নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখক বর্তমানে ইংরেজি সাহিত্যের উপর মাস্টার্স ডিগ্রি অধ্যয়ন করছে।

আবু সুফিায়ান ইমন

ইংরেজি সাহিত্য গবেষক, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া, কুয়ালালামপুর।

আবু সুফিায়ান ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭.৫% ভ্যাট প্রত্যাহার, নেতাহীন সফল আন্দোলন ও আরেকটি আন্দোলনের অপেক্ষা

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

প্রথমত, এই আন্দোলনটি বাংলাদেশের ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, এর কারন হচ্ছে এটি একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ছিল। কোন গাড়ি ভাংচুর বা কোন যানবাহনে আগুন দেয়া হয়নি। যদিও পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে কিছু ছাত্রকে আহত করেছিলো, পরবর্তীতে এমনও হয়েছে যে পুলিশকে ফুল দিয়েছেন আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা। ফুল দেবার সময় অনেকেই স্লোগানও দিয়েছেন, “ছাত্র-পুলিশ ভাই ভাই, আমাদের আর ভয় নাই”। আন্দোলনকারীদের পুলিশের সাথে এই বন্ধুসুলভ আচরনকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই।

দ্বিতীয়ত, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদেরকে আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের (যারা নগণ্য কারনেও অনেক সময় রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাংচুর করে) এক কথায় শিখিয়ে দিয়ে গেলো আন্দোলন কিভাবে করতে হয়। তাছাড়া রাজপথ ছাড়াও সামাজিক মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা যায়, তা শিখিয়ে দিয়ছেন তারা। ফেসবুক ও টুইটার এ হ্যাস ট্যাগ দিয়ে NoVatOnEducation অসংখ্যবার মানুষ এই আন্দোলনকে বেগবান করতে, তথ্য শেয়ার করতে আর অনুপ্রেরনা দিতে গিয়ে ব্যাবহার করেছেন। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাট-বিরোধী এই আন্দোলনটি বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

তৃতীয়ত, এই আন্দোলনটি সেই পুরানো ধারনাটাকে আবার প্রতিষ্ঠিত করে দিয়ে গেলো, "শিক্ষা কোন পণ্য নয়, এটি মৌলিক অধিকার"। যদিও এটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব যে সে তার সকল নাগরিকের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করবে, কিন্তু দেশের অর্থনীতি এখনও খুব ভালো পর্যায়ে যায়নি বলে বাংলাদেশের মতো দেশের পক্ষে শিক্ষাকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা সম্ভব না। কিন্তু তাই বলে শিক্ষার উপর ভ্যাট আরোপ করা খুবি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অগ্রহণযোগ্য, এমনকি নিন্দনীয়ও বটে।

আর এই আন্দোলন থেকেই অচিরেই আরেকটি আন্দলনের সূত্রপাত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আর তা হচ্ছে, যে সকল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চহারে টাকা নিচ্ছে ছাত্রদের কাছ থেকে, তার বিরুদ্ধে আন্দোলন। শুধুমাত্র ভ্যাট আরোপ নয়, এভাবে কসাইয়ের মতো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনেক বেশি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মাধ্যমেও শিক্ষাকে পণ্য বানানো হচ্ছে। যা খুবই দুঃখ-জনক।



ভ্যাট-বিরোধী আন্দলনের মতো, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আকাশচুম্বী টিওশন ফির বিরুদ্ধেও একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এখন সময়ের দাবি। সবশেষে, সকল ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি, যারা "ভ্যাট দিমু না, গুলি কর" স্লোগান হাতে নিয়ে, নিজের জীবনকে বাজি রেখে দিনের পর দিন রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে। অভিনন্দন সবাইকে! এটি ছাত্রদের বিজয়, এ বিজয়ে আমরা সবাই গর্বিত।

লেখক- আবু সুফিয়ান,আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া , কুয়ালালামপুর, (মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব)Email: [email protected]

বিঃ দ্রঃ লেখাটি ১৫/০৯/২০১৫ ইং dhakarnews.com এ প্রকাশিত হয়। পত্রিকা থেকে পড়তে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করুনঃ
http://dhakarnews.com/index.php/mukto/item/35004-2015-09-15-00-33-00#sthash.t0eA9yjo.Z8Ace0uV.dpuf

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বলদ ও মুরগী যুদ্ধে কসাইদের বিজয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.