![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।গালি সহ্য করার মানসিকতা শুণ্যের কোঠায়।রাজাকার,আলবদর ,আল সামস মোট কথা বাংলাদেশের বিরোধী যে কোন শক্তিকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করি। তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি নব্য ছাগিয়তাবাদিদের। যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় যুদ্ধাপরাধীদের ।
উপরের এই দৃশ্য আর কতকাল দেখতে হবে আমাদের ,কেউ কি বলতে পারেন ? নুসরাত'কে মরে গিয়ে প্রমাণ করতে হলো তার অভিযোগের কথা কতটা নির্মম সত্য।এভাবেই যৌন-হয়রানি ও ধর্ষিতারা হত্যার শিকার হয়ে প্রমাণ দিয়ে গেছে আমাদের।তবুও কি টনক নড়ছে আমাদের ? কেউ কি বলতে পারবেন কতগুলো ঘটনার ফলোআপ আমরা পেয়েছি।শতকরা কতজনই বা সঠিক বিচার পেলো ! আদৌ কি কোন পরিবর্তন লক্ষনীয়।বরং বিচার চেয়ে এবং প্রতিবাদি হয়ে অনেকের জিবন চলে গেছে।আবার কেউ হয়েছে গ্রাম বা এলাকা ছাড়া।কেউবা উল্টো আইনের হাতেই হয়েছে আইনের অপ-প্রয়োগের শিকার।এরকম কি চলবে অনন্তকাল ?
নুসরাত জাহান রাফি- যে কুড়ি ফুল হয়ে ফোঁটার আগেই ঝরে গেলো তার হত্যাকারিদের বিচারের পুর্বে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেমের বিচার চাই।পৌর কমিশনার মাকসুদের বিচার চাই।
আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার একজন বেতনভুক্ত কর্মচারি হয়ে আইনেরপ্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই যে কর্মকর্তার তার বিচার হওয়াটা খুব বেশি জরুরি বলে মনে করছি আমি।সে শুধু তার দায়িত্বে অবহেলাই করেনি ,বরং সে তার ক্ষমতার অপব্যাবহার করেছে।এতটাই বেপরোয়া যে একজন খুনি-ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে ভিক্টিমকে হত্যায় সাহায্য করেছে।সে এই খুনের একজন সহযোগি হিসেবে বিবেচিত আইনের দৃষ্টিতে।যদি না আইনকে বে-আইনে পরিনত করা হয়।যা বাংলাদেশে অহরহ হয়ে থাকে।অর্থাত অধিকাংশ সময় আইনের সঠিক প্রয়োগ না হয়ে অপ-প্রয়োগ হয়ে থাকে।এবং এটাকেই এখন মানুষ স্বাভাবিক বলে মেনে নিচ্ছে ।অর্থের বিনিময়ে আইন এবং বিচার ক্রয় করা যায় বর্তমানে।যদি আইন তার নিজস্ব পথে পরিচালিত হইতে পারতো নিজে নিজে ।তাহলে ভিক্টিমের প্রতি সহানুভুতিশীল হইতো।তার সুরক্ষা নিশ্চিত করে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করা ছিলো ওয়ান,টু,থ্রির ব্যাপার মাত্র।এমন প্রতিটি ঘটনার পরে সাময়িক অব্যাহতি অথবা অন্য্যত্র বদলি করে দেওয়া ব্যাতিত কোন এ্যকশন দেখিনি।মাঝে মাঝে'তো পুরস্কৃত হতে দেখেছি।
২য় আরেকজন পৌর-কমিশনার জনাব মাকসুদ ।উনি ক্ষমতাশীল দলের একজন জন-প্রতিনিধি ।আদৌ কি তার জন-প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা আছে ! আমার দৃষ্টিতে জন-প্রতিনিধি'তো সেই ব্যাক্তি, সকল কিছুর পুর্বে যে জনতার কথা বলবে।তাদের পক্ষ হয়ে সমাজে নেতৃত্ব দিবে।সবার আগে সেই রুখে দাড়াবে সকল অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে।অর্থাত নিপিরিত মানুষের কন্ঠস্বর হওয়ার কথা।যে কোন দুর্যোগে তার হাতটা প্রসারিত থাকবে তা ঠেকিয়ে দেওয়ার জন্য।কোন খুনি বা ধর্ষকের পক্ষে ওকালতি করার জন্য নয়।ক্ষমতার দাপটে খুনির পক্ষে মিটিং,মিছিল যে করে সে কখনই জন-প্রতিনিধি হোতে পারেনা।কাজেই এই ধর্ষণ ও খুনের একজন সহায়তাকারি হিসেবেই গণ্য হওয়ার কথা আইনের দৃষ্টিতে। আমি এই দু'জনের বিচার চাই সবার আগে। তারপরে বিচার চাই নানাভাবে সহািয়তাকারি সকলের।যারা মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বেশধারি পিশাচের পক্ষে দাড়িয়েছে।
