নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পতিত পাবন

মানুষ পশুও নয়, দেবতাও নয়, তাই তার প্রেম পাশবিকও হবেনা, নিষ্কামও হবেনা,হবে মানবিক - বেলিনিস্কি

হাসিব হায়াত

আমি পৃথিবীর সুখি তম মানুষ কারন আমি সুখ তৈরি করতে শিখেছি। [email protected] (fb id)

হাসিব হায়াত › বিস্তারিত পোস্টঃ

তসলিমা নাসরিন

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৫

শরাফ মামা তার শরীর কে হাসতে হাসতে আমার ওপরে ধপাশ করে ফেলে আবার টেনে নামান আমার হাফ প্যান্ট। আর নিজের হাফ প্যান্ট খুলে তার নুনু ঠেশে ধরেন আমার গায়ে। বুকে চাপ লেগে আমার শ্বাস আটকে থাকে। ঠেলে তাকে সরাতে চেষ্টা করি আর চেঁচিয়ে বলি- এইটা কি কর, সর শরাফ মামা সর।

গায়ের সব শক্তি দিয়ে ঠেলে তাকে এক চুল সরাতে পারি না।

-মজার জিনিশ দেখাইতে চাইছিলাম, এইডাই মজার জিনিশ।

শরাফ মামা হাসেন আর সামনের পাটির দাঁতে কামড়ে রাখেন তার নিজের ঠোঁট।

-এইটারে কি কয় জানোস, চোদাচুদি। দুনিয়ার সবাই চোদাচদি করে। তোর মা বাপ করে, আমার মা বাপ করে।

শরাফ মামা তার নুনু ঠেলতে থাকেন বিষম জোরে। আমার বিচ্ছিরি লাগে। শরমে চোখ ঢেকে রাখি দু হাতে! (পেজ নং- ৪২, বই-আমার মেয়ে বেলা, লেখিকা- তসলিমা নাসরিন)



এতো টুকু পড়ে আমি ধপাশ করে বিছানায় চিত হয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে চিন্তা করলাম- এটা আমি কি পড়লাম! নাসরিন আনটি এটা কি লিখল। শেষ পর্যন্ত মামা.....!



এটা লেখার উদ্দেশ্য লেখিকার মামা লেখিকাকে শারীরিক নির্যাতন করেছে এক কথায় যাকে বলে যৌন নির্যাতন। কিন্তু একটা আট বছরের বালক কি করে একটা সাত বছরের বালিকা কে রেপ করতে পারে তা আমার মাথায় কিছুতেই আসছে না । আর তাছাড়া এক অজানা অচেনা উদ্ভ্রান্ত পল্লীতে তসলিমা নাসরিন কে তার শারাফ মামা যেই কুৎসিত জিনিশ শিখিয়েছিলেন, সেই কুৎসিত জিনিশ লেখিকার শত-লক্ষ পাঠক-পাঠিকা কে শেখানর কি এমন দরকার পড়ল তা আমি ভেবে পাচ্ছিনা। পৃথিবীতে কোটি কোটি মামা আছে। আমার বিশ্বাস এমন মামার সংখ্যা খুব বিরল। বেক্তিগত ভাবে আমি প্রাত্থনা করি, এই বিরল সংখ্যা টাও পৃথিবী থেকে নির্মূল হবে।



লেখক লেখিকারা অনেক সময় পাঠক-পাঠিকা ধরে রাখার জন্য কিংবা সস্তা নাম কামাবার জন্য এমন রগরগে এবং দুর্ধর্ষ বিবরন দিয়ে থাকেন। কিন্তু তসলিমা নাসরিনের ব্যাপার আলাদা। তিনি এই দেশের একজন নাম করা লেখিকা। আমি নীলক্ষেত থেকে যখন তার ‘আমার মেয়েবেলা’ বই টি কিনি তখন দেখলাম সব দোকানেই সারি সারি করে তার বই সাজানো। দোকানদার কে জিজ্ঞেশ করে জানলাম , হুমায়ুন আহমেদের চাইতেও তার বই এর কাটতি বেশী! একজন নিসিদ্ধ লেখিকা যে এত টা জনপ্রিয় হতে পারে, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। তবে এত টুকু উপলব্ধি করলাম, এই দেশে নিষিদ্ধ পাঠক পাঠিকার সংখাও কম নয়। যেমন আমি।





