নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের যেকোন লেখা বিনা অনুমতিতে কপি-পেষ্ট করা যাবে
بسم الله الرحمن الرحيم
সর্বাবস্থায় সকল প্রশংসা আল্লাহর।আমাকে সুখে রাখলেও প্রশংসা আল্লাহর, আমাকে দুঃখে রাখলেও প্রশংসা আল্লাহর । আর অসংখ্য দরূদ নাযিল হোক তাঁর নবীর উপর বারবার। উম্মতের কল্যাণ চিন্তায় যিনি ছিলেন বেকারার।
১ম পর্ব এখানে আছে।
২য় পর্ব আছে এখানে।
গণিতবিদরা সংখ্যাকে বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন রকমে ভাগ করেছেন। সংখ্যার অনেক ধরণ আছে। কোন সংখ্যার প্রকৃত উৎপাদকগুলোর যোগফল ঐ সংখ্যা থেকে বড় নাকি ছোট নাকি সমান এটা বিবেচনা করে সংখ্যাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ
(১)পারফেক্ট নাম্বার
(২)অ্যাবানডন্ট নাম্বার
(৩) ডেফিসন্ট নাম্বার।
সামনে এগুলোর ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে এবং কোরআনের মধ্যে এই তিন ধরণের সংখ্যার অলৌকিক বিন্যাস দেখানো হয়েছে।
প্রথমে আমাদের জানতে হবে উৎপাদক কাকে বলে আবার প্রকৃত উৎপাদকই বা কাকে বলে।
ধরুন,একটি সংখ্যা ''ক" । এই "ক"কে যে সংখ্যাগুলো দিয়ে নিঃশেষে ভাগ করা যায় সেই সংখ্যাগুলোকে "ক" এর উৎপাদক বলে। যেমনঃ ৬ এর উৎপাদকসমূহ হলোঃ ১,২,৩,৬। ৮এর উৎপাদকসমূহ হলোঃ ১,২,৪,৮ । ১০ এর উৎপাদকসমূহ হলোঃ ১,২,৫,১০। এই উৎপাদকসমূহের মধ্যে আন্ডারলাইন করা উৎপাদকগুলো হলো প্রকৃত উৎপাদক। অর্থাৎ কোন সংখ্যার উৎপাদকগুলো থেকে খোদ ঐ সংখ্যাটিকে বাদ দিলে যেগুলো বাকী থাকে সেগুলোই সেই সংখ্যার প্রকৃত উৎপাদক।
কোন সংখ্যার প্রকৃত উৎপাদকগুলোর যোগফল যদি ঐ সংখ্যাটির সমান হয়,তাহলে ঐ সংখ্যাটি হলো পারফেক্ট নাম্বার(Perfect number)। যেমনঃ ৬=১+২+৩। সুতরাং ৬ একটি পারফেক্ট নাম্বার।এরপর ২৮, এরপর ৪৯৬, এরপর ৮১২৮ এরপর ৩৩৫৫০৩৩৬ হলো পারফেক্ট নাম্বার। বুঝতেই পারছেন যে, কত দুর্লভ এই নাম্বার।
আর যদি কোন সংখ্যার প্রকৃত উৎপাদকগুলোর যোগফল, ঐ সংখ্যাটির থেকে বড় হয়, তাহলে ঐ সংখ্যাটি হলো অ্যাবানডন্ট নাম্বার। (Abundant number) যেমনঃ ১২ এর প্রকৃত উৎপাদকগুলো হলো ১,২,৩,৪,৬ । এদের যোগফল ১২ থেকে বড়। ১+২+৩+৪+৬= ১৬। সুতরাং ১২ একটি অ্যাবডন্ট নাম্বার।
আর যদি কোন সংখ্যার প্রকৃত উৎপাদকগুলোর যোগফল, ঐ সংখ্যাটির থেকে ছোট হয়, তাহলে ঐ সংখ্যাটি হলো ডেফিসন্ট নাম্বার (Deficient number)। যেমনঃ ৮ এর প্রকৃত উৎপাদকগুলো হলো ১,২,৪। এদের যোগফল ৮ থেকে ছোট । ১+২+৪=৭। সুতরাং ৮ একটি ডেফিসন্ট নাম্বার।
তাহলে আমরা এই তিন ধরণের সংখ্যার পরিচয় পেলাম।এবার আমরা দেখবো এই তিন ধরণের আয়াতবিশিষ্ট সূরাগুলোর মধ্যে জোড় আর বেজোড় সিরিয়াল নাম্বারগুলো কেমন অলৌকিকভাবে ঠিক সমান সমান বিন্যস্ত হয়ে গেছে।