আইণ প্রয়োগকারি সংস্থার প্রতিনিধি ও জন-প্রতিনিধি যখন একজন ভিক্টিমের বিরুদ্ধে দাড়ায় ।তখন কতটা অসহায় হয়ে যায় সেই মানুষটা তা কি উপলব্দি করতে পারেন আপনারা ? সেখানেই অর্ধমৃতে পরিনত হয়ে যায়।অপশক্তি তখন শতগুন শক্তিশালি হয়ে সেই অসহায়ের উপর ঝাপিয়ে পড়ে।এবং তারই ফলাফল ,নীতু,মিতু,খাদিজা ও রাফির মত নিরপরাধ মানুষ।এই মিছিল দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।এবং এটা যে আরো কত বিশাল হবে তা জানিনা।এই দেশে আগুন লাগলে কিট-পতঙ্গের মত মানুষ পুড়ে মরে।এবং তার প্রতিকার চাইতে হয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।বাসের চাপায় থেতলে যেতে হয় -তার প্রতিকারও সেই প্রধানমন্ত্রী। লঞ্চডুবিতে হারিয়ে যায় মানুষ।ধর্ষিতা হয়ে জিবন দিতে হয় যাদের তাদের প্রতিকার করবেন কে !দুঃস্থ শিল্পী ,কবি ,শিক্ষক এদের চিকিৎসা বা সাহায্যের প্রয়োজন সেখানেও সেই প্রধানমন্ত্রী।আমি বলবোনা এটা খারাপ।কিন্তু তাহলে দেশের অন্য যারা আছেন তাদের কাজ কি ? বেতন নিবেন পোষ্ট হোল্ড করবেন সরকারি বেসরকারি সকল সুবিধা ভোগ করবেন ।কিন্তু নিজের কাজটুকু করেননা বা জানেননা ।এরা কারা এদের দিয়ে কি প্রয়োজন সেটা কি ভেবে দেখেছেন ? ডাক্তার জানেনা তার কাজ মানুষ হত্যা নয় মানুষকে জিবন দেওয়ার চেষ্টা করা।আইনের লোক জানেনা আইনের অপ-প্রয়োগ নয় সঠিক প্রয়োগ তার দায়িত্ব। ড্রাইভার জানেনা তার সতর্কতার উপর নির্ভর করে কত শত শত যাত্রি ও পথচারির জিবন।
জানি ,যাদের জন্য এত অনর্থ ঘটছে এই সমাজে তাদের কিছুই হবেনা। তবু লিখে যাবো । জানি কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবেনা পিশাচদের বিরুদ্ধে ,তবুও লিখবো।জানি যারা তাদের কাজে অবহেলা করেছে তারা তিরস্কৃত না হয়ে পুরস্কৃত হবে তবুও লিখবো আমি তাদের বিরুদ্ধেই।আমি লিখবো কারন একদিন জনতা জাগবেই ।তখন তারাই বাধ্য করবে অনিয়মের নিয়ম ভেঙ্গে সঠিক নিয়মে পরিচালিত করতে।কারন দেশের মালিক প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষ।তাদের কর্মচারিরা তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করেই যাবে এটা চলতে পারেনা।চলবেনা ,চলবেনা এবং চলবেনা।
আসুন আমরা একতাবদ্ধ হই।সবাই মিলে প্রতিবাদে প্রতিবাদে জাগিয়ে তুলি আমাদের ঘুমম্ত বিবেককে।জনতার শক্তির কাছে টিকে থাকতে পারে এমন পরাক্রমশালী কি কেউ আছে ? ওরা সংখ্যায় কম কিন্তু সংঘবদ্ধ । আমরা বেশি কিন্তু একতাবদ্ধ নই।সময় হয়েছে আমাদের একতাবদ্ধ হওয়ার।আগামির বাংলাদেশকে নিরাপদ করে যাবো আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য।এটাই হোক আমাদের আজকের সংকল্প।ধন্যবাদ।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:৩৯
রাফা বলেছেন: এই ধারাবাহিকতা ভাঙ্গতেই হবে আমাদের। যেখানে যেমন দরকার ,সেরকম পদক্ষেপ নিতেই হবে।সবাই মিলে আদায় করে নিতে হবে আমাদের অধিকার।প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের মালিকের মত ব্যাবহার কাম্য নয়।বুঝিয়ে দিতে হবে আমাদের টাকায় চলে তাদের সংসার।
শুধু বিচার নয় ,দ্রুততম সময়ে কঠিন থেকে কঠিনতর সাস্তী কার্যকর করতে হবে। ধর্ষনকারিকে প্রমাণ করতে হবে সে নির্দোষ ।ধর্ষিতাকে বার বার হেনস্তা করা যাবেনা ।
ধন্যবাদ,ব্ল.প্রান্ত।
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫
হাবিব বলেছেন: যতদিন বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদবে..........
