নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।

রাফা

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।গালি সহ্য করার মানসিকতা শুণ্যের কোঠায়।রাজাকার,আলবদর ,আল সামস মোট কথা বাংলাদেশের বিরোধী যে কোন শক্তিকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করি। তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি নব্য ছাগিয়তাবাদিদের। যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় যুদ্ধাপরাধীদের ।

রাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বচনের নির্বাসনই নির্বাচন (২০১৮)

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩০



ড.সলিমুল্লার বিশ্লেষনটি ছিলো ২০১৮ সালের নির্বাচনটি নিয়ে একটি সঠিক বিশ্লেষন ।উনার ধার করা কথাটি নিয়েই আমার ২০১৮ সালের নির্বাচনটি নিয়ে দু'একটি কথা।
এতদিনের রাজনৈতিক তর্ক/বিতর্ক,আলোচনা -সমালোচনা সবকিছুর সমাধান ছিলো একটি সঠিক নির্বাচন।অর্থাত সকল কিছুর জবাব হতে পারতো জাতিয় নির্বাচনটি।এবং সেটাই হতো সঠিক অথবা বেঠিক সমাধান।শতভাগ নিস্কলংকের নির্বাচন যে হবেনা সেটা প্রথম থেকেই বোধগম্য ছিলো।খুব বড় কিছু চাওয়া আমাদের ছিলোনা এই নির্বাচনে।আমার মত কিছু মানুষের চাওয়া ছিলো এই নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির চিরতরে বিদায়।অর্থাত ইংরাজি শব্দে এলিমিনেট করে দেওয়া।আর কখনই যেনো প্রতিস্থাপন হতে না পরে সেই ব্যাবস্থা।কিন্তু দুঃখের সাথে লক্ষ করলাম সেই সুযোগটি অনেকটা ইচ্ছে করেই জলান্জলী দেওয়া হলো।এই নির্বাচনটি হতেই পারতো অনেক সমস্যার প্রকৃত সমাধান।যেমন জঙ্গীদের ও দুর্ণিতীবাজদের আর কোন দিনই ফিরে না আসার সংকেত।আদর্শহীন রাজনিতীবিদদের চিরতরে কবর দিয়ে দেওয়া।অনেক সহজ কাজ ছিলো সেগুলো বাস্তবায়নে এই নির্বাচনকে কাজে লাগানো।আরো পরিস্কার করা যেতো ভবিষ্যত নেতৃত্ব কারা দিবে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে।কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে তার কোন কিছুই প্রতিয়মান করা গেলোনা আরো একটি অস্বচ্ছ নির্বাচন করার মাধ্যমে।অসহায় আমি ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়াটুকুই শুধু জানাতে পারছি এই ব্লগ ও সোস্যাল মাধ্যমটুকু ব্যাবহার করে।

পুরো ভোট চলাকালীন সময়টা আমি খুব নিবিরভাবে পর্যবেক্ষন করছিলাম।২৭টি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রায় অধিকাংশ মিডিয়ায়ই দৃষ্টি ছিলো আমার।সাথে সাথে প্রত্যক্ষ করছিলাম নিজের ও আশে পাশের অনেক নির্বাচনি এলাকার চলমান ঘটণা ও পরিবেশ।৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের দুপুর পর্যন্ত চিত্রটা ছিলো খুবই স্বচ্ছ।অর্থাত ২/১টি বিচ্ছিন্ন ঘটণা ছাড়া ।কিন্তু এরপরেই কি করে ,কেমন করে ,কেনইবা ফ্যাকাসে হতে থাকলো নির্বাচনি প্রক্রিয়া তা আমার বোধগম্য হচ্ছেনা এখন অবধি।এই আত্মঘাতি কাজগুলো কি করে কারা করলো সেটাই অনুধাবন করতে পারছিনা।অর্থাত এখানে একটি গ্রে এরিয়া সৃস্টি করে দেওয়া হলো নির্বাচনটি নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করার।প্রশ্নগুলোর উত্তর কোথায় আছে জানিনা।তাই প্রশ্নগুলো কাকে করবো সেটাও বুঝতে পারছিনা।অথচ নির্বাচন বিষয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতো যথাযথ কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশন।একমাত্র নির্বাচন কমিশন।অথচ এখন আমাকে অন্ধকার হাতরে খুজতে হচ্ছে উত্তরগুলো ।