পারফেক্ট আয়াতবিশিষ্ট সূরাগুলোর অলৌকিক বিন্যাসঃ
আমরা আগেই জেনেছি যে, পারফেক্ট নাম্বার অত্যন্ত দুর্লভ। তাই কোরআনে ১১৪টি সূরার মধ্যে মাত্র ৪টি সূরার আয়াত নাম্বার পারফেক্ট নাম্বার।২টি সূরাতে আছে ৬টি করে আয়াত এবং অন্য ২টি সূরাতে আছে ২৮টি করে আয়াত।আশ্চর্যের বিষয় যেটা, সেটা হলো ৪টি সূরার মধ্যে ২টি সূরার সিরিয়াল নাম্বার বেজোড় আর ২টি সূরার সিরিয়াল নাম্বার জোড়।ঠিক সমান ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। কেন? এটা আশ্চর্য কেন? এই জন্যই যে, এই একই ঘটনা সামনে আরো পাঁচবার ঘটবে। ফলে এটা পরিষ্কার বুঝা যাবে যে, এত জটিল ও পারফেক্ট বিন্যাস বারবার কোন অবস্থাতেই ঘটনাচক্রে এমনি এমনি ঘটতে পারেনা। নিশ্চয়ই কেউ এটা পরিকল্পিতভাবে করেছে। এখন প্রশ্ন হলো কে করলো? অবশ্যই বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহ পাক করেছেন,যিনি কোরআন নাযিল করেছেন। কেননা ঐ জামানার কারো পক্ষে এমন করা সম্ভব ছিলোনা। যেহেতু তখন কোন ক্যালকুলেটর বা কম্পিউটার ছিলোনা, আরবের লোকেরা শিক্ষাদীক্ষায় ছিলো দুর্বল, বিশেষ করে গণনায় ছিলো আরো বেশী দুর্বল।ইসলামের নবী(সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেও ছিলেন অক্ষরজ্ঞানহীন। কোরআনের আয়াতের শেষে তখন নাম্বারও দেয়া হতোনা, শুধু এমনি একটা চিহ্ন দেয়া হতো। কাগজ কলমের খুব অভাব ছিলো; এমনকি কোরআন লেখার জন্যও কাগজ পাওয়া যেতোনা অধিকাংশ সময়।আর এত বিরাট ও জটিল গাণিতিক কর্মযজ্ঞ যদি তখন হতো, তাহলে কোন না কোনভাবে তা অতি অবশ্যই ইতিহাসের পাতায় উঠে আসতো। কিন্তু না, তামাম ইসলামী ইতিহাসে এই ব্যাপারে কোনই উল্লেখ নেই।নির্ভরযোগ্য বা অনির্ভরযোগ্য কোন ইতিহাসে উল্লেখ নেই। তাহলে কে করলো? সেই একটাই জবাবঃ গণিতের যিনি স্রষ্টা সেই মহাজ্ঞানী আল্লাহই এই অলৌকিক গাণিতিক বিন্যাসে কোরানকে সাজিয়েছেন। এবার উপরে বর্ণিত গাণিতিক বিন্যাসটি নীচে চার্ট আকারে দেখুন।
১ম চার্ট
চার্ট ছোট দেখালে এই পোষ্টটি এই লিংকে গিয়ে পড়ুন।
নন-পারফেক্ট আয়াতবিশিষ্ট সূরাগুলোর অলৌকিক বিন্যাসঃ
কোরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে ১১০টি সূরার আয়াত নাম্বার পারফেক্ট নাম্বার নয়। এখানে আশ্চর্যের বিষয় যেটা, সেটা হলো, ১১০টি সূরার মধ্যে ৫৫টি সূরার সিরিয়াল নাম্বার বেজোড় আর ৫৫টি সূরার সিরিয়াল নাম্বার জোড়। আবারো আগের মত ঠিক সমান দু'ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। সামনে এই ব্যাপারটি চার্টের মাধ্যমে বুঝানো হয়েছে।
২য় চার্ট
