নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটাই জীবন,এটাই শেষ চান্স,মুসলিম হওয়ার।

বিজ্ঞানের ক্লাসে কোন নিউটন বা আইনস্টাইনের বাণীর প্রতি অন্ধ বিশ্বাস ও ভক্তি নিয়ে বসবেন না।প্রতি ক্ষেত্রে সন্দেহ করুন, প্রশ্ন করুন অবিরত।বিজ্ঞান কারো বাণী দিয়ে চলেনা।বিজ্ঞান চলে যুক্তি ও প্রমাণের উপর।প্রতি লাইনে লাইনে প্রমাণ চাই।

মূসা আলকাজেম

এই ব্লগের যেকোন লেখা বিনা অনুমতিতে কপি-পেষ্ট করা যাবে

মূসা আলকাজেম › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন রূপে আল কোরানের অতি বিস্ময়কর অলৌকিক গাণিতিক সৌন্দর্য।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

بسم الله الرحمن الرحيم



সকল প্রশংসা আল্লাহর। অসংখ্য দরূদ নাযিল হোক নবীর উপর বারবার।



কোরআনের মধ্যে আল্লাহ পাক অনেক রকম মোজেজা বা অলৌকিক বিষয় রেখে দিয়েছেন, যেগুলোর অনুরূপ জিনিষ বলা বা করা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো কোরআনের গাণিতিক মিরাকেল বা সংখ্যাতাত্ত্বিক অলৌকিকতা। কোরআনের মধ্যে উনিশ এর গাণিতিক মিরাকেল নিয়ে কথা বলে প্রথম যিনি বেশী আলোচিত-সমালোচিত হন তিনি হলেন মিশরের ডাঃ রাশেদ খালিফা।কিন্তু তিনি বেশ কিছু ভুল করেছেন,তার উপর গোঁজামিল দিয়েছেন, শেষমেশ নবী দাবী করার কারণে তার আবিষ্কৃত উনিশের মিরাকেল নিয়ে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে খুব বেশী দূর আগানো যায়নি। কিন্তু তার পরে অন্য অনেকেই কোরআনের গাণিতিক মিরাকেল আবিষ্কারের জন্য গবেষণায় লেগে যায়। ফলে দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিচ্ছিন্নভাবে অনেক গবেষকই কোরআনের অসংখ্য গাণিতিক সৌন্দর্য ও মিরাকেল আবিষ্কার করতে থাকে। সেগুলো দেখলে মনে হয়,যেন এক অন্তহীন গাণিতিক মিরাকেলের মহাসমুদ্রের কিনারের মণিমুক্তা কুঁড়াতেই আমাদের ১০০ বছর পেরিয়ে যাবে। যাইহোক সেইসব মণিমুক্তা থেকে আমি আপনাদেরকে নীচে একটি অতি উজ্জ্বল গোলাপী মুক্তা প্রদর্শন করার চেষ্টা করব ইনশা-আল্লহ।এই উজ্জ্বল মুক্তা দেখে চোখ ঝলসে যাবে না তবে মহান আল্লাহর অসীম জ্ঞানের নিদর্শন দেখে চোখ থেকে ঝরতে পারে অশ্রুর মুক্তা,যার থেকে ছড়িয়ে পড়বে ঈমানী রোশনী ।

আমরা সবাই জানি কোরানে মোট ১১৪ টি সূরা আছে। আর কোরানে মোট আয়াত আছে ৬২৩৬ টি। নীচের ১নং চার্টটি খেয়াল করুন।



১নং চার্টের

*প্রথম কলামে দেয়া হয়েছে ধারাবাহিকভাবে সূরাগুলোর সিরিয়াল নাম্বার ১১৪ পর্যন্ত। *২য় কলামে আছে সূরাগুলোর আয়াত নাম্বার।

*৩য় কলামে আছে আগের দুই কলামের যোগফল অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে প্রত্যেক সূরার সিরিয়াল নাম্বার এবং ঐ সূরার আয়াত নাম্বারের যোগফল।

*৪নং কলামে আছে এই যোগফলগুলোর মধ্যে যেগুলো শুধু জোড় সেগুলো।

*আর ৫নং কলামে আছে এই যোগফলগুলোর মধ্যে যেগুলো শুধু বেজোড় সেগুলো ।



১নং চার্টঃ

(ছবি কিছুটা ছোট দেখালে কি বোর্ডের ctrl বাটন চেপে ধরে উপরের ডান দিকে যেই বাটনে যোগ চিহ্ন আছে সেটা দু'তিনবার চাপুন তাহলে ওয়েব পেজটি আকারে বড় হয়ে যাবে। তাতেও কাজ না হলে এই লিংকে গিয়ে পোষ্টটি পড়ুন। )







