নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিন্তার কারখানা ৮ - স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর, রুঢ়কি পলেমিক, স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী, মাওলানা কাসেম নানতুবী, এবং আজকের হেফাজতে ইসলাম

২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৩৫



১।

আজ জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম আমার শৈশব কৈশোরের ২৫টি বছর যেখানে কেটেছে - পুরনো ঢাকার সেই ফরিদাবাদ এলাকায়। পাশেই গত শতকের পঞ্চাশের দশকে প্রতিষ্ঠিত ফরিদাবাদ মাদরাসা। পূর্ণ নাম জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম, ফরিদাবাদ। গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গার মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরি সাহেব এই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা। বঙ্গবন্ধুর দূর সম্পর্কের আত্মীয় মাওলানা শামসুল হকের সঙ্গে তার হৃদ্যতার সম্পর্ক ছিল। বঙ্গবন্ধুর মুজিব কোটের ইতিহাসের সঙ্গে মাওলানা শামসুল হকের একটা সম্পর্ক আছে বলে ধারনা করা হয় (নীচে তথ্যসূত্র)।

বিষয় এগুলো কিছুই নয়। আজকের ফরিদাবাদ মাদরাসা, এবং তৎসংলগ্ন যে মসজিদে ফরিদাবাদ মাদ্রাসার প্রধান অধ্যাপকদের একজন, মুফতি আবদুস সালাম সাহেব জুমা পড়ান, তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমন সম্বন্ধে একটা নেতিবাচক কথাও বলা হয় নি।

মুফটি সাহেব বরং স্মরণ করিয়ে দিলেন, মুসলিমদের বিজয় উৎসব পালনের মুলানুগ নিয়ম।

মক্কা অভিজানের দিন সকালবেলায়েও, পার্থিব ধনসম্পত্তির ব্যাপারে প্রবল অনাগ্রহজনিত কারণে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের মদিনাস্থ নিবাসে নাস্তা করবার মতো কিছুই ছিল না। তিনি তার চাচাতো বোন, উম্মে হানি (রাজিঃ) এর বাসায় গিয়ে জাঞ্ছা করলে তাকে শুকনো রুটি, আর সিরকা পরিবেশন করা হয়, কারন উম্মে হানি (রাজিঃ) এর বাসায়ও এর চে' বেশী কিছু ছিল না। এই খেয়ে রাসুল (সঃ) তার জীবদ্দশার সবচে বড় সামরিক অভিজানে বের হন, এবং প্রায় বিনারক্তপাতে মক্কা বিজয় সম্পন্ন করেন।

এটা জানা ঘটনা।

কুরায়েশ গোত্রের রমণী হিন্দা, যিনি রাসুল (সঃ) এর চাচা আমির হামজা (রাজিঃ) উহুদের যুদ্ধক্ষেত্রে শহীদ হলে তার শবদেহ থেকে কলিজা চীরে কাঁচা চিবিয়ে খান, তিনিও, মক্কা বিজয়ের পর দিন এসে রাসুল (সঃ) এর কাছে মুসলমান হন, এবং সামাজিক - পারিবারিক জীবনের কিছু ইসলামি নিয়মনীতি সংক্রান্ত তথ্য রাসুল (সঃ) এর কাছ থেকে জেনে নেন। অর্থাৎ তাদের মধ্যে সাধারণ - স্বাভাবিক আলোচনা, কথাবার্তা হয়।

পরে তাকে স্থানীয় রমণীরা ঘিরে ধরে প্রশ্ন করে - এতে তো কোন সন্দেহ নেই যে একসময় তুমি মুসলমানদের সবচে বড় শত্রুদের একজন ছিলে। আজ তুমিও ঠ্যাকায় পড়ে মুসলমান হয়ে গেলে?

