নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপর্না হালদার

always want to know

অপর্না হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কর্পোরেট দুনিয়া হচ্ছে বুদ্ধির দুনিয়া, যেখানে আবেগের অবস্থান নিভু নিভু প্রদীপের আলোর মত দেখা যায় মাত্র, কোন কাজে আসেনা ।

০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

আমরা সকলেই কর্পোরেট দুনিয়ার এবং ডিজিটাল কর্পোরেট দুনিয়ার সাথে পরিচিত, এক অর্থে হরদম, মহরম অবস্থা । কর্পোরেট দুনিয়াায় এক শ্রেনীর মানুষকে বোকা বানিয়ে শাসন এবং শোষন করে এক পৃথিবীতে দ্বৈত পৃথিবীর অবস্থান তৈরী করে । যা এই পৃথিবী তথা সমাজকে দুটি শ্রেণীতে ভাগ করে পুজিবাদী সমাজ গঠন করে বিলুপ্ত দাস প্রথার নতুন ভার্সন শুরু করার পায়তারা করে চলেছে । এর অবসান দরকার নইলে আমরাও আশঙ্কার মধ্যে দিনানিপাত করতে হবে ।

আপনারা গ্রামীণ ফোন-এর ডিজিটাল দুনিয়ার কথা চিন্তা করে নিশ্চয়ই এখনো শিহরিত হন । প্রতি মিনিট ৭ টাকা, কোন পালস্ সুবিধা নেই অর্থাৎ ১ সেকেন্ড কথা বললেও ৭ টাকার গরদান দিতে হতো । তাই বলে আমরা কিন্তু পিছ পা হইনি কথা বলা থেকে, তবে সংযত থেকেছি মাত্র । কিন্তু সেই দিন এখন নেই ।

দিন বদলে গেছে তবে কিভাবে..... প্রতিদ্বন্দিতা দিয়ে শুরু হয় এই দিনবদলের । বাংলালিংক নতুন ডিজিটাল দুনিয়া নিয়ে এসে কল রেট কমানোর কথা প্রথম চিন্তা করে । প্রতিযোগীতাটা বেশ চমৎকার হলেও বাংলালিংকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল সেদিন । কারন গ্রামীনফোন মানুষের মগজ কিনে নিয়েছিল এই বলে.... নেটওয়ার্ক দেশব্যাপী । কিন্তু প্রতিয়োগীতার ফলে আজ আমরা কিন্তু অনেক সুবিধাই ভোগ করে থাকি । যখন একপক্ষীয় গ্রামীণ ফোনের ডিজিটাল দুনিয়া ছিল তখন আমরা হাতের ভিতরে হাত দিয়ে কচলাতাম এবং ৭,২০০ টাকা দিয়ে সিম কিনতাম এবং পিছনে বসে গালাগালি দিতাম । কিন্তু আজ আর তেমনটি নয়, এখন ডিজিটাল ফোন কোম্পানিগুলো আমাদের আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন সময় আকর্ষনীয় অফার দিয়ে থাকেন । আমরা সান্দনে আমাদের পছন্দমত গ্রহন করে নেই ।

এই কর্পোরেট দুনিয়া এখন অনেক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিচিন্তার মাঝে হরহামেশাই খুজে পাই । ধরুন একটি প্রতিষ্ঠান টাকা জমা রাখার বিপরীতে একটি লাভজনক লভাংশ দেয়ার প্রতিশ্রুতি না দিয়েও একসময় লাভজনক লভাংশ প্রদান করায় আমাদের মত মানুষরা হুমরি খেয়ে পরল । তবে শর্ত বা চিন্তা থাকে যে, এই লভাংশ প্রদানের বিপরীতে তার সাথে সর্বদা সখ্যতা রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে সে আপনাকে ব্যবহার করবে । কারন প্রতিষ্ঠানটিতে নিজের অবস্থান ধরে রাখার জন্য ব্যক্তির দরকার । কিন্তু ঐ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য নিত্য নতুন ব্যক্তির অংশগ্রহণ । আপনাকে যখন বশে নিয়ে গেল তখন তার চিন্তা নতুন ব্যক্তিদের নিয়ে । কর্পোরেট দুনিয়ার লক্ষ্ এবং উদ্দেশ্যই হল, যে একবার বশে এসেছে তার জন্য আর নতুন সুযোগ নয়, নতুনদের আকর্ষন করার জন্য দরকার নতুনদের জন্য সুযোগ । যেখানে ঐ কোম্পনির প্রতিযোগীরা খুবই দূর্বল ।

এখন চিন্তার বিষয় হলোঃ পুরাতন বশে থাকা ব্যক্তিরা কি চুপ থাকবে নাকি নিজেদের অবস্থান ধরে রাখা বা তৈরী করার জন্য জোটবদ্ধ থেকে ঃ হয় পুরাতনদের বেশি সুযোগ দিতে বাধ্য করতে হবে, নতুবা প্রতিযোগী কোম্পানিকে শক্তিশালী করতে হবে, নতুবা নিজেদের প্রচেষ্টায় নতুন কোন লাভজনক পদ্ধতি তৈরী করতে হবে । কখনই এ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা যাবে না । মনে রাখতে হবে আপনার হাতে শক্তি কোন অংশেই কম নয় । জোটবদ্ধ লাঠির ভাংগার গল্প নিশ্চয়ই আমরা সর্বদা মনে রাখি । আর নয় কর্পরেট দুনিয়ার শোষন । অধিকার বলে কথা---- আদায় করে নিতে হয় । দূর্বল নয় বুদ্ধিমত্তা দিয়ে শক্তিশালী হবার কোন বিকল্প নয় । কর্পোরেট দুনিয়া হচ্ছে বুদ্ধির দুনিয়া, যেখানে আবেগের অবস্থান নিভু নিভু প্রদীপের আলোর মত দেখা যায় মাত্র, কোন কাজে আসেনা । যারা পোষ্টটি মন দিয়ে পড়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং সামনের পথ চলা সুন্দর হোক এই শুভ কামনা ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.