উপরে ১নং চার্টের শেষে আপনি যে ফলাফল দেখতে পেলেন সেটাকে যদিও গাণিতিক সৌন্দর্য বলা যায়, কিন্তু শুধু এতটুকুর জন্য এটাকে কোন মিরাকেল বলা যায়না নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে। তবে মিরাকেল শুরু হচ্ছে সামনের ২নং চার্ট থেকে। সামনের চার্টগুলো দেখলে বুঝা যাবে যে, ১নং চার্টের গাণিতিক সৌন্দর্যটিও আসলে শুধু ঘটনাচক্র নয় বরং সেটাও ১৯ এর অসম্ভব জটিল মিরাকেলের সাথে যুক্ত।



নীচের ২নং চার্টে দেখুন দু'টি ভাগ আছে। প্রতি ভাগে পাঁচটি করে কলাম আছে। বামদিকের প্রথম ভাগে আনা হয়েছে কোরানের বেজোড় সিরিয়াল নাম্বারের ৫৭টি সূরা, আর ডান দিকের ভাগে আনা হয়েছে জোড় সিরিয়াল নাম্বারের ৫৭টি সূরা।



উভয় ভাগেরই

*১ম কলামে বসানো হয়েছে সূরার সিরিয়াল নাম্বার।

*২য় কলামে বসানো হয়েছে সূরার আয়াত নাম্বার।

*৩য় কলামে সূরার সিরিয়াল নাম্বার আর আয়াত নাম্বারকে পাশাপাশি বসানো হয়েছে ।

*৪র্থ কলামে সিরিয়াল নাম্বার ও আয়াত নাম্বারের গুণফল বসানো হয়েছে।

*৫ম কলামে সিরিয়াল নাম্বার ও আয়াত নাম্বারের যোগফল বসানো হয়েছে।

এরপর প্রতিটি কলামের প্রতিটি সংখ্যার মোট যোগফল, প্রতি কলামের নীচে বসানো হয়েছে। এরপর কি আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে তা চার্টের নীচে গিয়েই দেখুন।

২নং চার্টঃ





এ কি দেখলাম !!! প্রতিটি কলামের যোগফল পাশাপাশি লেখে যে বিরাট সংখ্যা পাচ্ছি সেটা ১৯ দিয়ে নিঃশেষে ভাগ যায়। অতিরিক্ত ফায়দা হিসাবে পেলাম যে, প্রতিটি কলামের যোগফলকে আবার পরষ্পর যোগ করলে সেই যোগফলও ১৯ দিয়ে ভাগ যায়।কি বিস্ময়কর!!! বিস্ময় আর আশ্চর্য এখানেই শেষ নয় । মাত্র শুরু প্রিয় পাঠক! এবার চলুন ৩য় চার্টে।



৩য় চার্টে আগের চার্টটিই আছে। তবে এবার হিসাব করা হয়েছে অন্যভাবে।দেখুন, প্রথম কলামে সংখ্যা আছে ৫৭টি। এই সংখ্যাগুলো লেখতে যতগুলো ডিজিট বা অংক ব্যবহৃত হয়েছে তার পরিমাণ লেখা হয়েছে কলামের শেষে। যেমনঃ ৫৭এর মধ্যে ডিজিট আছে দু'টি, ১২৩ এর মধ্যে ডিজিট বা অংক আছে তিনটি। এরকম প্রত্যেক কলামের মোট ডিজিটের সংখ্যা সেই কলামের নীচে লেখা হয়েছে। এরপর কি হয়েছে? চলুন চার্টের নীচে গিয়ে দেখি।



৩নং চার্টঃ





হায় আল্লাহ! এ কি আশ্চর্য ব্যাপার !!! তাই না? ১০টি কলামের নীচের দশটি সংখ্যাকে পাশাপাশি লেখলে যে বিরাট সংখ্যা হয় সেটা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য, আবার এই ১০ টি সংখ্যাকে উল্টো দিক থেকে লেখলেও তা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য। এখানেই শেষ নয়। এর চেয়েও বেশী চোখ জুড়ানো মিরাকেল আছে সামনের চার্টে । যদিও আমার দৃষ্টিতে এই তিন নং চার্টটি মিলানোই তুলনামূলক অনেক অনেক বেশী কঠিন ।



৪নং চার্টে আগের চার্টটিই আছে, তবে এবার হিসাব করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন আরেকভাবে। চার্টটি বানানো হয়েছিলো ১১৪ টি সূরাকে জোড় ও বেজোড় দু'ভাগে ভাগ করে। এরপর দু'ভাগকে পাশাপাশি রাখা হয়েছে। ফলে চার্টটিতে আড়াআড়ি সারি হয়েছে ৫৭টি। এবার আমরা এই ৫৭টি সারিকে তিন ভাগ করবো, তাহলে প্রতি ভাগে সারি পরবে ১৯টি করে। এরপর যেই দৃষ্টিনন্দন কাজটি আমরা করবো, সেটা আর আমাকে লেখে বুঝাতে হবেনা। আপনি এখন নীচের চার্টগুলোতে চোখ বুলিয়ে যেতে থাকুন আর কোরানের অলৌকিক, অপূর্ব গাণিতিক সৌন্দর্যে চমৎকৃত, বিমোহিত, শিহরিত আর রোমাঞ্চিত হতে থাকুন।



