নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাগলা রাজু

http://www.facebook.com/fazlurrahaman.raju

পাগলা রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাভারের রানা প্লাজা ধ্বস নাশকতার অংশ, সরকার আগে থেকেই জানতো।

০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:২০

সরকারের কাছে আগাম খবর থাকা সত্ত্বেও গার্মেন্টস এবং কারাগারে নাশকতা রোধে কোন ধরণের সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারেনি সরকার। এমন কি আগের দিন সংবাদ প্রকাশ হলেও সরকার ছিল নিশ্চুপ।

সংবাদ- http://www.notun-din.com

বাংলাদেশে যে কোনও কিছুতেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ আবিষ্কার করার চেষ্টা করা হয়। সাভারের রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর বিস্ময়করভাবে ‘নাশকতা সৃষ্টির’ কোনও ষড়যন্ত্র বিষয়ে কেউ কোনও কিছু বলেননি। এমন কি দুর্ঘটনাস্থলকে ক্রাইম সিন জোন হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়নি। নতুন দিনের পক্ষ থেকে সাভারের রানা প্লাজায় নাশকতার সৃষ্টির কোন সুযোগ ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। “যাদের রক্তে তৈরি হয় আমাদের রক্ত” সেই লাখ লাখ গার্মেন্টস কর্মীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা আমাদের তত্ত্বটি তুলে ধরছি।



গত ২২ এপ্রিল নতুন দিনের প্রধান প্রতিবেদন “সাবধান: কারাগার ও গার্মেন্টস এবার জামায়াত-শিবিরের মূল টার্গেট।” নতুনদিনে এই সংবাদটি প্রকাশের দু’দিন আগেই সংশ্লিষ্ট

প্রতিবেদক একাধিক তথ্যসূত্র থেকে এই ভয়ংকর ও চাঞ্চল্যকর তথ্যটি আগাম জানতে পারেন।



সংবাদটি নিয়ে নতুন-দিন সংবাদকর্মীদের মধ্যে আলোচনা হয়। সে সময় নিজেদের মধ্যে এই সংবাদ নিয়ে নানান কথোপকথন হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ১. এই রকম সংবাদ প্রকাশিত হলে জামায়ত-শিবিরের নামে তৃতীয় পক্ষ নাশকতা সৃষ্টির সুযোগ নিতে পারে। ২. সংবাদে যা বলা হয়েছে, নাশকতাকারীরা ঠিক তা-ই করবে না বরং নাশকতার জন্য অন্য কোনও কৌশল নেওয়াই তাদের জন্য স্বাভাবিক, যা তারা গোপন রাখবে ও নিউজ সোর্সকে কোনদিনও বলবে না। ৩. তারপরও আমাদের সংবাদটি প্রকাশ করা উচিত মানুষকে সতর্ক করে দেওয়া জন্য।



সংবাদটি নতুন দিনে প্রকাশের দুই দিনের মাথায় সাভার ট্রাজেডির জন্ম। নতুনদিনের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে আবার কথা বলে এবং নিজেদের চারদিন আগের কথোপকথনের সঙ্গে ঘটনাটিকে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করে বিস্মিত হয়। এরই মধ্যে যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর ‘পিলার তত্ত্বটি’ দেন তখন আবারও নিজেদের মধ্যে এই কথা ওঠে যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চয়ই কোন না কোনও তরফ থেকে কিছু একটা শুনেছেন যাতে ‘পিলার সংক্রান্ত’ কিছু বলা হয়েছে। হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা ঠিক মতো ধরতে পারেননি বা তাকে যথেষ্ট পরিষ্কারভাবে কথাটা বলা হয়নি।

আমরা ‘পিলার নিয়ে নাড়াচাড়া’করতে থাকি এবং আমাদের নজরে আসে পীলে চমকানো কিছু তথ্য। ওয়েব সাইট থেকে আমরা জানতে পারি বাজারে এমন কনক্রিট ডেমোলিশিং এজেন্ট (পাউডার ও তরল) রয়েছে যা পিলারের নিচে ড্রিল করে পুশ করা হলে বিল্ডিং ধ্বসে যেতে পারে। (বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কটি দেখুন) খোঁজ-খবর নিয়ে আমরা এও জানতে পারি যে বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এমন কনক্রিট ডেমোলিশিং এজেন্ট আমাদানি করেছে বা করে।



