নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে লেখার মত এমন স্পেশাল কিছু এখনও অর্জন করতে পারি নি। ভালো থাকুন সবাই,আর ভালো রাখুন চারপাশের সবাইকে।

আদিল ইবনে সোলায়মান

আদিল ইবনে সোলায়মান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকা আবিষ্কারে কলম্বাস এবং কিন্তু, ২য় পর্ব

০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৬



প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আমেরিকার বিখ্যাত শহর ও বন্দর ক্যালিফোর্নিয়ার নামও গৃহীত হয়েছে
আরবী থেকে। বিশিষ্ট আরবী অভিধান আমীর সাকির আরছালান বলেন- "The
word California is drived from the Arabic 'Kaal-Manaremeaning' like
the light house." অর্থাৎ কালিফোর্নিয়া নামটি আরবী শব্দ ‘আল মানার' থেকে
নিষ্পন্ন হয়েছে, যার অর্থ হলাে ‘আলাে-ঘরের সদৃশ।
| কয়েক শতাব্দী পূর্বে যে নিউজিল্যান্ডে পৌছে ছিল আরবের মুসলমানরা তা
তথাকার প্রখ্যাত পণ্ডিত ও সাংবাদিক Johannes Anderson স্পষ্ট স্বীকার
করে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডে মুসলমানদের শত বছরের পুরনাে জাহাজের
ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কারের পর। নিউজিল্যান্ড থেকে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞান জার্নালে
তিনি এর সপক্ষে অসংখ্য তথ্য ও যুক্তির অবতারণা করেছেন। উল্লেখ্য,
ইন্দোনেশীয়া থেকে আমেরিকা পৌছার জন্য নিউজিল্যান্ডের পাশ দিয়ে যেতে হয় ।
সম্ভবত এখানকার জল প্রবাহ পথ দিয়ে মুসলমানরা যাতায়াত পথে নিউজিল্যান্ডেও
থেমেছিলাে।
কলম্বাসের পূর্বেই মুসলমানদের আমেরিকা আগমনের কথা আমরা জানলাম।
কিন্তু আমেরিকার মাটিতে কি মুসলমান আগমনের কোন নিদর্শন আছে যার দ্বারা
আরাে বলিষ্ঠভাবে বলা যেতে পারে যে, মুসলমানরাই কলম্বাসের পূর্বে আমেরিকার
মাটিতে পা রেখেছিলাে? হ্যা, এরকম প্রত্নতাত্ত্বিক ও প্রামাণ্য জিনিস পাওয়া গেছে
নিকট অতীতেও, যার কিছু নিদর্শনের কথা নিম্নে উল্লেখ করা হলাে :
১৯৬৪ ও ৬৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর
হেনর ও বামহফ এক রিপাের্ট পেশ করেন। তাতে বলা হয়েছিল, আমেরিকার
বিভিন্ন অঞ্চলে আরবীয় ঐতিহ্যমণ্ডিত ইসলামের কিছু নিদর্শন পাওয়া যাচ্ছে।
উদাহরণ হিসাবে নওদার পূর্বাঞ্চলের উপকূলবর্তী এলাকা ওয়াকরে একটা পাথরে
মুহাম্মদ রাসূলাল্লাহ' এবং ঈসা ইবনে মরিয়ম' আরবী অক্ষরে খােদিত লিপির
উল্লেখ করা হয়। নওয়াদাতে ১৮” পাথরে 'আল্লাহ' এবং অপরটিতে মুহাম্মদে
শব্দদ্বয় প্রস্তরপত্রে অংকিত। মাউস ট্যাংকে পাওয়া যায় তেমনি ধরনের আরেকটি
পাথর। যাতে লেখা আছে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহ। ১৯৭৮
সালে অধ্যাপক বেরিফীল কেসলিটন বীমাইন্ট কলেজের প্রত্নতত্ত্ববিদদের এক
সেমিনারে কিছু তথ্য প্রমাণিত হচ্ছিল যে, কলম্বাসের কয়েক শত বছর পূর্বে আরব
মুসলমানরা আমেরিকায় আধিপত্য বিস্তার করেছিল। হিজয়ী প্রথম শতকেই
মুসলমানদের আমেরিকা আবিষ্কারের এই সংবাদ তারা সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেয়।
| আমেরিকার প্রাচীন ঝিনুক মুদ্রা, কিছু ফল ও নরকংকাল ইত্যাদিতে প্রাচীন
চিহ্ন দেখে বিশেষজ্ঞরা এগুলাে প্রাচ্য থেকে আনা বলে জানিয়েছেন। উত্তর
আমেরিকার টেনেসি নদীর ক্ষয়িঞ্চু প্রাচীন তীরে প্রাপ্ত প্রথম যুগের কিছু ঝিনুক
মুদ্রার নিদর্শন উদ্ধার করেছেন সি-বি, মূর। আমেরিকান প্রখ্যাত শক্ত বৈজ্ঞানিক
ডঃ পিলসবারীর মতে, এগুলাে পূর্বাঞ্চলের ঝিনুক মুদ্রার প্রকৃত নিদর্শন, কেননা
ইতােপূর্বে এ ধরনের মুদ্রা দেখা যায়নি। এগুলাে কিভাবে প্রাচ্য থেকে এখানে এলাে
সে সম্পর্কে গবেষক মিঃ আলমেস বলেন, ইউরােপীয়দের অভিযানের সময়