একটি নির্বাচনে শতভাগ ভোট প্রয়োগের ইতিহাস পৃথিবিতেই নেই।এটা কখনই সম্ভব নয়।একমাত্র হবুচন্দ্রের গবু রাজার দেশেই সম্ভব।যা হয়েছিলো আমাদের দেশেই উর্দিপরা এক জোকারের হ্যা/না সেই বিখ্যাত নির্বাচনে।তাহলে কি সেই নির্বাচনের প্রতাত্মারা আবার ফিরে এসেছে ! প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে ৮০% ভোটের অর্থ হইতেছে শতভাগ ভোট প্রয়োগ।আসুন একটু অংকটা করে দেখি রাফলি।বাংলাদেশের এক কোটিরও বেশি ভোটার রয়েছেন প্রবাসী।অর্থাত যাদের ন্যুনতম সম্ভাবনা নেই ভোট প্রয়োগের একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ ছাড়া।যেমন অনেকে শুধু ভোট উপলক্ষেই ছুটে যান দেশে এবং কেউ কেউ যদি তখন দেশে উপস্থিত থাকেন কোন কারনে বা অকারনে।এবং এই সংখ্যাটা ১০% পার্সেন্টেরও অধিক।বাকি দশ পার্সেন্টের মধ্যে অনেকেই কাজের কল্যাণে অনুপস্থিত নিজস্ব ভোট এলাকা থেকে।আরো কিছু সংখ্যক মানুষ জড়িত থাকে এই বিশাল কর্মযজ্ঞে ,নিশ্চই তারাও বঞ্চিত হন ভোট প্রয়োগে।আর কিছু মানুষ জিব-মৃত থাকে তারাও নিশ্চই ভোট প্রয়োগে সমর্থ নয়।যেহেতু ভোট স্বশরিরে উপস্থিত থেকেই প্রদান করার রীতি।আমাদের দেশে নিশ্চই পোস্টাল ভোটের প্রচলন নেই এখন পর্যন্ত।এর অর্থ দাড়াইতেছে ভোট যজ্ঞের শুরুটাই হয় এই ২০% ভোটারকে বাদ রেখে।এটা হলো প্রথম ব্যাত্যয় আমার দৃষ্টিতে।
এবার আসুন প্রদত্ত ভোটের ব্যাবধান নিয়ে একটু বিশ্লেষন করি।কোন কোন প্রার্থী ব্যাতিক্রম ভোট পেতেই পারে ।কিন্তু সব যায়গায় যখন একই সমীকরন হবে তখন সন্দেহের অবকাশ থেকেই যায়।আমাদের দেশে এমন নেতা খুব কমই আছে যারা প্রদত্ত ভোটের নব্বই থেকে আটানব্বই ভাগ ভোট পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।কাউকে অসন্মান করার বিন্দুমাত্র অভিলাষ নিয়ে এই কথা বলছিনা।এরকম ক্যরিশমাটিক লিডাররাই হয় জাতিয় নেতা।সেই পর্যায়ের নেতা কি বাংলাদেশে বিদ্যমান আছে ?আমার দৃষ্টিতে শেখ হাসিনা ব্যাতিত ১জনও নেই। এমনকি শেখ হাসিনার পরে সেকেন্ড চয়েজ ও নেই।ব্যাক্তিগতভাবে আমাদের দেশে খুব বেশি মানুষের ভোট নেই।২/১টি ব্যতিক্রম বাদ দিলে।সেটার প্রতিফলন দেখা গেলো মাত্র ৩জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বেলায়।তারা প্রকৃত অর্থেই এলাকার কৃতি সন্তান বিধায় নির্বাচিত হয়েছেন।ব্যাক্তিগত না থাকলেও দলের কিছু কোর ভোট আছে প্রত্যেক এলাকাতেই।যেহেতু সংগঠণ আছে ।তার কাঠামো ঘিরে কিছু মানুষতো নিশ্চই আছে।সেই হিসেবে ডাইহার্ড কর্মিবাহিনির ভোট কখনই বিপক্ষ দল পাবেনা।এটাই স্বাভাবিক বলে বিবেচিত।তাহলে সেটা মাথায় রেখে আমার প্রশ্ন সর্বনিম্ন ধরলেও যদি মনে করি বিএনপি/জামাত মিলে তাদের ১০% ভোট একেবারে কোন অবস্থাতেই বিপরিত মেরুতে থাকা রাজনৈতিক নেতৃত্ব কি আশা করতে পারে? আমার হিসেব বলে কখনই নয়।প্রথমেই ১০% নাকচ হয়ে যায়।তাহলে প্রদত্ত ভোটের ৯৫/৯৬/৯৮ ভাগ ভোট কি করে পায় প্রায় অধিকাংশ প্রার্থী ? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুজে পাইনা যখন তখন খুব অসহায় মনে হয় একজন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাধারণ নাগরিক হিসেবে।

