![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্বপ্ন বিলাসী মানুষ। আমার পৃথিবীটা বড্ড বেশি সুন্দর; আশেপাশের মানুষগুলোও। বিধাতা প্রতিনিয়তই আমাকে শেখাচ্ছেন। বয়স, ম্যাচুরিটি, অভিজ্ঞতা যতই বাড়ছে- ততই শিখছি আমি।সব সময় এটাই চেষ্টা আমার দারা যেন মানুষের উপকার হয় অপকার না হয়।
পবিত্র কোরআন মুখস্থ করার উদ্দেশ্য না হইলে তেলাওয়াতের সময় তাড়াহুড়ো করিবে না।কোরআন পাক কে রেহাল কিম্বা বালিশ অথবা অন্য কোন উঁচু স্থানে রাখিবে।তেলাওয়াতের সময় কাহারো সহিত কথা বলিবে না।বিশেষ প্রয়োজন হইলে কালামে পাক বন্ধ করিয়া কথা বলিবে।অতঃপর আউজু বিল্লাহ পড়িয়া পুনরায় শুরু করিবে। মজলিসে সকলেই কাজে ব্যাস্ত থাকিলে চুপেচুপে পড়াই ভালো, নচেৎ জোরে পড়াই উত্তম।
মাশায়েখগন পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এর ছয়টি জাহেরি (প্রকাশ্য) আদব ও পাঁচটি বাতেনি (গোপনীয়)আদব উল্লেখ করিয়াছেন।
জাহেরী (প্রকাশ্য) আদব ঃ
১। গভীর শ্রদ্ধার সহিত অজু করিয়া কেবলামুখী হইয়া বসিবে।
২। পড়ার সময় তাড়াতাড়ি করিবে না,বরং ধীরে স্থিরে তাজবীদের সহিত পড়িবে।
৩।ক্রন্দনের চেষ্টা করিবে যদিও উহা ভান করিয়া হউক।
৪।রহমত ও আজাবের আয়াতের হক্ব আদায় করিয়া পড়িবে।
৫।রিয়া বা লোক দেখানোর ভয় হইলে বা অন্যের অসুবিধার আশংকা হইলে চুপেচুপে পড়িবে,নচেৎ জোড়ে পড়াই উত্তম।
৬। মিষ্টি সুরে পড়িবে।কারন হাদীছ শরীফে মিষ্টি সুরে পড়িবার অনেক তাকীদ আসিয়াছে।
বাতেনী(গোপনীয় আদবঃ
১।কালামে পাকের আজমত ও মহত্ব অন্তরে অনুধাবন করিবে যে কত বড় মহান এই কালাম সেই মহান মর্যদাসম্পন্ন আল্লাহ্ তায়ালার প্রতি অন্তরে গভীর শ্রদ্ধা রাখিবে।
২।শয়তানের প্ররোচণা ও চক্রান্ত হইতে অন্তর কে পবিত্র রাখিবে।
৩।অর্থের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া লজ্জত সহকারে পড়িবে।
৪।যখন যে আয়াত পড়িবে আপন অন্তর কে উহার অনুসারী করিয়া লইবে। যেমনঃ আজাবের আয়াত পড়িলে অন্তর প্রকম্পিত হইবে। রহমতের আয়াত পড়িলে অন্তর আনন্দে ভরিয়া যাইবে।
৫। উভয় কানকে এমন পর্যায়ে রাখিবে যেমন স্বয়ং আল্লাহ্ পাক কালাম করিতেছেন এবং ইহারা শুনিতেছেন।
আল্লাহ্ পাক আমাকে ও তোমাদিগকে ঐপ্রকার আদবেসমূহ তেলাওয়াত করিবার তৌফিক দান করুন (আমিন)
©somewhere in net ltd.