অ্যাবানডন্ট আয়াতবিশিষ্ট সূরাগুলোর অলৌকিক বিন্যাসঃ
আল কোরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে ২৮টি সূরার আয়াত নাম্বার অ্যাবানডন্ট নাম্বার। আশ্চর্যের ব্যপার এই যে, পূর্বের পারফেক্ট ও ননপারফেক্ট আয়াতবিশিষ্ট সূরাগুলোর মত ২৮টি অ্যাবানডন্ট সূরার, সিরিয়াল নাম্বারগুলোও সমান দু'ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। ২৮টি সূরার মধ্যে ১৪টি সূরার সিরিয়াল নাম্বার বেজোড়; অন্যদিকে ১৪টি সূরার সিরিয়াল নাম্বার জোড়।
৩য় চার্ট
নন-অ্যাবানডন্ট আয়াতবিশিষ্ট সূরাগুলোর অলৌকিক বিন্যাসঃ
আল কোরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে ৮৬টি সূরার আয়াত নাম্বার অ্যাবানডন্ট নয়। আশ্চর্যজনকভাবে এক্ষেত্রেও ৮৬টি সূরা সমান দু'ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। ৮৬টি সূরার মধ্যে ৪৩টি সূরার সিরিয়াল নাম্বার বেজোড়; অন্যদিকে ৪৩টি সূরার সিরিয়াল নাম্বার জোড়।
চতুর্থ চার্ট
ডেফিসন্ট আয়াতবিশিষ্ট সূরাগুলোর অলৌকিক বিন্যাসঃ
আল কোরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে ৮২টি সূরা ডেফিসন্ট। আশ্চর্যজনকভাবে আগের দুই ক্ষেত্রের মত এই ক্ষেত্রেও ৮২টি সূরার সিরিয়াল নাম্বারগুলো জোড় আর বেজোড়ের মধ্যে সমান দুভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। ৮২টি ডেফিসন্ট সূরার মধ্যে ৪১টি সূরার সিরিয়াল নাম্বার বেজোড় ; আর অবশিষ্ট ৪১টি সূরার সিরিয়াল নাম্বার জোড়।
৫ম চার্ট
নন-ডেফিসন্ট আয়াতবিশিষ্ট সূরাগুলোর অলৌকিক বিন্যাসঃ
আবার কোরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে ৩২টি সূরা ডেফিসন্ট নয়। অতি আশ্চর্যজনকভাবে এক্ষেত্রেও ৩২টি সূরার সিরিয়াল নাম্বার জোড়-বেজোড় হিসাবে ঠিক সমান দু'ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। ৩২টি সূরার মধ্যে ১৬টি সূরার সিরিয়াল নাম্বার বেজোড় আর ১৬টি সূরার সিরিয়াল নাম্বার জোড়।
ষষ্ট চার্ট
এতক্ষণ ধরে আমরা দেখলাম যে,উল্লেখিত তিন প্রকার আয়াতবিশিষ্ট সূরাগুলোর মধ্যে জোড় আর বেজোর সিরিয়াল নাম্বারগুলো পরপর ছয়বার ঠিক সমানভাবে ভাগ হয়ে গেছে। একেবারে কম বুদ্ধির লোকও এটা বুঝবে যে, এরকম কোনদিনও এমনি এমনি ঘটতে পারেনা।
অবশ্যই এই বিন্যাস গণিতের স্রষ্টা আল্লাহ করেছেন। আল্লাহ আমাদের বুঝার তওফিক দিন ।আমিন। সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
তথ্যসূত্রঃ এখান থেকে নেয়া হয়েছে।
যারা কোরানের গাণিতিক মিরাকেল নিয়ে গবেষণা করতে চায় তাদের জন্য কিছু লিংক
এই জন্য আগে পিসিতে অ্যারাবিক ইন্সটল করে নিতে হবে। এখন কিভাবে আপনার পিসিতে এরাবিক ইন্সটল করবেন?
