নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটাই জীবন,এটাই শেষ চান্স,মুসলিম হওয়ার।

বিজ্ঞানের ক্লাসে কোন নিউটন বা আইনস্টাইনের বাণীর প্রতি অন্ধ বিশ্বাস ও ভক্তি নিয়ে বসবেন না।প্রতি ক্ষেত্রে সন্দেহ করুন, প্রশ্ন করুন অবিরত।বিজ্ঞান কারো বাণী দিয়ে চলেনা।বিজ্ঞান চলে যুক্তি ও প্রমাণের উপর।প্রতি লাইনে লাইনে প্রমাণ চাই।

মূসা আলকাজেম

এই ব্লগের যেকোন লেখা বিনা অনুমতিতে কপি-পেষ্ট করা যাবে

মূসা আলকাজেম › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা কোরানে শুধু বিজ্ঞান খোঁজেন বা যারা বিজ্ঞান দিয়ে কোরআনের ভুল ধরেন তারা সবাই একটু দেখুন। সাইন্টিফিক মেথড সম্পর্কে আগে জানুন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

سم الله الرحمن الرحيم

সকল প্রশংসা আল্লাহর। অসংখ্য দরুদ নাযিল হোক তাঁর নবীর উপর বারবার।



বাংলা ভাষার ব্লগগুলোতে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন থিওরী সম্পর্কে অনেক আলোচনা থাকলেও সাইন্টিফিক মেথড বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে তেমন কোন আলোচনা চোখে পড়লোনা। অথচ যেসব কথা বিজ্ঞানের নামে চালিয়ে দেয়া হয়, সেগুলো কোনটা কতটুকু গ্রহণযোগ্য, কোনটা বিজ্ঞানের কথা হিসাবে চালানোর উপযুক্ত আর কোনটা উপযুক্ত না ইত্যাদি বুঝতে হলে সাইন্টিফিক মেথড সম্পর্কে খুব ভালো করে ধারণা থাকা চাই। তানাহলে অনেক সময় কিন্তু বিজ্ঞানের নামে বিভিন্ন গাঁজাখুরি কথাও মেনে নিতে হবে। তাই আমি এখন সাধারণ মানুষের উপযোগী করে সাইন্টিফিক মেথড সম্পর্কে আলোচনা করবো, যাতে করে যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়েনি, তারাও কোন থিওরী শুনলে মোটামুটি আইডিয়া করতে পারে যে, এই থিওরীটি কোন পর্যায়ের।অবশ্যই মনযোগ দিয়ে মুক্ত মন নিয়ে পড়তে হবে, সত্যকে গ্রহণ করার মানসিকতা নিয়ে পড়তে হবে।খামোখাই কয়েকজন বিজ্ঞানীর প্রতি অন্ধ ভক্তি বিজ্ঞানকে শুধু পিছিয়েই দিবে।



বিজ্ঞানীরা কিভাবে সাইন্টিফিক মেথডের সাহায্যে ধাপে ধাপে কোন ঘটনার পিছনের অজানা কারণ বের করে সেটা আপনারা নিচের চিত্রগুলো দেখলেই একটা সংক্ষিপ্ত ও সরল ধারণা পেয়ে যাবেন।













আমরা হয়তো অনেকেই উপলব্ধি করিনা যে, আমরা সবাই কিন্তু যার যার পরিমণ্ডলে এক একজন বিজ্ঞানী। কোন কিছু ঘটতে দেখলে একজন বিজ্ঞানী যেমন সেই ঘটনার পিছনে কারণ আনুসন্ধান করেন, তেমনি একজন সাধারণ মানুষও কিন্তু তাই করে। এবং এই কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে একজন বিজ্ঞানী যেমন ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে অগ্রসর হয়, তেমনি একজন সাধারণ মানুষও সেই ধাপে ধাপেই অগ্রসর হয়। তবে সাধারণ মানুষ শুধু তার দৈনন্দিন জীবনের ঘটনাবলীর ক্ষেত্রেই তার চিন্তাধারাকে সীমাবদ্ধ রাখে, কিন্তু বিজ্ঞানীরা প্রকৃতির অনেক কিছু নিয়েই চিন্তা করেন, গবেষণা করেন, আরো অনেক কিছু করেন। এখন আমি আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে কিছু উদাহরণ দিবো এবং দেখতে চেষ্টা করবো যে, এসব ক্ষেত্রে আমরা কিভাবে চিন্তা করি। ফলে আপনারা নিজেরাই বুঝে নিতে পারবেন যে আপনারাও যার যার পরিমণ্ডলে এক একজন বিজ্ঞানী; আপনার চিন্তার পদ্ধতি আর একজন বিজ্ঞানীর চিন্তার পদ্ধতির মধ্যে খুব বেশী তফাৎ নেই। এরপর আমি সাইন্টিফিক মেথডের কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করবো।



উদাহরণঃ ১



১-যেমন ধরেন আপনি বাইরে থেকে এসে দেখলেন আপনার ঘরের জানালার কাঁচ ভাঙ্গা। এটা একটা চাক্ষুষ বাস্তব ঘটনা।বিজ্ঞানের ভাষায় এটা হলো observation



২-আপনি কিন্তু এখন একজন বিজ্ঞানীর মতই এই ঘটনার কারণ খুঁজবেন যে , কেন কাঁচটি ভাঙ্গলো।বিজ্ঞানের ভাষায় এই ধাপটি হলো Asking a question



৩-এরপর দেখুন কাঁচটি কেন ভাঙ্গল এটা বের করতে গেলে প্রথমে আমাদের কমনসেন্স ও পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে , খেয়াল করুন কি বলছি আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমাদের মাথায় মোটামুটি একটা লিস্ট তৈরী হবে বা আগে থেকে একটা লিস্ট তৈরী থাকে যে, মোট কি কি কারণে কাঁচটি ভাঙ্গতে পারে। যেমন ১-কোন চোর ভাঙ্গতে পারে ২-কেউ ঢিল দিয়ে ভাঙ্গতে পারে ৩-ভুমিকম্পে ভাঙ্গতে পারে ৪-কোন উচ্চ শব্দের কারণে ভাঙ্গতে পারে ৫-কোন শক্তিশালী রশ্মি নিক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে ভাঙ্গতে পারে ৬-কোন বল লেগে ভাঙ্গতে পারে ইত্যাদি। এটা হলো প্রথম কাজ । বিজ্ঞানের ভাষায় এগুলো হলো সব উক্ত ঘটনার সম্ভাব্য ব্যাখ্যা বা হাইপোথিসিস বা থিওরী।



৪-লিস্ট তৈরী হওয়ার পর আমরা কি করি? এরপর আমরা স্থান কাল পাত্র বিবেচনা করে,পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে কোন কারণটা বেশী সম্ভাব্য সেটা নির্বাচন করি। এই ধাপগুলো কিন্তু অটোমেটিকই আমাদের ব্রেনে কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যায়। যাইহোক যখন আপনি একটি বেশী সম্ভাব্য কারণ নির্বাচন করলেন,তখন বিজ্ঞানের ভাষায় বললে বলতে হয় যে, আপনি উক্ত ঘটনার কি কারণ হতে পারে সেটার একটি হাইপোথিসিস বা থিওরী দিলেন।



৫-এই ধাপে এসে আমরা প্রমাণ খুঁজি। কিসের প্রমাণ? ঐ যে আমরা ৪নং ধাপে একটি অধিক সম্ভাব্য কারণ অনুমান করেছি সেটার জন্য প্রমাণ খুঁজি যে,এই কারণেই যে হয়েছে,অন্য কোন কারণে যে হয়নি এর প্রমাণ কি। যেমন ধরেন, আপনি যদি এখন একথা বলেন যে বা এই থিওরী দেন যে,কাঁচটি কেউ ঢিল দিয়ে ভেঙ্গেছে ;শুধু বললেই কি এটা সাব্যস্ত হয়ে যাবে যে কাঁচটি ঢিলের কারণেই ভেঙ্গেছে? না,কোনদিনও সাব্যস্ত হবে না। কারণ,আরো অনেক কারণেই কাঁচ ভাঙ্গতে পারে। তবে আপনি কাঁচ ভাঙ্গার একটি ব্যাখ্যা করেছেন বলা যাবে,কারণ ঢিলের কারণেও কাঁচ ভাঙ্গা সম্ভব। কিন্তু এই ব্যাখ্যা শুধু দিলেই হবে না,এটা সাব্যস্ত করতে হলে আপনাকে আলাদা প্রমাণ দেখাতে হবে যে,বাস্তবেও ঢিলের কারণেই কাঁচ ভেঙ্গেছে;অন্য কোন কারণে ভাঙ্গেনি। প্রমাণ না করে শুধু ব্যাখ্যা করে,শুধু থিওরী কপচিয়ে কিন্তু আপনি পাশের বাড়ীর দুষ্ট ছেলেটির উপর কোন অভিযোগ আনতে পারেন না।(ঠিক এমনি আপনি সমুদ্রের কিনারে দাঁড়িয়ে দেখলেন যে,তীরের দিকে আগমনকারী জাহাজের প্রথমে মাস্তুল দেখা যায় এরপর আস্তে আস্তে পুরো জাহাজ দেখা যায়, এটা হলো একটি ঘটনা। এরকম কেন হলো ? সেটার ব্যাখ্যা দেয়া হলো এই বলে যে পৃথিবী আসলে গোলাকার। কিন্তু শুধু ব্যাখ্যা করলেই হবেনা, আপনাকে প্রমাণ দেখাতে হবে যে,গোলাকার বলেই এমন ঘটছে,অন্য কোন কারণে নয়।দিগন্তে বা দূরেতো আমরা কত কিছুই ভুল দেখি। নিম্ন মরীচিকা দেখি,ঊর্ধ্ব মরীচিকা দেখি,রেললাইন দূরে গিয়ে মিলে যেতে দেখি, দিগন্তে চাঁদকে তুলনামূলক বড় দেখি ইত্যাদি।এরকম জাহাজের মাস্তুল আগে দেখা যাওয়ার ব্যাপারটিতো আমাদের দেখার ভুল বা সীমাবদ্ধতার কারণেও হতে পারে,বা অন্য কোন কারণে হতে পারে; যেটাই হোক ,প্রমাণ দেখাতে হবে শুধু ব্যখ্যা করলেই সেটা বিজ্ঞান হয়ে যাবেনা। বিজ্ঞানীরা কি প্রমাণ দেখিয়েছেন নাকি এই ব্যাখ্যাকেই প্রমাণ হিসাবে চালিয়ে দিচ্ছেন? এখানেই নিজেকে চিনে নেন। আপনি কি মুক্তমনা নাকি বদ্ধমনা, গোঁড়া। আর শুনেন ছবি বা ভিডিও এগুলো কোন প্রমাণ নয়।কেননা ছবি বা ভিডিওগুলো যে আসল , বানোয়াট নয় সেটা কে প্রমাণ করবে। এখানে আবেগের কোন জায়গা নেই। আপনি যখন আপনার থিওরীর উপর ভিত্তি করে কোরআনের কোন আয়াতকে ভুল বলবেন তখন আগে আপনার থিওরীর পক্ষে অকাট্য প্রমাণ দিতে হবে। গালাগালি করে কোন লাভ নেই। সত্য বড় নির্মম আর তিক্ত।) যাইহোক আসেন এবার আগের কথায়। আপনি যে আপনার থিওরীর প্রমাণ বের করবেন, এটা কিভাবে করবেন? বিজ্ঞানের ভাষায় একটু কঠিন করে বললে বলতে হয় ,আপনি এখন আপনার এই ঢিলের কারণে কাঁচ ভাঙ্গার থিওরীর উপর ভিত্তি করে,একটি প্রেডিকশন করবেন। আর সহজ বাংলায় এভাবে বলা যায় যে,আপনি এখন চিন্তা করবেন যে,ঢিলের কারণে কাঁচ ভাঙ্গলে,এর রেজাল্ট কি দাঁড়াবে? ঘরে একটা ঢিল পাওয়া যাওয়ার কথা। নাকি?