জবাবে হিন্দা বলেন, ব্যাখ্যা আমার একটা আছে, তোমরা তা বিশ্বাস করো আর না করো। আমার জন্ম ক্বাবা শরীফের সংলগ্ন পরিবেশে, জন্মের পর থেকে চোখ খুলে এই ক্বাবা দেখা, প্রতিদিন। মক্কাবিজয়ের পর গতকাল যে রাত এখানে মুসলমানেরা মক্কায় অবস্থান করলো, এই একরাতে ক্বাবাশরীফে যত মানুষ প্রার্থনা করেছে, আমার ইহজীবনে আমার মনে পড়ে না ক্বাবা শরীফে এত এত প্রার্থনা হতে দেখেছি কখনো। আমার এই অব্জারভেশন আমাকে উৎসাহ দেয় মুসলিম হতে।

মক্কা বিজয় হয় রমজান মাসে। মক্কা অভিজানের সময়ও সব সাহাবী রোজা ছিলেন (যদিও পথিমধ্যে দুর্বলতা হেতু কেউ কেউ রোজা ভেঙ্গে ফেলেন)। এবং বিজয় অভিযান সমাপ্ত হওয়া মাত্রই, রাত্রিবেলা রমজান মাসে মুসলিমদের যে কৃতকর্ম, তাতে নিমগ্ন হয়ে পড়েন। প্রবল আনন্দ উল্লাস, আমোদ প্রমোদ, ফুর্তির আয়োজন ছাড়াই।

যেকোনো প্রকৃত ধার্মিক, চাই সে হিন্দু হোক বা মুসলিম, বৌদ্ধ হোক বা খ্রিস্টান, ধর্ম যার দৈনন্দিন জীবনাচরণে ঢুকেছে, নামকাওয়াস্তে, পারিবারিক সূত্রে, লোক দেখানো ধর্মকর্ম যে বা যারা করে না, তারা এই ঘটনার অনুকরণে প্রতিটা পার্থিব বিজয়কে স্রষ্টার সঙ্গে নৈকট্য অর্জনের, নিজের বিনয় ও ক্ষুদ্রতা প্রদর্শনের, এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটা মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।

২।

ভারতের সাহারানপুরের নানৌতা শহরের মাওলানা কাসেম ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের এক অগ্রসৈনিক। ১৮৫৭ সালের ১০ মে শামেলিতে সংঘটিত ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে সংঘটিত লড়াইএ, ভগত সিং, মাষ্টারদা সূর্যসেনের মতই কাসেম সাহেব নেতৃত্ব দেন। প্রথম লড়াইয়ে ইংরেজরা হারলেও, পরবর্তীতে ইংরেজদের বর্ধিত শক্তির বিপরীতে মুসলিমরা পরাজয় বরন করে নিতে বাধ্য হয়। প্রতিশোধপরায়ন ব্রিটিশরা সাহারানপুরের থানাভবন শহর প্রায় পুরোটা জ্বালিয়ে অঙ্গার বানিয়ে দেয়। মাওলানা কাসেম সহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়। মাওলানা কাসেম ফাঁসী হতে হতে বেঁচে যান।

এই মাওলানা কাসেম সাহেবের হাতে দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা।

মাওলানা কাসেম সাহেবের ব্যাকগ্রাউন্ড খুব সংক্ষেপে শেয়ার করবার উদ্দেশ্য, ওনার ঐতিহাসিক তাৎপর্যের প্রেক্ষাপট তৈরি। ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ বিরোধী আন্দোলনের একদম প্রথম দিককার সৈনিক হিসেবে ওনার নাম বিপ্লবীদের খাতাতেই লেখা।