বি,এন,পি/জামাত ২০ দলিয় জোট এবং ঐক্য ফ্রন্টের লেজেগোবরে অবস্থার জন্য এমনিতেই শতভাগ ভরাডুবি নিশ্চিত ছিলো।সবশেষে অতি নাটকিয়তার জন্ম দিয়ে যুদ্ধাপরাধী দলের সদস্য ।সরাসরি যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্তদের সন্তান সন্ততিদের নমিনেশন দিয়ে তাদের মহা -পরাজয় নিশ্চিত করেছিলো পুর্বাহ্নেই।এর উপরে ছিলো একজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নিমিনেশন বানিজ্য।সঠিক মুল্যায়ন না করে মনোনয়ন দান ।তারাতো তাদের পরাজিত মনোভাব নিয়েই নির্বাচনে এসেছিলো।তাদের উদ্দেশ্যই ছিলনা নির্বাচনে লড়াই করে জয়ী হওয়ার ।তাদের প্রচেষ্টাই ছিলো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার।এবং আবার সেই মৃত ইস্যুকে জীবিত করার ব্যার্থ প্রচেষ্টা।এবং সেটাকে সহায়তা করার লক্ষেই মনে হয় শতভাগ ভোট কাস্টিং ।যা গৌরবের সাথে অর্জন করা যায় তার জন্য কেনো এই কুটকৌশল বা হীনপন্থা?

আপনাদের কারো কাছে যদি সঠিক উত্তর জানা থাকে আলোচনায় স্বাগতম।ধন্যবাদ,কষ্ট করে ও ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১১

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪২

রাফা বলেছেন: উত্তরগুলো জানা খুব জরুরি ।কারন এটাই শেষ নির্বাচন নয়।দলের উপকার করতে গিয়ে নীতিহিনতা কাম্য নয়।আমরা থাকবোনা চিরকাল ।কিন্তু দেশ ও প্রজন্মকে আমরা কি শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি তা থাকবে অনন্তকাল।

ধন্যবাদ,প.হোসাইন।

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১২

কলাবাগান১ বলেছেন: অতি উৎসাহীরাই বেকুব ধরনের হয়

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১২

রাফা বলেছেন: এটাকে বেকুবি ভাববার মত বেকুবি যেনো না করে দল হিসেবে আওয়ামি লীগ।নিতীহিনতার রজনিতী কখনই কাম্য নয়।এটা যদি আমার বিপরীত দিকের কেউ করতো তাহলে যেমন অপরা.। আমার পক্ষের বেলায়ও সম-পরিমান অপরাধ বলেই মনে করছি আমি।

ধন্যবাদ,কলাবাগান১ ।

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩১

বিজন রয় বলেছেন: বাংলাদেশ আবার হেরে গেল!!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৮

রাফা বলেছেন: আমি ,আপনি , আমরা সবাই মিলেই বাংলাদেশ। আমাদের জিজ্ঞাসা প্রমাণ করে আমরা হারবোনা। আমরা আমাদের বিবেক দিয়ে ওদের কাছে জবাব চাইতেই থাকবো।যতদিন না ওদেরকে পরাজিত করে ছাড়বো।আর সেই লক্ষে আমরা হাল ছারবোনা বাংলাদেশকে জয়ী না করে।

