![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীতে সুখ চায় না, এমন মানুষ বোধহয় খুব কমই আছে, হাসিখুশি ও আনন্দে ভরা জীবনযাপন সবারই কাম্য। মানুষ একটি সুখী জীবনের জন্য সারাজীবন অনেক ধরণের কষ্ট, দুঃখ, বেদনা হাসি মুখে মেনে নেয়। অনেকের কাছে সুখ পাখি ধরা দেয়, আবার অনেকে এই সুখ পাখির পিছনে ছুটেই জীবন পার করে দেন। কিন্তু আসলে সুখ কী জিনিস? সবাই কি সুখী হতে পারে? হ্যাঁ, অবশ্যই। সুখ আসলে মূল্য দিয়ে নির্ধারণের কোনো বিষয় না। “সুখ” এ-তো সম্পূর্ণই মনের ব্যাপার। মানসিক একটি প্রশান্তি। যখন মানুষের মনে শান্তি থাকে তখনই একজন মানুষ সুখী হয়। এই শান্তিও কিন্তু কোথাও কিনতে পাওয়া যায় না। মানুষকেই খুজে নিতে হয় নিজের জীবনের শান্তি।
মানুষের জীবন জাপন, মানুষের হাসি-কান্না এমন সব দৈনন্দিন জীবনে কাজের মাঝে খুজে নিতে হয় সুখের বিষয়-বস্তু । মানসিক কিছু ব্যাপারে একটু অন্যভাবে চিন্তা করলেই পেতে পারেন কাঙ্খিত সেই হাসি। জীবনে আনতে পারেন সুখ। হাসিখুশি কেটে যাবে আপনার জীবন।
খুঁজে বের করুন সেই কাজটি যা আপনাকে খুশি করে
সুখী হওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে নিজের পছন্দের কাজটিকে, প্রত্যেক মানুষই চাহিদা অনুযায়ী খুশি হওয়ার আলাদা আলাদা কাজ করে থাকেন। কোন কাজটি করলে আপনি মানসিকভাবে অনাবিল আনন্দ পান তা খুঁজে বের করুন। সেই কাজটিই করুন। মনের ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখবেন না। এতে আপনার হাসি খুশি জীবন হারিয়ে যাবে। আরও ভালো হয় যদি অর্থ উপার্জনের জন্য যে কাজটি করে থাকেন,সেটা হয় আপনার মনের মত একটি কাজ। নিজের ভালো লাগার কাজকে পেশা হিসেবে নিতে পারা আসলেই ভাগ্যের একটি বিষয়। যদি তা করতে পারেন সত্যি কথা আপনার মতো সুখী মানুষ পৃথিবীতে দ্বিতীয়কেও থাকবে কিনা সন্দেহ!
অন্য কাউকে নিজের খুশির কারণ হিসেবে ধরে নেবেন না
আপনার মেজাজ ভালো থাকা কিংবা হাসির সাথে অন্য কাউকে জড়িয়ে নেবেন না। আপনি নিজে যেমন সম্পূর্ণ আলাদা একজন মানুষ ঠিক তেমনি আপনার খুশি আপনার নিজের কাছেই। অন্য কারোর ওপর নির্ভরশীল নয় আপনার আনন্দ। আপনি আপনার জন্য খুশি থাকুন। অন্য কাউকে খুশি করার জন্য কোন কাজ করলে তা আপনাকে খুশি দেবে না। বরঞ্ছ নিজের জন্য কাজ করুন, নিজেই হয়ে উঠুন নিজের!
অতীত নিয়ে ভাববেন না
অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ দুটোই নষ্ট হয়ে যায়। হারিয়ে যায় মুখের হাসি ও জীবনের আনন্দ। যা হবার তা হয়ে গেছে। এগুলো নিয়ে অযথা চিন্তা করবেন না। অতীত নিয়ে ভাবনা ছেড়ে দিন। ‘কী করতে পারতেন’ তা নিয়ে না ভেবে ‘কী করতে পারবেন’ তা নিয়ে ভাবুন। জীবনে আনন্দ ফিরে আসবে। অতীতে হয়তো কোন ব্যর্থতার স্মৃতি আপনাকে দুঃখ দিতে পারে তাই কখনও অতীত নিয়ে ভাববেন না।
অতিরিক্ত এবং আগাম আশা করবেন না
কথায় বলে আশা ভঙ্গের দুঃখ সব চাইতে বেশি। হ্যাঁ, কথাটি সত্য। কিন্তু, তাহলে কেন আগে থেকে অনেক বেশি আশা নিয়ে বসে থাকা? আশায় ভর করেই জীবন চলে। কিন্তু গণ্ডির বেশি বাইরে গিয়ে আশা করা শুধুই আশা ভঙ্গের দুঃখ বয়ে নিয়ে আসে। পরিমিত আশা করুন। আশা করেই বসে থাকবেন না। আশা ভঙ্গ হতে পারে এমন ইতিবাচক ধারনাও রাখুন। এতে দুঃখ বেশি লাগবে না। জীবনে সুখী হতে পারবেন। বেশী আশা করা বোকামি, এবং এই বোকামি আপনার দুঃখ ডেকে আনতে পারে।
নেতিবাচক চিন্তা করবেন না
অনেকেই আগে থেকে চিন্তা করে বসে থাকেন ‘আমি এটা করতে পারব না’ বা ‘আমাকে দিয়ে এটা হবে না’ কিংবা ‘এটা করে কোন লাভ হবে না’। আপনি আগে থেকেই যদি নেতিবাচক চিন্তা নিয়ে বসে থাকেন তাহলে জীবনে সাফল্য আসার সম্ভাবনাও খুব কম থাকবে। ইতিবাচক চিন্তা নিয়ে কাজে নামুন। কোন কারনে কাজটি না পারলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারবেন আপনি চেষ্টা করেছিলেন। এতেই খুশি থাকবে মন। সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন।
হিংসা করবেন না
অন্যের উন্নতি বা জীবন দেখে হিংসা করবেন না। এতে আপনি নিজে কখনই সুখী থাকতে পারবেন না। আপনার নিজের যা আছে তাতেই নিজের সুখ ও হাসি খুঁজে নিন। জীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে। নিজের যা আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন, মানসিক সন্তুষ্টি হচ্ছে সবথেকে বড় বিষয়।
রাগ পুষে রাখবেন না
রাগ মনের শান্তি পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। মানুষের যে কোনো কারনেই রাগ উঠতে পারে। এটা সাধারন একটি অনুভূতি। কিন্তু রাগ পুষে রাখা না রাখা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার। আপনি রাগ পুষে রাখলে আপনার নিজেরই ক্ষতি। আপনার মনের শান্তি নষ্ট হয়ে মুখের হাসি হারিয়ে যাবে। ক্ষমার মনোভাব রাখুন। রাগ করলেও তা পুষে রাখবেন না। জীবনে সুখী হতে পারবেন। রাগ কখনও আপনাকে আগে বাড়তে দিবে না।
©somewhere in net ltd.