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৪:৫২
রাফা বলেছেন: সেই কান্নাটা বন্ধ করতে হবে সবাইকে মিলে।একতাবদ্ধ হয়ে আওয়াজ তুলতে হবে।অনিয়মের শৃংখল ভাঙ্গতেই হবে আগামি প্রজন্মের তরে।
ধন্যবাদ,হা.স্যার।
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: এই গুলো ঘটতেই থাকবে। এটা যুগের হাওয়া।
এগুলো কোনো দিন বন্ধ হবে না। এটা শুধু আমাদের দেশে না, পৃথিবীর সব দেশেই হয়।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫২
রাফা বলেছেন: তার অর্থ আমরা আদিম যুগে ফিরে যাচ্ছি এটাই কি বলতে চাইতেছেন? জানিনা আপনি পৃথিবির কয়টা দেশ দেখেছেন। কিংবা পড়া লেখা করেই বা ক'টা দেশ সম্বন্ধে জেনেছেন।আমার দেখা কিছু দেশ আছে সেখানে অঘটন ঘটে কিন্তু বিচারটা হয় সুস্থ প্রক্রিয়ায়।ইউরোপ ,আমেরিকাতেও ম্যানিপুলেট করা হয়।কিন্তু সেটা অসাধারন কোন ঘটনা ঘটলেই কেবল। অন্যথায় মোটামুটি নিয়মতান্ত্রিকভাবেই সবকিছু চলছে।
দুর্বল চিত্তের মানুষরা এমনটাই ভাবে।দেশটা রসাতলে গেলো কিংবা কিছুই হবেনা দেশটার।আপনার চিন্তা চেতনা তেমনি মনে হোচ্ছে আমার।
ধন্যবাদ,রা.নুর।
৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪১
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপায় নেই আমাদের।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০৯
রাফা বলেছেন: আপনার আমলের উপরই ফলাফল নির্ভর করে।হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে আল্লাহ আপনার জন্য কিছু করে দেবে এই ধারনা নিয়ে বসে থাকে অলস মানুষ।ফলাফল হবে শুণ্য।সবাইকে মিলে কাজ করতে হবে । শুভ কিছু পেতে হলে শুভ কাজ করতে হয়।
ধন্যবাদ,মা.রহমান।
৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩
অনুভব সাহা বলেছেন:
পোস্ট ভালো হয়েছে। আপনি যে সমস্যার ভেতরটা নিয়ে ধরতে পেরেছেন তার জন্য ধন্যবাদ
নুসরাতকে নিয়ে সবাই রাজনৈতিক ফায়দা নেবার চেষ্টা করছে। বিএনপি বলছে, নুসরাত হত্যায় জড়িতরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী!
কমিউনিস্টরা বলছে, সরকার-রাষ্ট্র নিরব কেন?(ব্যানারের ৩য় লাইনে)
অথচ নুসরাতকে নিয়ে সরকার যথেষ্ট অ্যাকটিভ। এই মামলা যতদ্রুত এগিয়েছে, অন্য কোন মামলার ক্ষেত্রে এমনটা দেখিনি..মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহানকে কীভাবে মারা হয়েছিল - বাংলাদেশ পুলিশের ভাষ্য
সময় পেলে লেখাটা পড়বেন...