আমার ধারণা মতে বাংলা অশ্লীল ছবির এমন অনেক দর্শক আছে, যারা টানা তিন ঘণ্টা পূর্ণ মনোযোগের সাথে ছবি দেখার পর হল থেকে বেরোতে বেরোতে কমেন্টস করে- ছিঃ, এমন বাজে জিনিশ মানুষ দেখে! এর বিরুদ্ধে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। শারাফ মামাকে ছেড়ে বাংলা ছবির অসুস্থতার দিকে যাচ্ছি কেন? কারন আছে।- আমার কাছে মনে হয়েছে, লেখিকা মামার যে কুকর্মের কথা বর্ণনা করেছেন, তা বাংলা অশ্লীল ছবির মতই অনেক রসালো। আমি অনেক রেপ কাহিনী পরেছি, যেমন ছেলেরা মেয়ে দের রেপ করেছে, মেয়ে রা ছেলে দের রেপ করেছে! সেগুল পড়ে আমার রেপ এর শিকার হওয়া মানুষ গুলর প্রতি অনেক সমবেদনা জেগেছে। রেপ করা মানুষ গুলর প্রতি ও জেগেছে ঘৃণা। কিন্তু এমন রসালো রেপ ও যে হতে পারে, তা জানলাম লেখিকার বই টি পড়ে। তবে কেন যেন আমার শারফ মামার প্রতি একটুও ঘৃণা জাগে নি, সেই সাথে লেখিকার প্রতিও জাগেনি সমবেদনা! এটা কি লেখিকার লেখনির জাদু, নাকি আমার অবচেতন মনের বিকৃত নির্লিপ্ততা? !







লেখিকা শুধু মামার ধর্ষণের কথাই প্রকাশ করে খেন্ত থাকেননি, চাচার ধর্ষণের কথাও এক ই বইতে বিতং করে লিখেছেন। যেমন-

আমার শরীর বেয়ে কাকার হাত নেমে আসে আমার হাফ প্যান্টে। হাত টি নামতে থাকে আমার হাফ প্যান্ট এর নীচের দিকে। গড়াতে গড়াতে আমি বিছানা থেকে নেমে যেতে থাকি । আমার পা মেঝে তে, পিঠ বিছানায়, হাফ প্যান্ট হাঁটুর কাছে, হাঁটু বিছানাতেও নয়, মেঝেতেও নয় (এটা কেমন করে সম্ভব কে জানে)! কাকা তার লুঙ্গি ওপরে তোলেন,দেখি কাকার তল পেটের তল থেকে মস্ত বড় এক সাপ ফনা তুলে আছে আমার দিকে, যেন এক্ষনি ছোবল দেবে। ভয়ে আমি সিটিয়ে থাকি। আমাকে আরও ভয় পাইয়ে দিয়ে আমার দু উরুর মাঝ খানে ছোবল দিতে থাকে সেই সাপ। এক ছোবল, দুই ছোবল, তিন ছোবল। (পেজ নং- ৫৪)



এই বইতে এরকম একের পর এক ,লেখিকা শুধু তার ওপর পুরুষ দের নির্যাতনের কথাই লিখে গেছেন। যেন সারা পৃথিবীর পুরুষরা তাকে ধর্ষণ করার জন্য উদগ্রীব। তিনি তার বই তে এই ধারনাও পোষণ করেছেন ,- এই নোংরা পুরুষ সমাজ শুধু তাকেই নয়, সুযোগ পেলে সব মেয়ে কেই নির্যাতন করবে। তিনি আরও বোঝাতে চেয়েছেন- পুরুষ মাত্রই পশু, পুরুষ মাত্রই পিচাশ। চাচা, মামা, ভাই, খালুরাও নারীর জন্য নিরাপদ না। এমন কি নিজের বাবা কেও নারীদের বিশ্বাস করা ঠিক না।