৬-এই ধাপে এসে আপনি ঘরে ঢিল খুঁজতে শুরু করবেন। এটাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে টেস্ট বা এক্সপেরিমেন্ট। অর্থাৎ আপনার চতুর্থ ধাপে অনুমান করা হাইপোটি ঠিক না বেঠিক সেটা আপনি এখন টেস্ট করছেন। যদি ঘরে ঢিল খুঁজে পান, তাহলে বুঝা গেলো যে আপনার অনুমান করা হাইপোটি ঠিক আছে।তখন এটা প্রকৃত থিওরী হিসেবে মর্যাদা পাবে। (আসলেই কি তাই? এমনও তো হতে পারে যে,জানালার কাঁচ ভাঙ্গার পর কেউ ঢিল মেরেছে।চিন্তা করুন।) আর যদি ঘরে ঢিল খুঁজে না পান তাহলে বুঝা যাবে যে আপনার অনুমান করা থিওরীটি ঠিক নয়। (আসলেই কি তাই? এমনও তো হতে পারে যে, ঢিলটি এমন চিপায় গিয়ে ঢুকেছে যে আপনি খুঁজে পাননি।) যাইহোক ঢিল খুঁজে না পেয়ে যখন আপনি বুঝলেন যে আপনার থিওরিটি ঠিক নয়, তখন আপনি আবার ৪নং ধাপে ফিরে যাবেন। ৩নং ধাপের লিস্ট থেকে আরেকটি কারণকে আপনি বাছাই করবেন এবং আরেকটি হাইপোথিসিস বা থিওরি দিবেন। আবার টেস্ট করবেন এভাবে চলবে। তবে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই অনুসন্ধানকে বেশী সামনে চালাইনা। কারণ দরকার হয়না।((আর ঐ ব্র্যাকেটের মাঝে আসলেই কি তাই বলে আমি প্রকৃতপক্ষে বুঝাতে চাচ্ছি যে আমাদের এই চিন্তা পদ্ধতি অর্থাৎ একটি প্রেডিকশন করে থিওরীকে যাচাই করার পদ্ধতি কখনোই ১০০% নির্ভুল নয়। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে ঠিকমত আগালেও ভুল হতে পারে,হয়।তো,এত সহজ সরল ঘটনাতেই যখন এই অবস্থা,বিজ্ঞানীরাতো আরো জটিল সব ঘটনা নিয়ে কাজ করে। সেখানে যে কি সব গোঁজামিল তারা নিজেরা গিলছে আর আমাদেরকে গিলাচ্ছে সেটা শুধু সর্বজ্ঞানী স্রষ্টাই বলতে পারবে।))



উদাহরণঃ২



ধরুন,আপনার ফ্রিজটি খুলে আপনি দেখতে পেলেন যে,ফ্রিজের ভিতরের বাতি বন্ধ। এখানেও কিন্তু উপরের ধাপগুলোর মতই আপনার চিন্তা একজন বিজ্ঞানীর মত পর্যায়ক্রমে অগ্রসর হবে।

১-ফ্রিজের বাতি বন্ধ। এটা হলো অবজারবেশন।

২-এখন প্রশ্ন হলো কেন বাতি বন্ধ?

৩-বাতি বন্ধ হওয়ার কারণসমূহের একটা লিস্ট তৈরী হবে কমনসেন্স ও পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে। এই ধাপটি সব সময় ও সবার ক্ষেত্রে নাও হতে পারে।

৪-একটি অধিক সম্ভাব্য এবং প্রায়ই ঘটে এমন একটি কারণ আপনার মাথায় দ্রুত জাগবে। আপনি এখন একটি হাইপো বা থিওরী দিবেন যে,কারেন্ট চলে গেছে,এজন্যই হয়তো ফ্রিজের বাতি বন্ধ।

৫-এবার আপনি আসলেই কারেন্ট গিয়েছে কিনা তার প্রমাণ খুঁজবেন। সেই জন্য মনে মনে একটা প্রেডিকশন করবেন যে, কারেন্ট যদি চলেই গিয়ে থাকে তাহলে তো অন্য কোন বাতিও না জ্বলার কথা।

৬-এবার আপনি আপনার এই প্রেডিকশন ঠিক কিনা সেটা টেস্ট করবেন। আপনি কোন বাতির সুইচ অন করবেন। যদি সেই বাতি না জ্বলে তাহলে বুঝবেন যে, আপনার অনুমান করা কারণটি তথা আপনার দেয়া হাইপোথিসিসটি ঠিকই আছে অর্থাৎ কারেন্ট আসলেই চলে গেছে।(আসলেই কি তাই? এমনও তো হতে পারে যে,বাতিটি ফিউজ হয়ে গিয়েছিলো) আর যদি সেই বাতি জ্বলে উঠে তাহলে বুঝবেন যে আপনার কারেন্ট চলে যাওয়ার হাইপোথিসিসটি ঠিক নয়। তখন আবার ৪নং ধাপে ফিরে গিয়ে আরেকটি কারণ তথা আরেকটি হাইপোথিসিস দাঁড় করাবেন। এভাবে চলবে।



উদাহরণঃ৩



আবার ধরুন, আপনি আপনার রুমে বসে আছেন। আপনার রুমের দরজাটির দুই পাটের। হঠাত দরজাটিতে একটু আওয়াজ হলো এবং তা একটু ভিতরের দিকে ঢুকে গেলো। এখানেও কিন্তু আপনার বৈজ্ঞানিক মন এর কারণ অনুসন্ধানে লেগে যাবে ধাপে ধাপে।

১- দরজাতে আওয়াজ হলো। এটা হলো পর্যবেক্ষণকৃত ঘটনা বা ফেনোমেনন(phenomenon)



২-এমন কেন হলো?



৩-এবার দরজাতে আওয়াজ হওয়ার কি কি কারণ থাকতে পারে, সেগুলোর একটা মোটামুটি লিস্ট আপনার মাথায় কমনসেন্স আর পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে তৈরী হবে বা আগে থেকেই তৈরী আছে। যেমনঃ (ক) কোন মানুষ ধাক্কা দিয়েছে, (খ) কোন বিড়াল ধাক্কা দিয়েছে (গ) বাতাসের কারণে আওয়াজ হয়েছে ইত্যাদি । ((বিঃদ্রঃ-একেতো এই ধাপটি সর্বক্ষেত্রে আর সর্বজনে হয়না, আর যখন হয় তখনও আমরা এই ধাপটি খুব দ্রুত অতিক্রম করে চতুর্থ ধাপে চলে যাই। তাই এই ধাপটি সবাই উপলব্ধি করতে পারেনা এবং এই ধাপের কথা সাইন্টিফিক মেথড সম্পর্কিত লেখাগুলোতেও পাওয়া যায়না। তবে কমপক্ষে এতটুকুতে নিশ্চয়ই আপনারা একমত হবেন যে,আপনার আমার মাথায় লিস্ট তৈরী হোক বা না হোক,বাস্তব জগতে তথা প্রকৃতিতে কিন্তু একটা ঘটনা কি কি কারণে ঘটে তার একটা লিস্ট থাকে।))



৪-এবার আপনি একটি অধিক সম্ভাব্য ও প্রায়ই ঘটে এমন একটি কারণকে নির্বাচন করে একটা থিওরী দিবেন। (আসলে এটা হাইপোথিসিস। কিন্তু এটাকে অনেক সময়ই থিওরীও বলা হয়।) যেমন ধরেন আপনি বলবেন যে দরজায় মনে হয় কোন লোক এসেছে এবং দরজায় ধাক্কা দিয়েছে।(এখন একটু ভালো করে খেয়াল করুন, কোন কারণে এই ঘটনাটি প্রায়ই ঘটে এটা আপনি কিভাবে বুঝবেন? যদি এই ঘটনা এর আগেও আপনার জীবনে বেশ কয়েকবার ঘটে থাকে তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন কোন কারণটি প্রায়ই ঘটে। আবার অধিক সম্ভাব্য কারণ কোনটি হবে এটাও কিন্তু আপনি তখনই বের করতে পারবেন যখন আপনার উক্ত ঘটনার পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানা থাকবে তখন। তানাহলে কিন্তু নয়। আলোচ্য ঘটনা থেকে দূরের কাউকে যদি আপনি এই ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন তাহলে সে হয়তো আপনাকে কয়েকটা থিওরী দিতে পারবে যে, হয়তো এই কারণে দরজাতে আওয়াজ হয়েছে, বা ঐ কারণে হয়েছে বা অমুক কারণে হয়েছে। কিন্তু সে যেহেতু পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানেনা, তাই সে কিন্তু অধিক সম্ভাব্য কারণ নির্ণয় করতে পারবেনা। এরপর সেটা প্রমাণ করাতো অনেক দূরের কথা। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বলে আমি বুঝাতে চাচ্ছি যে, এই যেমন ধরুন ১ম উদাহরণের কাঁচ ভাঙ্গার ঘটনার ক্ষেত্রে, সেখানে পাশের রাস্তায় ছেলে পেলেরা বল খেলে কিনা? বা ঢিলাঢিলি করে কিনা? বা সেখানে চোর যাওয়ার কোন সুযোগ আছে কিনা? বা সেখানে ঐ সময় কোন ভুমিকম্প হয়েছিলো কিনা? ইত্যাদি । এই কথাগুলো বললাম কেন? এই জন্যই যে এই ধাপের ক্ষেত্রে আমাদেরকে বিজ্ঞানের কয়েকটি শাখার কিছু নামে বিজ্ঞানী ধোঁকা দিয়ে থাকে। কোন ঘটনা হয়তো কোন গবেষক প্রথম মাত্র পর্যবেক্ষণ করলো,এরপর কিছু অপর্যাপ্ত রিসার্চ করে সে একটা থিওরী দিয়ে দেয়। এরপর এটাকে প্রমাণ করার আগেই বিজ্ঞান নামে চালিয়ে দেয়। এরপর বলা শুরু করে যে এই দেখো ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞান বিরোধী কথা আছে। )



৫-এই ধাপে আপনি ৪নং ধাপে দেয়া থিওরীর উপর ভিত্তি করে একটি প্রেডিকশন করবেন যে,কোন লোক এসে থাকলেতো মুখে আওয়াজ করবে। কিছু জিজ্ঞাসা করলে মুখে উত্তর দিবে।



