নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।

রাফা

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।গালি সহ্য করার মানসিকতা শুণ্যের কোঠায়।রাজাকার,আলবদর ,আল সামস মোট কথা বাংলাদেশের বিরোধী যে কোন শক্তিকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করি। তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি নব্য ছাগিয়তাবাদিদের। যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় যুদ্ধাপরাধীদের ।

রাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

"অহনা" কেনো তুমি বেঁচে আছ !!

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১০



অহনা""কেনো তুমি ঐ যন্ত্রদানব ট্রাকের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করলেনা !তোমার কি অধিকার আছে আমাদেরকে একটি প্রতিবাদ হতে বঞ্চিত করার।আমরাতো সারিবদ্ধ হয়ে ব্যানার, ফেস্টুন,প্ল্যাকার্ড হাতে দাড়িয়ে বিভিন্ন পোজে রং-বেরংয়ের ছবি পোষ্ট করতে পারতাম।তুমি কেনো আমাদের সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে ! সেই কারনে তোমাকে কাঠগড়ায় কেনো দাড় করাবোনা ? এর জবাব চাই।সামাজিক মাধ্যমে ঝড় বই্য়ে দিতে কি পারতামনা আমরা।

আশ্চর্যজনকভাবে এরকম একটা জাতিতেই পরিনত হতে চলেছি আমরা।সবকিছুতে স্বার্থ খুজে বেড়াই।দুই/তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যাই আমরা।আমাদের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করার দাবিগুলো নিয়েও একতাবদ্ধ হতে পারিনা ।এই একবিংশ শতাব্দিতে এসেও ন্যুনতম সামাজিক নিরাপত্তার জন্য কেনো আমাদেরকে লড়াই করতে হবে ! কেনো আইন তার নিজস্ব গতিতে পরিচালিত হবেনা ? আমরা জিম্মি হয়ে যাইতেছি ক্ষুদ্র কিছু গোষ্ঠির কাছে। সবকিছুতে আমরা পক্ষ-বিপক্ষ অথবা দলীয় পরিচয় খুজে বেড়াই। যদি সে আমার পক্ষের বা দলের না হয় তাহলে তার পক্ষে নিশ্চুপ হয়ে যাই । মনে করি এখানে আমার কোন দায়বদ্দতা নেই।কারন সে আমার সম্প্রদায়ের না।হ্যা আমরা এভাবেই বিভক্ত আজ।

সমাজের নানা স্তরে এতটাই অবক্ষয় ঘটেছে যে কখন, কোথায়, কেনো প্রতিবাদ জানানো প্রয়োজন সেটাই ভূলতে বসেছি আজ।"অহনা" ১জন শিল্পী বা সাংস্কৃতিক কর্মি।হয়তো সে কোন দল বা সংগঠণের সক্রিয় কর্মি নয় বলেই সবাই এতটা নিশ্চুপ।তাই বলে কি সে তার নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে ? শুধুই কি হতবাকের পর হতবাক হয়েই থাকবো আমরা ।
পুরো ডিসেম্বর মাস জুড়ে চলচ্চিত্র ,নাট্য ও সকল সাংস্খৃতিক কর্মিরা বিভিন্ন দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারকার্যে অংশ গ্রহণ করলেন।এমনকি কেউ কেউ সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়ি অথবা পরাজিত হলেন তারা কোথায় ? তাদের কি কোন দায়বদ্ধতা নেই ।তাদের সহকর্মির প্রতি !আমরা কি এতটাই স্বার্থপর হয়ে যচ্ছি ।যেখানে স্বার্থ নেই সেখানে এতটাই নির্বাক হয়ে কি প্রমাণ করছি আমরা ।এই যদি হয় বাস্তবতা তাহলে আগামির বাংলাদেশটা শুধুই অন্ধকারাচ্ছন্ন বলেই মনে করছি আমি।এত বড় একটি দূর্ঘটনার পরেও সাংস্কৃতিক কর্মি বা তাদের সংগঠনের নিরবতায় আমি হতবাক না হয়ে পারছিনা।আমি জানি আমরা এখনও এমন স্তরে পৌছে যাইনি যেখানে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।যত বাধা বিপত্তিই আসুকনা কেনো।কিন্তু সবকিছুতেই কেনো আমাদের শুধুমাত্র একজনের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে হবে।সকল কিছুর সমাধানের জন্য যদি ১জনের নির্দেশের অপেক্ষায় থাকতে হয় তাহলে আর সকল মন্ত্রনালয় বন্ধ করে দেওয়া হোক।শুধু শুধু ট্যাক্সের টাকায় কি দরকার অকর্মণ্য মন্ত্রি বা বাহিনি পোষাড়।গালভরা বুলি কপচানোই কি তাদের দায়িত্ব ?