এখানে ক্লিক করুন
https://www.youtube.com/watch?v=Oi8z7MOK7Pc
http://www.kazirhut.com/threads/3300/
http://www.kazirhut.com/threads/3300/page-2
http://www.kazirhut.com/threads/4003/
http://eholyquran.com/Quran/LinksPrime/MathematicalMiraclesOfQuran.htm
http://www.answering-christianity.com/fakir60/mathematical_design_of_the_basma1.htm
http://www.answering-christianity.com/fakir60/words_and_letters_of_the_quran.htm
হুরুফে মুকত্তয়াতের সংখ্যার হিসাবের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য সাইট
এখানে ক্লিক করুন
http://www.answering-christianity.com/fakir60/initials2.htm
http://kaheel7.com/eng/index.php/powerpoint
http://kaheel7.com/eng/index.php/numeric-miracle
http://kaheel7.com/eng/index.php/numeric-miracle/149-the-beautiful-arrangement-of-seven-in-the-quran
কোরানের গাণিতিক মিরাকেল নিয়ে গবেষনার জন্য খুব ভালো একটি সফটওয়্যার
https://qurancode.codeplex.com/
https://qurancode.codeplex.com/discussions
https://qurancode.codeplex.com/documentation
https://qurancode.codeplex.com/releases/view/63705
prime_numbers_in_the_holy_quran
http://www.quranwonders.com/2009/06/18/id/28
http://www.quranwonders.com/math
http://www.islamawareness.net/Deviant/Submitters/Ultimate.html
http://www.miraclesofthequran.com/mathematical_index.html
http://heliwave.com/main.html
আরেকটি সফটওয়্যার
https://sourceforge.net/projects/al-anvar/
http://numerical19.blogspot.com/
রাশেদ খলীফার কিছু সাইট । খুব সাবধান।
http://www.19miracle.org/math-miracle-of-quran-19/
http://www.masjidtucson.org/quran/miracle/
http://www.masjidtucson.org/quran/appendices/appendix1.html
http://www.19miracle.org/math-miracle-of-quran/
http://submission.org/miracle.html
http://19.org/
Others
http://www.answering-christianity.com/blog/index.php?topic=1578.0
some pictures
https://forum.davidicke.com/showthread.php?t=210462&page=4
images
http://www.godprovenas1.com/revelations/7/home.html
কিছু অতীব জরুরী পোষ্টঃ মাথা খুব ঠান্ডা রেখে পড়তে হবে
ইসলামের নবী (সল্লাল্লহু আলাইহিওয়আ সাল্লাম) এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের উত্থাপিত প্রায় সকল প্রশ্নের দাঁতভাঙ্গা জবাব । হুমায়ূন আহমেদের ২য় বিবাহ - পর্ব ৩
আর বিজ্ঞান দিয়ে যারা ইসলামকে মোকাবেলা করতে চায় তাদের জবাব দিতে নীচের পোষ্টগুলো পড়ুন।
যারা বিজ্ঞান দিয়ে কোরআনের ভুল ধরেন তারা সবাই একটু দেখুন। সাইন্টিফিক মেথড সম্পর্কে আগে জানুন।
দু'টি চুরির মামলা এবং সেই আলোকে বিবর্তনবাদ, পৃথিবীর স্থিরতা, আস্তিকতা- নাস্তিকতা এবং নাসার চাঁদে যাওয়ার প্রমাণ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
মূসা আলকাজেম বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। আমিন।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮
মুদ্দাকির বলেছেন: এই ভাবে কখনো চিন্তা করি নাই। আলহামদুলিল্লাহ যতই জানি ততই মূর্খদের মূর্খতায় অবাক হই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪২
মূসা আলকাজেম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্। আল্লাহ আপনাকেও অনেক জাযা দিন।
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আল্লাহতো বলেছেনই- নিশ্চয়ই আমি সব কিছুকে গানিতিক ভাবে করেছি সুবিন্যাস্ত!!!
