে। ৭১ সালের আগে জিয়াকে কে চিনতো?
জিয়া সরাসরি যুদ্ধ করেছেন এমন একটি ছবি দিনতো দেখি আমি।

জিয়া চিটাগাং এর কালুর ঘাট ব্রিজের কাছে সরাসরি সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে মার্চের শেষে। মেজর রফিকের বইতে আছে, পড়ে দেখেন। আরে পরে সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব নেওয়ার পর নেতৃত্ব দেয়াটাই তাঁর প্রধান কাজ ছিল।

কিন্তু আপনার শেখ কামাল কোন জায়গায় যুদ্ধ করছেন, যদি আমাদের একটু চোখ খুলে দেন, তাইলে ভাল হয় আর কি। শেখ কামাল সম্পর্কে উইকি তে কি বলা আছে দেখেন Mujib's Awami League government created disenchantment among army personnel when his party formed and operated state funded separate militia groups around the nation run locally by his party men at the command of his son Sheikh Kamal. These policies and actions laid the foundation and formed the bedrock of disputes between professional army officers and the ruling administration.

বেশির ভাগ আওয়ামী নেতারা ভারতে যেয়ে যুদ্ধ তো করেন নাই, সারাক্ষণ বাইজি নিয়ে পরে থাকতেন আর মদ গিলতেন। শহিদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সার এমপি বলেছিলেন, আওয়ামী লিগের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের কারো কেউ মারা যাই না দেখে, পরে যুদ্ধ অপরাধীদের ক্ষমা করে দিতে কোন কষ্ট হয় নাই।

আপনারা যারা আওয়ামী লীগের সমর্থক তাদের প্রধান সমস্যা হলো কক্ষনো যুক্তি বুঝতে চান না। খালি এক স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে পরে আছেন। আরে ভাই দেশ স্বাধীন হয়ছে আজকে ৪৫ বছর হয়ে গেছে। দেখেন তো ভিয়েতনাম আর মালেয়শিয়া কোথায় গেছে। আর আপনি আসেন এখন ৭১ এর পেপারে কার নাম বেশি ছাপা হয়েছে সেইটা নিয়ে। আরে ভাই সামনে আগান। আর শেখ মুজিবের কিছু ভুল ছিল সেইটা স্বীকার করতে তো দোষ দেখি না। উনি মানুষ, ওনার ভুল হতেই পারে। ফেরেশতা হলে ভিন্ন কথা। সব জায়গার আপনার নেত্রীর মত অহেতুক মিথ্যা কথা বলিনেন না। যেমন উনি বলছিলেন রানা প্লাজা এর পর রানা ওনার দলের কেউ না। এর চেয়ে তো বলা যেত, আমার দলের কিন্তু আমরা ওর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো। খালি খালি মিথ্যা কথা বলে নিচের লেভেল নিচে নামানোর দরকার আছে ?? ভিডিও র link তা দিয়ে দিলাম

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৩৯

রাফা বলেছেন: এখন আর আমার মনে কোন সন্দেহ নাই আপনি একজন জামাত অথবা শিবিরের সমর্থক।কারন তারা নিজেরাই প্রমাণ চেয়ে যখন আর কোন কুল কিনারা করতেে দেখতে পায়না তখন এক প্রসঙ্গ থেকে আরেক প্রসঙ্গে চলে যায়।ঐ পেপার কাটিং আমি আপনাকে দেই নাই।কারন আমি জানি আপনার সেই ঘিলু নেই এগুলো পড়ে দেখতে পারেন।আপনাকে কি আমি এখন শেখ কামালের সব ছবি আপলোড করে দেখাবো যে তিনি যুদ্ধের মাঠেই এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন জেনারেল ওসমানির সাথে ।আপনি মুক্তিযুদ্ধের ওয়েব সাইটে যান তার অজস্র ছবি নিজেই দেখতে পাবেন ওসমানির সাথে।আওয়ামি লীগের নেতারা বাঈজি নিয়ে ফুর্তি করেছেন এটা হইতেছে একমাত্র জামাত আর রাজাকারের সন্তানদের তথ্য ।যে তথ্যের ভিত্তিতে ছাগিয়তাবাদিরা কথা বলে।