৬- এই ধাপে আপনি আপনার প্রেডিকশনটি ঠিক কিনা সেটা টেস্ট করবেন। তাই আপনি জিজ্ঞাসা করবেন যে,কে? যদি কেউ বলে যে আমি অমুক; তাহলেতো বুঝে গেলেন যে ৪নং ধাপে আপনার অনুমান করা থিওরীটি ঠিকই আছে। আর যদি কেউ কিছু না বলে তখন বুঝলেন যে,অনুমান করা থিওরীটি মনে হয় ঠিকনা। তখন আবার ৪নং ধাপে ফিরে গিয়ে আরেকটি কারণ বাছাই করবেন। এরপরে আবার প্রেডিকশন আবার টেস্ট ।এখন একটু খেয়াল করুন,কে?এটা বলার পর কেউ কোন আওয়াজ দিলোনা; এটা কিন্তু অকাট্য দলীল নয় যে,কোন মানুষ নক করেনি। তাই আপনি কিন্তু উঠে দরজার কাছে গিয়ে আবার এটাও যাচাই করবেন যে,আসলেই কি কোন মানুষ আসেনি। আবার খেয়াল করুন, ধরেন আপনি উঠে গিয়ে দেখলেন দরজার সামনে কোন মানুষ নেই,এতেই কি প্রমাণ হয়ে যাবে যে কোন মানুষ আসেনি? এমনও তো হতে পারে যে, আপনার কোন বন্ধু দরজায় নক করে এখন দুষ্টুমি করে লুকিয়ে আছে। নাকি? এবার বুঝলেনতো ভালো করে একটু আগে যে ১ম উদাহরনের সময় বলে আসলাম যে, এভাবে প্রেডিকশন করে থিওরীকে যাচাই করাটা কখনো কখনো একদম সুস্পষ্ট ও সহজ সরল ঘটনার ক্ষেত্রেই ভুল হতে পারে।সেখানে বিজ্ঞানের কোন কোন ক্ষেত্রের অস্পষ্ট ও জটিল ঘটনার ক্ষেত্রে ভুল হওয়াটা একেবারে স্বাভাবিক। দেখেন,আমাদের দৈনন্দিন জীবনের চোখের সামনে ঘটা একেবারে সাধারণ ঘটনা,এখানেই কত প্যাঁচ। যদিও আমরা জটিলতা অনুভব করিনা। কারণ এখানে আমরা সব যাচাই করতে পারছি এবং সহজে যাচাই করতে পারছি এবং অল্প সময়ে যাচাই করতে পারছি। কিন্তু বিজ্ঞানীরা কাজ করে অনেক আগের,লক্ষ বছর আগের ঘটা ঘটনা নিয়ে,বা অনু পরমানুর অদৃশ্য জগত নিয়ে,বা লক্ষ কোটি মাইল দূরের গ্রহ নক্ষত্র নিয়ে,অনেক জটিল সব ঘটনা নিয়ে। এখন আপনি নিজের বিবেক খাটিয়ে একটু চিন্তা করেন যে, যেই তিনটি উদাহরণ নিয়ে আমি আলোচনা করলাম এগুলো হলো আমাদের একেবারে চোখের সামনের অতি সহজ ঘটনা। এসব ঘটনার আগপিছ, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, নাড়ী নক্ষত্র সব আমাদের জানা আছে। তাই এইসব ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা এই ছয়টি ধাপ সহজেই অতিক্রম করতে পারি। কিন্তু বিজ্ঞানীরা যেসব জটিল ঘটনা নিয়ে কাজ করে সেক্ষেত্রে এই ধাপগুলো অতিক্রম করা অনেক অনেক কঠিন, সেক্ষেত্রে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা পদে পদে। তাহলেই চিন্তা করুন জটিল কোন কিছুর ক্ষেত্রে, কোন থিওরী দিয়ে দেয়া, আবার সেটা প্রমাণ করার আগেই বিজ্ঞানের নাম করে সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষকে গিলানো এটা কত বড় জোচ্চুরি,কত বড় দাগাবাজি। আবার এই রকম কাল্পনিক থিওরীর উল্টা কোন কথা ধর্মগ্রন্থে থাকলে সেটাকে বিজ্ঞানবিরোধী বলা কত বড় নির্লজ্জতা। এর চেয়েও খারাপ হলো,কোন ধর্মীয় স্কলার যদি এইসব কাল্পনিক থিওরীর সাথে ধর্মগ্রন্থকে মিলানোর জন্য ধর্মগ্রন্থের নিজস্ব কোন মনগড়া ব্যখ্যা করে সেটা



দেখুন এতক্ষণ আমি সাইন্টিফিক মেথডের সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের তিনটি ঘটনা ব্যাখ্যা করলাম। এই ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি কিন্তু আমি কয়েক জায়গায় দেখিয়ে দিয়েছি যে সাইন্টিফিক মেথডের কোন কোন জায়গায় বিজ্ঞানীরা ফাঁক রেখে চলে যায়। এবার আমি শুধু ১ম উদাহরণটি ব্যবহার করে এই ধাপগুলোর সীমাবদ্ধতা তুলে ধরবো এবং দেখাতে চেষ্টা করবো মোটামুটি কোন কোন জায়গায় কিছু নাস্তিক ,ধাপ্পাবাজ, নামে বিজ্ঞানী আমাদেরকে বিজ্ঞানের নাম করে গাঁজাখুরি সব থিওরী গিলাচ্ছে আর ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞান বিরোধী কথা আছে বলে চেচামেচি করছে। যাইহোক আসুন তাহলে জানালার কাঁচ কেন ভাঙ্গল আবার সেটার বিশ্লেষণ করি।



১-প্রথমে আপনার অবজারবেশন হলো এই যে, আপনার রুমের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে গেছে। দেখুন এই যে আপনি এই ঘটনাটি দেখলেন এটা কিন্তু একটা সুস্পষ্ট ঘটনা, আপনার চোখের সামনের ঘটনা। এখানে ভুল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। কিন্তু বিজ্ঞানীরা (বিশেষ করে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা,বিবর্তনবাদীরা, কোয়ান্টাম ফিজিক্সওয়ালারা)কিন্তু বেশীরভাগ সময়ই এত সুস্পষ্ট ঘটনা নিয়ে গবেষণা করেনা। তারা অনেক দূরের বা অনেক আগের অস্পষ্ট পরিবর্তিত ফসিল বা অনেক অনেক ক্ষুদ্র জিনিষ নিয়ে গবেষণা করে। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের এই প্রথম ধাপেই অর্থাৎ পর্যবেক্ষণের মধ্যেই ঘাটতি থাকে, অস্পস্টতা থাকে, ভুল থাকে। তাহলে পরের ধাপগুলো যে কতটুকু সঠিক হবে সেটা আপনার আল্লাহপ্রদত্ত সাধারণ কমনসেন্স বা আকল দিয়ে বুঝে নিন ।



২-এবার আপনি কারণ খুঁজবেন। এটা চতুষ্পদ জন্তুরাও করবে। কেউ বলবেনা যে, জানালার কাঁচটি বিনা কারণে ভেঙ্গে গেছে।



৩-এই ধাপে এসে কাঁচ ভাঙ্গার সম্ভাব্য কারণগুলোর একটি মোটামুটি লিস্ট আপনার মাথায় তৈরী হবে, এরপর স্থান, কাল ও পাত্র বিবেচনা করে; পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে আমাদের মাথায় কিন্তু বেশী সম্ভাব্য কারণটিও জাগবে । সব ১/২ সেকেন্ডেই হয়ে যাবে । এরপর আপনি বেশী সম্ভাব্য কারণটির জন্য প্রমাণ খোঁজ করবেন, যদি সেটার কোন প্রয়োজন থাকে। নইলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা এত প্রমাণের পিছনে ছুটিনা সাধারণত। কারন, দরকার হয় না। হ্যাঁ, কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দাঁড় করাতে গেলে তখন কিন্তু প্রমাণ লাগবে। যাইহোক,এখন খেয়াল করুন যে,কাঁচ ভাঙ্গার ঘটনাই হোক বা যেকোন ঘটনাই হোক এটা সম্পর্কে যার পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান যত বেশী তিনি কিন্তু ততবেশী সম্ভাব্য কারণ বের করতে পারবেন। যার ভূমিকম্প সম্পর্কে পূর্বের কোন আইডিয়া নাই,যার শক্তিশালী রশ্মি সম্পর্কে পূর্বের কোন আইডিয়া নাই সে কিন্তু এগুলোকে তার লিস্টেই রাখবেনা,এগুলো নিয়ে সে কোন চিন্তাই করবেনা। অথচ এদিকে যদি এমন হয় যে ভূমিকম্পের কারণেই কাঁচ ভেঙ্গেছে,তাহলে কিন্তু সে সারা জীবনেও কাঁচ ভাঙ্গার কারণ বের করতে পারবেনা। কারণ সেতো ৩নং ধাপে করা তার মাথার লিস্ট থেকেই কোন একটা কারণ অনুমান করে নির্বাচন করবে,এরপর প্রেডিকশন করবে,এরপর টেস্ট করবে কিন্তু প্রত্যেকবারই সে ভুল করবে,কারণ তার গোঁড়াতেই ভুল। ঠিক এরকম ভুল কিন্তু বিজ্ঞানীরাও করেন।



৪-এই ৪নং ধাপের আলোচনাটি আপনি উপরের ৩নং উদাহরণের ৪নং ধাপ থেকে পড়ে নিন।



৫- এই ধাপে এসে আপনি একটি প্রেডিকশন করবেন যে,যদি ঢিলের কারণেই কাঁচটি ভেঙ্গে থাকে তাহলে তো রুমে সেই ঢিলটি পাওয়া যাওয়ার কথা। কিন্তু এইযে আপনি প্রেডিকশন করলেন এটা কিন্তু আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে করলেন। ঢিল কি জিনিস,এটা মারলে পরে এর ফল কি হয় ইত্যাদি কিন্তু আপনি আগে থেকেই ভালো করে জানেন। একটা রুমের মাঝে ঢিল খোঁজা তেমন কঠিন কিছুনা। আপনি কাঁচ ভাঙ্গার যতগুলো থিওরী দেন না কেন সেগুলো মোটামুটি আপনি সহজেই যাচাই করতে পারবেন। কিন্তু বিজ্ঞান কাজ করে ঐ যে বললাম অনেক সূক্ষ্ম বা অনেক দূরের জিনিষ নিয়ে। সেখানে সঠিকভাবে কারণের লিস্ট তৈরী করা,সঠিকভাবে প্রেডিকশন করা,এরপর সেটা যাচাই করা এগুলো অনেক ক্ষেত্রেই একদম অসম্ভব। কারণ ঐসব ব্যাপারে কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকেনা। এই জন্যই কোয়ান্টাম ফিজিক্সের,মহাকাশ বিজ্ঞানের থিওরীগুলোতে অনেক অনেক গোঁজামিল থাকে। এগুলো তারা জেনে বুঝেই মানুষকে গিলাচ্ছে। প্লীজ এই লিংকের পোষ্টে গিয়ে সেখানকার সাকিব ভাইয়ের ১৫ ও ১৬নং কমেন্ট দুটি পড়ে দেখুন।তাহলে এই গোঁজামিলের ব্যাপারটি আরেকটু সাফ হবে। আপনি যদি এতক্ষণের কথা বুঝে থাকেন, তাহলে স্টীফেন হকিঙ্গের নীচের কথাটিও বুঝবেন।



‘যে কোন physical theory সব সময়ই সাময়িক। এর অর্থ হলো, এটা একটা অনুমান (hypothesis) মাত্র। আপনি কখনই একে প্রমাণ করতে পারেন না। (সূত্রঃ Stephen W. Hawking, A Brief History of Time, Chapter-I: ‘Our Picture of the Universe`)

‘আমরা কখনোই নিশ্চিত হতে পারব না যে, আমরা সঠিক তত্ত্ব আবিষ্কার করেছি, কারণ তত্ত্ব প্রমাণ করা যায় না।` (সূত্রঃ পূর্বোক্ত, ‘The Unification of Physics`)।



৬- ধরেন, মিঃ ফালটু জানালার কাঁচ ভাঙ্গার একটা থিওরী দিলো যে, বল লেগে ভেঙ্গেছে। এখন ধরেন আপনার কাঁচ সম্পর্কে আইডিয়া নেই, এবং এই ঘটনার পরিপার্শ্বিক অবস্থাও আপনার জানা নেই। তাই আপনি মিঃ ফাল্টু মিয়াকে পাল্টা বলতে পারলেন না যে, ভাই অমুক কারনেও তো ভাঙ্গতে পারে। বল লেগেই যে ভেঙ্গেছে এটার প্রমাণ কি? এই যে আপনি বলতে পারলেন না, এতে করে কি মিঃ ফাল্টু মিয়ার থিওরী প্রমাণ হয়ে যাবে? নিশ্চয়ই নয়। আর কেমন হবে যদি মিঃ ফাল্টু সাহেব একথা বলে যে, বল লেগে ভাঙ্গেনি তো কি লেগে ভেঙ্গেছে তুমিই বলো। ঠিক এরকম কথা কিন্তু বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতেও খাটে।