৪নং চার্টঃ





প্রথম ১৯ সারির অলৌকিক ১৯টি সিঁড়ির ধাপের যোগফল ৩৪২৭০, ২য় ১৯ সারির অলৌকিক ১৯টি সিঁড়ির ধাপের যোগফল ৩৫২২৫, ৩য় ১৯ সারির অলৌকিক ১৯টি সিঁড়ির ধাপের যোগফল ৩৪৫২৩ । এবার ঠিক সিরিয়াল মত ১ম, ২য়, ৩য় যোগফলটি পাশাপাশি বসিয়ে ১৫ ডিজিটের বিরাট সংখ্যাটিকে ১৯ দিয়ে ভাগ করা হয়েছে । এবং বিস্ময়করভাবে দেখা গেলো যে তা ১৯ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য।

34270 35225 34523 ভাগ 19= 18037027501817



ঠিক একই কাজ আমরা নীচের চার্টেও করবো, তবে এবার উল্টো দিক থেকে। আগের চার্টে যেই সিস্টেমে এগিয়েছি এই চার্টেও ঠিক সেই সিস্টেমেই আগাবো, এমন না যে, আমাদের হিসাব মিলানোর জন্য কোথাও আমরা আগের সিস্টেমের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবো।



৫নং চার্টঃ







প্রিয় পাঠক! আশা করি এবার আর বুঝাতে হবেনা। আপনি নিজেই বুঝে গেছেন আর কোরানের অলৌকিক গাণিতিক সৌন্দর্যে বিমোহিত হচ্ছেন।আগের মতই ১ম, ২য়, ৩য় সিঁড়ির যোগফলকে পরপর বসানো হয়েছে, এরপর ১৯ দিয়ে ভাগ করা হয়েছে।

41567 34016 27805 ভাগ 19= 21877547454095



প্রিয় পাঠক! সামনের কথাটা খেয়াল করুন, আমরা কিন্তু একই চার্টে হুবাহুব একই সিস্টেমে অগ্রসর হচ্ছি, এবং একই ঘটনা রিপিট হচ্ছে। এমন না যে, আমরা আমাদের শৃঙ্খলাকে ভঙ্গ করছি, আর না, এদিক সেদিকের কিছু বিচ্ছিন্ন চার্ট বা জিনিষের মধ্যে কোন গাণিতিক ঝড়েবক মিল দেখিয়ে দিচ্ছি। এরকম বিচ্ছিন্ন কিছু জিনিষের মাঝে ঝড়েবক গাণিতিক মিল অন্য বই বা ধর্মগ্রন্থেও পাওয়া যায়। সেগুলোর সাথে কোরানের গাণিতিক মিরাকেলের কোন তুলনাই চলেনা। একথাটা এজন্যই বললাম যে, নাস্তিকরা কোরানের গাণিতিক মিরাকেলের মোকাবেলায় ঐরকম কিছু ঝড়েবক গাণিতিক মিলের উদাহরণ টেনে এনে বলে যে, এমন মিরাকেল সব বইয়েই পাওয়া যায়।



যাইহোক প্রিয় পাঠক! এবার আপনার জন্য অপেক্ষা করছে চূড়ান্ত আশ্চর্য। এবার নীচের চার্টে আমরা দুই দিক থেকে নেমে আসবো। তারপর দেখি কি হয়।



৬নং চার্টঃ





হায়! হায়! এই অত্যাশ্চর্য, অভূতপূর্ব , মনমাতানো, চোখজুড়ানো, চোখভিজানো অলৌকিক গাণিতিক সৌন্দর্যের প্রশংসা করার ভাষা আমার জানা নেই।কোন ব্যতিক্রম না করে ,কোন গোঁজামিল না দিয়ে, ঠিক আগের সিস্টেমেই আমরা এবার উভয় দিক থেকে অলৌকিক সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসলাম গাণিতিক মিরাকেলের এক মনোরম ফুলবাগানে।

75837 69241 62328 ভাগ 19= 39914574955912



এবার উপরের সংখ্যা তিনটিকে উল্টো দিক থেকে বসান।



62328 69241 75837 ভাগ 19= 32804574956623



আল্লাহর দেয়া সুস্থ বিবেক বুদ্ধিকে নষ্ট করে ফেলেনি এমন সবাই এখন খুব সহজেই বুঝে নিবে যে, এই কোরআন কোন মানুষের রচনা হতে পারেনা, এবং এই কোরানের কোন একটা লাইনও ছুটে যায়নি। এমনকি কোথাও কোন একটি সূরার সিরিয়ালেও কোন বেশকম হয়নি। ঠিক যেভাবে নাযিল হয়েছে কোরআন ঠিক সেরকমই আছে। কোথাও চুল পরিমাণ বেশকম হলেই ভেঙ্গে যেত বা অঙ্গহানি হতো এই অভূতপূর্ব জটিল ১৯ ধাপের স্বর্গীয় সিঁড়ি। তখন আর এই চোখ জুড়ানো স্বর্গীয় সিঁড়ি দেখার কপাল আপনার আর আমার হতোনা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে খাঁটি ঈমান নিয়ে আল্লাহ পাকের সামনে দাঁড়ানোর তৌফিক দান করুন। আমিন। সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।



