![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাসী নই। ভাল লাগে কবিতা। ভাল লাগে নিজেকে।
জীবনানন্দ দাশ কে কয়েক দিন যাবৎ সোজা গলিটা ধরে হাটতে দেখা গ্যাছে। খবরটা প্রথম চাউর হয় সফিক সাহেবের মাধ্যমে- যে দিন নিত্যদিনের মত সফিক সাহেব কে উনার বউ বকা দিয়েছিল আর সফিক সাহেব মন:কষ্টে সোজা গলিটা ধরে চোলাই কারখানা পাশকাটিয়ে আফরোজার ঝুপড়িতে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে নোংরা নদীর পাড় দিয়ে ফিরে আসেন সে দিন- সে দিন থেকে জীবনানন্দ কে গলিটার মাথায় দ্যাখা গ্যাছে। সফিক সাহেব একেবারে শিশুর মতো উচ্ছলতা নিয়ে ফারহানের চা-স্টলে এসে কথাটা বলেন প্রতিবেশি উকিল সাহেব কে। আর উকিল সাহেব ও স্ব-কায়দায় কথাটা বাজারে ছেড়ে দেন। এই কথাটা তখনই ভেসে আসে যখন সফিক সাহেব সবজি দোকান অথবা চা-স্টলের পাশদিয়ে যান। সফিক সাহেবের কথাটা শুনতে খারাপ লাগে না। তিনি প্রায়ই এখন জীবনবাবু কে দেখেন। লক্ষীপেচাঁর মতো আস্তে আস্তে হেটে জীবনবাবু গলিটা পার হয়ে রেল লাইন ধরে হাটছেন। সেদিন তিনি পিছু নিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদূর যেয়ে আখন ঝোপের কাছে মোড়টা পার হয়ে আর ফলো করতে পারেন নি। যখন লোকেরা উনার কাছে জীবনবাবুর কথা জিজ্ঞেস করে- উনি বুঝেন তাদের মস্করাটা। তবুও সফিক সাহেব একটা হাসি দিয়ে বারবার বলা কথাটা আবার নতুন করে বলেন।
আজ সফিক সাহেব জোরকদমে হাটছেন, লোকজনের কথার কোনই জবাব দিচ্ছেন না। এখন তিনি প্রায় দৌঁড়াচ্ছেন রেল লাইন ধরে। জীবনবাবুকে তিনি ধরেই আনবেন....
©somewhere in net ltd.