৭- ধরুন, কেউ একটা থিওরী/হাইপো দিলো যে, জানালার কাঁচটি আর্মির লোকেরা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় গুলি করে ভেঙ্গেছে। একথা কিন্তু ঠিক যে, একারণেও কাঁচটি ভাঙ্গা সম্ভব । কিন্তু আপনি কিন্তু এই থিওরীকে হেসেই উড়িয়ে দিবেন। কারণ আপনি আর্মি সম্পর্কে জানেন যে তারা পাড়া মহল্লায় আসেনা , আবার আসলেও খামোখা কোন বাড়ীতে তাঁরা গুলি করবেনা ইত্যাদি। কিন্তু যার নাকি এইসব জানা নেই, সে কিন্তু এটা বুঝতে পারবেনা যে এই থিওরীটা একটা ফালতু থিওরী। একই কথা কিন্তু অনেক বৈজ্ঞানিক থিওরীর ক্ষেত্রেও খাটে।যেমন জে জে থমসন আর রাদারফোর্ড ক্যাথোড রে নিয়ে বাহ্যিকভাবে কিছু এক্সপেরিমেন্ট করে সেটার অদেখা অদৃশ্য আভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে থিওরী দিয়ে দিলো। এখন তাদের এইসব থিওরী কি কোন কাজের থিওরী হয়েছে না ফালতু গালগল্প হয়েছে এটা আপনি কিন্তু বুঝতে পারবেন না। কারণ এই সম্পর্কে আপনার কোন জ্ঞান নেই। খোদ যারা এক্সপেরিমেন্ট করেছে তাদের জ্ঞানই এই ব্যাপারে সীমিত ।



আমার এই পোষ্টটি ব্যবহার করে আপনি এবার বিজ্ঞানীরা শীত গ্রীষ্ম হওয়ার যেই কারণের কথা বলে সেটা যাচাই করুন। দেখবেন কিছুনা, জাস্ট একটা থিওরী বলে কিছু ঘটনাকে এর সাথে মিলিয়ে ব্যাখ্যা করে দিয়েছে আরকি। এর কোন প্রমাণ নাই এবং এটা প্রমাণ করা কোন দিন সম্ভবও নয়। অথচ এই ফালতু একটা থিওরীর উপর ভিত্তি করে হাদীসে বিজ্ঞান বিরোধী কথা আছে বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এদিকে আবার হাদীসে জাহান্নামের নিঃশ্বাস ছাড়ার কারণে শীত গ্রীষ্ম হওয়ার কথা কিন্তু স্পষ্ট করে বলা হয়নি। এরকম আরো অনেক থিওরীই দেখবেন জাস্ট অনুমান কিন্তু আমাদেরকে গিলানো হচ্ছে অকাট্য বৈজ্ঞানিক সত্য বলে। পৃথিবীর আহ্নিক গতি, বার্ষিক গতি, মহাকর্ষ বল, ইলেক্ট্রন, প্রোটন, বিবর্তন , বিগ ব্যাং ইত্যাদি অনেক কিছুই শুধুমাত্র কল্পিত হাইপোথিসিস।এগুলো দিয়ে অন্য একটা চাক্ষুষ ঘটনাকে ব্যাখ্যা করা হয় মাত্র। বিজ্ঞানী থমসন ইলেক্ট্রন আবিষ্কার করেননি বরং ইলেক্ট্রনের কথা কল্পনা করে ক্যাথোড রের ঘটনাকে ব্যাখ্যা করেছেন মাত্র। বিজ্ঞানকে এই যে ধোঁকাবাজির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, এর পিছনে আছে কূট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, আছে সম্রাজ্যবাদিতার কালো হাত।এই পোষ্টটি পড়ে দেখেন।



আর শুনেন, বিজ্ঞানের কঠিন কঠিন শব্দ আর জটিল অংকের কচকচানি দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এগুলো হলো সব গোঁজামিলকে আড়াল করার হাতিয়ার। আপনি দেখবেন শুধু, তার দাবী কী; আর সেটার প্রমাণ কি, কিসের ভিত্তিতে সে তার দাবী পেশ করছে। আর খেয়াল রাখবেন যে, অংকের সূত্র দিয়ে কিছু প্রমাণ করার আগে দেখতে হবে যে সূত্রের রাশিগুলোর যে মান আপনি বসাচ্ছেন সেটা ঠিক আছে কিনা। সেটা ঠিক না হলে সূত্রের মাধ্যমে যে রেজাল্ট আসবে সেটাও অটোমেটিকই ভুল হবে। যেমন দেখেন নীচের চিত্রে যে সূত্রটি আছে এটাতে কোন সন্দেহ নাই, কিন্তু a আর b এর যে মান আপনি বসাবেন সেটা কিন্তু একদম নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। ধরেন a এর মান আপনি বসালেন ৩, এখন এই ৩ টা যে আসলেই ৩, একটু কমবেশি না এটা কিন্তু প্রমাণ করে নিতে হবে। আর এখানেই গোঁজামিল দেয়া হয়। তাই অংকের বাহার দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, অত অংক বুঝারও দরকার আপনার নেই। আপনি শুধু একটু খোঁজ নেন যে, রাশিগুলোর যে মান বসানো হয়েছে সেগুলো কিভাবে বের করা হয়েছে।





আলোচনা আপাতত এখানেই শেষ করছি। পরে হয়তো আরো কিছু এডিট করবো। আমাকে যেকোন ভুল ধরিয়ে দিলে আমি ইনশাআল্লহ নিঃসঙ্কোচে মেনে নিব। আর এই যে আমি এতক্ষণ আলোচনা করলাম এটা বিজ্ঞানের ২য় ধারার গবেষণা নিয়ে, ১ম ধারার গবেষণা নিয়ে নয়। এই কথাটি বুঝতে হলে ১ম কমেন্টটি পড়ুন। আল্লাহ্‌ হাফেজ।



আরেকটি পোষ্ট



নাস্তিকদের প্রশ্নঃ আল্লাহ্‌ কি এমন কোন পাথর বানাতে পারবেন, যা তিনি নিজেও উঠাতে পারবেন না?



দেখুন সমাজ পূজা আমাদেরকে কিভাবে মূর্খতার গহীন কালো অন্ধকারে ডুবিয়ে রেখেছে।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

মূসা আলকাজেম বলেছেন: নীচের কথাটি এই পোষ্ট থেকে নেয়া হয়েছে।

...........৭নং বন্ধু বললোঃ তবে সব বিজ্ঞানী আর বিজ্ঞানের সব শাখাকে এক মাপকাঠিতে বিচার করা ঠিক হবেনা। বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ আর গবেষণার মাধ্যমে প্রকৃতির মাঝে বিরাজমান যেসব নিয়ম আবিষ্কার করেছেন, বা বিভিন্ন বস্তুর বা রশ্মির বা শক্তির মধ্যে সৃষ্টিকর্তার দেয়া যেসব
গুন ও বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করেছেন এগুলো সব দেশের বিজ্ঞানীরাই পরীক্ষা করে দেখতে পারে, এবং বার বার পরীক্ষা করে দেখাও হয়েছে, প্রকৃতির এইসব নিয়ম বা কোন বস্তুর গুনাবলী এগুলো চাক্ষুষ বিষয়, এগুলো যুগে যুগে পরিবর্তন হয় না। তো এসব নিয়ে যারা নিজেরা ভালো করে জানে তারা ইচ্ছা করলে এর উপর ভিত্তি করে কোন ধর্ম গ্রন্থের সত্যাসত্য যাচাই করতে পারে। এটা গেলো একটা দিক। বিজ্ঞানের আরেকটা ধারা হলো ,
(১)ধরো বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ আর গবেষণার মাধ্যমে প্রকৃতির মাঝে কোন একটি ঘটনা ঘটতে দেখলেন, যেই ঘটনাটি ইন্দ্রিয় দ্বারা উপলব্ধি করা যায় কিন্তু এই ঘটনার পিছনের কারণটি চাক্ষুষ নয় (২)অথবা ধরো বিজ্ঞানীরা প্রকৃতিতে বা গবেষণাগারে কোন একটি পদার্থ বা শক্তি বা রশ্মি পেলেন এবং সেগুলোর বিভিন্ন গুণ, বৈশিষ্ট্য বের করতে পারলেন, যেগুলো চাক্ষুষ বিষয়; কিন্তু এই পদার্থ বা রশ্মিটি দেখার অতীত অতি ক্ষুদ্র পর্যায়ে আসলে কি দিয়ে তৈরী, কিভাবে তৈরী সেটা কিন্তু চাক্ষুষ নয় এবং এই বস্তু বা শক্তির যেসব গুণ বাস্তবে পাওয়া গেছে, কেন তারা এই গুণ প্রদর্শন করছে সেটা কিন্তু পুরাপুরি চাক্ষুষ নয় । তো বিজ্ঞানীরা কিন্তু বসে থাকবে না, তারা কিন্তু এই উভয় ক্ষেত্রে অর্থাৎ ঘটনার পিছনের অদেখা কারণ বা বস্তু ও শক্তির থেকে প্রকাশিত গুণ সমূহের অদেখা কারণ বের করার চেষ্টা করবেন। যদি তোমরা প্রশ্ন করো যে,এই অন্তর্নিহিত কারণ না জানলেও তো আমারা ঐ প্রকৃতির নিয়ম বা বস্তুর গুণসমূহ থেকে উপকার পাবো, তাহলে কেন এই নতুন ধারার গবেষণা? এর উত্তর হলো , (১) বিজ্ঞানীদের জানার স্পৃহা (২) এই অন্তর্নিহিত কারণগুলো বের করতে গিয়ে যখন পরীক্ষাগারে গবেষণা করা হয় তখন অনেক ক্ষেত্রে আরো নতুন নতুন প্রাকৃতিক নিয়ম বা শক্তি আবিষ্কার হয়ে যায়।

যাইহোক,বিজ্ঞানীরা ঘটনার পিছনের অদেখা কারণ বা বস্তু ও শক্তির থেকে প্রকাশিত গুণ সমূহের অদেখা কারণ বের করার চেষ্টা করতে গিয়ে বিভিন্ন হাইপো/থিওরী দেন ।এগুলো দিয়ে তারা পূর্বের আবিষ্কৃত প্রাকৃতিক ঘটনা বা বস্তুর কোন গুণের ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন যে কেন সেগুলো হলো। সেগুলো নিয়ে গবেষণা চলতে থাকে, এবং এসব অনুমান করা, কল্পিত কারণ সমূহ বিজ্ঞান মহলে গৃহীত হওয়ার জন্য অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা আর যাচাই বাছাইয়ের পথ অতিক্রম করতে হয়। এখানেই এসে বিজ্ঞানের কিছু কিছু শাখার (বিশেষ করে বিবর্তনবাদ, মাহাকাশ বিজ্ঞান, কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর) নাস্তিক বিজ্ঞানীরা অপ্রমানিত থিওরীকেই গোঁজামিল দিয়ে ঠিক বলে প্রচার করে এবং এই থিওরীর বিরুদ্ধে কিছু আবিষ্কার হলেও তারা সেটাকে পারলে গোপন করে যায় বা উল্টাপাল্টা একটা ব্যাখ্যা করে দেয় এবং তারা তাদের নাস্তিক্যবাদী তালগাছ রক্ষা করার জন্য সবসময় অযৌক্তিক থিওরী দিতেই থাকে, একটাতে ধরা খেলে আরেকটা, সেটাতে ধরা খেলে আবার আরেকটা এভাবে চলতেই থাকে। তো এইসব জ্ঞানপাপী নাস্তিক বিজ্ঞানীদের জন্যতো আমারা সব বিজ্ঞানীকে খারাপ বলতে পারিনা।যদিও অন্য শাখাতেও এরকম কখনো সখনো ঘটতে পারে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৩৯

মূসা আলকাজেম বলেছেন: উপরের কথা থেকে আমরা এটাই বুঝতে পারলাম যে, বিজ্ঞান হলোঃ বাস্তব পর্যবেক্ষণলব্ধ ফ্যাক্ট আর হাইপো বা থিওরীর সমষ্টি। আর কোরআনে আছে শুধু ফ্যাক্ট। বিজ্ঞান যেটাকে ফ্যাক্ট বলছে, সেটা যদি আসলেই ফ্যাক্ট হয়ে থাকে তাহলে সেটার সাথে কোরআনের কোনদিন কোন সংঘাত ঘটেনি, ঘটবেনা। কিন্তু কিছু ধাপ্পাবাজ বিজ্ঞানী যেসব হাইপোকে/থিওরীকে (যেমন, আহ্নিক গতি, বার্ষিক গতি) অকাট্য বৈজ্ঞানিক সত্য হিসাবে চালিয়ে দিয়েছে সেসব হাইপোর সাথে কোরআন ও সহীহ হাদীস মিলবেনা।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