আমি যে প্রসঙ্গের অবতারনা করতে যাচ্ছি, তা একটু ভিন্ন।

রুঢ়কি, ভারতের উত্তরখণ্ডের একটি শহর। খুব একটা বিখ্যাত নয়। কিন্তু মাওলানা কাসেমের জীবদ্দশায় (১৮৭৬ সালের আসেপাশে কোন এক সময়ে) এই শহর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল একটি বিতর্কানুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। এই বিতর্কটি সংঘটিত হওয়ার কথা ছিল অবিভক্ত ভারতের খুব সক্রিয়, শক্তিশালী, এবং ক্রমবর্ধমান সনাতন ধর্মের একটি সেক্ট আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা দয়ানন্দ সরস্বতীর সঙ্গে যে কোন একজন মুসলিমের। শ্রী দয়ানন্দ মুসলিমদের ফেইথের কিছু বেসিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বিতর্কে সে সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হত। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর মুসলমানদের তরফ থেকে মাওলানা কাসেম সাহেবের অংশ নেয়ার কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে শ্রী দয়ানন্দ ঐ বিতর্কে অংশ নিতে আপত্তি প্রকাশ করেন, এবং সভাস্থল ত্যাগ করেন। এরপরেও একবার স্বামীজী সরাসরি বিতর্কে অংশ নিতে অস্বীকার করেন মাওলানা কাসেম সাহেবের সঙ্গে।

শ্রী দয়ানন্দ সরস্বতীর সঙ্গে রুঢ়কিতে সরাসরি বিতর্ক না হলেও মাওলানা কাসেম তার সঙ্গে পত্রালাপ চালু রাখেন, মতামত আদানপ্রদান হয়, এবং পরবর্তীতে মাওলানা কাসেম সাহেব কেবলা নুমাহ, এবং ইনতেসার আল ইসলাম নামে দুটো বই লেখেন দয়ানন্দজীর উত্থিত বিবিধ প্রশ্নের জবাবে।

শ্রী দয়ানন্দ মাওলানা কাসেম সাহেবের এক পত্রের উত্তরে বলেন , কাসেম সাহেবের চিঠির জবাবে, তার নিজের পুরো আর্গুমেন্ট পুনর্বিবেচনা করা ছাড়া প্রত্যুত্তর করা তারপক্ষে মুশকিল। বরং, তিনি অনেকটা অপারগও। এই চিঠি স্বামী দয়ানন্দজীর আত্মজীবনী গ্রন্থেও উল্লেখিত আছে। স্বামীজী বলেন -

“The letters of yours, which I received yesterday, were of such quality in the contents and language that I felt it beyond wisdom to reply you without a thorough consideration and muse.” (Lakshman, Jivan Charitr Maharishi Swami Dayanand, (Lahore: Union Steam Press, n. d. p. 532.)

৩।

চেষ্টা করলাম স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে উপরের অনুচ্ছেদটি লিখতে। ভারতে রিলেজিয়াস পলেমিকে ওনার গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিশাল। রোমো রোল্যার লেখা শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের আত্মজীবনীতে শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর ইন্টার‍্যাকশানের অধ্যায় পড়ে আমি দয়ানন্দজীর ব্যাপারে বিস্তারিত জানি। আর্যসমাজের নাম আগেই শুনেছিলাম। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম আলো উপন্যাসে রাজনীতিবিদ বালগঙ্গাধর তিলকের সূত্রেই আর্যসমাজের উল্লেখ দেখেছিলাম খুব সম্ভবত।

যাই হোক, মাওলানা কাসেম সাহেব এই আলোচনায় আমার ফোকাসের কেন্দ্র।

চিন্তা করে দেখা দরকার , যার হাতে দেওবন্দ মুভমেন্টের শুরু, তিনি কতো বড়মাপের ইন্টেলেকচুয়াল ছিলেন, অন্তত তার নিজের ক্ষেত্র, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব, এবং প্রাচ্য - পাশ্চাত্যের দর্শনে। দেওবন্দের বড়বড় শিক্ষকরা পরবর্তীতে বলেছেন, মাওলানা কাসেম সাহেবের বইপুস্তক ডিকোড করতে তারা প্রায়সই ঘর্মাক্ত হয়ে যান। টি এস এলিয়টের দা ওয়েস্ট ল্যান্ড যেমন।

হেফাজতে ইসলাম নামের একটি রাজনৈতিক দল, যারা দাবী করে নিজেদের বাংলাদেশী মুসলিমদের রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে, তাদের মধ্যে মাওলানা কাসেম সাহেব, বা তার ছাত্র, বা তার ছাত্রের ছাত্রদের সমতুল্য ইন্টেলেকচুয়াল আজ কে আছেন?