এখান থেকে নেয়া হয়েছে।





কিছু অতীব জরুরী পোষ্টঃ মাথা খুব ঠান্ডা রেখে পড়তে হবে



ইসলামের নবী (সল্লাল্লহু আলাইহিওয়আ সাল্লাম) এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের উত্থাপিত প্রায় সকল প্রশ্নের দাঁতভাঙ্গা জবাব । হুমায়ূন আহমেদের ২য় বিবাহ - পর্ব ৩



আর বিজ্ঞান দিয়ে যারা ইসলামকে মোকাবেলা করতে চায় তাদের জবাব দিতে নীচের পোষ্টগুলো পড়ুন।



যারা বিজ্ঞান দিয়ে কোরআনের ভুল ধরেন তারা সবাই একটু দেখুন। সাইন্টিফিক মেথড সম্পর্কে আগে জানুন।



দু'টি চুরির মামলা এবং সেই আলোকে বিবর্তনবাদ, পৃথিবীর স্থিরতা, আস্তিকতা- নাস্তিকতা এবং নাসার চাঁদে যাওয়ার প্রমাণ।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

মূসা আলকাজেম বলেছেন: অন্য একটি ফোরামে এক ভাইয়ের জিজ্ঞাসার জবাবে আমার করা একটি মন্তব্য এখানে তুলে দিলাম।

শ্রাবন লিখেছেন:
আচ্ছা , অন্যান্য ধর্ম গ্রন্থ গুলোর ( তাউরাত , ইঞ্জিল ) মধ্যে কে একি রকম সাদৃশ্য আছে ?


আমার জবাবঃ অন্যান্য ধর্ম গ্রন্থগুলোর আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত মূল কপিতে কোন গাণিতিক মিরাকেল থাকতেও পারে। অথবা বর্তমানের বিকৃত কপিতে যতটুকু অংশ অবিকৃত রয়ে গেছে সেটাতেও থাকতে পারে।
তবে অন্য বিকৃত ধর্মগ্রন্থের বিকৃত অংশে বা অন্য কোন বইয়ে এমন জটিল গাণিতিক সাদৃশ্য কখনো থাকতে পারেনা। এটা একদম সিম্পল কমনসেন্স দিয়েই বুঝা যায়। আর যে বলা হয় অন্য অমুক তমুক বইয়েও গাণিতিক সাদৃশ্য আছে, সেটা হলো কিছু ক্ষেত্রে মিথ্যা কথা, কিছু ক্ষেত্রে রাশেদ খলিফার মত গোঁজামিলমার্কা বা ত্রুটিপূর্ণ হিসাব, আর কিছু ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন কিছু জিনিষের মধ্য ঝড়েবক সাধারণ গাণিতিক মিল, তেমন জটিল না। এই যেমন ধরেন

আপনার কাছে কলম আছে ৭টি, আমার কাছে জামা আছে সাতটি, অমুকের কাছে ডিম আছে সাতটি


এই টাইপের মিল । কিন্তু আমি উপরে যেমন দেখিয়েছি, একই চার্টে এমন সুশৃঙ্খল, এত অসম্ভব জটিল গাণিতিক সাদৃশ্য ঝড়েবক হওয়া কস্মিনকালেও সম্ভব নয়, এবং ঐ জামানার কোন মানুষের পক্ষেও কোনদিন করা সম্ভব নয়। আর তারা করে থাকলে তারা এটাকে একটা চ্যালেঞ্জ বা মিরাকেল হিসাবে দাবী করত। অথচ এই সাদৃশ্য যে কোরানে আছে এটা অবিষ্কার হলোই মাত্র কদিন হয়। আর এই জামানার কম্পিউটার দিয়ে এমন করা সম্ভব কিনা বা সম্ভব হলেও সেটা কত কঠিন হবে তা অবশ্য আমি বলতে পারিনা।

কিছু ১ টাকার কয়েন , কিছু ২ টাকার কয়েন আর কিছু ৩ টাকার কয়েনকে যদি আপনি হাত থেকে সারা জীবন ধরে ছুড়ে মারতে থাকেন; তাহলে সেগুলো কোনদিনও তিনটি সারিতে আলাদাভাবে বিন্যস্ত হয়ে যাবেনা।

আমরা খালি চোখে দেখতে পাচ্ছি যে, অপূর্ব গাণিতিক সজ্জায় বিন্যস্ত হয়েছে কোরআনের সূরা এবং তার আয়াতগুলো। এই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে, এই বিন্যাস কখনো এমনি এমনি হতে পারেনা। এটা গেলো প্রথম কথা।

