![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লগে ফিরে আসা হবে চিন্তাতেই ছিল না। নতুন ব্লগের জন্য প্রচুর পড়তে হবে।
আমাদের দেশেও ক্রাউড ফান্ডিং এর কার্যক্রম শুরু হতে চলেছে, এরই মাঝে কিছু প্রজেক্টও চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীতে এটিই দেশের বড় একটি আস্থার কারণ হয়ে দাড়াবে।
সবার আগে ক্রাউড ফান্ডিং নিয়ে কিছু কথা ও ক্রাউড ফান্ডিং সম্পর্কে ধারনা ।
ক্রাউড ফান্ডিং কি ??
শুরুতেই আমাদের জেনে নিতে হবে ক্রাউড ফান্ডিং বিষয়টা আসলে কি? সাধারনভাবে বলতে গেলে ক্রাউড ফান্ডিং বলতে, কোন একটি প্রোজেক্ট বাস্তবায়নের জন্যে অল্প অল্প করে অনেকের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের পক্রিয়াকে বুঝায় । ইন্টারনেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে অনেক মানুষের কাছ থেকে অল্প পরিমানে এই অর্থ সংগ্রহ করা হয় ।
কোন প্রোজেক্টের জন্যে অর্থ সংগ্রহ ?
যে কোন প্রোজেক্টের জন্যে এই অর্থ সংগ্রহ করা যেতে পারে । যেমন - অসহায় কোন ব্যাক্তির জন্যে অর্থ সংগ্রহ, ব্যাক্তিগত কাজের জন্যে বা ব্যবসার জন্যেও মূলধন সংগ্রহ করা হয় ।
আপনি কিভাবে লাভবান হতে পারেন ?
যারা অর্থ দিবেন তারা মূলত ৪ প্রকারে তা দিতে পারেন এবং লাভবান হতে পারেন ।
১। অনুদান প্রদান এবং এর মাধ্যমে কোন একটি উদ্যোগ বাস্তবায়িত করার সহযোগীতা করার মাধ্যমে তৃপ্তি লাভ । ২। রিওয়ার্ড বেইস / অর্থ প্রদানের মাধ্যমে ভবিষৎ এ কোন সেবা গ্রহন করার সুযোগ লাভ । ৩। প্রস্তাবিত ব্যবসায় অংশীদার হয়ে ৪। প্রদেয় অর্থের ওপরে সুদ গ্রহনের মাধ্যমে*
ক্রাউডফান্ডিং কেন ও কিভাবে ?
ক্রাউডফান্ডিংয়ের যাত্রা ত্বরান্বিত হয় বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে । ২০০৮ সালে অ্যামেরিকাসহ ইউরোপের দেশগুলো যখন অর্থনৈতিক মন্দার কারনে ধুঁকছিল তখন ব্যাংকগুলো নতুন উদ্যোক্তাদের জন্যে কিছুই করতে পারছিল না । এমনকি পুরনো উদ্যোক্তাদেরও অর্থ সহায়তা পেতে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছিল । ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মগুলো তাদের কার্যক্রম সংকুচিত করে ফেলছিল । সেই সময়টাতে ক্রাউডফান্ডিং উদ্যোক্তাদের মধ্যে নতুন আশার আলো দেখাতে শুরু করে । ২০০৯ থেকে মূলত ক্রাউডফান্ডিং প্লাটফর্মগুলো উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সংগ্রহের জন্যে সুযোগ তৈরি করে দেয় । কিকস্টার্টার ও ইন্ডিগোগো প্লাটফর্ম দুটি কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তারা তাদের উদ্যোগের জন্যে প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহ করার সুযোগ পায় । সেই থেকে শুরু এরপর একের পর এক সফলতার গল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ক্রাউডফান্ডিং । ক্রাউডফান্ডিং প্লাটফর্ম ব্যবহার করে একজন উদ্যোক্তা বা কোন একটি সংগঠন তাদের প্রকল্পের জন্যে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে । যেকোন প্রকল্প যেমন মোশন পিকচার প্রমোশন থেকে শুরু করে, লাইব্রেরী বানানো, গভেষনা কার্যক্রম পরিচালনার জন্যে, অসুস্থ্য মেধাবী শীক্ষার্থির চিকিৎসার জন্যে, বন্যা বা ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক দোর্যোগে আক্রান্ত জনসাধারণের সাহায্যার্থে এমনকি ব্যাক্তিগত ফান্ড গঠনের জন্যেও ক্রাউড ফান্ডিং মেথড ব্যবহৃত হয় । এরজন্যে আপনাকে শুধু বুঝাতে হবে আপনার ফান্ড বৃদ্ধি করতে চাওয়ার উদ্দেশ্য ।
একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির কোন প্রকল্পের জন্যে ফান্ড সংগ্রহের সুযোগ পাওয়া যায় ক্রাউডফান্ডিং প্লাটফর্মে । এরজন্যে একজন উদ্যোক্তাকে তার প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত লিখে এবং এই প্রকল্পের জন্যে আপনার কি পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন তা উল্লেখ করে পোষ্ট করতে হয় । পোষ্ট করা শেষে উদ্যোক্তা ক্রাউডফান্ডিং প্লাটফর্মের কমিউনিটি সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাধ্যমে ফান্ড সংগ্রহের লক্ষমাত্রা পূরণ করতে পারেন । কখনো কখনো লক্ষমাত্রা পূরণ নাও হতে পারে । ইন্ডিগোগো ২০১৪ সালে তাদের পরিচালিত ক্যাম্পেইনগুলোর মধ্যে মাত্র ৯% সফলভাবে ফান্ডিং করতে পেরেছিল । যদি আপনার অর্থ সংগ্রহের লক্ষমাত্রা পূরণ না হয় তাহলে যা সংগ্রহ করতে পেরেছেন তাই রেখে দিতে পারেন । এই সিস্টেমকে বলা হয় কিপ ইট অল । আবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলে সম্পুর্ন টাকা ফেরত দিয়ে দিতে পারেন যাকে বলা হয় কিপ অল অর নাথিং । ক্রাউডফান্ডিং ব্যবস্তায় ফান্ড বৃদ্ধি করার মৌলিক বিষয়টি হচ্ছে অনেক মানুষের কাছ থেকে অল্প পরিমানে অর্থ সংগ্রহ করা । যেমন কোন একটি প্রকল্পের জন্যে যদি ১ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হয় তাহলে তা ২০০ টাকা করে ৫০০ লোকে দিতে পারেন, আবার ১০০ টাকা করে ১০০০ জন লোকেও দিতে পারেন ।
উপরের লেখগুলো এ.আর.হোসাইন নামের এর থেকে নেয়া। লোকটি দেশে ক্রাউড ফান্ডিং এর যাত্রার জন্য কাজ করে চলেছেন, যেখানে ই-ক্যাবের সভাপতি রাজীব ভাইয়ের মতো আরও অনেক সুভাকাঙ্খী রয়েছে।
আমার মতে দেশে ঠিকভাবে ক্রাউড ফান্ডিং শুরু হলে অনেক মেধাবীর স্বপ্ন পূরণ হবে। অনেককেই নতুনভাবে ভাবে ভাবতে পারবে, একান্ত কিছু না হলেও স্বপ্নবাজদের ভাবতে শেখাবে। আর দেশের তরুণেরা এতে যোগ দিলেই, দেশ এক নতুন দিগন্ত পাবে। এখানে যতোটা আশার কথা আছে ঠিক কিছুটা সমস্যাও রয়ে গেছে। দেশে ক্রাউড ফান্ডিং এর যাত্রা সবে শুরু, আর কিছু সুবিধাবাদী মানুষ বরাবরই কিছু লুটে নেবার ধান্দায় থাকে তাই কোথাও টাকা দেবার আগে প্রজেক্ট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন।
২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৭
আব্দুল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমাদের দেশে আজও টাকার প্রসঙ্গ আসলেই 'মেরে দিবে' এই ভাবনা সামনে আসে। ক্রাউডফান্ডিং নিয়ে আরো গভীরে চিন্তা করা হচ্ছে, আশা করি সফলতার মুখ দেখা যাবে।
২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯
মোঃ ছহিম উদ্দিন বলেছেন:
আমি একেবারেই নতুন , তাই আমার মন্তব্য পড়ে কেউ আশ্চর্য হবেন না । দয়া করে শিখিয়ে দিলে খুব খুশী হব । ক্রাউড ফান্ডিং
-এ মূলধন কিভাবে সংগ্রহ করতে হয় তাও আমি সঠিক জানি না । মাত্র একটু ধারনা পেয়েছি । আশা করি এব্যাপারে আমাকে
উপদেশ দিয়ে শিক্ষা দিবেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭
মোঃ ছহিম উদ্দিন বলেছেন: ক্রাউডফান্ডিং খুব ভাল একটি ব্যবস্থাপনা । এটা সঠিক ভাবে প্রয়োগ হলে বাংলাদেশে অর্থনৈতীক বিপ্লব ঘটবে সুনিশ্চিত ।
শুধু প্রয়োজন সততার সাথে কাজ করা । সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে আহবান জানাচ্ছি । এই আন্দোলনের মাধ্যমে
স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়া সময়ের ব্যাপার মাত্র । অনেক মানুষ আছে যাদের মেধা ,জ্ঞান,অভিজ্ঞতা সবই আছে কিন্তু মূলধন নেই।
এরূপ মানুষের পাশে দাড়িয়ে মূলধনের ব্যবস্থা করলে গরীব আর গরীব থাকবে না । আর এধরনের মানুষের সংখ্যা একেবারে
কম নয় । আশা করছি ক্রাউডফান্ডিং এধরনের উদ্যোগকে নিরাশ করবে না । অনেকের স্বপ্ন পূরনে এগিয়ে আসবেন এই
প্রত্যাশা করি ।