আধুনিক পৃথিবীতে লড়াই করে কোন সমস্যার সমাধা হওয়ার কথা না, আলোচনার টেবিলে বসে সভ্য কায়দায়, ব্যক্তি আক্রমনে না গিয়ে যুক্তির নিরিখে সমস্যার সমাধানে পৌঁছাবার কথা আমাদের।

হেফাজতে ইসলামের এক মুখপাত্র সেদিন কোন লাইভ ডিবেটে গিয়ে দেখলাম সনাতন ধর্মাবলম্বিদের বিশ্বাসকে নিয়ে চরম অসম্মানসুলভ মন্তব্য করেছেন।

হাটহাজারি হয়ে আজকের হেফাজতের যে আদি উৎস - যাদের সূত্রে আজকের তারা, সেই আকাবিরে দেওবন্দের কী এই আদর্শ?
হাটহাজারিতে আজও আন্দোলন, আজও সংঘাত, ভাংচুর। কিন্তু আজ তাদের কজন আলেম আমার মতো সাধারণ মুসলমানদের জীবন যাপনের ধরন বুঝে আমাদের আত্মিক - আধ্যাত্মিক নেতৃত্ব দিতে পারেন?

রাজপথে তাদের রাজনৈতিক আন্দোলন ত্বরান্বিত করার পূর্বে, বাংলাদেশের সাধারণ মুসলিমদের রিপ্রেজেন্ট করবার স্বপ্ন দেখার পূর্বে, তারা আকাবিরে দেওবন্দের প্রদর্শিত পথে আজ কতটুকু আছেন - এ প্রশ্ন তাদের আরও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার অনুরোধ।

৪।

ঢাকা শহরের যে জায়গাটায় আমি থাকি, তা ২০০৩ সালে সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে মাত্র। এখানে ফুডপাণ্ডা ডেলিভারি দেয় না, জায়গাটা এখনও গুগলে ঢাকার ম্যাপের ভেতর ঢোকে নাই বলে। উবার, পাঠাওএর ম্যাপেও এই এলাকা নাই। মুগদা, মান্ডা পার হয়ে, আমিন মোহাম্মদ হাউজিং এর অধীনে এই বিশাল রেসিডেনশিয়াল এরিয়া। আগে মান্ডা বালুর মাঠ নামে পরিচিত ছিল। এখন গ্রিন মডেল টাউন নামে পরিচিত।
.
যাই হোক, আশায় আশায় ছিলাম, শীঘ্রই হয়তো ফুডপাণ্ডা, উবার - এখানে সার্ভিস প্রোভাইড করা শুরু করবে।

আমার বৌ গতকাল আমাকে জানালো, যদি ফুডপাণ্ডা এখানে সার্ভিস প্রোভাইড করা শুরু করেও, তারা খাবার ডেলিভারি দেবে কেবল মুগদা - মান্ডা এলাকার খাবারের দোকানগুলো থেকেই। এই রেঞ্জের বাইরে না। মানে, আমি চাইলেই, এমনকি, খিলগাঁও থেকেও খাবার অর্ডার করতে পারবো না। ধানমণ্ডি - গুলশান - বনানি তো দূরের কথা।
.
চিন্তায় আমার ভ্রূ কুচকালো। মুগদা মান্ডা এলাকা ঢাকা শহরের সবচে অনুন্নত জায়গাগুলির একটা। এখানকার রেস্টুরেন্টৈ বা কি, আর সে সমস্ত রেস্টুরেন্ট থেকে ফুডপাণ্ডায় অর্ডারো বা কি দেয়া।
.
বুঝলাম, আমার এলাকার সার্বিক উন্নয়ন না ঘটলে, শুধু অ্যাডভান্স টেকনোলজির আমদানিতে আমার ফয়দা নাই।
.
একই কথা দেশের ব্যাপারেও খাটে। বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে মানুষ স্বর্গ মর্ত্য জয় করছে বটে। তবে দুনিয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার দেশও না আগালে দুনিয়ার আগানোয় আমার দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না।
.
পাশ্চাত্যের আধুনিক মডেলের সবকিছুই তো আছে আমাদের। ডেমোক্রেসি থেকে শুরু কইরা বাথরুমের কমোড পর্যন্ত। এখন আমি আপনিসহ দেশের মানুষগুলি ক্রমাগত উন্নত মন মননের অধিকারী হয়ে উঠলেই হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরপূর্তির শুভেচ্ছা ও শুভকামনাসহ।