কৃষ্ণবিবর বলেছেন: "তারা অনেক দূরের বা অনেক আগের অস্পষ্ট পরিবর্তিত ফসিল বা অনেক অনেক ক্ষুদ্র জিনিষ নিয়ে গবেষণা করে। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের এই প্রথম ধাপেই অর্থাৎ পর্যবেক্ষণের মধ্যেই ঘাটতি থাকে, অস্পস্টতা থাকে, ভুল থাকে।"

অনেক ক্ষেত্রের উদাহরন দেন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৯

মূসা আলকাজেম বলেছেন: হায়! হায়! এরও আবার উদাহরণ দিতে হবে! দোস্ত ! আমি এমনিই যেই অলস, এতটুকু যে লিখছি এটাই বহুত বেশী। আপনি নিজে একটু ঘাটলেই পেয়ে যাবেন। একটু শুধু বলি যে, ইলেক্ট্রনের চেয়ে ছোট কোন কণা দেখা যাবে দূরের কথা, ইলেক্ট্রন, প্রোটনই দেখা যায়না; ইলেক্ট্রন দেখা যাবে দূরের কথা এটমই দেখা যায়না; এটম দেখা যাবে দূরের কথা অনুও দেখা যায়না। ১/২টা অনু দেখা যাবার যে দাবী করা হয়, সেটাও দেখতে হবে আসলে সত্যি কিনা। পরমাণুর গঠনের যেই ছবি আমাদের বইপত্রে দেয়া হয়, জানেন নিশ্চয়ই এগুলো সব কাল্পনিক। জাস্ট বাচ্চাদের বুঝার সুবিধার জন্য। আপনি আমার এই পোষ্টের আলোকে ইলেক্ট্রন, প্রোটন আবিষ্কারের ইতিহাস আবার পড়ে দেখেন, দেখবেন যে এগুলো শুধুমাত্র থিওরী অর্থাৎ কিছু ঘটনাকে এসবের দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বিবর্তনের ব্যাপারটিও ঠিক এমনই। কিছু বিষয় প্রথমে অবজারবেশন করা হলো। এরপর প্রশ্ন আসলো কেন এরকম? এর উত্তর দেয়া হলো বিবর্তনের কারণে। তো এটা তো শুধু একটা ব্যাখ্যা। বিবর্তনের কারণেই যে হয়েছে, অন্য কোন কারণে যে হয়নি এটা আপনাকে প্রমাণ দিতে হবে। আর এটা কস্মিনকালেও সম্ভব না। কেন সম্ভব না? না বুঝলে আবার এই পোষ্টটি পড়েন মনযোগ দিয়ে তাহলেই বুঝবেন। আর মহাকাশ বিজ্ঞানের কথা আর কি বলবো। এখানে যে পর্যবেক্ষণে ঘাটতি আছে এটাকি আবার আলাদা কোন উদাহরণ দিয়ে বুঝাতে হয়। বাকি জবাব পড়ে দিচ্ছি।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৯

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আর মহাকাশের অনেক দূরবর্তী বস্তু সমূহের ছবি আমাদেরকে যেভাবে দেখানো হয় সেগুলো ঠিক সেভাবেই টেলিস্কোপ দিয়ে দেখা যায় এমন কিন্তু নয়। বিভিন্ন টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগৃহীত ডাটার আলোকে কম্পিউটারে এসব ইমেজ তৈরী করা হয়। এখানে ক্লিক করে দেখেন কেন আমরা চাঁদের মধ্যে আমেরিকার পতাকা দেখতে পাইনা।
শেষে মুক্তমনা থেকে সাকিব ভাইয়ের কমেন্ট থেকে কিছু অংশ কপি পেস্ট করছি।

২, জোড়াতালি বলতে আমি বুঝিয়েছি অনেক assumptions। যেহেতু আমাদের কাছে প্রায় কোন significant data নাই অনেক field এ (যেমন particle physics, dark matter ইত্যাদি), মাত্র আমরা বড় বড় সব experiment করা শুরু করেছি, যা ৫০ বছর আগের physics এর অনেক থিওরিকে বিদায় দিয়েছে, সেহেতু limited data set থেকে inference তৈরি করা টা বিপদজনক। এবং এই ক্ষেত্রে আমাদের অনেক assumptions বানানো ছাড়া উপায় থাকে না। কাজেই আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কোন থিওরি কেই permanent মনে করি না। এটা করা আসলেই উচিত নয়।

যেইসব dataset নিয়ে আমরা কাজ করি, তার মধ্যেও অনেক সময় প্রচুর noise থাকে। Astronomer দের নিয়ে physicist দের একটা প্রচলিত কৌতুক হল যে তাঁরা ৫০% uncertainty থাকলেও অনেক খুশী থাকে, কারণ CCD astronomical image data এতই noisy যে এক pixel মধ্যেও ৫ বা ৬ টা noise পয়েন্ট থাকে, যা তাঁরা শুধু কিছু statistical formula এর মাধ্যমে দূর করেন। কাজেই আমরা যখন TV তে সুন্দর সব galaxy animation দেখি, তার অনেক region এ আসলে থাকে synthetic data.


আরেকটি কথা – physics এর অনেক ফরমুলার মূলে আছে statistical inference. 99.9999% particles একভাবে আচরণ করলো, বাকি রা করলো না, এর কারণ কি? অনেকে এটাকে noise বা uncertainty বলে চালিয়ে দেন, এবং প্রচলিত কোন mathematical model এর সাথে data fitting করে বলে দেন যে তার পরীক্ষা সার্থক। অনেকের আবার funding/grant money বজায় রাখতে হবে, এর জন্য paper publish করার তাগিদে মাঝে মধ্যে কেউ কেউ data এদিক ওদিক করেন। কিন্তু আসলেই কি এটা noise/experimental uncertainty? আমার physics এর একজন প্রফেসর এটা বিশ্বাস করতেন না। তিনি বলতেন যে statistical inference এর সাহায্যে আমরা সত্য এড়িয়ে যাচ্ছি। জেমস গেটস (Uni. of Maryland এর বিখ্যাত String Theorist) এর সাথে একবার কথা হবার সৌভাগ্য হয়েছিল। তিনি আমাকে বললেন যে – “we have really run out of ideas, we need new kind of mathematics to look at the old datasets.” বাইরে থেকে দেখে না বোঝা গেলেও ভেতরে ভেতরে physicist রা ভালই struggle করছেন। Don’t get me wrong, I am a big fan of physics and physicists. কিন্তু ভেতরের কথা কিছু হলেও বেড়িয়ে আসতে হবে।

Kuhn এর মতবাদ অনুসারে physicists রাও মানব অনুভূতির উপরে নয়। যুক্তি অনেক সময় মানব অনুভূতি দিয়ে পরিচালিত হয়। অনেকেই হয়ত পড়েছেন, তবে না পড়ে থাকলে আমি The Structure of Scientific Revolutions বই টি পড়ার জন্য অনুরোধ করবো। বড় বড় আবিষ্কার গুলো নিয়ে মাতামাতি করার আগে আমাদের এইসব theory এর limitations গুলো জানতে হবে। এবং এইসব theory এমন করে quote করা যাবে না যা পড়লে ভুল ধারণা হতে পারে যে এই theory ই সত্য। এটা শুধুমাত্রই একটা theory. এখানে যারা physics এর ছাত্র, তাঁরা ভালো করেই জানেন ভিতরে কতো জোড়াতালি দিয়ে একটা so called যুক্তি নির্ভর theory দাড়া করান হয়। কাজেই বিজ্ঞানের প্রতি অগাধ আস্থা রাখাটাও বোকামি। Kuhn এর বইটা যারা পড়েছেন তাঁরা আশা করি জানেন কি করে Kuhn বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।


১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৯

মূসা আলকাজেম বলেছেন: FACT: No telescope makes PLANETS, NEBULAE or GALAXIES appear any brighter than they can be seen with the naked eye.
Most people are very suprised by this statement, and many assert that it cannot possibly be true. The reason why is a bit difficult to explain, but bear with me, and I shall try.
Astronomical telescopes typically have a large lens at the front called the object lens, and an arrangement of smaller lenses at the back (or side) which you look through called the eyepiece. There are other designs using mirrors and combinations of mirrors and lenses too, but they all suffer from the same fundamental limitation.
The role of the object lens is to collect as much light as possible, and the larger it is, the more light it can collect. The role of the eyepiece is to focus and magnify the image, and telescopes often have a choice of eyepieces providing different magnifications.
Any telescope has to do at least the following two basic things…
1) The telescope has to magnify the image – spreading the collected light over a wider area of your retina. Hopefully, it will already be obvious that this ‘spreading’ makes a image appear dimmer.
2) The telescope has to shrink the wide, cylindrical column of light entering the object lens into a far smaller column of light exiting the eyepiece (the width of this narrow column of light is actually known as the exit pupil),
The two effects go hand in hand. More magnification means a bigger image on the retina, but with a smaller exit pupil, and vice versa. এখানে ক্লিক করুন।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪

মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭

মূসা আলকাজেম বলেছেন: সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র। জাজাকাল্লহ।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪১

রিফাত হোসেন বলেছেন: +++ moja paila

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩

মূসা আলকাজেম বলেছেন: জাজাকাল্লহ।

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

রওনকআলিম বলেছেন: I am blocked, so can not make this nice post as my Favorite .

I am band fot this post:
রাজীবের সাথে আসলেই কি চলমান গন-আন্দোলনের কোন সংশ্লিষ্ঠতা ছিলো?

জানাজায় আমিও ছিলাম, গতকাল জানাজায় অংশ নিতে আমি বাসে আর দৌড়িয়ে গিয়াছিলাম, ওজুও ছিলো। ৫:৫৫ তে যখন জানাযা শেষ হল, ভাবছিলাম ছেলেটার কত ভাগ্য, হাজার-হাজার লোক তার জানাযা পড়ছে।
মাত্রই নেটে বসলাম আর রাজীব-কে চেক করলাম। দেখলাম সে শেষ আড়াই বছর আগে, ০৯ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:২৬ ব্লগ লিখেছে, আর শেষ কমেন্ট করেছ ২ মাস আগে, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৯। সেখানে সে কি লিখেছে তা আর উচ্চারন করলাম না।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

মূসা আলকাজেম বলেছেন: হুম।

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

নীলপথিক বলেছেন: কিন্তু এই জ্ঞানগর্ভ পোস্টের সারাংশ কি দাঁড়ালো?
একজন বিশ্বাসীর মধ্যে বিজ্ঞানের যুক্তি আসবে কেন? আমরা তো আল্লাহরই দাসত্ব করি, তাই না?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আরে দোস্ত ! সারাংশ বুঝেন নাই। এর শাস্তি হইলো, আপ্নে আরো ২বার পড়েন পোষ্টটা। জাজাকাল্লহ। আল্লাহ্‌ আপনাকে ভালো রাখুন।

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

নীলপথিক বলেছেন: কি হবে ইয়ার !!
আমি এখনও মাজেজা বুঝতে পারছি না। বিশ্বাস আর যুক্তি তো বিপরীতধর্মী বিষয়। যুক্তির উপরে উঠেই বিশ্বাস করতে হবে।

যুক্তি যা বলে সেটা মেনে নিলে কি আমি আল্লাহর দাস থাকবো নাকি গাইরুল্লাহর? যুক্তি মেনে নিলে তো ইবলিশও ঠিক। সে আল্লাহ ছাড়া কারও সামনে মাথা নত করে নাই। বিজ্ঞান কি বলে আর কি করে সেটা নিয়ে পড়ে থাকলে ঈমানের তো বরোটা বাজবে ইয়ার !!!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

মূসা আলকাজেম বলেছেন: বিশ্বাস আর যুক্তি তো বিপরীতধর্মী বিষয়।

এটা হলো আপনার দাবী। এর কি প্রমাণ আছে আপনার কাছে?