তবে আমরা বুঝতে পারছি অনেক দেরিতে। তবু ভাল বেটার লেট দেন নেভার।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।প্রিয়তে রাখলাম।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৪
মূসা আলকাজেম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্। আল্লাহ আপনাকেও অনেক জাযা দান করুন।
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এর আগে ১৯ দ্বারা বিভাজ্য একটা মিল আছে বলে জানতাম। এবার নতুন কিছু জানলাম। সুবহানাল্লাহ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৯
মূসা আলকাজেম বলেছেন: আপানকে জাজাকাল্লহ। ১৯দ্বারা বিভাজ্যের মিরাকেল অনেক অনেক অনেক জটিল সৌন্দর্যময়। সেটা এখনো ভালো করে আবিষ্কার হয়ে সারেনি। কিন্তু রাশেদ খালিফা পুরা মিরাকেলটা আবিষ্কার হওয়ার আগেই তাড়াতাড়ি একটা রেজাল্টে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলো। এতেই লাগলো ঘাপলা। কোরআনের শুধুমাত্র সূরাগুলোর সিরিয়াল নাম্বার আর মোট আয়াত নাম্বারের মধ্যেই যেই অপূর্ব সব মিরাকেল আছে সেগুলোই এখনো সব আবিষ্কার হয়নি। অথচ রাশেদ খালিফা শুরুতেই কোরআনের ভিতরে ঢুকে গিয়েছিলো। ফলে কোরআনের অতিশয় জটিল গাণিতিক মিরাকেলের সমুদ্রে সে ডুবে মরেছে।
৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১০
মূসা আলকাজেম বলেছেন: ভেবেছিলাম যে, নাস্তিক ঘরানার কেউ এসে নীচের প্রশ্নটি করবে। কিন্তু কেউ করলোনা। তাই নিজেই প্রশ্ন করে নিজেই উত্তর দিয়ে দিচ্ছি।
প্রশ্নঃ
আপনি বলেছেন, ""একেবারে কম বুদ্ধির লোকও এটা বুঝবে যে, এরকম কোনদিনও এমনি এমনি ঘটতে পারেনা। ""
এখন প্রশ্ন হলো, বুঝলাম যে এমনি এমনি হয়নি। কিন্তু কথা হলো কেন ধরে নিচ্ছেন যে, আল্লাহই এমন করেছেন। এমন করা কি মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
মূসা আলকাজেম বলেছেন: এই প্রশ্নের জবাবে বলছি, প্রথম কথা হলো, আমরা যদি কিছু সময়ের জন্য ধরে নেই যে, এমন গাণিতিক বিন্যাস তৈরী করা মানুষের পক্ষে সম্ভব; কিন্তু শুধু সম্ভব মেনে নিলেই এটা সাব্যস্ত হবেনা যে, বাস্তবেও মানুষেই এমন করেছে। কারো পক্ষে চুরি করা সম্ভব এর মানেই কিন্তু এই নয় যে, সে বাস্তবেও চুরি করেছে। বাস্তবে চুরি করেছে এটা বলতে হলে প্রমাণ লাগবে। তেমনি কোরআনের গাণিতিক বিন্যাস মানুষ করেছে এটা বলতে হলে আপনাকে প্রমাণ দেখাতে হবে। প্রমাণ ছাড়া কাণ্ডজ্ঞানহীনের মত একটা কথা বলে দিলেতো হয়না। বরং ঐ সময়ের ইতিহাস দেখলে এটা দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এতসব জটিল গাণিতিক বিন্যাস ইসলামের নবী (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীরা করবে অনেক দুরের কথা, এরচেয়ে আরো অনেক সহজ গাণিতিক বিন্যাসও তৈরী করার সময় ও সুযোগ তাঁদের ছিলোনা। তৈরী করবে দুরের কথা এসব নিয়ে তাঁদের ভাবারও কোন সময় ছিলোনা।
কেননা চতুর্দিক থেকে হাজারো বিপদ আপদ আর যুদ্ধ বিগ্রহের মধ্যে এক সীমাহীন ব্যস্ততার ভিতর দিয়ে তারা তাঁদের জীবন পার করেছেন।
এরউপর ঐ সময়কার আরবে না ছিলো কোন কম্পিউটার, না ছিলো কোন ক্যালকুলেটর ।
কাগজ কালির ছিলো বড়ই অভাব।