তাহলে কি বিচার বা যে কোন অন্যায়ের প্রতিকার পেতে হলে মামা,চাচা এই শ্রেনীর কেউ থাকতে হবে প্রশাসনে ? পক্ষান্তরে কি আমরা খুনী,চাটুকার ও দলান্ধদের পক্ষেই দাড়াচ্ছিনা।অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে যারা তারা বার বার অপরাধ করতেই থাকবে।আর আমরা শুধু সেই কাকের মত কাঁ কাঁ করেই যাবো প্রধানমন্ত্রী ,প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বাঁচান। শ্রমিক নামের খুনিদের পক্ষে দাড়িয়ে অচিরেই হয়তো কোন মন্ত্রীর সফাই শুনতে হবে আমাদের।কিন্তু এভাবে চলতে পারেনা,চলবেনা। জনতার আদালত শুরু হলে কিন্তু সয়লাব হয়ে যাবে ।কাজেই সাধূ সাবধান ,সময় কিন্তু বয়ে চলেছে ...।

ধন্যবাদ।This is fear...

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৮

রাফা বলেছেন: এখনও কেনো গ্রেফতার হয়নি হেল্পার এবং ট্রাক ড্রাইভার ?

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭

বাংলার মেলা বলেছেন: আমি অহনার সাহসিকতার অকুন্ঠ প্রশংসা করছি। আমরা পুরুষ হয়ে যা করতে সাহস পাইনা, অহনা একটা মেয়ে হয়ে আমাদের লজ্জা দিয়েছে। কিভাবে রাতের বেলা এতবড় একটা ট্রাকের ড্রাইভারকে শাসিয়েছে, দেখে বিস্মিত হয়েছি। তবে, বরিশালের মেয়েরা নাকি শুনেছি এরকমই হয়। অহনার অরিজিন কোথায় জানতে পারলে ভাল হত।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৮

রাফা বলেছেন: একেবারে সত্যি কথা ।দিন দিন মানুষ প্রতিবাদ করতে ভুলে যাচ্ছে।সবাই খুব বেশি স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছি আমরা।চোখের সামনে বিশাল অন্যায় হতে দেখেও পাশ কাটিয়ে চলে যাই।বাংলাদেশের পুলিশের উপর কোন কালেই আমার আস্থা ছিলনা ।এখনতো একেবারে শুণ্যের কোঠায়।তারা এতটাই দূর্ণিতীপরায়ন চোখের সামনে অপরাধ হওয়ার সুযোগ করে দেয়।যাতে তারা তা থেকে ফায়দা লুটতে পারে।মুলত সকল কিছুর মুল দুর্ণিতী।
অহনাকে স্যালুট তার প্রতিবাদি ভুমিকার জন্য।জানিনা কবে এই অর্ধমৃত জাতি আবার জেগে উঠবে।ধন্যবাদ,বাং.মেলা।

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় রাফা,




এখানে একজন ট্রাক চালকের বেপরোয়া স্বভাবের কারণে অহনা এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যবহার পেয়েছে।
আমরা জানি, ট্রাক চালকরা অনেকটাই উন্মাদের সম। আর এদের এই বেপরোয়া অবস্থা আরো শক্তিশালী হচ্ছে মালিক সমিতির অসতর্কতার কারণে। আর এই মালিক সমিতির প্রধানরাই কিন্তু সরকার দলীয় লোক। সুতরাং, অহনার সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনারনার সমাধান একমাত্র সরকার দলিয় মালিক সমিতির নেতারা। (কিছুদিন পূর্বের ডিজেল-মভিল আন্দোলন যার প্রমাণ)

আমি খুব অবাক হলাম, আপনি একজন সচেতন ব্লগার হয়েও এক ট্রাক চালকের কারণে পুরোশ্রমিকদের টেনে এনেছেন!
বর্তমানে শ্রমিকরা তাদের অধিকারের জন্য রাস্তায় আন্দোলন করছে! আর আপনার পোস্ট ফালতুভাবে শ্রমিকদের বিপক্ষে কথা বলছে! অদ্ভুত না?