ছবিসূত্র - Twitter Ottoman Imperial Archives on Twitter

বরাতঃ
১। রুঢ়কি পলেমিক - view this link
২। মাওলানা শামসুল হক ও মুজিব কোট - view this link
৩। জুমার খুতবা - মুফতি আবদুস সালাম সাহেব, মুফতি ও মুহাদ্দিস, জামিয়া আরবিয়া এমদাদুল উলুম, ফরিদাবাদ।
৪। মাওলানা কাসেম নানতুবীর সংক্ষিপ্ত জীবন - view this link
৫। রামকৃষ্ণের জীবনী - রোমো রোল্যা, ওরিয়েন্ট বুক কোম্পানি, পশ্চিমবঙ্গ

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




আফগানিস্তান বানানোর তত্বে বিশ্বাসী?

২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: এই প্রশ্ন কেন?

২| ২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:১১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নরেন্দ্র মোদির আগমনে চট্টগ্রামে চারজন নিহত। এই মৃত্যুর দায় কার ?

ধর্ম ভিত্তিক দলগুলো মূল জায়গা থেকে কিছুটা সরে যায় সময়ের প্রয়োজনে কিন্তু উদ্দেশ্য একই থাকে।

আজকের হাটহাজারী মাদ্রাসা দেওবনকে পুরোপুরি ধারণ করতে পারেনা। যেমন করে পারেনা তাদের মত পুরো সমাজকে চালিত বা রিপ্রেজেন্ট করতে। কারণ সময়ের দাবী পূরণে বা মিটাতে সক্ষম না হলে পিছিয়ে পড়তে হবে এটা জানা কথা।

উন্নয়ন হচ্ছে হবে তা যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক বাংলাদেশে। দেশ এগিয়ে যাক আর মানুষ হোক সভ্য এটাই চাই।

+++++++
ভাল থাকবেন।

২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: প্রিয় মাইদুল ভাই, আজকের হাটহাজারি দেওবন্দের ইন্টেলেকচুয়াল লেগেসি কতোটুকু ধারণ করে, তা অবশ্যই প্রশ্নসাপেক্ষ। পুরো সমাজকে তাদের মতো চালানোর পক্ষেও আমরা কেউ নেই। তারা থিওলজির জায়গাটা, কম্পারেটিভ রিলেজিয়নের জায়গাটা, পাবলিক স্পেসে হেইট স্পিচ না ছড়িয়ে অরাটরির স্কিল কতোটা সভ্যভাবে প্রদর্শন করতে পারছে - এটাই আমার মুখ্য প্রশ্নের জায়গা।
শুকরিয়া আপনার মন্তব্যে। ভালো থাকবেন। শুভকামনাসহ।

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন: এই প্রশ্ন কেন?

-লেখার ধরণে মনে হচ্ছে, আমাদেরকে ইয়েমেনী বা আফগানীদের মতো জীবনে যাপন করা উচিত।
-আমাদের নবী (স: )'এর তো কোন পেশা ছিলো না, ব্যবসা ছিলো না মদীনায়; সেই সময় নিশ্চয় তিনি দরিদ্র ছিলে।

২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার বোঝার ক্যাপাসিটি অনুযায়ীই আপনি বুঝবেন। ওতে আমার হাত, বা পরোয়া - কোনটাই নেই। : )