ফেনীর পুলিশ-প্রশাসন নিয়ে যা বললেন সাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২৪
রাফা বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মূল কাজ হয়ে দাড়িয়েছে সরকারি দলের ছিদ্রান্বেশন করা।এটা বর্তমান সরকারি দলের বেলায়ও প্রযোজ্য। রাজনিতীটা শুধু নেই তাদের আর সব কিছুতেই পারদর্শী..
ম্যাজিস্ট্যাট মাসুদ রানা যা বলেছে তার প্রতিটি কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্য।আমি খুব কাছ থেকেই দেখেছি অপরাধীদের সাথে আইনের মানুষের এবং ক্ষমতাবানদের সখ্যতা।বাংলাদেশে সবাচাইতে বেশি আইন অমান্য করে আইন প্রয়োগকারি সংস্থা।মুলত অপরাধী সৃষ্টিতে তাদের ভুমিকা অপরিসিম।প্রতিটি অন্যায় কাজের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ হোতে ভাগ পায় তারা।এবং এই কারনেই অপরাধী ও অপরাধকে বাচিয়ে রাখে ।এবং নতুন নতুন অপরাধী সৃষ্টি করেই চলেছে ।যদি তা না হতো তাহলে বাংলাদেশে যত অপরাধী বিনা বিচারে মারা হয়েছে ।এরপরে আর অপরাধী থাকারই কথা না।কিন্তু একটু চোখ কান খোলা রেখে পর্যবেক্ষন করুন দেখবেন একজন'কে হত্যা করে সেখানে আরো তিনজন সৃষ্টি করেছে তারা তাদের লাভের অংক ৩ গুন করার জন্য।
ধন্যবাদ,অ.সাহা।
৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: নুসরাত জাহান রাফি- যে কুড়ি ফুল
হয়ে ফোঁটার আগেই ঝরে গেলো তার
হত্যাকারিদের বিচারের পুর্বে
সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মোয়াজ্জেমের বিচার চাই।
পৌর কমিশনার মাকসুদের বিচার চাই।
আইনের প্রয়োগ না থাকলে অপরাধ বাড়বে বৈ কমবে না। বাংলাদেশ এখনো অনেক উন্নতির এনন পর্যায়ে পৌছায়নি যে অপরাধীকে প্রমান সহ ইজিলি ধরা যায়। সুযোগ থাকার ব্যবহারটা অপরাধীরা করবে এটা স্বাভাবি। তারপরও তাঁদের অপরাধের মাত্রা বহুলাংশে কমান যেত যদি কয়েকটাকে ভালো মত শাস্তি দেয়া হত।
এক. অপরাধের সুযোজ আছে।
দুই. যে কয়টা অপরাধী ধরা পরে তাঁদের বিচার হয় না।
রাজন হত্যা, তনু হত্যার বিচার যদি হতো তাহলে হয়তো আমরা আজেকের নুসরাত হত্যা দেখতে পেতাম না।
তাই, আমার চাওয়া আইনের প্রয়োগ হোক। আইনের প্রয়োগ হোক এবং আইনের প্রয়োগ হোক।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২০
রাফা বলেছেন: তথাস্থ ,আইনের প্রয়োগ সবারই কাম্য।বিপরীতে হোচ্ছে আইনের অপ-প্রয়োগ।এটা আরো বড় গর্হিত অপরাধ বলেই আমি মনে করি।কারন আইনের সহায়তা'তো পাচ্ছেইনা ।সেই আইনের লোক দিয়ে উল্টো ভিক্টিমকেই এমন হেনস্থা করছে যে ভিক্টিমের জিবনই ছিনিয়ে নিচ্ছে অপরাধী এবং কতিপয় আইনের পাহারাদার।মূল সমস্যাটাএখানে গিয়েই আটকে আছে।
সব কিছুর পুর্বে আইন প্রয়োগকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুদ্ধি অভিযান পরিচালিত করতে হবে।জবাব দিহিতা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর সাস্তীর ব্যাবস্থা করতে হবে।শুধু তাহলেই ম্যাকানিজম কাজ করতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।অন্যথায় দু'একটা উদাহারনই শুধু সৃষ্টি হবে।এবং একই যায়গায় স্থির হয়ে থাকবে সবকিছু।
ধন্যবাদ,আ.আ.হোসাইন।
৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৭
