![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ১৭৯তম জন্মতিথি উপলক্ষ্যে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন ঢাকা কতৃক ০৩/০৩/২০১৪ তারিখ থেকে পাঁচদিনব্যাপি কর্মসূচীর আয়োজন করেছেন । ০৩/০৩/২০১৪ তারিখ সকল ব্যস্ততা ও মায়ার বন্ধন আংশিক ছিন্ন করে সৌভাগ্যবশত আমি উক্ত অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা ৬:২০ থেকে রাত ৯:৪০ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলাম । আমার মুল লক্ষ্য ছিল আলোচনা সভায় উপস্থিত আলোচকদের আলোচনা শোনা । আলোচনার বিষবস্তু ছিল " বিশ্বশান্তি রক্ষায় শ্রীরামকৃষ্ণের বানী" । অনেক বিদগ্ধ আলোচক উপস্থিত ছিলন । বিশেষ করে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার জনাব ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান সফল শিক্ষামন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ, আরো উপস্থিত ছিলন, গীতা সংঘের সভাপতি, বাংলাদেশে নিয়োজিত নেপালের রাষ্ট্রদূত, ভাসাবো বৌদ্ধ মন্দির ভিক্ষু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শান্তি .... বিভাগের শিক্ষক সহ আরো অনেকে । সভার সভাপতি ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন ঢাকার সম্মানিত অধ্যক্ষ শ্রী অময়ানন্দজী মহারাজ । আমি যখন উক্ত সভায় উপস্থিত হই তখন কাওয়ালী গানের পরিবেশনা চলছিল । সরাসরি শিল্পী কন্ঠে কাওয়ালী গান শোনা আমার জীবনে এই প্রথম । যদিও হিন্দি এবং সংস্কৃত ভাষার মিশ্রনে গানগুলো পরিবেশিত হচ্ছিল এবং মাঝে মাঝে শিল্পী নিজে তার আংশিক ভাব বাংলায় ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন । আমি হিন্দি বেশি না জানলেও গানগুলো বেশিরভাগ অর্থ এবং শব্দ বুঝতে পেরেছি বলে মনে হয় । "বিশ্বশান্তি রক্ষায় শ্রীরামকৃষ্ণ " বিষয়ক আলোচনা আমার কাছে সর্বদাই প্রিয় ছিল এবং এবছরের এ আলোচনাও আমাকে মুগ্ধ করেছে । আমি অভিভূত হয়ে বক্তাদের কথা শুনছিলাম । সবার কথা শুনেও অতৃপ্ত থেকেছি । মনে হয়েছে আরো এই ধরনের আলোচনা শুনতে পারলে মনে হয় ভালো লাগতো । শ্রীরামকৃষ্ণের একটি বিশেষ বানী হচ্ছে "যত মত তত পথ" । আমার জানামতে খুব মহামানবই এই মত সরসরি প্রকাশ করেছেন । পৃথিবীর সকল ধর্ম যে এক-এই উপলব্ধি আমি সর্বদা করি । তবে অবাক হই যখন আমার আশে পাশে অন্য কেহ তার ধর্মকে শ্রেষ্ঠ এবং অন্য কোন ধর্মকে তারা সম্মান করেননা । আমি এই মতবাদে বিশ্বাস করি, নিজের ধর্মে নিষ্ঠা এবং অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা । কারন জল, পানি এবং ওয়াটার এর মধ্যে শুধু ভাষাগত পার্থক্য ছাড়া অন্য কোন পার্থক্যতো খুজে পাচ্ছিনা । সকল ধর্মের অন্তরর্নিহিত অর্থ একই । সকল ধর্মের মধ্যে যদি ঐক্য থাকে তাহলে বিশ্বে অশান্তির তো কিছুই দেখিনা । যত হানা হানি হচ্ছে তার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কারন কিন্তু এই ধর্মান্ত বা সাম্প্রদায়িকত, নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ মনে করে অন্য ধর্মকে অসম্মান, অশ্রদ্ধা । বিশ্বেরই অংশ আমাদের প্রিয় জন্মভুমি বাংলাদেশও এখন এই সাম্পদ্রায়িকত, ধর্মান্ধতা থেকে মুক্ত নয় । আমাদের দেশ প্রতিদিন যে চরম-পরম সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার নামে তার মুক্তির পথ চিন্তা করতে হলে শ্রীরামকৃষ্ণের বানী উপলব্ধি করে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে । শ্রীরামকৃষ্ণের আদর্শ শিষ্য হল শ্রী স্বামীবিবেকানন্দ । আমার জ্ঞাত তিনিই বিশ্বের সর্বপ্রথম বিশ্বধর্ম নিয়ে আলোচনা অংশগ্রহন করার জন্য ২ মিনিটের অনুমতি পেয়ে উপস্থিত সুধীদের অনুরোধে কতৃপক্ষ তাকে টানা বক্তব্য দেয়ার অনুমিত দিতে বাধ্য হয় । সেই মহান পুরুষ স্বামী বিবেকানন্দ এর উপর আলোচনা। আজ সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় আলোচনার বিষয়বস্তু " স্বামী বিবেকানন্দ ও মানব কল্যান" । সকলে আমন্ত্রিত । সকলের জন্য শুভকামনা রইল ।
©somewhere in net ltd.