![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লগ কি? ব্লগিং কি? ব্লগ কত
প্রকার? ব্লগিং করলে কি লাভ?
কিভাবে/কোথা থেকে ব্লগ
তৈরি করা যাবে?
প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে তাল
মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সমগ্র বিশ্ব,
এগিয়ে যাচ্ছে মানুষ। প্রযুক্তিগত
উন্নয়নের ফলে দিন দিন সহজ
থেকে সহজতর হয়ে যাচ্ছে কাজ। এই
উন্নয়নের এক শক্তিশালী নির্ধারক
হলো ইন্টারনেট। প্রতিদিন
বেড়ে চলেছে ইন্টারনেট
ব্যবহারকারির সংখ্যা। ইন্টারনেট
সুবিধার এই যুগে আমরা ছুটছি Hard
থেকে Soft এর দিকে। দ্রুত
ছড়িয়ে পড়ছে খবর, মানুষের মতামত,
চিন্তাভাবনা, সৃজনশীলতা শুধুমাত্র এই
ইন্টারনেটকে ভিত্তি করেই।
সহজে ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে কাজ
করছে সোশাল নেটওয়ার্র্কিং-এর মত
সাইটগুলো, ই-পত্রিকা ও ব্লগ। সোশাল
নেটওয়ার্কিং কে অন্যভাবে বলা যায়
মাইক্রো ব্লগিং। তবে আলোচনার বিষয়
সোশাল নেটওয়ার্র্কিং বা ই-
পত্রিকা নয় বিষয় ব্লগ, ব্লগিং ও
আনুষঙ্গিক প্রশ্নগুলো।
# ব্লগ কি ?
উত্তর: ব্লগ হলো এক প্রকার অনলাইন
ডাইরী (নোটবুক)। আমরা আমাদের
ডায়রীতে কি লিখি? লিখি কবিতা,
গল্প, অনুভুতি, টিউটোরিয়াল
ইত্যাদি যা কিছু আমাদের মন চায়।
আমরা আমাদের লেখাগুলো শেয়ার
করতে পারি আশেপাশের মানুষদের
সাথে। ব্লগও ঠিক তাই। তবে এর
সুবিধাগুলো আরো বেশি-
এখানে লিখে শেয়ার করার
পাশাপাশি, ছবি আর ভিডিও শেয়ার
করতে পারবেন। এখানে আপনি অনেক
বেশি মানুষের মতামত গ্রহণ
করতে পারবেন। পরিচয় হবেন অনেক
নতুন মানুষের সাথে। নিজের
ভাবনাগুলো ছড়িয়ে দিতে পারবেন
বিশ্বময়।
এক কথায় ব্লগ হচ্ছে আপনার ব্যক্তিগত
ওয়েবসাইট যা আপনি নিজেই নিয়মিত
আপডেট করবেন
এবং যেখানে আপনি অসংখ্য মানুষের
সাথে ইচ্ছামত শেয়ার করতে পারবেন
সব।
Blog শব্দটির আবির্ভাব Weblog
থেকে। Weblog শব্দটি সর্বপ্রথম
ব্যবহার করা হয় ১৯৯৭ সালের ১৭
ডিসেম্বর। শব্দটির স্রষ্ট্রা মার্কিন
নাগরিক জন বার্জার। এর ঠিক দু’বছর
পর ১৯৯৯ সালের এপ্রিল
এবং মে মাসের
মাঝামাঝি সময়ে পিটার মহোলজ
নামে এক ব্যাক্তি Weblog
শব্দটিকে ভেঙ্গে দুই ভাগ করেন- We
Blog, এর পরই
সারা বিশ্বব্যাপী ব্লগ জনপ্রিয়
হতে শুরু করে।
তবে মাঝামাঝি সময়ে আরেকটি
উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে। তা হল
অনলাইনে দিনলিপি লেখার
সুবিধা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘ওপেন
ডায়েরি’ যা ছিল অনেকটা এখনকার
ব্লগের মতোই। যারা ব্লগে পোস্ট দেয়
তাদেরকে ব্লগার বলা হয়।
ইংরেজী Blog শব্দের
অর্থে Oxford Dictionary
তে বলা হয়েছে- Blog is a
personal record that
somebody puts on their
website giving an account
of their activities and
opinions and discussing
places on the Internet
they have visited.