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আপনার আমলের উপরই ফলাফল নির্ভর করে।হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে আল্লাহ আপনার জন্য কিছু করে দেবে এই ধারনা নিয়ে বসে থাকে অলস মানুষ।ফলাফল হবে শুণ্য।সবাইকে মিলে কাজ করতে হবে । শুভ কিছু পেতে হলে শুভ কাজ করতে হয়।
হাত গুটিয়ে বসে থাকার অর্থ আল্লাহর সৃষ্টিকে অস্বীকার করা।কারন হাত আল্লাহর একটি নেয়ামত।আজকে আমাদের উপর এতো আজাব এতো গজব এসব আমাদেরই কর্মফল।কারন আমরা আল্লাহর বিধানকে ফেলে নিজেদের বিধানকে প্রাধান্য দিয়েছি।তাই দুর্দশা আজ পদে পদে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৭
রাফা বলেছেন: আপনি অন্য আলোচনা করতে চাইছেন ।যা এখানে আমার পোষ্টের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় ।মানুষ হোচ্ছে আশরাফুল মখলুকাত।একমাত্র সৃষ্টি যে চিন্তা করতে পারে।আল্লাহই মানুষকে সেই ক্ষমতা প্রদান করেছেন যে মানুষ তার বিধান তৈরিতে সক্ষম।কাজেই মাণউষ্য রচিত বিধানে দেশ,সমাজ ও পরিবার পরিচালনাকরা অন্যায় নয়। কাজেই আপনার মতের সাথে আমি একমত হোতে পারলামনা বলে দুঃখিত।
আমি ধর্ম এবং ইসলাম নিয়ে এখানে আলোচনা করতে চাইনা।আশা করি বুঝতে পেরেছেন। বিলম্বে উত্তরের জন্য দুঃখিত।
ধন্যবাদ,মা.রহমান।
৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৫০
মুক্তা নীল বলেছেন:
সবাই মিলে প্রতিবাদে প্রতিবাদে জাগিয়ে তুলি আমাদের ঘুমম্ত বিবেককে --- আপনার এই পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
এই ধরনের অপরাধের সঠিক বিচারকার্য আমাদের দেশে হয় না। একটা মানুষকে এভাবে কোন মানুষ কি পুড়িয়ে মারতে পারে ? ওদেরকেও ঠিক এভাবেই শাস্তি দেয়া উচিৎ।
আশেপাশে কত খারাপ মানুষ আছে, অথচ নুসরাতের মতো নিষ্পাপ মেয়েটাকেই মেরে ফেলেছে। নুসরাতের অপরাধ কি? নুসরাতের যোনি আছে তাই?
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৮
রাফা বলেছেন: ধন্যবাদ,আপনার উপলব্দির জন্য।অপরাধ নুসরাতের নয়।অপরাধ আমার ,আপনার ,আমাদের সকলের।আমরা আমাদের কোমলমতি শিশুদের এই নরপিশাচদের কাছে শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করি। আমরাই যদি এদের স্বরুপ না বুঝি ,নুসরাতের মত অবুঝ কিশোরিরা কিভাবে বুঝবো।
নুসরাত জাহান রাফির অপরাধ হোচ্ছে সে এই পাপিষ্ঠদের কু-প্রস্তাবের বিরোধিতা করে প্রতিবাদ করেছে।এবং মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেও সে তার প্রতিবাদ অব্যাহত রেখে গেছে।সমাজের এই আগাছাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর প্রক্রিয়ায় উপড়ে ফেলতে হবে।
ধন্যবাদ,মু.নীল।
৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:৫৩
অনল চৌধুরী বলেছেন: এদেশে নীতিবান অঅর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের পরিণতি এইই-হয় তাকে নিজে মরতে হবে বা তাকে মেরে ফেলা হবে
অন্য ছাত্রীরা অধ্যক্ষের লাম্পট্যের প্রতিবাদ না করায় এখনো বেচে আছে।এদের দুইজন আবার হত্যায় সাহায্য করেছে।
তাহলে এটাকে কি পুরুষদের করা না নারীদের করা অপরাধ বলা হবে?
