![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রেশমা কি মৃত্যুঞ্জয়ী নাকি অলৌকিক? রেশমার বেঁচে থাকা কি সাজানো গল্প? সব প্রশ্ন ছাপিয়ে কানে বাজে একটিই প্রশ্ন এভাবেও কি বেঁচে থাকা যেতে পারে? মানুষের মৃত্যুর সাথে লড়াই করার ইতিহাস থেকে নতুনদিনের পক্ষ থেকে এই প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি আমরা।
গত ১৭ দিন ধরে রানা প্লাজার হাজার হাজার টন ধ্বংসস্তূপের নিচে উদ্ধারের আশায় এক অকল্পনীয় সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন এই তরুণ গার্মেন্টস কর্মী। তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রা ও জীবন আচরণ করলে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা সম্ভব। সংরক্ষিত ইতিহাসের মধ্যে জেমস স্কট হিমালয়ে পথ হারিয়ে ৪৩ দিন বেঁচে ছিলেন।
খোজ নিয়ে জানা যায়, কয়েকটি শর্ত উপস্থিত থাকলে রেশমার মতই দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকা সম্ভব। শর্তগুলো হলো, তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা, আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকা্, আটকে থাকা ব্যক্তি কোন রকম শারিরীক পরিশ্রম না করে বিশ্রাম করা। এছাড়া, আক্রান্ত ব্যক্তি যতদিন আটকে থাকবে ততদিন নিয়ম করে ঘুমানো, দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ না হওয়া ইত্যাদির মাধ্যমেও বেঁচে থাকার সময় বাড়িয়ে তুলতে পারবেন। তথ্যসূত্রঃ http://www.notun-din.com/?p=2499
সন্ধানে দেখা যায়, রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর থেকে রেশমা উদ্ধার হওয়ার পর্যন্ত ঢাকার গড় তাপমাত্রা ছিল ২১.৭৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এছাড়া, রেশমা রানা প্লাজার যেই স্থানে আটকা ছিল সেখানে আলো-বাতাস যাতায়তের সামান্য ব্যবস্থা ছিল। ভবনের সামান্য ছিদ্র দিয়েই রেশমা উদ্ধার কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন।
ভবন ধ্বসের মতো দুর্ঘটনায় আটকে যাওয়া মানুষের বেঁচে থাকার আরেকটি কৌশল হচ্ছে- অপ্রয়োজনীয়ভাবে শরীরের শক্তি ব্য্য় না করা। এখনও পর্যন্ত রেশমার বেঁচে থাকার বিবরণে জানা যায়, রেশমার আটকে পড়া স্থানে বিশেষ কোন চেষ্টা করেননি। তিনি উদ্ধারকর্মীদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। নিজে চেষ্টা না করে উদ্ধারকর্মীদের জন্য অপেক্ষা করার কারনেই হয়তো তিনি শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে পেরেছিলেন। এছাড়া, রেশমা গনমাধ্যম কর্মীদেরকে জানিয়েছিলেন তিনি নড়াচড়া না করে এক জায়গায় স্থির থেকেছিলেন।
তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, বিপদগ্রস্থ মানুষেরা খাদ্য-পানির সরবরাহ ছাড়া মানুষ কিভাবে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকে তা নিয়ে গবেষণা করছে। ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের গবেষণা থেকে জানা যায়, কোন মানুষ দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারবে কিনা তা তার শারিরীক গঠনের উপরও নির্ভর করে।
এছাড়া, সার্ভাইবাল এক্সপার্টদের মতে, কোন স্থানে আটকা পড়ে গেলে টিকে থাকার অন্যতম প্রধান কৌশল হচ্ছে- আশেপাশে পাওয়া জিনিসপত্রকে বেঁচে থাকার জন্য ব্যবহার করা। উদ্ধার পাওয়ার পর রেশমার বিবরণ থেকে জানা যায়, সেখানে অনেক খাবার-দাবার পড়ে ছিল, অনেক শুকনো খাবার ছিল। দুর্ঘটনার পর ১৫ দিন ধরে তিনি সেই খাবার খেয়েছেন। তবে শেষ দুই দিন ধরে তিনি না খেয়ে ছিলেন। আর কোন খাবার ছিল না।
২| ১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: রেশমার খাবার ওপর থেকে নাজিল হয়নি। পরিস্থিতির কারনে রেশমা বেঁচে গেছেন। এখানে অলৌকিকতার কথা যারা বলছেন তারা আবালের পরিচয় দিচ্ছেন। চতুষ্পদীয় মস্তিষ্ক যুক্তি বোঝে না। বিশ্বের বড় বড় ভবন ধস বা খনি ধসের পর এরকম দুই একজনের সৌভাগ্য ব্যতিক্রম পরিস্থিতিতে পড়ার। আজব সব কথাবার্তা। এতো বড় একটা ভবনে এরকম পরিস্থিতি একজন না পড়াটাই বরং অস্বাভাবিক।
৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: রেশমার খাবার ওপর থেকে নাজিল হয়নি। পরিস্থিতির কারনে রেশমা বেঁচে গেছেন। এখানে অলৌকিকতার কথা যারা বলছেন তারা আবালের পরিচয় দিচ্ছেন। চতুষ্পদীয় মস্তিষ্ক যুক্তি বোঝে না। বিশ্বের বড় বড় ভবন ধস বা খনি ধসের পর এরকম দুই একজনের সৌভাগ্য ব্যতিক্রম পরিস্থিতিতে পড়ার। আজব সব কথাবার্তা। এতো বড় একটা ভবনে এরকম পরিস্থিতি একজন না পড়াটাই বরং অস্বাভাবিক।
৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: একই মাল তিনবার গেছে। একটা রেখে ডিলিট মাইরা দিয়েন।
রেশমার উদাহরণ দিয়ে যারা সৃষ্টিকর্তার প্রমাণ দেখাতে চান তাঁদের ঈমান অত্যন্ত দুর্বল। সৃষ্টিকর্তাকে মানতে হলে বিশ্বাস করতে হবে। কিন্তু যারা সৃষ্টিকর্তাকে মানার জন্য বিশ্বাসকে বাদ দিয়ে অবান্তর যুক্তির আশ্রয় নেন তারা ধার্মিক তো ননই , ছাগল ছাড়া কিছু নন।
৫| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩
সানফ্লাওয়ার বলেছেন: এখন রেসমা বলছে ,সে মাত্র চারটি বিস্কুট খেয়ে এতদিন বেচে ছিল। এটা কি করে সম্ভব?
৬| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
মাসুদ রশিদ বলেছেন: পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন - এত আক্রোশ কেন?
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: রেশমার খাবার ওপর থেকে নাজিল হয়নি। পরিস্থিতির কারনে রেশমা বেঁচে গেছেন। এখানে অলৌকিকতার কথা যারা বলছেন তারা আবালের পরিচয় দিচ্ছেন। চতুষ্পদীয় মস্তিষ্ক যুক্তি বোঝে না। বিশ্বের বড় বড় ভবন ধস বা খনি ধসের পর এরকম দুই একজনের সৌভাগ্য ব্যতিক্রম পরিস্থিতিতে পড়ার। আজব সব কথাবার্তা। এতো বড় একটা ভবনে এরকম পরিস্থিতি একজন না পড়াটাই বরং অস্বাভাবিক।