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৩৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বিরাট এক কিচ্ছা বললেন যার মধ্যে সত্যের চেয়ে মিথ্যা বেশী।গনিমতের মালের পাঁচ ভাগের এক ভাগ পেতেন নবী যেটা আল্লাহ নির্ধারন করে দেন।তাছাড়া যেখানে যুদ্ধ ছাড়াই শত্রুরা পরাজয় মেনে নেয় সে সব মালের পুরাটাই নবী পায়।অতয়েব তার অভাব ছিল এটা একটা মিথ্যা গল্প।
মক্কা বিজয়ের পর নবী ঘোষনা করলেন,মক্কায় কোন কাফের থাকতে পারবে না।হয় তারা ইসলাম গ্রহন করবে নয়তো মৃত্যু আর বিধর্মীরা ( ইহুদি ও খৃষ্টান) হলে জিজিকর প্রদান করবে নয়তো এলাকা ছেড়ে চলে যাবে।
উম্মেহানিকে প্রথম জীবনে নবী বিয়ে করতে চান।কিন্তু নবী খুব গরিব থাকায় তার চাচা তার কাছে বিবাহ দেন নাই।এই সব কথা সিরাতে স্পষ্ট লিখা আছে।

২৭ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:২০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: যারা এই লেখা পড়তে আসবেন, তাদের সবার কাছে অনুরোধ, নুরুল ইস্লা নামের এই নিকটির সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলি একটু পড়ে আসবার। এই নিকের পেছনে যে আছে, তার উদ্দেশ্য ইসলামোফোবিয়া ছড়ানো, এবং বিকৃতভাবে ইতিহাসের উপস্থাপন। এদের চিহ্নিত করে রাখা প্রয়োজন।

দ্যাট বিয়িং সেইড, নুরুল ইস্লা নিকের পেছনে যে আছেন, আসেন, আপনার বক্তব্যের ক্রিটিক্যাল ডিসকোর্স অ্যানালাইসিস করি।

নুরুল ইস্লা, বা অন্যান্য যেকোনো ইসলামোফোব, এবং নাস্তিকের ভেক ধরে থাকা মুসলিমবিদ্বেষী (খেয়াল করবেন, আমি ইসলামবিদ্বেষী বলছি না। বলছি মুসলিমবিদ্বেষী। কারন এরা মূলত মুসলমানদের এথনিক ক্লিন্সিং এ আগ্রহী। আপাতত ভারবালি। সুযোগ পেলে মায়ানমারের সরকারের মতো।) প্রথমেই কথা শুরু করে একটা সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এই কাজটা গত বছর যে সমস্ত ইসলামোফোবরা ব্লগে সক্রিয় ছিল, তারাও করতো।

ওর ঘোষণা হচ্ছে- "বিরাট এক কিচ্ছা বললেন যার মধ্যে সত্যের চেয়ে মিথ্যা বেশী।"

প্রথম কথা, রাসুল (সঃ) এর জীবনে সংঘটিত ঘটনাকে কিচ্ছা কাহিনী হিসেবে চিহ্নিত করার দ্বারা, ও মূলত হেফাজতে ইসলামের কাসেমি নামের সেই ভদ্রলোক, যে সনাতন ধর্ম একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্ম নয় বলে তাদের ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট আঘাত দিয়েছিল, নুরুল ইস্লা একই অপরাধ সংঘটিত করলো। যদি এই ঘটনার কারণে কাসেমি সাহেবের সরকারিভাবে শাস্তি হয়, একই সরকারি শাস্তি আমি নুরুল ইস্লা নিকের পেছনে যে আছে, তার ব্যাপারেও দাবী করছি।

দ্বিতীয়ত, অথেন্টিসিটির মাপকাঠীতে উপরে ঘটনা আকারে যা কিছু উদ্ধৃত হয়েছে, তার মধ্যে একটাও মিথ্যে না। দলিল দস্তাবেজ দিয়ে প্রমাণ করা যায়। দলিল বলতে ওরা যে ঠুনকো ইন্টারনেটের লিঙ্ক প্রোভাইড করে, সেগুলো না। লিটারেল বই থেকে, যেগুলো ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ানো হয়।

এই ধরনের মিথ্যা ঘোষণা দেয়ার মাধ্যমে ওরা প্রাথমিকভাবে পাঠকের মনে একটা কনফিউশন তৈরি করে দেয় যে, এতো কনফিডেন্সের সাথে একজন যখন বলছে, লেখাটা মিথ্যা তাহলে হতেও পারে।

নুরুল ইস্লার মধ্যের মন্তব্যগুলোতে পরে আসছি। ওর প্রথম মিথ্যা ফাঁপরটা জাস্টিফাই করার জন্যে ও একদম শেষে রেফারেন্স দিলো কি?