যুক্তির উপরে উঠেই বিশ্বাস করতে হবে।

বরং যুক্তি বিশ্বাস অর্জন করার একটা মাধ্যম। তবে যুক্তি ছাড়াও বিশ্বাস করা যায়, করে বেশীরভাগ মানুষ ।

যুক্তি যা বলে সেটা মেনে নিলে কি আমি আল্লাহর দাস থাকবো নাকি গাইরুল্লাহর?

আল্লাহ্‌ পাক নিজেই তাঁর কিতাবে বিভিন্ন যুক্তি পেশ করেছেন। যুক্তি প্রমাণের আলোকে আগে বিশ্বাস করতে হবে, বা "বিশ্বাস" এই শব্দটা নিয়ে আপত্তি থাকলে বলেন যুক্তির প্রমাণের আলোকে আগে বুঝতে হবে কোরআন ও হাদীসের কথা সত্য ও সঠিক; এরপর কোরআন ও হাদীসের হুকুম অনুযায়ী জীবন চালাতে হবে। এখানে হুকুম মানতে গিয়ে কোন যুক্তি চাওয়া যাবেনা, কোন প্রশ্ন করা যাবেনা। এখন এক্টাই যুক্তি, ব্যস , অমুকটা আল্লাহ্‌র হুকুম আর আমি তাঁর গোলাম।

বিজ্ঞান কি বলে আর কি করে সেটা নিয়ে পড়ে থাকলে ঈমানের তো বরোটা বাজবে ইয়ার !!!

প্রকৃত বিজ্ঞানের সাথে কোরআনের বা ঈমানের কোন সংঘাত নাই। বরং সেটার চর্চা করলে আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আরো বাড়বে। তবে যেগুলো নাকি কল্প বিজ্ঞান, বা বিজ্ঞানের নামে চালিয়ে দেয়া গাঁজাখুরি সব থিওরী সেগুলো নিয়ে পরে থাকলে ঈমানের বারোটা বাজবে বইকি।
আল্লাহ্‌ আমাদের বুঝার তওফিক দান করুন। আমীন। সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

মুহামমদল হািবব বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।জাজাকাল্লাহ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

মূসা আলকাজেম বলেছেন: একমাত্র আল্লাহই সকল প্রশংসার হকদার। জাজাকাল্লহ।

৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

নীলপথিক বলেছেন: ব্যাক ক্যালকুলেশন করে যদি বিগব্যাং এর কাছে যাওয়া যায় তাহলে ব্যাপরটা দাঁড়ায় এইরকম যে, আমি চাইলে বিশ্বাস করতে পারি, অথবা না-ও পারি। শয়তানের যুক্তি কোথায় ভুল ছিলো বলুন? সে তো আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথা নত করে নাই। যুক্তি মানুষের সৃষ্টি ভাই, যুক্তি প্রমানের ভিত্তিতে আল্লাহর অস্তিত্ত্ব প্রমান করা গেলে তো পৃথিবীতে আর নাস্তিক থাকতো না। আর বিশ্বাসীরাই পুরষ্কৃত হবে।

একটা প্রমান দেই। মিরাজের ঘটনা শোনামাত্র হযরত আবু বকর কি যুক্তির ভিত্তিতে কিছু অনুধাবন করবার চেষ্টা করেছিলেন? নাকি বিশ্বাস করে নিয়েছিলেন?
হযরত মোজাদ্দেদে আলফ-ই-সানী (র) বলেছেন, কালামে পাক তিলাওয়াতের সময়ে কিছু কিছু আয়াতের প্রতি আমার সন্দেহের উদ্রেক হত, আমি জোরপূর্বক সন্দেহ তাড়িয়ে দিয়ে সংশ্লিষ্ট আয়াতের ওপরে ঈমান আনতাম। আমি বুঝতে পারতাম এর ফলে আমার ঈমান আরও শক্তিশালী হয়ে যেত।

দেখুন, যুক্তি বা লজিক মানুষের তৈরী যা প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে। আমার মনে হয় না কারও ঈমান এমন পরিবর্তনশীল যুক্তির ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিৎ। আমরা কতটা জ্ঞানী হতে পারবো? ইবলিশের চেয়েও বেশী নয় নিশ্চয়ই। এত জ্ঞান, এত বিদ্যা, এত যুক্তি জানার পরেও কি তার ঈমান ছিলো? আপনার যুক্তি কি মিথ্যা প্রমাণ করতে পারবে ডারউইনের থিওরীকে? যুক্তির দাসত্ব তো করবে নাস্তিকেরা।

পরিশিষ্টঃ মূসা ভাই, আপনি হয়ত জানেন না আমি অনেকদিন ধরেই আপনার লেখা পড়ি। শুধু আপনারই নয়। মেলবোর্ন, রিপেনডিল, সামুরাই, পরাগ ভাই সবার লেখা এতবার পড়েছি (বিশ্বাস করবেন না হয়ত, একসময় আপনাদের করা মন্তব্য এবং মন্তব্যের জবাব সহ পড়তে পড়তে প্রায় মূখস্ত হয়ে গিয়েছিলো। আপনার বহুবিবাহ নিয়ে লেখার একটা ব্যাপারে সামুরাই ভাই চমৎকার ব্যাখা দিয়েছিলো মনে পড়ে?)। কিন্তু একটা নির্মম ব্যাপার চোখে পড়লো, সেটা হলো বিশ্বাসীদের মাঝে বিভেদ। সামুরাই আর পরাগের মাঝে একবার তো একচোট হয়েও গেলো আর তিনি পরাগভাইকে মুসলিম নন এমন ঘোষনাও দিয়ে বসলেন যেটা কিন্তু কোনভাবেই কাম্য ছিলো না।

আমি ব্যক্তিগত জীবনে খুবই কম পড়া এবং কম জানা একজন মানুষ। আমার ব্লগে গেলেই দেখবেন। আমি ধর্ম নিয়ে খুবই কম জানি, তাই লিখিও না। আমার ব্লগ সব আজগুবি কেচ্ছা-কাহিনীতে ভরা। আমি চাই না আমার কোন কথায় আপনি কষ্ট পান। আপনি বিশ্বাসী, আমিও বিশ্বাসী। আমি কেন আপনাকে ভুল প্রমাণ করে আনন্দ পেতে যাবো? তাই পরিশেষে একটা কথাই বলি, উপরের কথাগুলো একান্তই আমার ধারণা। আপনি এবং আপনারা নিশ্চয়ই আমার চেয়ে ভালো জানেন। হয়ত আপনার কথাই সঠিক এবং আমি ভুল। তবে এ মূহুর্তে যুক্তির ভিত্তিতে ঈমান মজবুত করবার পক্ষে কোন কথা আমার কানে ঢুকবে না।

১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

নীলপথিক বলেছেন: আপনার এই প্যারার সাথে একমতঃ
যুক্তি প্রমাণের আলোকে আগে বুঝতে হবে কোরআন ও হাদীসের কথা সত্য ও সঠিক; এরপর কোরআন ও হাদীসের হুকুম অনুযায়ী জীবন চালাতে হবে। এখানে হুকুম মানতে গিয়ে কোন যুক্তি চাওয়া যাবেনা, কোন প্রশ্ন করা যাবেনা। এখন এক্টাই যুক্তি, ব্যস , অমুকটা আল্লাহ্‌র হুকুম আর আমি তাঁর গোলাম।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০০

মূসা আলকাজেম বলেছেন: জাজাকাল্লহ।

১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: মূসা আপনি নাস্তিকদের প্যাঁচে পইড়া ভালোই সময় নষ্ট করলেন!! কিন্তু আপনাকে আপনার ধৈর্যের জন্য ধন্যবাদঃ

আমি একটা সহজ কথা বলি দেখেন আপনার হজম হয় কি না!!??

নাস্তিদের প্রশ্নঃ আল্লাহ কি এমন বড় একটা কিছু তৈরি করতে পারবেন যা উনি তুলতে পারবেন না???

বা

আল্লাহ কি ১০ মিনিটে এমন বড় একটা কবিতা লিখতে পারবেন যা উনি ১ ঘন্টায় পড়ে শেষ করতে পারবেন না???

আমার উত্তরঃ

(প্রথমেই বলে নেই যে প্রশ্ন গুল এতটাই হাস্যকরলাগে আমার কাছে যে উত্তর দেয়া অপ্রয়োজনীয় মনে করি)

যাই হোক, আমার সহজ উত্তর হল হাঁ তিনি পারবেন।

উনি যা ইচ্ছা করেন তাই হয়, উনার ক্ষমতার বাইরে কিছু নাই। উনার যদি উপরক্ত যে কোনটিই করতে ইচ্ছা হয়, তাহলে প্রথমেই তাকে দ্বিতীয় ধাপটা না করার ইচ্ছা করতে হবে, তারপর প্রথম ধাপটা ইচ্ছা করতে হবে। আর তা না হলে তার প্রথম ধাপ্টা ইচ্ছা করার কোন মানেই নাই !!!!!

কি বুঝলেন???? তার ইচ্ছার বাইরে কিছুই নাই। আল্লাহুয়াকবার!!!

যাইহোক আপনার পুরা পোষ্ট পড়া হয় নাই, পরে পড়ে নেব ইনশাল্লাহ।

আসসালামুয়ালাইকুম

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১০

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আপনি যেটা বলেছেন সেটাও একটা জবাব হতে পারে। একেক মানুষের চিন্তাধারা একেক রকম হয় । একেক জনের কাছে একেক জবাব ভালো লাগে। তাই সব রকম জবাবই থাকা চাই। যাতে করে সব ধরণের মানুষ তাদের পছন্দমত জবাব পেয়ে যায়। আল্লাহ্‌ আপনাকে ভালো রাখুন।

১২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

দিশার বলেছেন: এবার এর নোবেল কমিটি তে আপনার নাম পেশ করার অনুমুতি চাই মুসা ভাই।

আলহামদুলিল্লাহ , আমি আজ থেকে সাচ্চা মুসলমান হয়ে যাচ্ছি, আর বিজ্ঞানের অসারতা প্রমান করে দেয়ার জন্য আপনাকে নোবেল দেবার জোর দাবি জানাচ্ছি।

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

মূসা আলকাজেম বলেছেন: স্যার আপনি জ্ঞানী মানুষ। দয়া করে ভুল বুঝবেন না। প্লীজ আমাকে বলুন আমার পোষ্টের কোন লাইনটিতে আমি বিজ্ঞানকে অসার বলেছি। বিজ্ঞান সত্যকে জানার একটি হাতিয়ার, একটি পদ্ধতি। আর প্রত্যেকটি মানুষই কোন না কোন পর্যায়ের একজন বিজ্ঞানী। স্যার আমি শুধু দেখাতে চেয়েছি সাইন্টিফিক মেথডের কিছু সীমাবদ্ধতা, যেগুলো পাশ্চাত্যের স্কুলের
ছেলে মেয়েরা জানলেও আমাদের দেশের তথাকথিত নাস্তিক বিজ্ঞান্মনষ্করা জানেননা বা জেনেও না জানার ভান করে থাকেন।
আর দেখাতে চেয়েছি যে, কিছু বিষয়কে নাস্তিক বিজ্ঞানীরা আমাদেরকে অকাট্য সত্য বলে গিলালেও আসলে সেগুলো নিছক হাইপোথিসিস, এবং নিম্ন মানের হাইপোথিসিস।

১৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

দিশার বলেছেন: A theory has been extensively tested and is generally accepted, while a hypothesis is a speculative guess that has yet to be tested.

theory হলো বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ পর্যায়ের মানদন্ড, আপনার মত আবাল রাই , দৈনন্দিন ভাষায় বেবহার করা "theory " কে, বিজ্ঞান হাইপোথিসিস আর "theory "র সাথে মিলায়ে ফেলে হাস্যকর কথা বাত্রা বলেন।

ওহে "বুদ্ধিমান" , গ্রাভিটি ও একটা theory , এবার ছাদ এর থেকে ঝাপ দেন .