ধন্যবাদ,বি.রয়।

৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনাকে কিছু বলার নাই কারণ........ কারণ অনেক কিছু। আমি একটি পোস্ট করেছিলাম পারলে আমার প্রশ্নের জবাব টা দেন।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৩

রাফা বলেছেন: আপনি ভোট দিতে পারেন নাই এইতো ? আমার ভোট কেউ আটকাতে পারে নাই কখনই।

৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক উত্তর কিছুটা জানা আছে।
কিন্তু কিছুই বলতে পারবো না। বললে চাকরি থাকবে না।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪

রাফা বলেছেন: কানে কানে বলেন..যদি না পারেন তাহলে ইমেইল করেন আমাকে।দেখি কতটুকু জানেন আপনি ।

ধন্যবাদ,রা.নুর।

৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: পরিকল্পনা ঠিকি ছিলো। বিশ্বাস করবেন কি না জানিনা, আমাদের এলাকার একটা কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার'রা নির্লজ্জের মতো জাল ভোট মারছিলেন।
বড় ধরণের হাঙ্গামা হয়নি, তবে ১২টা বাজার আগেই পাব্লিক বলাবলি করছিল- স্কুলের স্যার জালভোট দিচ্ছেন; নৌকা জিতবে। এটাই সুক্ষ কারচুপি।
ফলাফল, নৌকা ১১০০। ধান ৮০০। ভোট কাস্ট হয়েছে ৮০%।
ভোটকেন্দ্র দখল না করলে সব কেন্দ্রে এমন রেজাল্ট আসতো , নির্বাচনও গ্রহণযোগ্যতা পেতো।

কিন্তু, দুঃখজনক এমন কিছু হয়নি। সন্ত্রাস নেতাকর্মীরা রিস্ক নিতে চাননি। তারা জয় নিশ্চিত করতে গিয়ে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৩৯

রাফা বলেছেন: ফলাফল এমনি হইতো।সেইটা নিয়ে আমার কোন সংশয় ছিলোনা ।কিন্তু বাড়াবারিটার জন্য নৈতিক সমর্থন করতে পারছিনা।

ধন্যবাদ,জু.বি.রহমান।

৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:০৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: হয়তবা শতভাগ ভোট পড়ার ইতিহাসও বাংলাদেশের নির্বাচনে পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এই নির্বাচনে সেটা সম্ভব নয় কারন বহু মানুষ ভোট দেয় নি। ভোটার নম্বরই খুজে পাওয়া যায় নি। আর বাকী অনিয়ম তো রয়েছেই। ইসি কোন রকমে দায়সারা ভাবে পার হতে চেয়েছে। কোনভাবেই একটি মানসম্পন্ন নির্বাচন করার কোন ইচ্ছে তাদের ছিল না।

মন খারাপ করবেন না। দলীয় সরকারের অধীনে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন হবার কোন রেকর্ড বাংলাদেশে নেই। বিএনপি ২০০৭ এর ২২শে জানুয়ারীর নির্বাচন করলে এরকমই রেজাল্ট হত আওয়ামী লীগের। তখন হয়তবা বিবেকবান বিএনপি সমর্থকদের মন খারাপ হয়ে যেত।

হ্যা। সলিমুল্লাহ খানের সাথে আমি এ বিষয়ে একমত যে নির্বাচনী ব্যবস্থাতে ত্রুটি রয়েছে। বিশেষত ২০০১ এ আওয়ামী লীগ সম্ভবত ৪০ ভাগ ভোট পায়, অথচ আসন মাত্র ছিল ৬০ টি। ৫০০ ভোট কিংবা ১০০০ ভোটে অনেক আওয়ামী প্রার্থীরা হেরে যায়। অথচ নির্বাচনে নানা কারনে ভোট বাতিল হয় এর চেয়ে বেশী। সুতরাং ভোটের ব্যবধানে একটি মিনিমাম মার্জিন রক্ষা করা দরকার। এছাড়া শুধু আসন সংখ্যার ভিত্তিতে বিচার না করে প্রাপ্ত ভোটের হিসাবটিও কোনভাবে আমলে আনা উচিত।

ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। অনেক সময় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেছি। সেকারনে যদি আপনি মনক্ষুন্ন হয়ে থাকেন সেজন্যে দুঃখিত।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৪৭