এখন প্রশ্ন হলো, এমনি এমনি হয়নি তাহলে করলো কে? একেতো ঐ জামানার আরবের মানুষ শিক্ষাদীক্ষা, হিসাব নিকাশে খুব দুর্বল ছিলো, তার উপর ঐ জামানায় কোন কম্পিউটার ছিলোনা, তার উপর কোরানে এমন বিস্ময়কর গাণিতিক মিরাকেল আছে, এটার মত করে দেখাও; এমন চ্যালেঞ্জও তারা করেননি।এটা আবিষ্কার হলোই মাত্র- এই তিন ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত হলো এই যে, এটা কোন মানুষ করেনি। সুতরাং এই গাণিতিক সাদৃশ্য তিনিই করেছেন যেই মহজ্ঞানী এই কিতাব নাযিল করেছেন।

এই হলো আমাদের যুক্তি ভিত্তি এবং এইসব ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে নেয়া আমাদের ২ টি সিদ্ধান্ত। একদম সরল সুস্পষ্ট কথা। এখন যদি কেউ আমাদের এই কথাগুলোর প্রেক্ষিতে পালটা কোন কথা বলতে চায়; তাহলে তাকে হয়তো আমাদের যুক্তির ভিত্তি খন্ডন করে দেখাতে হবে অথবা তাকে নতুন কোন কিছু প্রমাণ করতে হবে, নতুন কোন যুক্তি দিয়ে। এর বাইরে আগামাথা ছাড়া কোন খাপছাড়া কথা বলে খামোখা বিভ্রান্তিমূলক কথা কেউ দয়া করে বলবেন না।

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: আজকের কোরআন সংকল্ন হয় খলিফা ওসমানের কালে। এই সংকল্ন নিয়ে ঘোর বিতর্ক আছে। আয়শা তো ওসমানের কোরআনকে স্বীকারই করেনি। এসব বাদ দিলেও কোরআন সংকলন করা হয়েছে বই আকারে দশজন সম্পাদনামন্ডলীর তত্ত্বাবধানে। তারাই সুরাগুলো সিরিয়াল করেছে, আয়াত সাজিয়েছে। এর আগে আয়াতগুলো ছিল পাথরে, চামড়ায় বিচ্ছিন্নভাবে লিপিবদ্ধ। লওসে মাহফুজে যে কোরআন তা কি ওসমানকৃত কোরআন অনুরূপ? আজকের যে কোরআন ঘরে ঘরে মুসলমানরা ভক্তিতে চুমু খায় শোনা যায় তা এজিদের সময় আরেকবার সংষ্করন হয় যা ওসমানের সময়ের কোরআনের সঙ্গে মেলে না। আর ওসমানের সময়ের কোরআনেও আয়াত মিসিংয়ের অভিযোগ ছিল। রজম মেরে হত্যার মত আয়াতটি কিন্তু বর্তমান কোরআনে নেই। ওমর তাই ভবিষ্যতের জন্য ভয় পেয়েছিলেন যে, যদি কেউ জানতে চায় কোরআনের রজম মেরে হত্যার আয়াতটি কই? এই রকম এক বিতর্কিত ও বিকৃত গ্রন্থ নিয়ে আসছেন মিরাকল দেখাতে! ভালই।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৩

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আয়শা তো ওসমানের কোরআনকে স্বীকারই করেনি।

আজকের যে কোরআন ঘরে ঘরে মুসলমানরা ভক্তিতে চুমু খায় শোনা যায় তা এজিদের সময় আরেকবার সংষ্করন হয় যা ওসমানের সময়ের কোরআনের সঙ্গে মেলে না

দুটোই ডাহা মিথ্যা কথা।

কোরআন সংরক্ষণের ঐতিহাসিক ও হাদীসভিত্তিক আলোচনা অনেক লম্বা, এবং অনেক কিছু জানতে হয়, অনেক টার্ম সম্পর্কে আইডিয়া থাকতে হয় ইত্যাদি। এই ব্লগের বেশীরভাগ মানুষই সেই আলোচনা ভালো করে বুঝার একাডেমিক যোগ্যতা রাখেনা, ধৈর্যও রাখে না। তাই আমি সেদিকে না গিয়ে একদম চাক্ষুষ গাণিতিক প্রমাণ দেখিয়ে দিলাম যে, কোরআন যখন যেভাবে যার দ্বারাই সংকলিত হোক না কেন, আল্লাহ যেভাবে ও যতটুকু সংরক্ষিত রাখতে চেয়েছেন ততটুকু হুবাহুব সংরক্ষিত আছে। ইতিহাসের সব ঝড় ঝাপটার আড়ালে মহা জ্ঞানী ও মহা কৌশলী আল্লাহ তাঁর মহা ক্ষমতাবলে ঠিকই কোরানকে পরিবর্তন থেকে রক্ষা করেছেন।যদিও বাহ্যিকভাবে দেখা গেছে যে, হজরত আবু বকর, হজরত ওসমান এনারা কোরানকে জমা করেছেন, বা অমুক অমুক সাহাবীরা লিখে রেখেছেন বা কোন এক মত অনুযায়ী কোরআনের সূরা সমূহের সিরিয়াল সাহাবীরা করেছেন ইত্যাদি যাই হোকনা কেন; অদৃশ্যে থেকে আল্লাহই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন। এই অপূর্ব গাণিতিক বিন্যাস দেখে এটাই সিমপ্লি বুঝে আসে।কেউ না বুঝলে তার জন্য আফসোস আর করুণা করা ছাড়া কিছু করার নেই। এখন কোন ইতিহাসের বইয়ে কি লেখা আছে না আছে, সেগুলো কতটুকু ঠিক না বেঠিক সেদিকে আর সাধারণ পাঠকের যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