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০২
রাফা বলেছেন: অপরাধী কখনও নারী বা পুরুষ হিসেবে বিবেচ্য নয়। অপরাধীর পরিচয় শুধুই অপরাধী ।ঠিক যেমন একজন ঘাতক বা খুনীর পরিচয় যেমনটা।আমরা প্রতিবাদ করিনা বলেই রাফি'র মত মেয়েদের প্রতিবাদটা করতে হয় জিবনের বিনিময়ে।নরপিশাচরা যখন বিজয় উল্লাসে মেতে উঠে তখন আমরা গুটিকয়েক মিলে সারিবদ্ধ হয়ে রাস্তায় দাড়াই।কিছুদিন পর আবার মিইয়ে আসে আমাদের সেই গলার স্বর।অপরাধীরা একতাবদ্ধ,ওরা জানে কি করতে হবে ।অথচ আমরা ওদের চাইতে সংখ্যায় বেশি হয়েও দিশেহারা ।আমরা প্রকৃতপক্ষে ভীতু-কাপুরুষের মত আচরন করি বলেই ওদের'কে মহাপরাক্রমশালী মনে হয়।অপরাধী বলেই অর্থনৈতিক শক্তি দিয়ে ওরা সবকিছুর সমাধান করে।সমাজের কিছু ক্ষমতাশালী পাপীষ্ঠরা ওদের সহায়তা করে ঐ অর্থের বিনিময়ে।এবং তা দিবালোকের মত সত্য ও প্রকাশ্য।
আমরা যতদিন না একতাবদ্ধ হোতে পারবো ।ওদের বিরুদ্ধে সন্মিলিতভাবে রুখে দাড়াতে না পারবো ততদিন চলতেই থাকবে ওদেরর একছত্র আধিপত্য।আমরা কীট পতঙ্গের মত জিবন দিয়েও পরাজিত হোতেই থাকবো।ওদের বিরুদ্ধে লড়তে হলে ইস্পাত দৃঢ় কঠিন একতা লাগবে।প্রচন্ড হুংকারে জেগে উঠতে হবে।ছিন্নভিন্ন করে দিতে হবে ওদের একতা ও ক্ষমতার উৎস।সর্বোপরি ত্যাগ স্বিকারে আত্মনিয়োগ করতে হবে নিজেদের।একাত্তরে আমাদের উত্তরশুরিরা জিবন দিয়েছিলো বলেই আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক।সেভাাবেই ভবিষ্যত প্রজন্মকে দিয়ে যেতে পারবো নিরাপদ বাংলাদেশ।একা নয় সবাইকে নিয়ে ভালো থাকাটাই হোক আমাদের অভিপ্রায়।কাউকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে স্বার্থকতা নেই এগিয়ে যেতে হয় সবাইকে নিয়ে।
ধন্যবাদ,অ.চৌধুরি।
১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১
নীলপরি বলেছেন: সঠিক বলেছেন । এরকম লেখা আরও লিখতে হবে সকলকে । ১০নং মন্তব্যের সাথে একমত ।
++
শুভকামনা
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০৮
রাফা বলেছেন: দশ নাম্বার কমেন্ট ছিলো আসলে নয় নম্বরের উত্তর।তার সাথে মতৈক্যর জন্য ধন্যবাদ ,নীলপরি'কে।
শুভকামনার বিনিময়ে থাকলো নিরাপদ থাকার জিবন। যা আমার এই পোষ্টের প্রকৃত চাওয়া।
১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১২
অনল চৌধুরী বলেছেন: কোথা কোন অন্যায় হতে দেখলে বাংলাদেশের ৯৯% লোক অপরাধীদের সমর্থন করে,.৫০% লোক অপরাধীদের মনে মনে ঘৃণা করে আর .৫০% সরাসরি অন্যায়ের প্রতিবাদ করে।
এজন্যএ তো দেশে অপরাধীদের রাজত্ব।
ফেনীতে আগুনে পরিয়ে মারা নুসরাতকে নিয়ে আজ তারা শোক আর প্রতিবাদের নাটক করছে,সে জীবিত থাকতে কেউই অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদে সাহায্য করেনি। এমনকি তার সহপাঠীরাও।সবাই ধনী আর ক্ষমতাবান লম্পট মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে সমর্থন করেছে।
এ্ মানসিকতা থেকে মুক্ত হতে না পারার কারণেই দেশ অপরাধ থেকে নির্মূল হচ্ছে না বরং অপরাধীরাই দেশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৭
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সমর্থন
ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে, ভবিষ্যতের ধর্ষকরা প্রশ্রয় পায়