নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপর্না হালদার

always want to know

অপর্না হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাচীন যুগের যোগসাধনায় পার্থিব জীবনের চেয়ে পারমার্থিক কল্যাণ ছিলো প্রধান।

২৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

যোগদর্শনের অষ্টাঙ্গ পদ্ধতি হলো- যম নিয়ম আসন প্রাণায়াম প্রত্যাহার ধারণা ধ্যান ও সমাধি। এই অষ্টাঙ্গ যোগ অনুশীলনের মধ্য দিয়ে মানুষ মুক্তি বা মোক্ষলাভে সমর্থ হয়ে থাকে।

যম বলতে সংযমকেই বোঝানো হয়ে থাকে। এর অঙ্গ হিসেবে এসেছে অহিংসা, সত্য, অস্ত্যেয়, ব্রহ্মচর্য ও অপরিগ্রহ। অর্থাৎ দেহ মন ও বাক্য দ্বারা আহত বা ব্যথা না দেয়া। সত্যনিষ্ঠ থাকা, কথায় ও কাজে মিল রাখা। অপরের জিনিস চুরি না করা। দৈহিক সংযম এবং বিনা প্রয়োজনে অপরের কোনো দ্রব্য গ্রহণ না করা। দ্বিতীয় অঙ্গ নিয়মের মধ্যে রয়েছে শৌচ অর্থাৎ পবিত্রতা, সন্তোষ, তুষ্টি অনুভব, তপস্যা, সাধনা এবং সর্বক্ষণ স্রষ্টার স্মরণ।

যোগসাধনার সর্বোচ্চ স্তর সমাধি লাভ। সমাধিতেই সবকিছু সম্পূর্ণরূপে লীন হয়ে যায়। ধ্যানের ক্ষেত্রে সাধক একটি ভাবনা বা বিষয়েই চিন্তা করেন, কিন্তু সমাধির ক্ষেত্রে এই ভাবটি লুপ্ত হয়ে যায়। এ অবস্থায় ধ্যানী, ধ্যেয় বস্তু এবং ধ্যানপ্রক্রিয়া- সব একাকার হয়ে যায়। যোগানুশীলনের এ সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগী সমাধিস্থ হন। সংক্ষেপে এই হলো প্রাচীন যোগশাস্ত্রে অনুমোদিত যোগসাধনা।

প্রাচীন যুগের যোগসাধনায় পার্থিব জীবনের চেয়ে পারমার্থিক কল্যাণ ছিলো প্রধান। কিন্তু ‘আত্মনো মোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ’ অর্থাৎ আত্মার মুক্তি এবং জগতের কল্যাণ এই দুই-ই সাধন জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত- স্বামী বিবেকানন্দের এ অমর বাণীর বাস্তব রূপায়ণ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মধ্যেও ঠিক যেন এ নীতিরই প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। কোয়ান্টামে রয়েছে স্রষ্টার করুণার প্রতি গভীর বিশ্বাস রেখে নিজের শক্তি-সম্ভাবনার অনুসন্ধান এবং তারপর তা জাগতিক ও পারমার্থিক উভয় কল্যাণের কাজে নিয়োগ করা



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.