প্রবাসী সরকারের নাম শুনেছেন কখনও সেটা আওয়ামি লীগের রাজনৈতিক নেতারা সৃষ্টি করেছিলেন।মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিলেন তারাই।স্বরনার্থিরা ঐখানে ফুর্তি করতে গিয়েছিলো আপনাদের ভাষায়।সবাই কোন না কোন ভাবে তাদের ভুমিকা পালন করেছেন।তোফায়েল/মায়া /রাজ্জাক এদের কে কি আপনার মুক্তিযোদ্ধা মনে হয়না।

পান্না কায়সার কোন দলের এমপি ধারনা আছে আপনার!শমি কায়সার কোন দলে আছেন বিন্দুমাত্র ধারনা আছে আপনার?তাদের বলা কথার মর্মার্থ উদ্ধার করা আপনার মত মাদ্রাসা পড়ুয়ার পক্ষে সম্ভব নয়।আগে জানুন কেনো কোথায় কি জন্য বলেছিলেন।ঠিক যেমন মেজর রফিকের বইয়ের যুক্তি দিয়েছেন না জেনে তাদের কথাও সেই ভাবেই বলছেন।

কোথাকার প্রসঙ্গ থেকে কোথায় চলে গেছেন।কোথায় মুক্তিযুদ্ধ আর কোথায় রানা প্লাজা.-এটাই হইতেছে ছাগিয়তাবাদের কৌশল.

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:১৪

নীল জানালা বলেছেন: জাফর মিয়া খালি আকামা ফর ফর করে। হালা কাপুরুষ কোনহানকার!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০২

রাফা বলেছেন: লাল ,,নীল ও হলুদ গোলামে আওলাদেরা এটা ভেবেই তৃপ্তি পায়।গো.আজম/মইত্যা /দৈল্যা রাজাকারেরা হইতেছে তাদের কাছে বীর পুঙ্গব।
জাফর স্যারের বয়ানে এদের গাত্র দহন শুরু হয়ে যায়।

১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৪০

াহো বলেছেন:

আওয়ামী নেতারা যুদ্ধ তো করেন নাই


১৯৭১ সেনাবাহীনীর প্রধান আওয়ামীলীগ দলীয় এম পি
প্রধান সেনাপতি ও আওয়ামীলীগ দলীয় এম পি



আতাউল গনি ওসমানি ও মো. আব্দুর রব ছিলেন তখন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।
১৯৭১ সালে সেনাবাহীনীর প্রধান (মো: আবদুর রব ) আওয়ামীলীগ দলীয় এম পি
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ থেকে এমএনএ (মেম্বার অব ন্যাশনাল এসেম্বলি বা পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ সদস্য) নির্বাচিত হন।


১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট ++++++++++++++++

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৭

রাফা বলেছেন: ধন্যবাদ,সব কৃতিত্ব জাফর ইকবাল স্যারের।

১২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

বটপাকুড় বলেছেন: ঠিক যেমন মেজর রফিকের বইয়ের যুক্তি দিয়েছেন না জেনে তাদের কথাও সেই ভাবেই বলছেন।[/sb
আপনাদের তো ঐ এক কথা, না পারলে রাজাকার আর না হলে জামাত শিবির, যেমন আপনার মত প্রতিটা আওয়ামী লিগের লোকজন যেমন ভ্যাদা, কারণ ভারতের কথায় উঠে বসে।

আপনি কামালের যুদ্ধের ছবির লিঙ্ক টা দেন এই খানে, আমি তো আপনার মত বিদ্যান না, মূর্খ মানুষ :)

জাফর মিয়া আছে আরেক জন, কামে বেকামে কত কিছু কোয়, বিদেশে গল্পের কাট পিস দেয় । আর আপনি সেইটা কপি পেস্ট করেন

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৮

রাফা বলেছেন: নিচে শেখ কামাল আর শেখ জামালের ছবি দেখে এবার কাঠাল পাতা চিবাইতে থাকেন।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১১

রাফা বলেছেন: Click This Link

১৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০০

াহো বলেছেন: ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পরের দিন

হাসপাতালে যে মানুষটা মারা গেলো তাকে কোন তালিকায় ধরবেন? যে বীরাঙ্গনা মানুষের গঞ্জনা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করলেন ১৬ ডিসেম্বরের পর তাদের কোন তালিকায় ধরবেন? যেসব বীরাঙ্গনা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেলেন তাদের কই রাখবেন? শরণার্থী শিবির থেকে ফিরে আসার পথে মারা গেল যে মানুষ তাদের হিসাব কোথায়? ১৯৭১ সালে চাষাবাদ না হওয়াতে যুদ্ধের সময় যারা না খেতে পেয়ে মারা গ্যালো তাদের মৃত্যুর দায় কার ঘাড়ে দেবেন?
শুমারি করে এই মানুষদের কি লিপি বদ্ধ করা সম্ভব?

১৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৩

রাফা বলেছেন:

sheikh kamal and jamal.

১৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৬

বটপাকুড় বলেছেন: আপনি চিবাইতে থাকেন ভাল করে, সাথে আয়োডিন দিয়ে নিয়েন, কারণ আপনার ভিটামিনের পাশাপাশি আয়োডিন এর অভাব আছে ।

মুক্ত অঞ্চলে বইসা যুদ্ধ করে... :D :D

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৩১

রাফা বলেছেন: মেজর জলিল/ক্যাপ্টেন হুদাও বসে আছেে মুক্ত অন্চলে ওরাও যুদ্ধ করে নাই ।গো.আজম আর আপনার ভাই ব্রাদারেরা যুদ্ধ কইরা মুক্ত করছে ঐ অন্চল।

ছাগু দীক্ষায় দিক্ষিতরা আজিবন গোলামে আওলাদই থাকিবে।স্বয়ং ইয়া হিয়া/টিক্কা খানেরা কবর থেকে উঠে এসে বললেও তাদেরকে বিশ্বাস করায় এমন সাধ্য ইহ জগতে কারো নেই।

একজন ছাগিয়তাবাদি আজিবন ছাগিয়তাবাদি হিসেবেই জিবন যাপন করিবে।কারন আল্লাহ তাহার কপালে সেই লান্নত লিখিয়া দিয়াছেন.

১৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:০৪

াহো বলেছেন:

জামাতি ছাগু একটা জিনিস বুঝে না


হিটলার কি অস্থ হাতে যুদ্ব করেছে ?

ইরাক যুদ্বের জন্য দায়ী বুশ কি ইরাকে ছিলো ? সে কি নিজ হাতে কাউকে গুলি করছেে ?


১৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৩০

াহো বলেছেন:

জামাতি ছাগু একটা জিনিস বুঝে না


যুদ্ব কি কেবল অস্ত্র হাতে করতে হয়?

যুদ্বক্ষেএের ভাক্তার , সাংবাদিক ,এমনকি যুদ্বক্ষেএের নাপিত সেও কি যোদ্বা নয়?

১৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:১৭

কলাবাগান১ বলেছেন: মেজর জলিল/ক্যাপ্টেন হুদাও বসে আছেে মুক্ত অন্চলে ওরাও যুদ্ধ করে নাই ।গো.আজম আর আপনার ভাই ব্রাদারেরা যুদ্ধ কইরা মুক্ত করছে ঐ অন্চল।

১৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৪

াহো বলেছেন:


শেখ কামাল ১৯৭১

পূর্বদেশ ১০ জানুয়ারি ১৯৭২



বড় করে দেখুন
http://oldnewspaper.website/picture.php?/37/category/6
http://oldnewspaper.website/upload/2016/01/01/20160101123014-c51668e5.jpg

২০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১০

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: যাদের রক্ত দূষিত।তাদের কি স্যালাইনে কাজ হয়।।
আফা মনে চাইতাছে জেলে যাইতে।।বাইরে থাকলে পরিবেশ দূষিত হবে।।

২১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিএনপি'র একজন পিএইচডিও মুখ খুলেনি; অন্তত ২/১ জন বুদ্ধিমান মানুষ বলতে পারতো যে, ম্যাডাম কঠিন সময়ের মাঝে আছেন, রেগে একটা কথা বলেছেন, বিএনপি'র থেকে আমরা উনার হয়ে জাতির কাছে ভুল স্বীকার করছি।

২২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১৯

বক্রহীন বলেছেন: সবগুলো চোর !

বসে বসে জনগনের টাকা খাইবার পায়তারা .................

শুধু ইতিহাস বানানো আর পাতিহাস খাওয়া....................... চোর।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.