# ব্লগিং কি ?
উত্তর: কোন একটি নির্দিষ্ট ওয়েব
সাইটে কোন এক বা একাধিক
বিষয়কে পাঠকদের মতামত প্রদানের
জন্য তুলে ধরাকে ব্লগিং বলে।
# ব্লগ কত প্রকার ?
উত্তর: বিভিন্ন দৃষ্টিকোন
থেকে ব্লগকে নানাভাবে বিভক্ত
করা যায়। যেমন-ব্যাক্তিগত ব্লগ,
সামাজিক ব্লগ, ব্যবসায়িক ব্লগ,
ফটো ব্লগ, ভিলগ ইত্যাদি। তবে প্রধান
দুটি প্রকার হলো ব্যাক্তিগত ব্লগ ও
সামাজিক ব্লগ। নিচে কিছু ব্লগ
কে সঙ্গায়ীত করার চেষ্টা করা হলো:
১. ব্যাক্তিগত ব্লগ:
এখানে সাধারনত ব্যাক্তি নিজেই
ব্লগের এডমিন ও ব্লগার, তিনি তার
প্রয়োজন মত এক বা একাধিক
বিষয়ে তার বক্তব্য, মতামত,
ছবি ইত্যাদি তুলে ধরেন। অন্যদের
সাথে মতবিনিময় করে থাকেন। এডমিন
চাইলে অন্যদেরো তার ব্লগে লেখার
সুযোগ দিতে পারেন।
২. সামাজিক ব্লগ: এটাকে সহজ
ভাবে বলা যায় অনেকগুলো ব্যাক্তিগত
ব্লগের সমষ্টি। এর মূল প্লাটফর্ম
একটাই। বহু ব্লগার ব্লগের
নীতিমালা মেনে এখানে তাদের
ইচ্ছামত পোষ্ট করবেন
এবং একে অন্যের লেখায় মতামত
দেবেন।
৩. ব্যবসায়িক ব্লগ: এসব ব্লগ
সাধারনত পরিচালনা বা নির্মান
করে থাকে পন্য
উৎপাদনারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
তারা নিয়মিত ভাবে তাদের পন্য
সম্মন্ধে বিভিন্ন পোষ্ট করে থাকেন
আর
ব্যবহারকারি বা অন্যান্যরা পোষ্টে
তাদের মতামত দিয়ে থাকেন।
৪. ফটো ব্লগ: নাম শুনেই
বুঝা যাচ্ছে এটা ছবি শেয়ার করার
ব্লগ। এটা ব্যাক্তিগত বা সামাজিক
দুইই হতে পারে।
৫. ভিলগ: ভিডিও শেয়ার করার
ব্লগকে ভিলগ বলা হয়।
# ব্লগিং করলে কি লাভ?
উত্তর: ব্লগিং-এর
মাধ্যমে আপনি যে কোন বিষয়ে জ্ঞন
অর্জন করতে পারবেন। আপনার
সৃজনশীলতা দিয়ে অন্যদের
কাছে সম্মান অর্জন করতে পারবেন।
ব্যাক্তিগত ব্লগে এ্যডসেন্স
বা দেশী বিজ্ঞাপন ব্যবহার
করে উপার্জন করতে পারেন
নিমিতভাবে। এটাকে পেশা হিসেবেও
নিতে পারেন।
শুধুমাত্র ব্লগিং করে গড়ে প্রতি মাসে
৪০,০০০ ডলার রোজগার
করছে Darren Rowse এর
problogger.net।
বাংলা ভাষায় ব্লগিং করে রোজগার
করছে এমন একটি ব্লগ- অ্যানড্রয়েড
কথন।
# কিভাবে/কোথা থেকে ব্লগ
তৈরি করা যাবে?
উত্তর: ফ্রীতে ব্লগ তৈরির
সুবিধা দিতে বহু প্লটফর্ম রয়েছে।
সুবিধামত যে কোন প্লাটফর্ম থেকেই
ব্লগ তৈরি করতে পারেন। তবে তার
আগে ঠিক করতে হবে আপনি কোন
ধরনের ব্লগিং করতে চাইছেন।
যদি কোন সামাজিক
ব্লগে ব্লগিং করতে চান
তাহলে প্রথমে আপনাকে যে কাজটি
করতে হবে তা হলো আগে একাধিক
ব্লগকে নিয়মিতভাবে ফলো করুন, পড়ুন।
কিছুদিন ব্লগটিকে ফলো করার পর
আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন
ব্লগটি আপনার উপযোগী কি না।
উপযোগী মনে করলে তার
নীতিমালাটা পড়ে রেজিষ্ট্রেশন
করে ফেলুন।
আর যদি চান ব্যাক্তিগত ব্লগ
তৈরি করতে যেখানে কোন প্রকার
মডারেশন
থাকবে না বা ধরাবাধা নিয়ম
থাকবে না তবে আপনাকে কোন
একটি CMS (Content
management system)
প্লাটফর্মকেই বেছে নিতে হবে। বহু
প্লটফর্ম আপনাকে ফ্রীতে ব্লগ
তৈরি করার সুবিধা দিবে।
বর্তমানে সবচেয়ে সুবিধাজনক ও
অত্যন্ত জনপ্রিয় CMS
প্লাটফর্মটি হলো blogger.com ।
একে সম্পুর্নভাবে নিজের মত
করে সাজিয়ে ফেলা যায়।
এখানে আপনি সর্বোচ্চ ১৫GB পর্যন্ত
ফ্রী স্পেস পাবেন। নতুন বা অভিজ্ঞ
সবার জন্যেই এটা খুব সুবিধাজনক।
এছাড়াও আরো অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে,
যেমন-Wordpress, Tumblr,
Blog ইত্যাদি।
©somewhere in net ltd.