নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ, আমার প্রাণ, মুক্তিযুদ্ধ আমার চেতনা\nসাংবাদিকতা পেশা এবং নেশা!

আহমাদ ইশতিয়াক

কুয়াশা ভেজা কোনো এক রাত শেষের ভোরে প্রান্তর ভেজানো শিশিরে, আমি জন্মেছি, কারো স্বপ্নে বিভোর ঘুম জড়ানো কন্ঠে জল পেতেছি দৃষ্টির আড়ালে। জোসনা ভেজা রাতে চন্দনের ঘ্রাণে ভোরের শিউলিও থমকে ছিলো খানিকটা। মৃদু হাওয়ার স্পন্দনে বকুল ফুলের নেশা আমায় গ্রাস করেছিলো শুভ্র আবহে। ঘরের এককোনে অনাদরে মলিন হওয়া তারপুরার বেদনার সাথে কেনো যেনো বন্ধুত্ব ছিলো শতাব্দী ধরে। চিঠির কালি শুকিয়ে পড়তো জলেশ্বরীর জলপদে। শ্রাবণের সন্ধ্যার বর্ষণের পানে আমি কতোকাল চেয়েছি। তরুণীর ভেজা চুল আকাশের স্বপ্নের শরৎের বিকেল কাশফুলের শুভ্রতা লুটতো আমাকে সঙ্গী রেখে। কারো স্বপ্নে, এক ফোঁটা নিঃশ্বাসে, হয়তো একটুখানি তৃপ্তিতে আমি দিনশেষে ফুরিয়ে যাবো মহাকালের বুকে। হয়তো স্বপ্ন ভিড়বে কুয়াশায়, বকুলের ঘ্রাণে, শ্রাবণের বর্ষনে!

আহমাদ ইশতিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোথায় যাচ্ছে আপনার করের টাকা?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৪



১৫ হাজার টাকার মেডিকেল যন্ত্রপাতি কেনা হলো ৯ লাখ ৩২ হাজার টাকায়।
এমআরএই ৯ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। অথচ যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ১০ হাজার টাকার অটোস্কোপ মেশিন ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। চারটি হিটাচি কালার ডপলার কেনা হয়েছে প্রতিটি ৬৫ লাখ টাকা করে। যার বাজার মূল্য ২৪ লাখ টাকা করে। এটি হলো চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের দুর্নীতির চিত্র।

অন্যদিকে মনিতরের দাম দেড় লাখ টাকা হলেও রাখা হয়েছে ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকায়। সিরিঞ্জ পাম্পের মূল্য ছিলো প্রতিটি ১ লাখ টাকা অথচ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা।
যার মুল হোতা সাবেক সিভিল সার্জন সরফরাজ খান। (৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দৈনিক প্রথম আলো)


এই হলো আপনার আমার করের টাকার ব্যাবহারের ক্ষুদ্র নমুনা। ঘাম ঝরানো টাকার ব্যাবহার। কোন জবাব্দিহিতা নেই। যার ভাগ পাচ্ছে মন্ত্রী থেকে আমলা পর্যন্ত। পদ্মা সেতুর ব্যায় বেড়েছে দ্বিগুণ। ব্রাজিল থেকে পচা গম আমদানিতে ক্ষতি হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। হলমার্ক কেলেঙ্কারি সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। রেলওয়ের ক্ষতি বছরে ৮০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ বিমানে সরকার প্রতি বছর ক্ষতি দিচ্ছে ৬০০ কোটি টাকা। অথচ দেদারসে লাভ করছে বাকি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের বিমানগুলো। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ সংস্থা (বিআরটিসি ) প্রতি বছর লকশান গুনছে ৭০ কোটি টাকা।

পরিচালকদের অনিয়ম আর দুর্নীতির আগ্রাসী থাবায় আক্রান্ত দেশের ব্যাংকিং খাত। শুধু নিজ ব্যাংক থেকেই পরিচালকদের নামে ঋণ নেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। বেনামে নেয়া ঋণের পরিমাণ এর চেয়ে বেশি। শুধু পরিচালকরা নয়, জনগণের আমানতের টাকায় গড়ে ওঠা এসব ব্যাংক থেকে তাদের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরাও ক্ষমতার জোরে নিয়মবহির্ভূত ঋণ নিয়েছেন।