আপনি ভুল শুদ্ধ মিলিয়ে ইতিহাসের যেসব তথ্য দিলেন তাতে কোরআনের মিরাকেল আরো বেশী উদ্ভাসিত হলো। এভাবে যে, এত ঝড় ঝাপ্টা যাওয়ার পরেও এত অপূর্ব গাণিতিক সাদৃশ্য কিভাবে পাওয়া সম্ভব? একটাই জবাব, এটা মহা জ্ঞানী আল্লাহ পাকের মহা ক্ষমতা দ্বারাই সম্ভব হয়েছে। আর আপনার এসব তথ্য থেকে এটাও বুঝে গালো যে, এই অপূর্ব গাণিতিক সাদৃশ্য ঐ জামানার কেউ করেনি, অবশ্য গাণিতিক দিক থেকে দেখলে করা সম্ভবও ছিলোনা। এখন ঐতিহাসিক দিক থেকেও বুঝা গেলো যে এই অলৌকিক গাণিতিক মিল কোন মানুষ করেনি।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আমাদের যুক্তির প্রথম ভিত্তি ছিলো যে, একই নিয়মে অগ্রসর হয়ে বারবার একই ঘটনা রিপিট হচ্ছে। অতএব এটা একটা সুশৃঙ্খল সিস্টেম। এই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত ছিলো যে, এরকম সুন্দর সিস্টেম কখনো এমিন এমনি ঝড়েবক হতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাসে কোন বইয়ে হয়নি। খৃষ্টানরা গত ৩০ বছরে বহু বইয়ে খুঁজেও এমন কোন গাণিতিক সাদৃশ্য কোন বইয়ে খুঁজে পায়নি। তবে ছোটখাট, খাপছাড়া কিছু গাণিতিক সাদৃশ্য পেয়েছে। এছাড়া এটা সিমপ্লি কমনসেন্স দিয়েই বুঝা যায় যে, এরকম সুন্দর সিস্টেম কোনদিনও এমনি এমনি হতে পারেনা। কাউকে মাথা খাটিয়ে করতে হবে। প্রশ্ন হলো কোরআনের এই গাণিতিক সিস্টেমটা বানালো কে?

এরপর আমাদের যুক্তির দ্বিতীয় ভিত্তি ছিলো যে, কোরআনের গাণিতিক সিস্টেমটি অকল্পনীয় জটিল । এর উপর দাঁড়িয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত ছিলো যে, এটা কোন মানুষের করেনি।এছাড়া এই ২য় সিদ্ধান্তের পক্ষে কিছু ঐতিহাসিক ভিত্তিও আছে। যেমনঃ

১। আমাদের নবী (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লেখাপড়া জানতেন না, এমনকি ঐ জামানার আরবের বেশীরভাগ মানুষই লেখাপড়া জানতো না, এর উপর অংক ও গণনায় ছিলো আরো বেশী দুর্বল।

২। ঐ জামানায় কোন গণনা করার যন্ত্র ছিলোনা।

৩। তারা যদি এই গাণিতিক সিস্টেম বানাতো তাহলে তারা এটা গর্ব করে প্রচার করতো আর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতো যে, কোরআনে এমন অলৌকিক গাণিতিক মিরাকেল আছে, কেউ পারলে এমন করে দেখাও। কিন্তু না তারা তা করেনি। কারন তারা নিজেরাই জান্তো না যে কোরআনে এমন গাণিতিক মিরাকেল আছে। এটা আবিষ্কার হলোই কিছুদিন আগে। মানুষ কোন কালেই বই লেখার সময় এমন সব জটিল গাণিতিক সাদৃশ্য রক্ষা করার কথা চিন্তা করেনি। এত এত বাঘা বাঘা গণিতবিদ ; এত এত মহাবিজ্ঞানী গেলো কারো কোন বইয়ে এমন কোন গাণিতিক মিল পাওয়া যাবে দূরের কথা, কেউ এভাবে করার চিন্তাও করেনি। এমন গাণিতিক মিল বজায় রেখে বই লেখতে গেলে কোন বিজ্ঞানীর আর কোন বই লেখা হতো না। এই গাণিতিক মিলের পিছে পরেই জীবন শেষ হয়ে যেত।