শেষ লাইনে এসে বলল - "এই সব কথা সিরাতে স্পষ্ট লিখা আছে।"

কোন সিরাত? কার সিরাত? কবে লেখা সিরাত? অথেনটিকভাবে যে সমস্ত ধর্মগ্রন্থগুলো ইসলামিক শিক্ষালয়সমূহে পাঠ করানো হয় সেগুলো? মুলানুগ আরবি - ফার্সিতে এই সমস্ত বই পড়বার সামরথ ওর বা ওদের আছে?

ফাঁপর দিয়ে ফাঁপরের জাস্টিফিকেশন।

রাসুল (সঃ) এর ইচ্ছাকৃত দারিদ্র্যের চর্চা সর্বজনবিদিত। গণিমতের মাল হোক, বা অন্যকোন উপঢৌকন হোক, তার সামনে উপস্থাপন করা হলে তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার সব বিলিয়ে দিতেন অভাবী দুস্থদের মাঝে। ঘরে ফিরতেন খালি হাতে। এখন, এভাবে নিজের জন্যে কিছুই না রেখে সব খয়রাত করে দেয়াটা আমাদের মতো দুনিয়াদারদের দৃষ্টিতে ব্যাখ্যার অযোগ্য একটি কর্মকাণ্ড মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই সে জীবনাদর্শ, যেটা রাসুল (সঃ) প্র্যাকটিস করতেন। রাসুল (সঃ) এর দানশীলতা নিয়ে প্রচুর রিসোর্স, রেফারেন্স আছে। দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছি না। বিশ্বাসীদের জন্যে রেফারেন্স প্রয়োজন হবে না। যাদের অন্তর মোহর মারা, তাদের রেফারেন্স দিয়ে কাজ হবে না।

মক্কা বিজয়ের দিন হুজুর (সঃ) এর ঘরে খাবার মতো কিছু ছিল না, এটা পৃথিবীর রাষ্ট্রপতিদের রাষ্ট্র বিজয়ের ইতিহাসে এক ইউনিক ঘটনা। এত সামান্য ও সাধারণ নাস্তা খেয়ে জীবনের সবচে বড় যুদ্ধ জয় - এটা রাসুল (সঃ) এর বিশেষত্ব।

মক্কা বিজয়ের পর সেখানে অমুসলিমদের থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার যুক্তি দেখছি না।

বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর যদি বাংলাদেশের এক এলাকার লোকেরা বলতো, আমরা বাংলাদেশ মানি না, আমরা এখনও পাকিস্তানী, এখনও আমাদের ভূখণ্ডকে পাকিস্তান মনে করি - আমরা তাদের দিতাম বাংলাদেশে থাকতে? যদি তারা বলতো যে আমরা ট্যাক্স দিবো সরকার যত চায়, তবুও আমাদের পাকিস্তানের সংবিধান মানতে দিতে হবে, আমাদের ভূখণ্ডকে পাকিস্তানএর অংশ বলে আমাদের স্বাধীনভাবে ঘোষণা দেয়ার সুযোগ দিতে হবে, সে সুযোগ তাদের দেয়া হতো?

মক্কা বিজয়ের পর পুরো কুরায়েশ গোত্র, যারা রাসুল (সঃ)কে বিগত বিশ বছর ধরে সামান্যতম সুযোগ পেলেও ঝাড়ে বংশে শেষ করে দিতো, তাদের যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন, সেটার ওপর কোন আলোকপাত নুরুল ইস্লা করলো না।

ওর মতো ইসলামোফোবের কাছে এর ব্যতিক্রম আর কি ই বা আশা করা যায়।

মক্কা বিজয়াভিজান নিয়ে আর কোন আলোচনা এই পোস্টে আমি করবো না। আগ্রহীদের মূলানুগ আলোচনায় অংশ নিতে অনুরোধ।