তার বই পড়ে কিছুক্ষণের জন্য হেপ্নটাইজড হয়ে যেতে হয়। নিজের বিশ্বাসেও ফাটল ধরে। আমি একজন পুরুষ, তার মানে কি আমি একজন পশু? সবাই হয়তো প্রভাবিত হবেনা, কিন্তু একজন দুর্বল চিত্তের মানুষ হিসেবে আমি অনেকটাই প্রভাবিত হয়েছিলাম আমার মেয়ে বেলা পড়ে। প্রভাবিত হবার পরিমান এতই বেশী ছিল যে আমি পুরুষ সমাজের মুখে চুন কালি মেখে আমি নিজেই একটি পুরুষ বিরোধী কবিতা উৎপাদন করে ফেলেছিলাম। কবিতা টি এ খানে হুবুহু দিয়ে দিলাম। যারা আমার এই কবিতাটির চরিত্র, তারা ছাড়া অন্য সব পুরুষ রা আমাকে ক্ষমা করবেন!







আমি ধর্ষক খেলোয়াড়,

আমি উন্মাদ কামে টেনে টেনে ছিরি-মেয়েদের সালোয়ার।

আমি ললনার মহা ক্ষতি।

নজর আমার নয় বালিকার-যৌনাঙ্গের প্রতি।



মা-বোন হয়েছে ফিকে,

আমি রাস্তা ঘাটে তাকিয়ে থাকি-নারীর পাছার দিকে।

আমি কালো আকাশের রব।

প্রলোভন দিয়ে প্রেমে ফেলে শেষে-রমণীর লুটি সব।

আমি অমানুষ পশু পাজি,

আমি কাজের বুয়া কে ফুসলিয়ে-হেসে বিছানায় নিতে রাজি।



লম্পট এক লুঙ্গি গায়ে, হেঁটে হেঁটে চুপি নগ্ন পায়ে,

দরজা ফুটোয় অন্য লোকের-বৌ এর গোসল দেখি।

আমি 3x হাতে প্রতিদিন রাতে, নরকের গান লেখি।



আমি লুকিয়ে লুকিয়ে মুখ,

নব বিয়ে হওয়া দম্পত্তির-দেখি মিলনের সুখ।

আমি ভিড়ের ভেতর ঢুকে,

ডান হাত ঘেঁষি লাজ কিশোরীর-গোল গোল দুটি বুকে।

আমি স্ত্রীর অগোচরে,

কনডম ভরি মাসে দশবার,বেশ্যা বিবির ঘরে।

আমি ছুটছি দেহের পাছে,

আমি মানতে শিখিনী নারীর মাঝেও-মন বলে কিছু আছে!



আমি রক্ষিতা পুষি দুই,

তিনজন মোরা একসাথে মিলে-উন্মুখ হয়ে শুই!



আমি সেক্স বাড়াবার ট্যাবলেট খেয়ে,

কিছু কামিনির প্রশ্রয় পেয়ে-লাখ লাখ কোটি বছর ধরে-

কতনা আকার ধরি।

আমি গর্বিত হব কোনদিন যদি ,এইচ আই ভি তে মরি!



(হাসিব হায়াত………।।)

















মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৯

িফল্ড মার্শাল বলেছেন: শরাফ মামা তার শরীর কে হাসতে হাসতে আমার ওপরে ধপাশ করে ফেলে আবার টেনে নামান আমার হাফ প্যান্ট। আর নিজের হাফ প্যান্ট খুলে তার নুনু ঠেশে ধরেন আমার গায়ে। বুকে চাপ লেগে আমার শ্বাস আটকে থাকে। ঠেলে তাকে সরাতে চেষ্টা করি আর চেঁচিয়ে বলি- এইটা কি কর, সর শরাফ মামা সর।
গায়ের সব শক্তি দিয়ে ঠেলে তাকে এক চুল সরাতে পারি না।
-মজার জিনিশ দেখাইতে চাইছিলাম, এইডাই মজার জিনিশ।
শরাফ মামা হাসেন আর সামনের পাটির দাঁতে কামড়ে রাখেন তার নিজের ঠোঁট।
-এইটারে কি কয় জানোস, চোদাচুদি। দুনিয়ার সবাই চোদাচদি করে। তোর মা বাপ করে, আমার মা বাপ করে।
শরাফ মামা তার নুনু ঠেলতে থাকেন বিষম জোরে। আমার বিচ্ছিরি লাগে। শরমে চোখ ঢেকে রাখি দু হাতে! :P :P :P :P :P