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আমার সম্মানিত পাঠক! আপনার দেয়া থিওরীর সংজ্ঞাটি "কাজীর গরু কাগজে আছে গোয়ালে নাই" এর মত। যাইহোক আমার লেখার যেখানে যেখানে আমি আপনার মতে ভুলভাবে থিওরী শব্দটি প্রয়োগ করেছি সেখানে আপনি হাইপোথিসিস শব্দটি বসিয়ে পাঠ করুন, তাহলেই তো হয়। এটা তেমন কিছু নয়।

ওহে "বুদ্ধিমান" , গ্রাভিটি ও একটা theory , এবার ছাদ এর থেকে ঝাপ দেন .

গ্রাভিটি একটা থিওরী বটে, কিন্তু উপর থেকে কিছু ছাড়লে নীচে পড়ে যাবে এটা থিওরী নয়; এটা হলো সাইন্টিফিক মেথডের প্রথম ধাপ এবং সকল মানুষের চাক্ষুষ পর্যবেক্ষণ।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে প্রশ্ন এলো কেন সব কিছু উপর থেকে নীচে পরে? এরপর ৩নং ধাপটি বাদ দিয়ে নিউটন ৪নং ধাপে চলে গেছেন। কেননা উপর থেকে নীচে পড়ার কি কি কারণ হতে পারে সেই লিস্ট তৈরী করতে হলে পূর্ব অভিজ্ঞতা লাগবে। অথচ এ ব্যাপারে মানুষের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। কেননা মানুষতো এই পৃথিবীর আগে আরো ৪/৫ টি গ্রহ নিয়ে গবেষণা করে আসেনি।
যাইহোক ৪ নং ধাপে নিউটন হাইপো দিলেন যে সবকিছু একে অপরকে আকর্ষণ করে। আমি স্যার আপনার কাছে একজন ছাত্রের মত বিনীতভাবে জানতে চাচ্ছি যে, এর পরের ধাপগুলি নিউটন কিভাবে সম্পন্ন করলেন?

মহাকর্ষ – কতটা সত্যি আর কতটা তাত্ত্বিক?

সবশেষে নিবেদন এই যে, স্যার! আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আমি সবার সাথে ভদ্র আচরণ করতে পারি। ভালো থাকুন। না , ভুল হলো, আল্লাহ্‌ আপনাকে ভালো রাখুন।

১৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

দিশার বলেছেন: হাহাহা হাসব না কাদব বুজতেসিনা, স্ক্রিন শত নিয়া রাখলাম। মুক্তমনার একটা প্যারডি লেখা আপনে রেফারেন্স হিসাবে দিলেন? লোল

Intelligent Falling proposes that the scientific explanation of gravitational force cannot explain all aspects of the phenomenon, so credence should be given to the idea that things fall because a higher intelligence is moving them!!!

ভাই বিজ্ঞান আর বিজ্ঞান এর প্যারডি ও বুঝেন না , সাইন্টিফিক তত্ত্বের ভুল বের করতে আসছেন .

Click This Link

সাইন্স কোনো "ধ্রুব" সত্যের দাবি করে না , প্রমান ও এভেইদেন্স আজকে যা বলতেসে, সাইন্স তার বেক্ষা করে মাত্র . কালকে নতুন কোন যুক্তি, প্রমান, য়ে আজকের তথ্য ভুল প্রমানিত হলে , সেটা কে মেনে নেয়া হবে . যেমন নিউটন এর গ্রাভিটি তত্ত্বের রিপ্লেসমেন্ট করেছে আইনস্টাইন তার তত্ত্বের দিয়ে , কিন্তু ফ্যাক্ট অফ টি ম্যাটার ইস আপেল কিন্তু এখনও নিচে পরে !

evolution "theory" নিয়ে কিছু জ্ঞান দেন .

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৬

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ঐ পোষ্টটি যে প্যারডি তা আমি জানি, এবং আপনি যে লিংক দিয়েছেন সেটাও আমার আগেই দেখা। প্যারডি হোক আর যাই হোক কিছু অপ্রিয় সত্য কথা সেখানে এসে গেছে বৈকি। আর ঐ পোষ্টের লিংক আমি কোন রেফারেন্স হিসাবে দেইনি। মহাকর্ষ বল যে একটা হাইপোথিসিস মাত্র, এর পক্ষে যে কোন প্রমাণ নেই, এটা একটা বাচ্চাও বুঝবে, মুক্তমনার কোন পোষ্ট পড়তে হবেনা। আপনাকে তো আমি লাইন দেখিয়েই দিলাম, ৪নং ধাপ পর্যন্ত তো আমিই বলে দিলাম, এরপরের ধাপগুলো আপনাকে বলতে বললাম, কই কিছু বললেন না তো স্যার! আমি বলছিনা যে মহাকর্ষ বল বলে কিছু নাই, আমি বলছি প্রমাণ দেখান, সান্টিফিক মেথডটি পূর্ণ করুন, হাইপোকেই থিওরী বা ল হিসাবে চালিয়ে দিয়ে মানুষের সাথে চালবাজি করবেন না।

আপনি আমার পোষ্টে উপস্থাপিত কোন যুক্তি খণ্ডন না করে শূধু এদিক সেদিক কথা বলছেন স্যার! এটা আপনার মত জ্ঞানী মানুষকে মানায় না স্যার!


যেমন নিউটন এর গ্রাভিটি তত্ত্বের রিপ্লেসমেন্ট করেছে আইনস্টাইন তার তত্ত্বের দিয়ে

এই আইন্সটাইনের এসব তত্ত্ব ফত্ত্বও সব প্রমাণ ছাড়া বকওয়াস। আর যেগুলোকে তার তত্ত্বের প্রমাণ বলে দাবী করা হয়, সেগুলো এই সমস্ত নামে বিজ্ঞানীদের চালবাজির দলীল, যারা বুঝে তাদের জন্য।

আর শুনেন ব্যাখ্যা করার দ্বারা তেমন কিছু যায় আসেনা। ভালো কল্পনা করতে পারে বা ভালো কল্পকাহিনী বানাতে পারে এমন একজন বিজ্ঞানী একটা ভুল হাইপো দিয়েও ইচ্ছা করলে চাপার জোড়ে সব ঘটনা ব্যাখ্যা করে দিতে পারবে। ব্যাখ্যা করতে পারা বা না পারার দ্বারা কোন থিওরী সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত বা অপ্রমাণিত হয়না।
সৌরজগতের সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের দ্বারা যেসব ঘটনা ব্যাখ্যা করা যায়, ভূকেন্দ্রিক মডেলের দ্বারাও কিন্তু সেগুলোকে ব্যাখ্যা করা যায়, তবে দুয়েকটি ক্ষেত্রে একটু জটিলভাবে। এখনকার বিজ্ঞানীরা ইচ্ছা করলে টাইকো ব্রাহের সেই সৌর-ভূকেন্দ্রিক মডেল দিয়েও সব ঘটনা ব্যাখ্যা করে দিতে পারবে। এই তিনটাই হলো হাইপোথিসিস। এগুলো অকাট্যভাবে প্রমাণ বা অপ্রমাণ করা সম্ভব নয়। এখন এই তিন্টার মধ্যে কোনটাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে? এই জায়গায় এসে বিজ্ঞানীরা আক্কামের ক্ষুর নামের সেই ভুল কন্সেপ্টকে কাজে লাগিয়ে সূর্যকেন্দ্রিক মডেলকে বেছে নিলেন। আচ্ছা নিল, নিক; কিন্তু এটাতো একটা হাইপোথিসিসই রয়ে গেলো। এটাকে অকাট্য বৈজ্ঞানিক সত্য হিসাবে চালানোর দাগাবাজি না করলে কি চলতো না?




১৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২০

দিশার বলেছেন: The universe is what it is. You can say that gravity is just a theory and has never been proven, but it will not make it any easier to climb 30 stories using the stairs.

What is gravity, really? Well, it's just a word. The word is associated with a theory, and the theory tries to describe an apparent pattern in the way the universe works. The universe, of course, does not care about mathematics and science. It continues functioning in the same way it always has.

If the concept of "down" exists, then there is obviously something there causing one direction to be preferred over all others. We name it "gravity". The equation

g = G * m / r^2

describes the gravitational field around an object. If the equation predicted a certain gravitational field, and we did an experiment to test it, we would be very surprised if we didn't get the result predicted by theory. The theory matches reality so perfectly that we may as well call it a law. Of course, humans have no dominion over the laws of nature, but our best guess seems to be accurate in this case

আপনার কথা ভালো লাগলো, প্রমান ছাড়া সব বাকওয়াস , আব্রাহামিক খোদার কোনো পরোমান ??

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:১১

মূসা আলকাজেম বলেছেন:
স্রষ্টার অস্তিত্বের অকাট্য প্রমাণ।

১৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৯

দিশার বলেছেন: আমি আবার জোর দাবি জানাই , আইনস্টাইন এর সব তত্ত্ব ফত্ত, মুসা ভাই ফুত্কারে উরিয়ে দিয়ে , বাংলাদেশ য়ে প্রথম এবং মুসলিম বিশ্বে দ্বিতীয় নোবেল আনতে যাচ্ছে বিজ্ঞান য়ে !

ভাই , জি মেনে নিলাম, সাইন্টিফিক মেথড ভুল (!) এবার আপনি , পাহাড় কে খুটি হিসাবে রাখসে, যাতে আমরা পরে না যাই, নুহ এর নৌকা তে কিভাবে ১৭ লক্ষ্য প্রাণী আটল ..ইত্যাদির "ইসলামিক" বেক্ষা দেন, সাইন্টিফিক বেক্ষা যেহেত ভুল .

ওহ হ এটার কথা ভুলে গেসিলাম


আল কোরআন ১৬:৬৯

তারা কি পাখীদের প্রতি লক্ষ্য করেনি যে, তারা শুন্যমণ্ডলে নিয়ন্ত্রিত রয়েছে?

আল্লাহ ছাড়া কেউ এদেরকে ধরে রাখে না।
জি ভাই, "এয়ার প্রেসার" ও আসলে একটা সাইন্টিফিক তত্ত্বের সরজন্ত্র মাত্র . আল্লাহ পাক পাখি শুন্যে ঝুলায়ে রাখে। আমিন সুম্মা আমিন

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ভাই , জি মেনে নিলাম, সাইন্টিফিক মেথড ভুল (!)