১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০২

রাফা বলেছেন: মোটামোটি এটাই বাংলাদেশের বাস ও ট্রাকচালকদের চরিত্র। আমি সকল শ্রমিকের বিপক্ষে কেনো বলবো! বলেছি শ্রমিক নামধারি খুনীদের কথা।আপনি কি দেখেন নাই সজ্ঞানে ট্রাক ও বাসের চাপায় পিস্ট হতে ।এরপরে বিচারে তাদের সাস্তী হলে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে পুরো দেশ অচল করে দিতে।এবং খুনের সাস্তী কমানোর আন্দোলন ? কিছু হলেই ধর্মঘটের নামে সরকারকে চ্যালেন্জ করে পুরো দেশকে অচল করে দেওয়া।

আমার লেখায় যদি মনে হয়ে থাকে আমি সকল শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কথা বলছি সেইজন্য আমি দুঃখিত।আমি একের অপরাধে অন্যকে সাস্তী দেওয়ার পক্ষে নই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রত্যেকেরই অধিকার আছে আন্দোলন করার ।কিন্তু অন্যদের জিন্মি করে অবশ্যই নয়।

ধন্যবাদ,সৈ.তা.ইসলাম।আপনার সচেতনতার জন্য।

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪

নজসু বলেছেন:


একটু সতর্কতা, একটু মানবিকতা বেঁচে থাকলে অনেক প্রাণ বেঁচে যেতো।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৪

রাফা বলেছেন: সমস্ত পৃথিবীজুড়ে পথচারিরা অগ্রাধিকার পায় রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে।শুধুমাত্র বাংলাদেশে এর ব্যাতিক্রম পরিলক্ষিত হয়।অথচ পথচারিদের জন্য সঠিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করলেই অর্ধেকে নেমে আসতো সড়ক দূর্ঘটণা।
দোষটা আমাদেরই আমরা ড্রাইভিং পেশার জন্য যাদের নিয়োজিত করি বা আছে তাদের সে যোগ্যতা বা সঠিক ট্রেনিংই নেই ।
বাংলাদেশে কোন কিছুই হয়না ।যতক্ষন পর্যন্ত আমরা বাধ্য না করতে পারবো।সচেতন মানুষের অপেক্ষায় আছে এখনও বাংলাদেশ।

ধন্যবাদ,সুজন।

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:


অবশ্যই ট্রাকচালকের উচিত শাস্তি দেয়া প্রয়োজন।

কিন্তু, এই ট্রাক চালক বা অন্য চালকরা কেন দিনদিন এতো দুঃসাহসী হয়ে উঠছে সেটা কি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন নেই?

মূল সমস্যা যেখানে, যে জায়গা থেকে মূল সমস্যার জন্ম এবং লালনপালন সেখানে সমস্যা রেখে বাহিরের আগাছা পরিস্কার করলে তো আবারো আগাছা জন্ম নিবে!



আপনি খুনি বলে একজন বা ড্রাইবার গোষ্ঠিকে বুঝাতে পারেন, আজাইরা পুরো শ্রমিককুলকে কেন টানছেন!

দয়া করে, লেখাকে আপনার মত করে আরো সুন্দর করুন!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৪৬

রাফা বলেছেন: আশা করি আমার ব্যাখ্যা আপনার ক্ষোভকে প্রশমিত করবে।আমাকে নিয়ে আপনার ধারনার জন্য ,ধন্যবাদ।সৈ.তা.ইসলাম।

৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: এক দুষ্ট মহিলা বলল- অহনা নাকি ড্রিংক করা অবস্থায় ছিল।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৩

রাফা বলেছেন: লিংক দিয়েছি ,একটু দেখে যাচাই করুন।আমার অহনার আচরন দেখে মনে হয়নি সে ড্রাংক ছিলো।দুষ্ট মহিলা তার কাজ সঠিক ভাবেই পালন করেছে।সুযোগ থাকার পর কেনো নিজেরাই কেনো যাচাই করিনা!

ধন্যবাদ,রা.নুর।

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আমরা এক হতে পারি না । কখনো ই পারি না ।

সব সময় শরীরের বিশেষ অঙ্গের মত দু ভাগে থাকি ।

আর যারা নিউট্রাল তারা নিজেদের কথা ভাবি । এটাই দেশের পরিস্থিতি ।

এইটা আমার দেশ না ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩০

রাফা বলেছেন: সময় এবং দেশের প্রয়োজনে বহুবার একতাবদ্ধ হয়েছে বাঙালী।
ক্ষুদ্র স্বার্থ পৃথক করে রেখেছে আংশিক বর্তমান প্রজন্ম‘কে-
এটাই আমাদের দেশ ।বিভেদ ঘুচে গেলে আবার আমরা একসাথে পথ হাটতে পারবো ইনশা-আল্লাহ্ ।

ধন্যবাদ,অ.দ্যা.গ্রেট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.