নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপর্না হালদার

always want to know

অপর্না হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওজন বৃদ্ধি এখন একটি বড় সমস্যা । তাই আসুন চেষ্টা করি এটিকে নিয়ন্ত্রন করার । কিছু পদ্ধতি নিম্নে উল্লেখ করা হল ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১২

ওজন বৃদ্ধি এখন একটি বড় সমস্যা । তাই আসুন চেষ্টা করি এটিকে নিয়ন্ত্রন করার । কিছু পদ্ধতি নিম্নে উল্লেখ করা হল ।



যারা ওজন সমস্যায় ভুগছেন তারা সবাই ওজন কমাতে চান। কিন্তু ব্যায়াম করতে চান না কেউই। ব্যায়াম শুরু করলেও কয়েক দিন ঠিক মতো করে আবার শুরু হয়ে যায় আলসেমি। তাই অনেকেই জানতে চান ব্যায়াম ছাড়াই কি করে ওজন কমানো যায়। ব্যায়াম করে যতটা ওজন কমানো সম্ভব ব্যায়াম ছাড়া ততটা না হলেও আংশিক ওজন কমানো যায়। আসুন জেনে নেয়া যাক ব্যায়াম ছাড়াই ওজন কমানোর ৭টি উপায়।



খাবার আগে এক থেকে দুই গ্লাস পানি



প্রতি বেলার খাবার আগে এক বা দুই গ্লাস পানি খেয়ে নিন। এতে পেট অনেকটাই ভরা থাকবে এবং অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার ভয় থাকবে না। অল্প খেলেই মনে হয় অনেক খেয়ে ফেলেছেন। তাই সকালের নাস্তা, দুপুরের কিংবা রাতের ভাত খাওয়ার আগে এক গ্লাস বা দুই গ্লাস পানি খেয়ে অপেক্ষা করুন কয়েক মিনিট। তাহলে এমনিতেই কম খাওয়া হবে এবং আপনার ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ কমে যাবে।



ক্যালোরি গুনুন



ওজন কমানোর পদ্ধতি হলো আপনি যতটুকু ক্যালোরি গ্রহণ করছেন তার চাইতে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় করতে হবে। প্রতিদিন যে সব খাবার খাচ্ছেন সেগুলোর ক্যালোরির হিসাব রাখুন। দিন শেষে হিসাব করুন কত ক্যালোরি গ্রহণ করেছেন। সারাদিন শেষে কোনো ভাবেই যেন ২০০০ ক্যালোরির উপরে না যায় সেটা খেয়াল রাখা উচিত।



হজমে বেশিক্ষণ লাগে এমন খাবার খাওয়া



যেসব খাবার খেলে হজম হতে কিছুটা সময় লাগে এমন খাবার খাওয়া উচিত। কারণ খাবার যতক্ষন হজম হয় না ততক্ষন পেট ভরা থাকে এবং মেটাবলিসম ব্যস্ত থাকে। তাই সেই সময়ে কিছু খাওয়া হয় না অর্থাৎ ক্যালোরি গ্রহণ হয় না। সহজেই হজম হয়ে যায় যে খাবার গুলো সেগুলো খেলে বার বার ক্ষুধা লাগে। তখন একটু পর পরই ক্যালোরি গ্রহনের প্রবণতা বাড়ে। তাই বেশি ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণের চেষ্টা করুন।



ছোট ছোট কামড়ে খান



খুব দ্রুত খেলে কিংবা বড় বড় কামড় দিয়ে খেলে ওজন বাড়ার প্রবণতা বাড়ে। কারণ এক্ষেত্রে খুব অল্প সময়েই অনেক বেশি খাবার খাওয়া হয়ে যায়। সমতল প্লেটের চাইতে মাঝে কিংবা চারদিকে একটু উঁচু প্লেটে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে অল্প খাবারকেও বেশি মনে হবে এবং বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমে যাবে।



সকালের নাস্তা খান



অনেকেই ওজন কমানোর জন্য সকালের নাস্তা না খেয়ে একবারে দুপুরে খান অথবা না খেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে পড়েন। যাদের এই অভ্যাস আছে তারা ওজন কমাতে চাইলে অভ্যাস বদলে ফেলুন। কারণ বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গিয়েছে সকালে ঠিক মত নাস্তা করলে সারাদিন শক্তি পাওয়া যায় এবং অন্যান্য উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে। ফলে কম ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়। তাই সকালের নাস্তায় প্রোটিন ও ফাইবার যুক্ত খাবার রাখুন। রোজ সকালে ডিম ও ফল খেতে পারলে ভালো।



টিভি কিংবা কম্পিউটারের সামনে না খাওয়া



আমরা যখন টিভির সামনে বসে কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করতে করতে খাই তখন আমরা বেখেয়ালেই অনেক বেশি খেয়ে ফেলি। আমাদের মন অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকলে আমরা কতটুকু খাচ্ছি কিংবা কত ক্যালোরি গ্রহণ করছি সেটা মনে থাকে না। তাই এই অভ্যাসের কারণে অনেক বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়। তাই টিভি কিংবা কম্পিউটার ব্যবহারের সময় না খেয়ে খাবার টেবিলে বসে মনোযোগ দিয়ে খান। তাহলে মনের ভুলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করার প্রবণতা কমে যাবে।



গভীর রাতে খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন



অনেকেই ইদানিং রাত জাগেন। গভীর রাত জেগে মনোযোগ দিয়ে বিভিন্ন জরুরী কাজ করেন কিংবা বন্ধুদের সাথে গল্পে মেতে ওঠেন। রাত জাগলে ক্ষুধা তো লাগবেই। ক্ষুধা লাগলে আপনি যে খাবারটি খাবেন সেটা আপনার শরীরে যোগ করছে বেশ কিছু অতিরিক্ত ক্যালোরি। ফলে মোটা হচ্ছেন আপনি। রাতে ঘুমানোর সময় শরীর কোনো ক্যালোরি ক্ষয় করে না। ফলে রাত করে যে খাবারটি খাচ্ছেন সেটা পুরোটাই জমছে আপনার শরীরে। তাই রাতে ঘুমানোর অন্তত ২ ঘন্টা আগেই খেয়ে নিন। আর গভীর রাতে যদি ক্ষুধা লাগেই তাহলে শশা কিংবা গাজর খান।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: দরকার নেই।








১০০ কেজি হমু।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২১

অপর্না হালদার বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য । ঠিক বলেছেন, বেশি স্বাস্থের দরকার নাই ।ছিমছাম মিডিয়াম থাকাই ভালো ।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.