৪। ঐ শুরুর জামানায় কোরআনের আয়াতের শেষে কোন নাম্বার লেখা থাকতো না, শুধু গোল একটা চিহ্ন থাকতো। চিন্তা করেন তাহলে নাম্বারই দেয়নি, তাহলে নাম্বারের মাঝে গাণিতিক মিল রাখবে কি করে? (নেটে হাজার বছর আগের কোরআনের ছবি পাওয়া যায়)

৫।বাহ্যিকভাবে কোরআনের বা নবীর বিপক্ষে যায় এমন অনেক তথ্য ইসলামের ইতিহাসে রক্ষিত আছে। কোন মেয়েকে দেখে নবীর ভালো লেগে গিয়েছিলো, কোন আয়াত শয়তান এলকা করেছিলো, কোন আয়াত ছাগলে খেয়ে ফেলেছে, সাহাবীরা কিভাবে নিজেরা মারামারি করেছে, সূরা তওবার শেষ দুই আয়াত নিয়ে কি ঝামেলা হয়েছিলো ইত্যাদি বহু হাবিজাবি কথাও ইতিহসের পাতায় আছে । আলেমরা কোন কিছুই গোপন করেনি।গোপন করা সম্ভবই ছিলো না। ইসলাম শুরুতেই ,নবীর সাহাবীরা শুরুতেই দুনিয়ার বিভিন্ন কোনায় ছড়িয়ে গিয়েছিলো; একজন লুকালেও আরেক জন ফাঁস করে দিতো, কারণ সাহাবীদের মাঝেও বিরাট মারামারি হয়েছিলো। তো গাণিতিক মিরাকেলের এত বিরাট কর্মযজ্ঞ যদি হতো তাহলে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ নেই যে, সেটা অবশ্যই ইতিহাসে আসতো। কিন্তু না এটা নিয়ে বিন্দু পরিমাণ কোন আলোচনা ইসলামের ইতিহাসে কখনো হয়নি। এটা মাত্রই আবিষ্কার হলো।

৬। একজন কাতেবে অহী অর্থাৎ কোরআন লেখক নবী (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে) এর জীবদ্দশাতেই ইসলাম ছেড়ে দিয়েছিলো। কোন গাণিতিক হিসাব নিকাশ যদি নবী সাহাবীরা গোপনে করতেন, তাহলে সে অবশ্যই তা প্রকাশ করে দিতো।

তো এই ছয়টি ঐতিহাসিক তথ্য থেকে এবং আরো তথ্য উপাত্তের আলোকে এটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার যে, কোন মানুষ এই গাণিতিক মিরাকেল সৃষ্টি করেনি। এমনকি কি যদি এটা মেনে নেয়া হয় যে, এমন গাণিতিক সাদৃশ্য মানুষের পক্ষে বানানো সম্ভব; তারপরেও এটাই বুঝা গেলো যে, এটা কোন মানুষ করেনি। প্রিয় পাঠক এই কথাটি একটু ভালো করে খেয়াল করুন যে, এসব ঐতিহাসিক তথ্যের আলোকে আমরা এটাই বুঝতে পারলাম যে, এই গাণিতিক মিরাকেল ওই জামানার কোন মানুষ করেনি; যদিও তাদের পক্ষে সেটা করা সম্ভব ছিলো বলে আমরা ধরে নেই। এদিকে আমরা গাণিতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আগেই বুঝেছি যে, এমন গাণিতিক সিস্টেম বানানো কোন মানুষের পক্ষে সম্ভবই ছিলো না।

তো যাইহোক, এই মন্তব্যকারী যেসব তথ্য দিলো এর দ্বারা কি আমাদের যুক্তির এই ১ম ভিত্তি বা ২য় ভিত্তি কোনটা খণ্ডন হয়েছে? হয়নি, মোটেই হয়নি। তিনি আমাদের কোন যুক্তিকেই খণ্ডন করতে পারেননি।এখন কথা হলো, আমাদের যুক্তি খণ্ডন হয়নি বুঝলাম, তাহলে মন্তব্যকারীর এইসব কথা দ্বারা কি প্রমাণ হয়? বা আমাদের যুক্তি প্রমাণের সাথে মন্তব্যকারীর কথার সম্পর্ক কি? বলছি শুনুন

আমরা চাক্ষুষ অকাট্য গাণিতিক প্রমাণ দেখালাম যে, কোরআনের এই গাণিতিক সিস্টেম কোন মানুষ করেনি, আর সিস্টেম যেহেতু রক্ষিত আছে এতে বুঝা গেলো যে, কিতাবে কোন পরিবর্তন হয়নি, যিনি সিস্টেম করেছেন অদৃশ্য থেকে ইতিহাসের সব ঝড়ঝাপ্টার পরেও কোরানকে রক্ষা করেছেন।

