![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাহাড়ের পর পাহাড়। মাঝখানে জেলা বান্দরবান। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতাসম্পন্ন পাহাড়গুলোর অবস্থান এই বান্দরবানে। এর মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে বিজয় (প্রায় ৫০০০ ফুট), তাজিংডন(৪৫০০ ফুট), কেওক্রাডাং, চিম্বুক (৩২০০ ফুট), ইত্যাদি। পার্বত্য জেলার ১৩টি আদিবাসীর প্রায় সবগুলোর অবস্থান এই বান্দরবানে। আদিবাসীগুলো হচ্ছে চাকমা, মারমা, টিপরা, ম্রো, খুমি, লুসাই, বোম, উসুই, পাংখো, তঞ্চ্যঙ্গা, খ্যাং, ওচাক। তবে মারমা সমপ্রদায়ের লোকসংখ্যাই বেশি বান্দরবানে।
পুরো বান্দারবান জেলাই প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরপুর।বান্দরবান থেকে পুরো রাস্তা আকাবাঁকা উচুনিচু। চিম্বুকে যাওয়ার পথের পাশে রয়েছে অসংখ্য উপজাতির আবাসস্থল। ঘরগুলো মাচার মতো উঁচু করে তৈরি। চিম্বুকের চূড়া থেকে যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই শুধু পাহাড় আর পাহাড়। সবুজ-শ্যামল পাহাড়ের দৃশ্য চোখ জুড়ানোর অবস্থা। পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে প্রবাহমান সাংগু নদী যা আপনাকে নিয়ে যাবে অনেক দূরে। স্থানীয় উপজাতীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, চিম্বুকের চূড়ায় দাঁড়িয়ে অনেক সময় মেঘও ধরা যায়।
ঢাকা থেকে বাস/ট্রেন/বিমানযোগে চট্রগ্রাম এসে সেখান থেকে বাসে বান্দরবান যাওয়া যায়। বান্দারবান থেকে চিম্বুকে যেতে হবে জিপ গাড়িতে। যাকে স্থানীয়ভাবে বলা হয় চান্দের গাড়ি। চান্দের গাড়িতে গেলে নামতে হবে বুলি বাজারে। ভাড়া করা জিপ নিয়ে সরাসরি চূড়ায় যাওয়া যায়। নিজস্ব জিপ নিয়েও যাওয়া যায়। বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৩৬৪ টি ছোট-বড় মোড় অতিক্রম করে ২৬ কিঃমিঃ দূরে চিম্বুকে যেতে হবে।
বান্দারবানে থাকার জন্য রয়েছে নানা রকম আবাসিক হোটেল। এছাড়া সরকারী রেস্টহাউসসহ জেলা পরিষদ, সড়ক ও জনপথ, বন বিভাগ, এলজিইডি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের রেস্টহাউসও রয়েছে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা থেকে ৪.২ কিঃমিঃ দূরে চিম্বুক সড়কের মিলনছড়িতে রয়েছে দি গাইড টু্রস লিঃ এর হিল সাইড রিসোর্ট। এখানে থাকার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি মনোরম কটেজ ঘর ও ডরমিটরি। কটেজগুলোর একক ভাড়া ৭৫০ টাকা দুজন ১০০০ টাকা। পুরো কটেজ ভাড়া নেওয়া যায়। বোম ঘরের ভাড়া একক ৪৫০ টাকা, দুজন ৭০০ টাকা, মারমা ঘরের ভাড়া জনপ্রতি ২০০ টাকা, দুজনের ৪০০ টাকা, ডরমিটরির ভাড়া প্রতি বেড ১৫০ টাকা । বেশি বেড নিলে ভাড়া কম।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪২
শায়মা বলেছেন: বান্দরবান দেখে আমার মনে হয়েছে
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবেনাকো তুমি
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভুমি
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৪
স্বপ্নহীন আমি বলেছেন: @শায়মা আপু, আপনি কখন বান্দরবান এসেছিলেন? কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন?
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৪
সৌম্য বলেছেন: এই সব গাজা খুড়ি তথ্য কই পাইলেন? বিজয়ের উচ্চতা ৫০০০ ফুট আর চিম্বুকের উচ্চতা ৩২০০ ফুট????
ভাই, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চুড়ার নাম তলাং ময় বা সাকা হাফং (ঐ চুড়ায় প্রথম সামিট করেন বৃটিশ কিংবদন্তি জিন ফুলেন, এর পরে ন্যাচার এডভেঞ্চার ক্লাব এবং বাংলা মাউণ্টেনিয়ার্স এন্ড ট্রেকিং ক্লাব, তৃতীয় দলটা ২ জনের, একজনের নাম আলম ভাই অন্যজন এই অধম সৌম্য।) আমি সাকা হাফং এর উচ্চতা পাইছি ৩৪৭৫ ফুট (জীন ফুলেনের হিসাবে ৩৪৯১ ফুট আর এডভেঞ্চার এর হিসাবে ৩৪৮৮ ফুট)। কেওকারাডং এর সরকার স্বীকৃত উচ্চতা ৩১৭৬ফুট। দ্বীতিয় সর্বচ্চ চুড়া র্যাং তল্যাং বা দুমলং।
তাজিং ডং ৩টা চুড়ার সমন্বয়ে। তাজিংডং মেইন, লংফে ডং আর চিঞ্চিরময়। শান্তিবাহিনীর সাথে শান্তিচুক্তির সময় তাজিনডং এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বিজয় পর্বত যার উচ্চতা কেওকারাডং এর চেয়েও অনেক অনেক ছোট...মাত্র ২৮৪০ ফুট। সরকারী জরীপ কর্মকর্তারাও তা জানেন ভালো মতোই। কিন্তু পাহাড় সম্পর্কে বিনা ধারনায় রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডায় এটাকে সর্বোচ্চ চুড়া বলতে থাকে লোকে।
আর চিম্বুকের উচ্চতা ২৬০০ ফুটের মতো।
আপনি ইচ্ছুক হলে সবগুলার জিপিএস রেকর্ড এবং কয়েকটার অল্টিমিটার রেকর্ডের ছবি দিতে পারবো।
৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১০
নতুন বলেছেন: @ লেখক... সৌম ভাইয়ের নিজের রেকড... পোস্টের তথ্য আপডেট কইরা দেন...
কবে যে নিজে উঠতে পারবো.,,,
আরো ছবি চাই...
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৬
স্বপ্নহীন আমি বলেছেন: বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বাঙ্গালীসহ ১১টি ক্ষুদ্র ও নৃ-গোষ্টীর বসবাস। আমি ১৪বছর ধরে বান্দরবানে থাকি। অনেক সুন্দর বান্দরবান। এখানে আবাসিক হোটেলের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এছাড়াও স্বল্পমূল্যে ভালোমানের খাবার পাওয়া যায়