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৪

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: এইটা পড়ুন Click This Link

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৭

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এটা উনার স্টাইল। আপনি বা তার বই পড়েন কেন ?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪৬

হাসিব হায়াত বলেছেন: ভাইয়া লেখা লিখির বদ অভ্যাস থাকলে নানা রকম বই হজম করতে হয়।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৫

রবিনহুড বলেছেন: এটা তার লেখার ষ্টাইল... সে ঘটনা গুলো বাস্তবে খুবই কদাচিৎ ঘটে... যে গুলো সমাজে এক প্রকার দূর্ঘনটা বলে দেখা হয় সেগুলোই তার জীবনে প্রতি নিয়তই ঘটে থাকে.....
এবং যে দূর্ঘটনা গুলো মানুষ বলতে লজ্জা বোধ করে সেটা উনি বলতে গর্ববোধ করেন....
এখানেই তার স্বকীয়তা....

কথায় বলে "নেংটার সেই বাটপারের ভয়"।

এত বড় বড় আর নামী দামী লোক তাকে একটু হলেও চেখে দেখেছে... তারপরেও এরশাদ কেন তাকে ধরে ছুয়ে দেখল না এটা বুঝলাম না....

এটাই বুঝি জগৎ এর বিস্ময়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৩

হাসিব হায়াত বলেছেন: সেটা এক কথায় বললেই হত যে আমার চাচা বা মামা আমাকে হয়রানী করেছে। কিন্তু কোথায় হাত দিয়েছে, কিভাবে দিয়েছে এই ধরনের রগরগে বর্ণনা না করাই ছিল শালীনতা। এতে মনে হয়েছে তিনি পুরো ব্যাপারটা উপভোগ করেছেন। রেপ যদি তার কাছে ভয়ংকর ই হতো তাহলে পুরো ব্যাপার তিনি এত নিখুঁত ভাবে মনে রাখতে পারতেন না।, কি জানি বড় লেখক লেখিকা দের কাজ কারবার বোঝাও দায়!!

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৬

রবিনহুড বলেছেন: ****** ....নেংটার নেই বাটপারের ভয়"।

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৯

কাল্পনিক বলেছেন: চটি হিসেবে পড়লে ঠিক আছে, সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৫

হাসিব হায়াত বলেছেন: মানুশের মন বড়ই আজিব। কার লেখা কখন গ্রহন করে বোঝা বড় মুশকিল!!!!!!

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২১

আমি বাঁধনহারা বলেছেন:
সবাই যদি করে আপনার সমালোচনা:
তবু আমি তা করব না।
কবির চিন্তার নাই কোন শেষ মোহনা
কবি ছাড়া কবির ভাষা কেউ বুঝে না!
সত্য কথা যে বলে,সেই আজ পাপী
মানুষকে চেনা কঠিন;মানুষ তো বহুরপী!


আপনি সত্য কথা বলেছেন
সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকে আমার শুভেচ্ছা
দেব না কখনো অপবাদ।


আপনাকে অনুসরণে নিলাম।কথা দিচ্ছি সর্বদা আপনার পাশে থাকব।



আপনি সর্বদা ভালো থাকবেন
আর সম্ভব হলে মনে রাখবেন!!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১০

হাসিব হায়াত বলেছেন: ভাই আপনি কি এটা আমাকে বললেন নাকি তসলিমা কে ?

৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৪

দক্ষিনা মলয় বলেছেন: এটা তার লেখার ষ্টাইল... সে ঘটনা গুলো বাস্তবে খুবই কদাচিৎ ঘটে... যে গুলো সমাজে এক প্রকার দূর্ঘনটা বলে দেখা হয় সেগুলোই তার জীবনে প্রতি নিয়তই ঘটে থাকে.....
এবং যে দূর্ঘটনা গুলো মানুষ বলতে লজ্জা বোধ করে সেটা উনি বলতে গর্ববোধ করেন....
এখানেই তার স্বকীয়তা....

কথায় বলে "নেংটার সেই বাটপারের ভয়"

অত কিছুর জন্য সে নিজেই দায়ী। আমার ধারনা সেই পুরুষগুলারে নির্ষাতন করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.