নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপর্না হালদার

always want to know

অপর্না হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সনাতন ধর্ম প্রথা এবং বিজ্ঞান । পর্ব -২

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

সম্রাট আকবর এই উপমহাদেশের দুই বৃহত্তম সম্প্রদায় হিন্দু-মুসলমানের মিলনের জন্য বিশেষ চেষ্টা করেছিলেন সম্রাট আকবর মন্ত্রী বীরবলকে বলেছিলেন-"তোমরা বল স্রষ্টা মানুষ হয়ে আসেন জীবজগতের মঙ্গলের জন্য । কিন্তু তিনি তো প্রেরিত পুরুষ প্রেরণ করেই তা সমাধা করতে পারেন, তাকে ক্ষুদ্র মানুষ হয়ে আসতে হবে কেন ? বীরবল তক্ষুনি উত্তর না দিয়ে এই অবতার তত্ত্ব বোঝানোর জন্য সময় চেয়ে নেন সম্রাটের কাছে । বিকেলে আকবর পরিষদ বর্গ নিয়ে নৌকা করে যমুনা বিহার করতেন । একদিন আকবর দেখলেন তাদের নৌকা থেকে কিছুটা দূরে আরেকটি নৌকায় তার ছেলে এবং বীরবল । হঠাৎ লক্ষ্য করলেন সেই উত্তাল তরঙ্গিত মাঝ যমুনায় তার শিশু সন্তানকে ফেলে দিলেন । দেখা মাত্রই আকবর ছেলেকে বাঁচাতে মাঝ যমুনায তৎক্ষনাত নিজেই ঝাঁপিয়ে পড়েন ।পরে ছেলেকে তোলা হলে দেখা গেলো ছেলে নয় ছেলেরই অবিকল এক মূর্তি । তখন ক্রাধান্বিত হয়ে সম্রাট বীরবলকে হত্যা করতে উদ্ধত হলে বীরবল বিনম্র কন্ঠে বললেন-: আমাকে হত্যা করার আগে দয়া করে শুধু একটি প্রশ্নের উত্তর দিন, আপনার পাশে এত পরিষদবর্গ থাকা সত্ত্বেও আপনি নিজে কেন ঝাঁপিয়ে পড়লেন ? সম্রাট বললেন তুমি বলছ কি, আমারই চোখের সামনে আমার নিজের সন্তান ডুবে যাচ্ছে আর আমি ঝাঁপিয়ে পড়বো না ? তখন বীরবল বলেছিলেন, স্রষ্টাও যখন দেখেন তাঁর প্রিয় সৃষ্টি তাঁরই চোখের সামনে অতলে তলিয়ে যাচ্ছে তখন তিনিও পাগলের মত নিজেই ঝাঁপিয়ে পড়েন ।" তিনি যে প্রেমময় । নিজে অবতার হয়ে আসার ভিতর দিয়েই তার পরমপ্রেমময় সত্তা পরিপূর্ণভাবে সার্থক হয়ে ওঠে । জগতের সমস্ত রূপরস, অমৃত সৌন্দর্য মাধুর্যে উৎসমূল তিনি । তিনি যদি স্বয়ং রূপময় হয়ে না আসেন তাহলে ভক্তপ্রেমী সাধকের কাছে তাঁর ভক্তবাঞ্ছা কল্পতরু নাম মিথ্যা হয়ে যায় । কারণ প্রেমী সাধকের কাছে তার প্রেমাস্পদকে দেখার তৃষ্ণা চিরকাল অফুরন্ত থেকে যায় । সনাতন ধর্মমতে র্নিগুন নিরাকার স্রষ্টার উপাসনার চেয়ে স্বগুন সাকার রূপময় অবতারের উপাসনাকেই শ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে । আর সেই অবতার যুগে যুগে যুগোপযোগী হয়ে আসেন । তাঁর দেহান্তর হলেও তিনি চিরজীবন্ত চিরজাগ্রত । তাঁর দেহান্তর হলে তাঁর মূর্তি সামনে রেখে তাঁকে জীবন্ত জাগ্রত জ্ঞানে উপাসনা করে থাকেন হিন্দুরা । প্রেমের এই নিবির নিগূঢ় অনুভূতিময় অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকে অনুধাবন করতে না পেরে মূর্তিপূজার বাহ্যিক রূপ দেখে হিন্দুদের পৌত্তলিক বলে অবজ্ঞা করা হয় । স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন-
"পূতুলপূজা করে না হিন্দু কাঠ মাটি দিয়ে গড়া
মৃন্ময়ী মাঝে চিন্ময়ী হেরে হ'য়ে যায় আত্মহারা ।"
ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব বলেছেন-
"মাটির আতাফল দেখলে সত্যি আতাফলের কথা মনে পড়ে ।" ....চলবে.....

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: ভাল লাগলো জেনে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.