আমি কোথায় বললাম যে, সাইন্টিফিক মেথড ভুল? এটা মানুষের চিন্তা করার ও সত্যকে খোঁজার একটি পদ্ধতি। এর বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে ঠিক, তবে অনেক ক্ষেত্রেই এর মাধ্যমে সঠিক বিষয় উপলব্ধি করা যায়। হকিং সাহেবের যে কথাটা আমি পোষ্টে উদ্ধৃত করেছি, সেটার সাথে আমি পুরাপুরি একমত নই। তবুও উদ্ধৃত করেছি, যেহেতু আপনারা তাঁর পূজা করেন, তাই তার কথা দিয়েই আপনাদের একটু ............. দিলাম আরকি।

আপনি মনে হয় পোষ্টটি ভালো করে পড়েও দেখেননি। আমি কি বলতে চেয়েছি সব স্পষ্ট। অযথা কেন তর্ক করছেন স্যার।


০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:০০

মূসা আলকাজেম বলেছেন: এই লিংকে গিয়ে হারুন ইয়াহিয়ার বইটি পড়ে দেখুন, নূহ(আঃ) এর প্লাবনের ব্যাপারে প্রায় সব প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন। আর আমি আল্লাহ্‌ চাহেতো নূহ(আঃ) এর প্লাবন নিয়ে একটি পোষ্ট দিব।

এই লিংকে গিয়ে দেখুন। কিছু কথা আছে। যদিও তাদের সব দাবীর সাথে আমি নিজেও সম্পূর্ণ একমত নই। তবে চিন্তার খোরাক আছে। আর স্যার সবশেষে আপনার কাছে অনুরোধ যে, বিজ্ঞানকে মুক্তমন নিয়ে পড়ুন, কোন বিশেষ মতবাদের প্রতি খামোখা ভক্তিকে মন থেকে বিদায় করে পড়ুন।

জি ভাই, "এয়ার প্রেসার" ও আসলে একটা সাইন্টিফিক তত্ত্বের সরজন্ত্র মাত্র . আল্লাহ পাক পাখি শুন্যে ঝুলায়ে রাখে। আমিন সুম্মা আমিন

স্যার ধরেন আপনি কাউকে বেত দিয়ে একটি আঘাত করলেন; এখন বলেন কে আঘাত করলো, আপনি নাকি আপনার হাতের বেত? সহজ উত্তর, আপনি আঘাত করেছেন, তবে লাঠিকে উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছেন, লাঠির নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই কাউকে আঘাত করার। তেমনি এয়ার প্রেসার বলেন বা অন্য যেকোন কিছুর কথা বলেন, এগুলো হলো বাহ্যিক উপকরণ। আল্লাহ্‌ তাআলা এগুলো দিয়ে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করছেন, তবে তাঁর মানে এই নয় যে আল্লাহ্‌ পাক কোন কিছু করতে উপায় উপকরণের মুখাপেক্ষী, তিনি এয়ার প্রেসার ছাড়াও পাখিকে শূন্যে ভাসিয়ে রাখতে পারেন।

১৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:২৪

দিশার বলেছেন: মুসা ভাই, আমেরিকা চলে আসেন কষ্ট করে ভিসা নিয়ে, এখানে অনেক গুলা ফাউন্ডেশন থেকে লক্ষ্য লক্ষ্য ডলার পুরুস্কার আছে, স্রষ্টার "প্রমান" দিতে পারলে . আপনে নিয়েন , আমরে কিসু অংশ বিশেষ দিলে চলবে !

যেমন randi ফাউন্ডেশন , ১ লক্ষ ডলার নিয়ে বসে আছে, আপনাকে দেয়ার জন্য, নিয়ে নেন আমারে , হাজার দশেক দিলে চলবে

Click This Link

১৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:১১

দিশার বলেছেন: Click This Link

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ঠিকাছে, এই বিষয়ে আমি আল্লাহ্‌ চাহেতো কলম ধরবো। অপেক্ষা করুন।

১৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

চলতি নিয়ম বলেছেন: লেখক বলেছেন: হায়! হায়! এরও আবার উদাহরণ দিতে হবে! দোস্ত ! আমি এমনিই যেই অলস, এতটুকু যে লিখছি এটাই বহুত বেশী। আপনি নিজে একটু ঘাটলেই পেয়ে যাবেন। একটু শুধু বলি যে, ইলেক্ট্রনের চেয়ে ছোট কোন কণা দেখা যাবে দূরের কথা, ইলেক্ট্রন, প্রোটনই দেখা যায়না; ইলেক্ট্রন দেখা যাবে দূরের কথা এটমই দেখা যায়না; এটম দেখা যাবে দূরের কথা অনুও দেখা যায়না। ১/২টা অনু দেখা যাবার যে দাবী করা হয়, সেটাও দেখতে হবে আসলে সত্যি কিনা। পরমাণুর গঠনের যেই ছবি আমাদের বইপত্রে দেয়া হয়, জানেন নিশ্চয়ই এগুলো সব কাল্পনিক। জাস্ট বাচ্চাদের বুঝার সুবিধার জন্য। আপনি আমার এই পোষ্টের আলোকে ইলেক্ট্রন, প্রোটন আবিষ্কারের ইতিহাস আবার পড়ে দেখেন, দেখবেন যে এগুলো শুধুমাত্র থিওরী অর্থাৎ কিছু ঘটনাকে এসবের দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।


আর কিছু বলার নাই। আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। আপনার পোস্ট গুলো পরে দেখব, যদি কিছু জ্ঞান অর্জন হয়।

২০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৮

চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: পরমানুর গঠন দেখেন নাই বইল্যা বিশ্বাস করেন না। খুবই ভাল কথা। তাইলে আল্লারে বিশ্বাস করেন কেন??? আল্লারে কয়বার দেখছেন???

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৩

মূসা আলকাজেম বলেছেন: পরমানুর গঠন দেখেন নাই বইল্যা বিশ্বাস করেন না।

আমি কি আসলে কথাটি এভাবে বলেছি? আরেকবার পড়ে দেখুন প্লীজ। তাহলে হয়তো বুঝতে পারবেন আমি কথাটি কোন আঙ্গিকে বলেছি।

তাইলে আল্লারে বিশ্বাস করেন কেন??? আল্লারে কয়বার দেখছেন???

এটা এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয় নয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

২১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১২

চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: জাকারিয়া স্যারের পরে আপনার মতন আবালের সামুতে খুবই অভাব দেখা গিয়েছিল। আবার ব্লগ বিনুদন ফিরে আসায় বড়ই আনন্দিত!!!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩০

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌। গালি দেয়ার জন্য আপনাকে জাজাকাল্লহ। নীচের কবিতাটির উপর আমল করতে পারলাম।

উত্তম ও অধম
মূল : শেখ সা'দী
অনুবাদ : সত্যেন্দ্রনাত দত্ত

কুকুর আসিয়া এমন কামড়
দিল পথিকের পায়
কামড়ের চোটে বিষদাঁত ফুটে
বিষ লেগে গেল তাই।

ঘরে ফিরে এসে রাত্রে বেচারা
বিষম ব্যথায় জাগে,
মেয়েটি তাহার তারি সাথে হায়
জাগে শিয়রের আগে।

বাপেরে সে বলে র্ভৎসনা ছলে
কপালে রাখিয়া হাত,
তুমি কেন বাবা, ছেড়ে দিলে তারে
তোমার কি নাই দাতঁ?

কষ্টে হাসিয়া আর্ত কহিল
"তুই রে হাসালি মোরে,
দাঁত আছে বলে কুকুরের পায়ে
দংশি কেমন করে?"

বাকিটুকু এই লিংকে আছে।

২২| ০১ লা মে, ২০১৩ রাত ২:৫৭

চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: মামা কথা এড়াই গেলে তো হইব না!
পরমানুর গঠন বিশ্বাস করেন কি না কন?

০১ লা মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ধরেন বিশ্বাস করিনা। তো কি হলো? আপনি যেমন ভাবছেন যে, দেখিনা বলে বিশ্বাস করিনা, তেমনটি নয় মামা! বরং সাইন্টিফিক মেথডের সাথে মিলিয়ে চিন্তা করে দেখুন থমসন, রাদারফোর্ডের এসব থিওরী সাইন্টিফিক মেথডের কয়টি ধাপ অতিক্রম করতে পেরেছে। সাইন্টিফিক মেথডের নিক্তিতেই এইসব থিওরী পাস করেনা। আর জানা কথা খোদ বিজ্ঞানীরাও কোন থিওরী ১০০% বিশ্বাস করেনা; তবে সাধারণ পাবলিকরে বিশ্বাস করায়। এই জন্যইতো আমি এদেরকে ধাপ্পাবাজ বলি। আর এইসব কণার কথাতো অনেক আগের কথা; এখনতো এইসব বিজ্ঞানীরা বাজারে ছাড়ছে নতুন কমিক, নাম তার স্ট্রিং থিওরী। কণা টনা নাকি কিছুনা, সব নাকি তারের খেলা।

২৩| ০৯ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: jei sob boi te ble surjo prithibir caridike ghore segulo khub thik na???

২৪| ০৯ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

ভাম_বেড়াল বলেছেন: কোন কেলাশে পড়েন? আপাতত এইসব বালছাল না পুস্টাইয়া ঠিকঠাক ইশকুলের বিজ্ঞান কেলাশগুলো করেন।

২৫| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২১

গ্রীনলাভার বলেছেন: হাতি পোষ্ট। :D

@ভাম_বেড়াল, মামা অল্প বিদ্যা ভয়ংকর। বিজ্ঞানই একমাত্র কেলাশের পড়া না। ভাল কইরা না হোক, কিন্তু অন্তত একবার কুরআনের অর্থ শুইনা তারপর তর্কে আসা উচিৎ না?

আমি খালি একটা কথাই ভাবি, এই ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি, বায়োলজি, ম্যাথ, সামাজিক বিজ্ঞান .... - এই গুলা শত হাজার বছর ধইরা পড়াশুনা হইতেছে। এখনও কুনু শাখার শেষ দেখা যাইতেছে না। উল্টা আরও নতুন নতুন শাখা বাইর হইতেছে। যেই মহান আল্লাহ এই জ্ঞান কলমের মাধ্যমে আমাগরে শিখাইতেছেন, তাইলে তিনি কত বড় জ্ঞানী!!!

(ফিজিক্স পড়া কুনু পুলাপাইন আমার এই কমেন্টের উত্তর দিয়েন না। বিগব্যাং দিয়া পৃথিবীর শুরু আর কুনু শেষ নাই - এই গাজাখুরী জ্ঞান নিয়া তর্কে আইসেন না। প্লিজ। আপনেগরে বুঝানোর ক্ষমতা আপনাগর বচ স্টিফেন হকিং এরও আছে কিনা আল্লাহ জানে।)

০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:৪০

মূসা আলকাজেম বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৬| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২২

মো কবির বলেছেন: @ ভাই গ্রীনলাভার, স্টিফেন হকিং এর বিগব্যাং সুত্র ঠিকই আছে, এটা যে ঠিক সেটা কুরআনই প্রমান করেছে।

সূরা আম্বিয়ার ৩০ নং আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, "আকাশ মণ্ডলী পৃথিবী এক সাথে মিশে ছিল আমি তাহাদেরকে পৃথক করে দিলাম"।


বিজ্ঞানের কল্যাণে আমরা আজ জানতে পেরেছি পানি দুই ধরণের লবণাক্ত ও মিঠা পানি। এবার দেখি কুরআন এই ব্যাপারে কি বলে ????


"আমি দুই দরিয়াকে পাশাপাশি প্রবাহিত করেছি, তাদের একটির পানি মিষ্ট ও সুপেয় আর অপরটির পানি লোনা ও বিস্বাদ। তারা একসাথে প্রবাহিত হলেও একে অপরের সাথে মিশে যায় না"------[সূরা ফুরকান(৫৩)]


কিছু দিন আগে হবহু উপরে বর্ণনা করা এই নদীটির সন্ধানও পাওয়া গেছে সেটি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরের পাঁশে। যেখানে দুটি ভিন্ন কালার,স্বাদ এবং তাপমাত্রার পানি একই নদী দিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে প্রবাহিত হচ্ছে, তারা কখনও মিশছে না।


এই হচ্ছে ভিডিও লিঙ্ক কেউ অবিশ্বাস করলে দেখতে পারেন >>>
Click This Link



২৭| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৬

মো কবির বলেছেন: ভাল লাগলে আরও পড়ুন,

https://www.facebook.com/QuranHadithSaying

২৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮

গ্রীনলাভার বলেছেন: ধন্যবাদ কবির ভাই।

২৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

কচু+আলু+আদা বলেছেন: মূসা ভাই নাস্তিকদের জন্য আপনি এতো কষ্ট করতেছেন। অথচ নাস্তিকগুলো কিছুতেই কিছু বুঝতেছে না। উল্টা নাস্তিকগুলা অনেক বুঝরুকি করতেছে। আসলে ঘটনা অইলো কি, আল্লাহ তো কইছেই আল্লাহ নাস্তিকগো কলবে সীল মোহর মাইরা দিছে। এই কথাটা তো কোন বাতেনি জিনিস না। আল্লাহর পরিষ্কার বয়ান। এরপরও আপনের এত্তো পরিশ্রম দেইখা আমার মনে হয়, মূসা ভাই কি আল্লাহর কথাটা জানেন না, নাকি জাইনাও মানেন না। কোনটা?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.