এবার আমরা বিভিন্নভাবে খোঁজ-খবর করা শুরু করি সাভারের রানা প্লাজায় এমন নাশকতা সংঘটনের সুযোগ ছিল কি না।



আমাদের অনুসন্ধানে যা বেরিয়ে আসে তা হচ্ছে, সাভারের রানা প্লাজা ছিল এমন নাশকতার জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্থান এবং যেভাবে প্লাজার পেছনের অংশটি ভেঙ্গে পড়েছে তার স্বাভাবিক কোনও ব্যাখ্যা স্ট্রাকচারাল বিশেষজ্ঞরা দিতে পারছেন না। যেমনটি বলা হচ্ছে কাঠামোটির সামনের অংশ ভেঙ্গে পড়েছে প্যানকেক প্যাটার্নে তেমনি কোনও প্যাটার্নের কথা পেছনের অংশ ভেঙ্গে পড়ার ধরন নিয়ে বলা সম্ভব হচ্ছে না। এমন অনুমানের সুযোগ রয়েছে যে মূলত পেছনের অংশটি ভেঙ্গে পড়ার কারণেই পুরো ভবনটি বিধ্বস্ত হয়েছে।



কেন রানা প্লাজা এমন নাশকতার জন্য আকর্ষণীয়? দুটি বিবেচনায় এটিকে নাশকতার জন্য আকর্ষণীয় বলা হচ্ছে। এক: কাঠামোগত দিক থেকে এটি যে দুর্বল তা ব্যাপকভাবে প্রচারিত ছিল। নাশকতা সৃষ্টির জন্য যদি সাভারে কোনও স্থাপনা খোঁজা হয় তাহলে প্রথমেই এই বিশাল অবৈধ স্থাপনাটিই নাশকতাকারীদের প্রথম পছন্দ হওয়ার কথা। এটি যে ডোবা ভরাট করে তৈরি, এটি যে ছয় তলার ভিত্তির ওপরে নয় তলা হচ্ছে, এটি যে ডেভলপারকে ভাগিয়ে দিয়ে রানা সাহেব নিজেই রাজমিস্ত্রি দিয়ে তৈরি করেছেন এসবই খুব সহজ প্রাপ্য তথ্য ছিল। আর পেছনের অংশটি ছিল অরক্ষিত, নয় তলার কাজ চলার কারণে পেছনের অংশের দেখাভাল ছিল শিথিল এবং পেছনের পিলারগুলো ছিল ডোবার ওপরে এবং সবচেয়ে কমজোর। সুতরাং কনক্রিট ডেমোলিশন এজেন্ট ব্যাবহারের সুযোগ সেখানে ছিল যথেষ্ট।



আর নাশকতা সৃষ্টিকারীদের এটি পছন্দের দ্বিতীয় কারণ এখানে নাশকতা সংঘটিত করতে পারলে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হবে, সবচেয়ে বেশি মিডিয়া কাভারেজ পাওয়া যাবে।



ঢাকার কাছে সাভারে দুর্ঘটনা ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই টিভিসহ অন্যান্য মিডিয়ার উপস্থিতি বেশি হয়। আর এর ভবনটির মালিক সোহেল রানা ও তার বাবার বিতর্কিত রাজনৈতিক পরিচয় আছে, এলাকায় রানার ‘মাফিয়া’ পরিচিতি রয়েছে, রানার সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ‘মারাত্মক সম্পর্ক’ থাকায় অনেকেই তার প্রতি বিরক্ত, রানা একজন হিন্দু ভদ্রলোকের জায়গা জোর করে দখল করে এই ভবন তৈরি করেছে ইত্যাদি নানান কারণে মিডিয়ার কাছে এই ভবন ধ্বসের বিষয়টি আকর্ষণীয় হতে বাধ্য। সুতরাং নাশকতার উদ্দেশ্য যদি থাকে বিশ্বব্যাপী প্রচার পাওয়া তাহলে এটি একটি উৎকৃষ্ট স্থান।



