নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামিক বিষয়

মুহতারিযাহ

আমি একজন স্বপ্ন বিলাসী মানুষ। আমার পৃথিবীটা বড্ড বেশি সুন্দর; আশেপাশের মানুষগুলোও। বিধাতা প্রতিনিয়তই আমাকে শেখাচ্ছেন। বয়স, ম্যাচুরিটি, অভিজ্ঞতা যতই বাড়ছে- ততই শিখছি আমি।সব সময় এটাই চেষ্টা আমার দারা যেন মানুষের উপকার হয় অপকার না হয়।

মুহতারিযাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীদের বন্ধ্যাত্ব যেখান থেকে প্রাপ্তি!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

হযরত নূহ (আঃ) যখন ই তার কওম কে ইসলামের পথে ডাকতেন সবাই তাকে অবজ্ঞা করতেন।
কখনো কখনো এমন অবস্থাও ঘটত যে,
যখন তিনি তার কওম কে আল্লাহ্‌র পথে আহ্বান করতেন তখন তারা দলবদ্ধভাবে এসে মারপিট শুরু করতো।
যাতে তার পুরো শরীর ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যেত।

কোন কোন সময় তিনি অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চেতনা হারিয়ে ফেলতেন ।
চেতনা ফিরে পেয়ে পুনরায় লোকদের হেদায়েতের জন্য ডাকতেন।
তিনি সব অত্যাচার নিরবে সহ্য করতেন কিন্তু
তার মুশরিকা স্ত্রী যখন সকলের সামনে তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা শুরু করলেন
তখন নূহ (আঃ) অত্যান্ত দুঃখ পেলেন তিনি আকাশের দিকে মুখ তুলে
কেঁদে কেঁদে আল্লাহ্‌ তায়ালার দরবারে বল্লেন-




হে আল্লাহ্‌ আমি অধৈর্য্য এবং নিরাশ হয়ে পড়েছি। আপনি আমাকে সাহায্য করুন।
সে সময় জিবরাঈল (আঃ) হাজির হয়ে বললেন,
হে নূহ! আপনি তাদের ব্যাপারে আল্লাহ্‌ তায়ালার কাছে মুনাজাত করুন
আল্লাহ্‌ তা নিশ্চয় কবুল করবেন।জিবরাঈল (আঃ)
যাবার পূর্বে তার হাতে বেহেশত থেকে আনা একটি গাছের ডাল নূহ (আঃ)- এর হাতে দিয়ে বললেন,

আপনি এই ডাল জমিনে পুতে রাখুন।
নূহ (আঃ) তাই করলেন।
চল্লিশ বছর পর ঐ গাছটি এক বিরাট আকারে পরিণত হলো যে,
তার দৈর্ঘ হল চারশ গজ এবং ব্যাস হল চল্লিশ গজ।
উক্ত চল্লিশ বছরে দুনিয়াতে যে সব নতুন অবস্থা দেখা গেল তা হলো,

দুনিয়ার সব কাফির মহিলা বন্ধ্যা হয়ে গেল।
তাদের সন্তান জন্ম বন্ধ হয়ে গেল।
এর একমাত্র কারন ছিলো,
মহিলারা তাদের সন্তান কে বলে দিত, হে-সন্তানেরা! তোমরা নূহ (আঃ) কে চিরশত্রু মনে করবে,
তার সাথে বৈরিতাসুলভ ব্যবহার করবে।
তার কোন কথায় কান দিও না,সর্বদা তাকে বে-ইজ্জতি করবে
ইত্যাদি নানান ধরনের কথা তাদের সন্তানদের শিখিয়ে দিত।

তাদের এসব কথা শুনে হযরত নূহ (আঃ) একেবারে হতাশ ও নিরাশ হয়ে আল্লাহ্‌র দরবারে প্রার্থনা জানিয়েছিলেন যে,

হে আল্লাহ্‌ আপনি কৃতঘ্ন সম্প্রদায়ের একটি লোককে রেহায় দিবেন না
ও তাদের আর বংশ বৃদ্ধি করবেন না।
এরা যখন আপনার এমনই অবাধ্য তখন এদের দিয়ে আর কোন মজ্ঞলই আশা করা যায় না।
আল্লাহ্‌ তায়ালা তার প্রিয় নবীর এই আবেদন অনুসারেই
হযরত নূহ (আঃ)-এর যামানায় কাফির রমনীদেরকে ঐরকম বন্ধ্যা করে দিয়েছিলেন।
সেখান থেকেই মূলত বন্ধ্যাত্বর সৃষ্টি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম। ভালো পোষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.