একটু লেখতে পারে বা পড়তে পারে এমন মানুষের দেখা পাওয়াও ছিলো বেশ কঠিন।
খোদ ইসলামের নবী (সলাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেই ছিলেন অক্ষরজ্ঞানহীন।
এমনকি কোরআনে আয়াতের শেষে নাম্বার পর্যন্ত দেয়া হতোনা ঐ সময়। শুধু চিহ্ন দেয়া হতো।
ইতিহাসের এসব তথ্যের আলোকে এবং আরো অনেক তথ্যের আলোকে/ভিত্তিতে এটা একেবারে স্পষ্ট যে, কোরআনের এমন গাণিতিক বিন্যাস কোন মানুষ করেনি, যদিও আমরা তর্কের খাতিরে ধরে নেই যে, এমন বিন্যাস তৈরী করা মানুষের পক্ষে সম্ভব ছিলো। সম্ভব থাকলেও, বাস্তবে আসলে কোন মানুষ তা করেনি বরং করেছেন মহাজ্ঞানী আল্লাহ পাক।
এতক্ষণ ধরে দিলাম তাসলিমী জবাব। অর্থাৎ এমন গাণিতিক বিন্যাস মানুষের পক্ষে বানানো সম্ভব এটা মেনে নিয়ে জবাব দিয়েছি যে, মানুষের পক্ষে বানানো সম্ভব থাকলেও বাস্তবে আসলে কোন মানুষ করেনি।
এখন দিবো ইনকারী জবাব। অর্থাৎ এখন দেখাতে চেষ্টা করবো যে, এমন গাণিতিক বিন্যাস মানুষের পক্ষে বানানো সম্ভবই নয়, কমপক্ষে ঐ জামানায়।
ইনকারী জবাবের ক্ষেত্রে প্রথম কথা হলো ,এই ৩য় পর্বে উল্লেখিত তিনপ্রকার সংখ্যার গাণিতিক বিন্যাসকে যদি আমরা আগের দুই পর্বের গাণিতিক বিন্যাস থেকে আলাদা করে স্বতন্ত্রভাবে চিন্তা করি, তাহলে আমি ঠিক নিশ্চিত নই যে এমন করা আসলে মানুষের পক্ষে সম্ভব কিনা। তবে এতটুকু নিশ্চয়তা দেয়া যায় যে, সম্ভব হলেও কাজটা হবে অতিশয় কঠিন ও অনেক সময়সাপেক্ষ। এক চার্টের মধ্যে বিন্যাস মিলাতে গেলে আরেক চার্টে ভেঙ্গে যাবে, আবার সেই চার্টে মিলাতে গেলে আরেক চার্টে ভেঙ্গে যাবে। আপনাকে একই সাথে ছয়টি চার্টের বিন্যাস মিলাতে হবে। এই কাজটি যে কত জটিল আর কঠিন তা আপনার তখনই বুঝে আসবে যখন আপনি হাতে কলমে এমন বিন্যাস বজায় রেখে কোন বই লিখতে যাবেন।
আর ২য় কথা হলো এই তিন প্রকার সংখ্যার বিন্যাসকে যদি আমরা আগের বিন্যাসগুলোর সাথে মিলিয়ে একসাথে চিন্তা করি, তাহলে এটা সূর্যালোকের মত স্পষ্ট যে, এতগুলো জটিল গাণিতিক বিন্যাস, ১১৪টি সূরার মধ্যে এতগুলো দিক থেকে বারবার এত অপূর্ব গাণিতিক সমন্বয় সাধন করা কোন মানুষের পক্ষে কোনদিন সম্ভব নয়। আপনি যদি অনেক সময় ব্যয় করে অনেক কষ্ট করে এই ৩য় পর্বে উল্লেখিত গাণিতিক বিন্যাস তৈরী করতে সক্ষমও হন তাতেও কোন লাভ নেই। কারণ তখন গিয়ে দেখবেন যে আগের দুই পর্বের বিন্যাসগুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে। আবার সেদিকে ঠিক করে এদিকে এসে দেখবেন যে, এদিকে সব নষ্ট হয়ে গেছে। যাইহোক অনেক কথা বললাম। কথা প্রকাশে ভুল থাকতে পারে। সত্যকে যারা আসলে মানতে চায় তারা আশা করি নিজের মাথা খাটিয়ে বুঝে নিবেন । আল্লাহ সবাইকে হেদায়াত দান করুন ।আমিন। সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১২
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: এই ধরণের সবকিছু করা হয় ধূর্ততার সাথে; এগুলো অপদার্থদের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভাই কুরআন সম্পর্কে বলতে গেলে কোন জ্ঞানই নাই তাই সত্য মিথ্যা যাচাই করার ক্ষমতাও নেই। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।