আটলান্টিকের উপকূলীয় জাতিসমূহের মধ্যে ঝিনুক মুদ্রার প্রচলন ছিল। এটা
বুঝতে কষ্ট হয় না যে, মুদ্রাগুলাে মুসলমানরাই আফ্রিকা থেকে এখানে এনেছিল যা
কলম্বাসরা এসে দেখতে পেয়েছিলেন।
খােসা সাদা ও লাল রংয়ের এক ধরনের কল পাওয়া যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তাও আনা হয়েছিলাে আফ্রিকা থেকে। কলম্বাস, সামসটিয়ান,
ক্যাফোর্ট প্রমুখ বিখ্যাত অভিযাত্রীদের সমসাময়িক এবং তাদের মুখে অভিযানের
বর্ণনা শ্রবণকারী পিটার মার্টার ভার Seventh decade গ্রন্থে লিখেছেন- "It
was originally brought frorm a part of Ethiopia called Guinea, where it Brows wild, as an native territory,” পিটার মার্টারের মত অকেটার বর্ণনায়ও
দেখা যায়, লাল রংয়ের কলা, কমলালেবু প্রভৃতি স্পেনীয় ঔপনিবেশিকদের দ্বারা
ওয়েস্ট ইন্ডিজে নীত হয়েছিল। মিঃ ডাক The truth about Colurnbus গ্রন্থে
একই মত ব্যক্ত করেন- যা চলতি প্রবন্ধের বক্তব্যকে আরাে সুদৃঢ় করে।
| টেক্সাস ও নিউ মরিসকোর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত পিকোস নদীর তীরবর্তী এবং
রিওগ্রান্ডে প্রাপ্ত পুরনাে কংকাল পরীক্ষা করে মিঃ হুটন লিখেছেন- The pecas
pseudo Negroid skulls resemble most closely craniat of Negao groups
coming from those parts of Africa, where Negroes commonly have
sore Perceptible influence of white Hemitic blood,
| এক হাজার বছরের পুরনাে এই হাড়গুলােই তাে স্পষ্ট প্রমাণ করছে
আমেরিকায় আফ্রিকীয়রা কলম্বাসের বহু পূর্বে অবস্থান করছিলেন। বিস্ময়ের ব্যাপার
মেক্সিকোতে প্রাপ্ত কংকালগুলােও একই সাক্ষী বহন করছে।
| আমেরিকার কিছু প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের উপর সূক্ষ্ম গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে
যে, এগুলাের ওপর প্রাচীন মিসরীয় প্রভাব বিদ্যমান। দক্ষিণ মেক্সিকোতেও অনুরূপ
কিছু নিদর্শন পাওয়া গেছে। An old World Cabit in America, Ancient
Egypt গ্রন্থে এ সম্পর্কেও বলা হয়েছে, এগুলাে অষ্টম শতাব্দীতে উৎপন্ন নিদর্শন।
১৮৭০ সালে কেরেলনা এবং হেউডে প্রায় দু'হাজার শিল্প নিদর্শন পাওয়া যায়।
এগুলাে প্রধানত মানুষ ও জীবজন্তুর আঁকা প্রতিকৃতি। এদের পরিচ্ছদ সম্পর্কে
পণ্ডিত জেফরী বলেন, “এদের পােশাক ভারতীয় বা ইউরোপীয় পােশাকের মতাে
নয় বরং মুসলমানদের মতাে”। (Pre Columbian Arabs in America :
MD.W, Jeffreys)
উল্লেখ্য, কলম্বাসের পূর্বে মুসলমানদের আমেরিকা আবিষ্কারের উক্ত তথ্যগুলাে
প্রায় সবই পাশ্চাত্য পণ্ডিতদের আবিষ্কৃত ও মন্তব্যকৃত। যদিও এ সমস্ত তথ্য চিত্রে
নির্ভর করে এক প্রকার নিশ্চিতভাবে আমেরিকার আবিষ্কারক হিসাবে মুসলমানদের
চিহ্নিত করা গেছে তবুও আরাে ব্যাপক গবেষণা অপ্রয়ােজনীয় নয়। এক্ষেত্রে
বিশেষজ্ঞদের এগিয়ে আসা উচিত।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষকে আগে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে।
মুসলিম বা হিন্দু হিসেবে নয়।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

আদিল ইবনে সোলায়মান বলেছেন: আমি কিন্তু বলি নাই যে, কলম্বাস হিন্দু!!!!!

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২৭

অন্তরা রহমান বলেছেন: আরো অনেক অনেক গবেষণা ও সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ ছাড়া এই দাবী ধোপে টিকবে না।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০৪

আদিল ইবনে সোলায়মান বলেছেন: গবেষনার জন্য আপনাদের মত লিজেন্ডদের এগিয়ে আসা উচিৎ বলে আমি মনে করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.