আর মন্তব্যকারী আমাদের যুক্তির ভিত্তি খণ্ডন না করে নতুন একটা যুক্তি নিয়ে আসলেন। তার যুক্তির ভিত্তি হলো ইতিহাস। ইতিহাসের ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে উনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে, কোরআন পরিবর্তন হয়েছে। তো চাক্ষুষ গাণিতিক ভিত্তির সাথে যখন ইতিহাসের সংঘাত ঘটে তখন আর বুঝতে বাকি থাকেনা যে, এই ইতিহাস ঠিক নয় বা এই ইতিহাস অসম্পূর্ণ বা ইতিহাস বিশ্লেষণ করে যেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেই বিশ্লেষণ ভুল, সিদ্ধান্ত ভুল। এবং আসলেই তাই আমাদের মন্তব্যকারী যেসব ইতিহাস তুলে ধরেছেন বলতে গেলে সবই ভুল বরং কয়েকটা ডাহা মিথ্যা ।

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: আপনার দৌড় আমি বুঝে গেছি। সেই সঙ্গে বুঝে গেছে আর সবাই। এই ব্লগে ব্লগার ও ব্লগ পাঠকদের জ্ঞান নিয়ে আপনার নিম্নমানের ধারনার নিন্দা জানাই। আমার আমার তথ্য মিথ্যা নয়। হাদিসে এর ভুরি ভুরি প্রমাণ আছে। এই মুহূর্তে রেফারেন্স দিতে পারলাম না, তবে একটা লেখার লিঙ্ক দিচ্ছি আগ্রহী পাঠক পড়ে দেখতে পারেন। পোস্টের লেখকও পড়তে পারেন, তাতে আপনার অন্ধবিশ্বাস দূর হবে। এখানে ক্লিক করুন

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মূসা আলকাজেম বলেছেন: হাদিসে এর ভুরি ভুরি প্রমাণ আছে। এই মুহূর্তে রেফারেন্স দিতে পারলাম না,

হাসালেন ভাই। ভুরি ভুরি প্রমাণ, মাগার রেফারেন্স খেয়াল নাই। আপনাদের স্বভাবই এমন । আমি পোষ্ট দিলাম কোরআন সংরক্ষণের চাক্ষুষ গাণিতিক প্রমাণ নিয়ে। আর আপনি বারবার শুদ্ধ অশুদ্ধ ঐতিহাসিক আলোচনা টেনে আনছেন। আজিব।

কোরানের সংরক্ষণের ব্যাপারে খৃষ্টান মিশনারী এবং নাস্তিকদের সকল সন্দেহের রেফারেন্স সমৃদ্ধ ইতিহাস ও হাদীস ভিত্তিক জবাব দেখুন
এই লিংকে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাইট।

আরো দেখুন

এই লিংকে

এই লিংকে

এই লিংকে

এই লিংকে

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

মূসা আলকাজেম বলেছেন: কোরআনের সংরক্ষণের বিরুদ্ধে অরিয়েন্টালিস্টদের সকল প্রশ্নের জবাব জানতে এই লিংকে গিয়ে একটি বই ডাউনলোড করে পড়ে দেখুন। বইটির নাম
The History of the Qur'anic Text from Revelation to Compilation

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: কোরআন যে এক ডাহা মিথ্যা, আকাশবাণী নয় তার প্রমাণ যে গ্রন্থ লওহে মাহফুজে পৃথিবী সৃষ্টির আগে লিপিবদ্ধ থাকে সে গ্রন্থের আয়াত আল্লা নিজে পরিবর্তন করে কিভাবে? একই বিষয়ে স্ববিরোধী আয়াত আসে কিভাবে? আয়েশার চরিত্র নিয়ে যে বিতর্ক উঠে তার জবাব আসতে মাসাধিক সময় লাগে অথচ যেটা লওহে মাহফুজে লিপিবন্ধ হয়ে আছে বহু বহু কাল আগে থেকে। আর সেই বিখ্যাত শয়তানের আয়াত?

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৯

মূসা আলকাজেম বলেছেন: বুঝেছি,কোরআনের অপূর্ব গাণিতিক মিরাকেল দেখে আপনার বুঝে এসে গেছে যে, এই কোরআন নিসন্দেহে সত্য। কিন্তু নিজের দীর্ঘদিনের যুক্তিহীন বিশ্বাসে আঘাত লাগায়, এবং পাল্টা কোন যুক্তিগ্রাহ্য জবাব না পাওয়ায় আবোল তাবোল বলছেন। যাইহোক আপনি বুঝে গেছেন যে কোরআন চির সত্য , সঠিক ,নির্ভুল। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, কোরআন মহান আল্লাহর নাযিলকৃত একমাত্র অবিকৃত চির সত্য কিতাব। এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে, কোরআন মহান আল্লাহর নাযিলকৃত একমাত্র অবিকৃত চির সত্য কিতাব।

৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪

নীল আকাশ আর তারা বলেছেন: ++++++++++

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

মূসা আলকাজেম বলেছেন: আল্লাহর শুকরিয়া। জাজাকাল্লহ।

৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

দ্যা ফ্রীল্যান্সার বলেছেন: সুষুপ্ত পাঠক - এর সাথে একমত। এবং পোস্টে মাইনাস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.