নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশপ্রেমিক- ৪
ওপারে তেল ঢালে
এপারে বাতি জ্বলে-
এটা হলো রাজনীতি!
এপারে ফুল ফোটে
ওপারে মালা গাঁথে-
এটা হলো অর্থনীতি!
ওপারে ঝড় ওঠে
এপারে ঢেউ গুনে-
এটা হলো সংস্কৃতি!
ওপারে গিয়ে শুধাই জনে জনে
রেখো মা এই দাসেরে মনে!
দেশপ্রেমিক- ৫
রাজনীতি এখন...
দেশপ্রেমিক- ১০
মৃত্যুই হয়ে যাবে মুক্তির বাহন!
আগামী ২০২১ সালে
করিমন বেওয়া পালন করবে তার
ফুটপাথে ভাসমান জীবনের
রজতজয়ন্তী!
যদিও দিন বদলেছে ঠিকই...
তারও মাথাপিছু আয় এখন
দু’হাজার মার্কিন ডলারের কাছাকাছি!
দেশপ্রেমিক- ১১
অতি ধনীদের বদান্যতায়
এদেশের কৃষক শ্রমিক জেলে মেথর...
দেশপ্রেমিক- ১
দেশপ্রেমিকের স্বভাব অনেকটা এখন
হয়ে গেছে কাকের মতন...
চোখ বুজে গোগ্রাসে আবর্জনা গিলে খায়
আর কা-কা-কা করে অবিরাম!
কেউ কেউ আছেন মহান দেশপ্রেমিক
উটের মতোই বালুর ভিতর মাথা গুজে
সুরক্ষিত বলয়ে থেকে নির্বিবাদে কাটিয়ে...
শিশুরা চিড়িয়াখানা দেখতে খুব ভালোবাসে!
যেহেতু মানুষের আসল রূপ ওরা চেনে না এখনও
তাই খাঁচায় বন্দী নিরীহ পশুরাই ওদের কাছে
হিংস্র প্রাণীর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত...
আমি কিন্তু পশুটসু খুব একটা পছন্দ করি...
আশরাফুল মাখলুকাত হতে গেলে
দুটো হাত লাগে দুটো পা লাগে
খাঁড়া শক্ত একটা মেরুদণ্ড লাগে
উন্নত মস্তিষ্ক একটা মাথা লাগে
দুটো চোখ কান লাগে নাক লাগে
সবাইকে বিমোহিত করার মতো
বাকপটুতা লাগে...
আধুনিক...
ধড়ের উপর দুটো মুণ্ডু
কে পেয়েছে ভবে,
এখন হতে আর কিছু নয়
শুধু বাতাবিলেবুর কথা হবে!
জীবনটা হলো আল্লার মাল
যেভাবে ইচ্ছে যাবে
এখন হতে আর কিছু নয়
শুধু বাতাবিলেবুর কথা হবে!
নিরাপদ সড়ক...
চিৎকার করে আমার শুধু একটা কথাই বলতে ইচ্ছে করে-
‘বাংলাদেশ কেন বারবার বেজন্মাদের হাতে পড়ে?’
আমাদের কোমলমতি শিশুদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করে যে বেজন্মারা,
সেই বেজন্মাদের জন্ম দিল কোন্ বেজন্মারা??
স্বাধীনতার পর জাতির জনক...
তোমরা এবার থামো!!
তোমরা যেনো না হও কোনো
রুটির টুকরা,
যেটা নিয়ে দুই কুকুরে
করবে ঝগড়া!
এক কুকুর বসে আছে উপর তলায়
চোখ পাকিয়ে ভীষণ করে
কামড়াতে চায়;
আরেক কুকুর জলের মধ্যে খুব অসহায়
স্বপ্ন দেখে তোমায় ধরে
বাঁচার...
করার কিছুই নেই-
এই সমাজে গোলক যেজন গড়িয়ে যাবে সেই;
গোলক মানে সুযোগলোভী
সবদিকেতে সমান হাত
গোলক মানে গাছের খেয়ে
কুড়িয়ে নেয় তলার পাত!
শুধু তোমার আমার মতো বর্গক্ষেত্রই
কোথাও যেতে পারে না।
[কাব্যগ্রন্থঃ এপ্রান্ত আমার/ আছির...
আমরা সবাই মনে মনে, সচেতন বা অবচেতনে
অদৃশ্য একটা পা তুলে রাখি-
কে কাকে কখন কোথায় কিভাবে কত জোরে
প্রচণ্ড এক কিক্ মারতে পারি!
ছেলেবেলায় আমরা ফুটবল খেলেছি কমবেশি সবাই
ফুটবলার হওয়ার বাসনাও ছিল...
চাঁদ উঠবে!
বিধ্বস্ত রক্তাক্ত মাদকমুক্ত একফালি চাঁদ
যখন হেসে উঠবে এই বাংলায়-
তখনও কোনো এক হতভাগ্যের লাশ
পড়ে থাকবে অদূরে সবুজ প্রান্তরে!
বৃদ্ধ জয়নাল চাঁদের খুশিতে সারারাত
রিকশায় প্যাডেল চাপবে প্রাণপণে,
কিশোরী বিলকিস...
আমার এই সংসারে এত টানাটানি...
তুমি তাই হতে পারোনি কোনো রাজরানী
বরং হয়ে আছো আমার প্রিয় রাজধানী!
তোমা হতে শুরু আমার সকল যাত্রা
সব গন্তব্য এসে থামে তোমাতেই...
আমার জীবনযাপনের ভালোমন্দ সকল নেটওয়ার্ক...
১.
কি জিনিস দিয়া করিলা পয়দা!
ছানা দিলা কম, বেশী ময়দা-
মুখে দিলেই বুঝি কেমন বিস্বাদ
এ জীবনে প্রভু কেনো এত খাদ...
২.
আমি ছারপোকা আর তেলাপোকার মতো
করি আন্ধারেতে বাস –
প্রভু আমারে...
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আষাঢ়ের মতো এতো ভিজে গেলে!
কে ভিজালো? দুরন্ত বালক কোনো?
তোমাকে শিউলি ফুল দেখাবে বলে
যে ডেকে এনেছিল বাগানে...
তারপর মাছরাঙা হয়ে
উড়ে বসলো সেটে বসলো
তোমার চোখে? তোমার বুকে?
রূপালী ছোট মাছের মতো
খুঁটে খুঁটে...
খোলনলচে পাল্টে এই বাংলা সাজবে অদ্ভুত সাজে!
অদ্ভুত সব মানুষ দেখবে অদ্ভুত তাদের চলনবলন
অদ্ভুত তাদের বাচনভঙ্গি অদ্ভুত তাদের জীবনাচরণ...
তবু কিছুই তখন অদ্ভুত ঠাওরাবে না জানি,
সবাই দেখবে...
©somewhere in net ltd.