![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লগে ফিরে আসা হবে চিন্তাতেই ছিল না। নতুন ব্লগের জন্য প্রচুর পড়তে হবে।
শিক্ষাখাতে বেশরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর ৭.৫% ভ্যাটের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে যা নিয়ে ছাত্ররা এখন রাজপথে আন্দোলনরত। বিষয়টি সবাই জানেন, প্রায় অধিকাংশ মানুষই আমাদের এই আন্দোলনে সাপোর্ট দিয়েছেন, সাময়িক এই কষ্টকে তারা আমাদের জন্য মেনে নিয়েছেন। আমাদের এই ছাত্র বিক্ষোফ ইতিহাস হয়ে রইবে, কারণ গত দিনে ঢাকার কোথাও কোন গাড়িতে ভাঙ্গচুর করা হয়নি, যদিও কিছুটা ছাত্র-পুলিশ দৌড়ানি চলেছে কিন্তু সেটা না করলেও পারতেন আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা।
আমার মনে বাংলাদেশের সবাই শিক্ষিত না হলেও মীরজাফরকে সবাই চেনেন, তার ইতিহাসটা লোকে জানে। যেখানে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে থেকে বিশ্বকে জানান দিয়ে এই ৭.৫% ভ্যাটের বিরুদ্ধে লড়ছি, জনগন আমাদের সাপোর্ট দিয়ে হাসিমুখে কষ্ট করে চলাফেরা করছেন সেখানে কিছু শিক্ষিত মীরজাফরের আনাগোনা লক্ষনীয়। আমরা যারা বেসরকারীতে পড়ছি তারা ভালো করেই জানি বছরে ছুটিটা একজন চাকুরিজীবির চেয়ে কম পাই, ঈদেও ঠি তেমনই। খুব জোর করে হলে ঈদে ৮দিন তবুও কতৃপক্ষের দেয়া ছুটির সাথে নিজের দুইদিন ক্লাসফাকি যোগ করে। এবারও নোটিস এসেছে ২১তারিখ ক্লাস হবে আর সকলকে অবাক করে নর্থ সাউথ, ব্র্যাক ও ইনডিপেনডেন্ট তাদের ঈদের ছুটি দিয়ে দিল!
ইনডিপেনডেন্ট গতকালই বন্ধ হয়েছে, আজ ব্রাক বন্ধ হবে আর কাল থেকে নর্থ সাউথ। আগামী ২৭ তারিখ পর্যান্ত বন্ধ থাকবে এই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। যতোদূর সম্ভব ঈদ ২৫/২৬ তারিখে তবে ২৮ তারিখ ক্লাস দিয়ে তারা বেসরকারী ভাবখানা ধরেই রেখেছে কিন্তু ঈদের ১০-১২দিন আগে ঈদের নামে বন্ধ কেন?
অবশ্যই তারা আমাদের এই আন্দোলন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে, দিন গেলেই এই পাল্লাটা ভারী হবে বলেই আমার ধারণা। আমার মনে হয় না ইতিহাসে এমন বড় কোন শান্তিপ্রিয় আন্দোলন হয়েছে, এতো কষ্টের পরেও জনগন কখনো পাশে থেকেছে তাও জানা নেই। কিন্তু আমরা যখন বিশ্বের আকর্ষন নিজেদের দিকে টানতে পেরেছি ঠিক তখনই এভাবে ছুটি ঘোষনা করে আন্দোলনকে বিশ্বের কাছে কমজোর দেখানোর মানে কী? এমন শিক্ষিত মীরজাফরেরা আছে বলেই দেশে এতো অসন্তোস।
তারপরই চাইব আণ্দোলন এভাবেই শান্তি প্রিয়ভাবে চলবে। পুলিশভাইয়েরা আমাদের ফুল গ্রহণ করবেন এবং ভিরাগতদের থেকে আমাদের রক্ষা করবেন। আন্দোলন চলছে, চলবেই। রাজপথে যাচ্ছি দো-আ করবেন আমাদের জন্য।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪
আব্দুল্যাহ বলেছেন: আপনাদের কেন মনে হয়, তারা লুটপাট করছে?
প্রায় প্রতিটি ক্যাম্পাসেই সেন্টাল এসি আছে, যাদের নেই তারাও সার্বক্ষনিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা রেখেছে। যেখানে পাবলিকের টয়লেট গুলো পরিষ্কারের লোক কম সেখানে এদের সবারই সারাদিনে এমন কাজের লোক আছে, যারা দুই ঘন্টা পর পর টয়লেটগুলো পরিষ্কার করে দেয়। তাছাড়া এখন এই প্রতিষ্ঠাগুলোতে পিএইচডি ধারী শিক্ষকের সংখ্যাও বেড়েছে, তারাতো আর ২৫,০০০ টাকায় শ্রম দেয় না!
এটো কিছুর পরও কিছু জায়গায় শিক্ষার মান একটু কমই থেকে যাচ্ছে, আর সেটার দায়ভার সরকারের ও আমাদের ছাত্রদের। কারণ এমনটা হয়ে যাচ্ছে আর আমরা চুপ থাকছি, একটু পর্যবেক্ষণ করলেই কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যে দেশের সেরা বিদ্যাপিঠের পাশেই রবে সেটা বোঝাই যাই।
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: ভাই এই দেশে সকল অন্যায় অত্যাচার শোষণের বিরুদ্ধে যদি কেউ সংগ্রাম করে থাকে তাহলে ছাত্ররাই আগে ছিল।
আর ছাত্রদের ছাড়া বর্তমান বাংলাদেশে কোন আন্দোলন সফলতা পাবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ!
কেননা ছাত্র ছাড়া বাকী সবাই নিজের পেট বাঁচাতে ব্যস্ত।
আপনারা হাল ছাড়বেন না।
তবে সকল প্রকার অন্যায়, শোষণের বিরুদ্ধে ছাত্রদেরই সজাগ হওয়া উচিত।
শুভ কামনা রইল।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭
আব্দুল্যাহ বলেছেন: ভাই জয় হয়েছে, তবে এই সময়ে কষ্টের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭
মামু১৩ বলেছেন: "কিন্তু আমরা যখন বিশ্বের আকর্ষন নিজেদের দিকে টানতে পেরেছি ঠিক তখনই এভাবে ছুটি ঘোষনা করে আন্দোলনকে বিশ্বের কাছে কমজোর দেখানোর মানে কী?"---মাথায় কিছু থাকলে বুঝতে পারতেন। যখন আন্দোলনকারীদের চোখ ফোটা শুরু করেছে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের লুটপাটের বিরুদ্ধে লেখালেখি আলোচনা সরব হতে শুরু করেছে, তাদের স্বার্থে আঘাত লাগার আশংকায় তারা এই নাটক আর চলা নিরাপদ মনে করে নাই। ভ্যাট বন্ধ হলে তাদের লাভ, সরকারের ক্ষতি,যে কোন অবস্হায় লুটপাট চলবে, লুটপাটের বিরুদ্ধে ছাত্ররা আন্দোলনে যাবে না।