নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখক বর্তমানে ইংরেজি সাহিত্যের উপর মাস্টার্স ডিগ্রি অধ্যয়ন করছে।

আবু সুফিায়ান ইমন

ইংরেজি সাহিত্য গবেষক, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া, কুয়ালালামপুর।

আবু সুফিায়ান ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসিফ মহিউদ্দিনের ইসলাম-বিদ্বেষী লেখা ও মুসলমানদের করনীয়

০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৫

ইসলাম-বিদ্বেষী ও তথাকথিত ‘মুক্তমনা’ ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনকে নিয়ে কিছু লিখার ইচ্ছা ছিলনা। কিন্তু মুসলমানদের মধ্যেই অনেকের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে কিছু একটা না লিখে থাকতে পারলাম না। আমার এই লেখাটা কিন্তু তাকে নিয়ে নয়, আপনাদেরকে নিয়ে।

ধর্ম-বিদ্বেষ আর নাস্তিকতা ভিন্ন জিনিস, কিন্তু এই আসিফ মহিউদ্দিনরা এই দুটো বিষয়কে এক করে গুলিয়ে ফেলেছে। আর কিছু মানুষ তাদের এই গুলিয়ে ফেলা শরবত গিলে খাচ্ছে।

অনেকেই জানেন, সম্প্রতি আসিফ মহিউদ্দিন তার ফেসবুক স্ট্যাটাস এ কাবা শরিফ আর সমকামিদের বিয়ে নিয়ে একটি অপত্তিকর ছবি পোস্ট করে। কিন্তু, অনেককেই (না হলেও শ’খানেক) দেখলাম তাকে সমালোচনা করছে, তার স্ট্যাটাসটা শেয়ার করেই। এতে করে কি হোল? ইসলাম-বিদ্বেষী ও কাবা ঘরকে অপমানকারী ছবি ও স্ট্যাটাসটাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আপনারা মিডিয়া হিসাবে কাজ করলেন।

মানুষ যখন যুক্তিতে হেরে যায়, তর্ক করে; আর তর্কে হেরে গেলে, অপমান করে। আসিফ মহিউদ্দিন পবিত্র কাবা শরিফকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করার মধ্য দিয়ে তাকে তৃতীয় শ্রেণির নাস্তিক (যাদের কাছে কোন যুক্তি নেই) প্রমান করেছেন। আর সে এটাই চেয়েছিল যে মুসলমানরা তার স্ট্যাটাস নিয়া মাতামাতি করবে, শেয়ার করবে,এই উছিলায় কিছু মানুষ তাকে চিনবে। আপনারা অনেকেই তার স্ট্যাটাস শেয়ার করে,তার উদ্দেশ্যই সফল করলেন। তার স্ট্যাটাসগুলা পড়ার পর বুঝতে পারলাম, সে অত্যন্ত দুর্বল ঈমানের একজন নাস্তিক, এবং নাস্তিকতার থেকে ইসলামকে বিদ্রুপ করা তার কাছে বড়।

দয়াকরে,আসিফ মহিউদ্দিন টাইপের নিম্ন শ্রেণীর (3rd Class) নাস্তিক নিয়া মাতামাতি না করে,তার থেকে যারা বড় নাস্তিক, যারা যুক্তি দিয়া কথা বলে, তাদেরকে নিয়া সময় ব্যয় করুন, গবেষণা করুন আর পারলে লেখালেখির মাধ্যমে সেই সব যুক্তির জবাব দিন। যুগে যুগে নাস্তিক লেখকরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে তাদের মতবাদ (Atheism) প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছেন। আর প্রতি উত্তরে, মুলসিম ও অন্যান্য ধর্মের পণ্ডিতরা সেই সব মতবাদের পাল্টা জবাব দিয়ে বই লিখেছেন।

লেখালেখির দিক দিয়ে আমার মনে হয় নাস্তিক লেখকরা যতটা সোচ্চার, যদি মুসলমানেরা রাস্তায় মিছিল না করে লেখালেখিতে এতোটা সোচ্চার হতে পারতো, তাহলে আজকে ইসলাম-বিদ্বেষী লেখকরা এতটা ‘জনপ্রিয়তা’ পেতো না। আর ইসলাম ও বাক-স্বাধীনতা নিয়া যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তাও হতো না।

যা হোক, এমতবস্তায় অনেকের মনে প্রশ্ন জাগবে, “তাহলে আসিফ মহিউদ্দিন টাইপ এর ইসলাম-বিদ্বেষী ব্লগার এর ব্যাপারে মুসলমানদের কি করণীও”? উত্তরটা খুবি সরল, “এদেরকে এড়িয়ে যান”। রাস্তায় হাটার সময় অনেকগুলু কুকুর যদি ঘেউ ঘেউ করে, আর আপনি প্রত্যেকটা কুকুরকে ঢিল মারতে যান, তাহলে কোনদিন আপনার গন্তব্যে আপনি পৌছাতে পারবেন না। এদের মতো দুর্বল নাস্তিক আর ইসলাম-বিদ্বেষীদের এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ, মুসলমানদের স্বার্থে, ইসলামের স্বার্থে আর আমাদের সবার স্বার্থে।


ছবিঃ ইসলাম-বিদ্বেষী লেখিকা আয়ান হিরসি আলি'র পাশে আসিফ মহিউদ্দিন

লেখক- আবু সুফিয়ান, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া, কুয়ালালামপুর (মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব)



নিঃ দ্রঃ লেখাটি ০১/০৭/২০১৫ ইং dhakarnews.com এ প্রকাশিত হয়। পত্রিকা থেকে পড়তে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করুনঃ

http://dhakarnews.com/index.php/later/item/29644-2015-07-01-14-52-46#sthash.UuXCCjNS.dpuf

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.