রাফা বলেছেন: শতভাগ ভোট পড়ার ঘটণা কোন ইতিহাস হতে পারেনা।ঐটা হবে নৈতিকতার অধঃপতন মুল্যবোধের অবক্ষয় ।সব সময় খারাপটার উদাহারণ দিয়ে জাস্টিফাই করা সমর্থনযোগ্য নয় কোন ঘটণাই।

সততা আর অসততার মাঝামাঝি কোন পথ নেই।ন্যায় ,অন্যায়ের মধ্যে একটাকেই বেছে নিতে হবে এখানে নিরপেক্ষতার কোন যায়গা নেই।বিরোধটা এখানেই,এখানে কোন আপোষ করার সুযোগ নেই।

বি,এন,পি/জামাতের সমর্থক আর আওয়ামি লীগের সমর্থকদের মূল পার্থক্যটা হইতেছে।আপনারা দল ও সরকারের বিরোধীতা করার নামে প্রকারান্তে দেশের বিরোধীতা করেন।যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সহায়তাকারি শক্তি আমার কাছে সমতুল্য।এবং এরা প্রকৃতপক্ষে দেশবিরোধী রাজনিতীর ধারক ও বাহক।কাজেই এই নিতীতে বিশ্বাসী কারো প্রতিই সহমর্মিতা নেই।

২০১৮_এর নির্বাচনে যদি সবাই সঠিকভাবে নির্বাচন করতো তাহলে এমনকি ২ সিটের বেশি নাও পেতে পারতো বি,এন,পি।অনিয়ম করে ৫ সিট পাইয়ে দিয়েছে আওয়ামি লীগই।কারন যখন নিজে কেউ অন্যায় করবে ।সে অন্যকেও সেটা করার সুযোগ করে দেয়।এটাই বাস্তবতা।প্রতিটি দল আলাদা নির্বাচন করলে আওয়ামি লীগকে হারানোর মত একক শক্তি কোন দলের নেই।এটা প্রাপ্ত ভোটের রেসিও দেখলেই বুঝা যায়।এইজন্য রকেট সাইন্স জানার দরকার নেই।

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৮

নীলপরি বলেছেন: লেখা ও প্রতিউত্তরগুলো ভালো লাগলো ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪

রাফা বলেছেন: আপনার দু-একটি ভাবনা বললে আমারো ভালো লাগতো।কবিতা যারা লিখে তাদের ভাবনা'তো অপরিসিম সেখানে কিছু জমা নেই আমাদের নির্বাচন নিয়ে ?

ধন্যবাদ,নীলপরিক. পড়ার জন্য।

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: রাফা ভাই,

তাহলে কি আপনি বলতে চাচ্ছেন, ড. কামাল চাইছিলেন নির্বাচনকে অসুস্থ প্রমাণ করা। কিন্তু এই অসুস্থতায় তাদের লাভ কী? তারা তো আগে থেকেই জানে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সো অসুস্থতা তাদের কী লাভ দিত, বা দিল!

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:০৬

রাফা বলেছেন: ড.কামাল যা চায় ,তাই কি ঘটছে ঐক্যফ্রন্টে ? এর নিয়ন্ত্রন বহুধাবিভক্ত ।যারা নিজেরাই ইনডিসিপ্লিন তারা কি লড়াই করার শক্তি রাখে ? জয়‘তো আরও বহু দুরের প্রত্যাশা।ড.কামাল আঃ লীগ থেকে বেরিয়ে আসলেন রুগ্ন রাজনিতীর দোহাই দিয়ে।অথচ উদ্ধার করতে চাইছেন আরো নোংরা রাজনিতীকে। এখন আপনিই একটু ভেবে বলুন কি আশা করেন আপনি এই নেতৃত্বের কাছে?

ধন্যবাদ,সৈ.তা.ইসলাম।

১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯

নজসু বলেছেন:



শুভ সকাল প্রিয় রাফা ভাই।
রাজনৈতিক পোষ্টের মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্যগুলো আমি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পাঠ করি।
বিভিন্নজনের মতামত বিশ্লেষণ জানতে অনুভব করতে ভালো লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.