কিন্তু যে কোনও নাশকতা সৃষ্টির সময়ই মানুষের প্রাণহানীর বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা থাকে। এ ক্ষেত্রেও তাই ছিল বলে আমাদের অনুমান। এবং একারণেই ভবনটিতে ফাটল ধরলে টেলিভিশন ক্যামেরার উপস্থিতি নিশ্চিত করে প্রচার নিশ্চিত করা হয়েছিল। নাশকতার জন্য হরতালের দিন বেছে নেওয়া হয়েছিল। রাতে না করে সকাল-সকাল নাশকতার সময় নিশ্চিত করা হয়েছিল। অন্তত তিনটি গার্মেন্টস, ব্র্যাক ব্যাংক, নিচের দু’টি তলার সবগুলো দোকানগুলো বন্ধ রাখা নিশ্চিত করা হয়েছিল। আমাদের ধারণা এই প্রস্তুতির তথ্যগুলো প্রধানমন্ত্রীকে পরবর্তিতে কোনও না কোনও তরফ থেকে জানান হয়েছিল বলে ঘটনার দিন বুধবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ডেমো ট্রেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আগে থেকেই সচেতন ছিলাম। আমরা জানতাম বলে লোক সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু মূল্যবান জিনিস সরিয়ে নিতে সকালে লোকজন সেখানে গিয়েছিল। তারাই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল।”



এবার প্রশ্ন ওঠে এই নাশকতা কে এবং কেন করতে যাবে, কার লাভ? এ প্রশ্নের উত্তর পাঠকের বিবেচনার ওপরে ছেড়ে দেওয়া যায় বলেই আমাদের বিশ্বাস।



ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক দায়িত্বশীল ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার দিনেই সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল তাৎক্ষনিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কনক্রিট ডেমোলিশনের কোনো নমুনা বা অস্তিত্ব পায়নি। সেনাসূত্রটি আরও জানায়, যুদ্ধক্ষেত্রে সাধারণত এই কনক্রিট ডেমোলিশন ব্যবহার বেশি করা হয়।



তবে বর্তমানে বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই কনক্রিট ডেমোলিশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই কনক্রিট ডেমোলিশন পাউডার ও তরল জাতীয় পাওয়া যায়। কোনো বড় ধরণের স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলতে বা বড় বড় ধরণের বিল্ডিং ধবস করতে এই কনক্রিট ডেমোলিশন(পাউডার বা তরল) পিলারের নীচে ড্রিল করে পুশ করা বা ব্যবহার করা হয়। এর ফলে বিল্ডিং মর্হুতেই ধবসে পড়ে যায়।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:৪১

শফিকুর রহমান শাহজাহান বলেছেন: রানা বেরিয়ে আসলে আপনার ভাগ্য ফিরে যাবে। চালিয়ে যান ব্রাদার।

২| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১:৩০

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: ভঈয়া ছবি দিচ্ছেন না কেন ?
মানুষ তো বুঝবে না শুধু শুধু গালি দিবে আপনাকে ।

পোস্টের সাথে সহমত ।


আমি একটা ছবি দেই


কেমিক্যালটার নাম Dexpan . এটা পানির সাথে মিশিয়ে ছিদ্র করে কংক্রিটের ভিতর ঢুকিয়ে দিতে হয় । তাহলেই কংক্রিটের ভিতর ফাটল ধরে ।



আর কংক্রিটের ফাটলের পর Dexpan খুঁজে বের করা খুব কঠিন ।

সাভারে যেভাবে সাধারণ মানুষ উদ্ধার কাজ চালিয়েছে তাতে প্রমাণ বোধহয় একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে ।

তবে প্রমাণ নষ্ট হয়েছে হোক , এই বীর মানুষেরা নিুজের জীবন বাজি রেখে যেভাবে শ্রমিকদের জীবন বাচিঁয়েছে সেটাই আমদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ।

সত্য কোনোদিন চাপা থাকে না । জামাতের এসব কুকর্ম হেফাজতে জামায়াতের মাওলানা রুহীকে ডিম থেরাপি দিলেই সব বের হবে আশা করি ।




৩| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১:৫৯

দুরন্ত সাহসী বলেছেন: সম্ভাবনা একদম উড়িয়ে দেয়া যায়না,এদের পক্ষে সব সম্ভব।

৪| ০৩ রা মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

পাগলা রাজু বলেছেন: কনক্রিট ডেমোলিশিং! এজেন্ট ব্যবহার করে কিভাবে কনক্রিট ধ্বস নামাতে হয়, তার একটি ভিডিও লিংক দিলাম।
http://www.demolitiontechnologies.com/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.