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১:১৪

ওমেরা বলেছেন: আপনার লিখাটা খুব ভালো লেগেছে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
আমাদের দেশের মানুষ পাশ্চাত্যের সবই গ্রহন করে শুধু এসব দেশের নীতি নৈতিকতাটাই গ্রহন করে না।
আপনাকেও স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরপূর্তির শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

২৭ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৪৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ব্লগার ওমেরা, আপনার অনুপ্রেরণাদায়ী মন্তব্যে ধন্যবাদ।

পাশ্চাত্যের সাদা চামড়ার মানুষরা হঠাৎ নৈতিক হয়ে উঠলো, নাকি তাদের নৈতিক হয়ে ওঠার পেছনে তাদের কলোনিয়াল আমলে সংগ্রহ করা অর্থসম্পত্তির হাত আছে - এটা নিয়ে ভাববার স্কোপ বোধয় থেকেই যায়।এরকম নয় যে, তাদের চামড়া সাদা বলে তারা জন্ম থেকেই উন্নত চরিত্রের অধিকারী। আমি যেটা বোঝাতে চাইছি, তার প্রচুর উদাহরণ সাম্প্রতিক ইতিহাসেই আছে। জানিনা আপনার পাশ্চাত্যে বসবাসের বাস্তবতা, কতোটুকু তাদের ক্রিটিকালি এবং নির্মোহ অ্যানালাইসিস করবার সুযোগ দেয়। আমার বেড়ে ওঠার প্রসেসটা প্রচণ্ড রকমের এন্টিকলোনিয়াল সেন্টিমেন্টের মধ্য দিয়ে।

শুভকামনাসহ। সুন্দর কাটুক আপনার দিনটি।

৬| ২৭ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৩:৩৬

গারোপাহাড় বলেছেন: লেখাটা ভালো লেগেছে। আমি কি এটা আমার এফবি ওয়াল এ শেয়ার করতে পারি?

২৭ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৪৬

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: অবশ্যই পারেন, সুহৃদ ব্লগার। ধন্যবাদ।

৭| ২৭ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩১

সিগনেচার নসিব বলেছেন: আধুনিক পৃথিবীতে লড়াই করে কোন সমস্যার সমাধা হওয়ার কথা না, আলোচনার টেবিলে বসে সভ্য কায়দায়, ব্যক্তি আক্রমনে না গিয়ে যুক্তির নিরিখে সমস্যার সমাধানে পৌঁছাবার কথা আমাদের। যুক্তিযুক্ত

২৭ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:১২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ, নকিব সাহেব।

৮| ২৭ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:০৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: হেফাজত আমির বলেছে শহীদের প্রতি ফোটা রক্তের বদলা নেওয়া হবে। তা আপনার মূল্যায়ন কী

২৭ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:১৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: হেফাজতের আমিরের এ বক্তব্যের কনটেক্সট আমার সঠিকভাবে জানা নেই। কনটেক্সট বিচ্ছিন্নভাবে বক্তব্যটি আমার কাছে একটি রাজনৈতিক বক্তব্য। একজন বাংলাদেশী সাধারণ মুসলিম হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনে বিরোধিতা করতে গিয়ে সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে প্রাণ হারানোকে আমি আমার কৃতকর্তব্য বিবেচনা করি না, সমর্থনও করি না।

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আধুনিক পৃথিবীতে লড়াই করে কোন সমস্যার সমাধা হওয়ার কথা না, আলোচনার টেবিলে বসে সভ্য কায়দায়, ব্যক্তি আক্রমনে না গিয়ে যুক্তির নিরিখে সমস্যার সমাধানে পৌঁছাবার কথা আমাদের।
লেখা ভালো লেগেছে।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ আপা। উপরের বাক্যটা লিখেছি বটে, কিন্তু অনেক আফসোস মনে নিয়ে, কারন পৃথিবীর পরাশক্তিসমূহ, যারা শান্তির পথ তৈরি করলেই কেবল পৃথিবীতে শান্তি বজায় থাকবে, তারা মনে হয় না আমার এই বাক্যটার সঙ্গে ঐক্যমত্য পোষণ করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.