টিআইবির প্রতিবেদন অনুযায়ী সেবা পেতে বছরে ঘুষ লাগে ৮ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। গত তিন বছরের কেন্দ্রিক ঘুষের পরিমান বেড়েছে ৬ গুন । সর্বশেষ ২০১২ সালের সেবা খাতের দুর্নীতি জরিপের তুলনায় এবার ১ হাজার ৪৯৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা বেশি ঘুষ দিতে হয়েছে।
২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে গত অক্টোবর পর্যন্ত সেবার ওপর ভিত্তি করে গত ১ নভেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবারের জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর আওতায় ১৫ হাজার ২০৬টি খানা ছিল, যা দেশের মোট খানার ২১০০ ভাগের এক ভাগ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১১ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে মোট খানা ৩ কোটি ১৮ লাখ।
দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় গুরুত্ব ও প্রভাব বিবেচনায় ১৫টি প্রধান খাতকে জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ছিল স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, ভূমি প্রশাসন, কৃষি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, বিচারিক সেবা, বিদ্যুৎ, ব্যাংকিং, কর ও শুল্ক, এনজিও, পাসপোর্ট, গ্যাস, বিআরটিএ ও বিমা।

এছাড়া ‘অন্যান্য’ নামে ওয়াসা, বিটিসিএল, ও ডাকের সেবা খাতকে বিবেচনায় নেওয়া হয় জরিপে।
শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামঞ্চলে সেবা খাতে দুর্নীতির প্রকোপ বেশি (৬২.৬% বনাম ৬৯.৫%); ঘুষ প্রদানে বাধ্য হওয়ার হারও বেশি (৫৩.৪% বনাম ৫৯.৬%)।

জরিপে দেখা গেছে, গ্যাসের সংযোগ নিতে গিয়ে খানাকে সবচেয়ে বেশি ঘুষ দিতে হয়েছে; যার গড় পরিমাণ ২৭,১৬৬ টাকা। আর বিমা খাতে দিতে হয়েছে ১৩,৪৬৫, বিচারিক সেবায় ৯,৬৮৬ এবং ভূমি প্রশাসনে ৯,২৫৭ টাকা।






এতো অনিয়মের মাঝেও নেই কোন পরিকল্পনা। নেই জবাবদিহিতা। রাজস্ব আয় তথা কর তোলার সময় জবাবদিহিতা করা একান্ত ঝরুরি। আমার জানা প্রয়োজন আমার অর্জিত অর্থ কোথায় যাচ্ছে! নেই সুষ্ঠু তদারকি। সরকার কেন জবাবদিহিতার আওতায় থাকবেনা?
তবে মানুষ কর দিবে কেন? মন্ত্রী আমলাদের পেটে যাওয়ার জন্য?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

সোহানী বলেছেন: দূর্নীতি দূর্নীতি শুনতে শুনতে এটা একটা সাধারন বিষয় দাড়িয়েছে। এতো যে টিআইবি রিপোর্ট বছর বছর আসে কি করা হয় তার বিরুদ্ধে??? আপনি প্রশাসনে এ নিয়ে কথা বলতো যাবেন হয় আপনার চাকরী নেই নতুবা আপনি নিজেই নেই হয়ে যাবেন। সরকারী প্রশাসনে কাজ করেছি অনেক বছর, রন্ধ্রে রন্ধ্রে চিনি......... চেস্টা করেছি অনেক এবং হতাশ হয়েছি প্রতি পদে পদে.........।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

নতুন বলেছেন: দূর্নীতি করে কে??????????????

সরকার? নাকি আমরা?

দেশের জনগন বিশেষ করে শিক্ষিত জনগন যদি না দূর্নীতি বন্ধে চেস্টা না করে তবে শুধুই আইনের প্রয়োগে এটা বন্ধকরা কস্টকর।

সরকার প্রধান তার দল টিকিয়ে রাখতে দূর্নীতি করতে দেয়... আর সেটার সুযোগে বাকিরাও তাদের কাজ চালাতে থাকে...

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভোদাই মার্কা জনগণ তাদের টাকার কোন খবর রাখে নাকি? কিছুই হবে না!! :|

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গেমু ভাই -জনগন ভোদাই না!

প্রশাসন প্রতারক!!! রাজণীতি বিদরা তার ধারক বাহক!

সচতেন জনগণ যখনই প্রশ্ন তুলতে চায় দমিয়ে দেয়া হয়! ভন্নিমত দমাতে যেমন চেতনার ইস্যু! তেমনি সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ইস্যু তৈরী থাকে!
যারা তারপর্ও লড়াই চালায়- পরিণতি সাগর-রুনি!!!!!

সম-সাময়িকতা ঝড়ে ফেলে -নিজের ভালবাসার মানুষ্ও ভুল করলে চীৎকার করে বলুন- এটা ভুল!

বিএনপি যে দূর্নীতি করে ক্ষমতা হারিয়েছে- তারচে হাজারগুন বেশি টাকা পাচার হলেও টু-শব্দটি নেই! দেশের অভ্যন্তরে ভিয়াবহ চিত্র তার কথা বলবে কে? মিডিয়া? সাংবাদিক? কেউ না!
সামান্য কিছু আত্মার পীড়ায় অস্থির বিবেকবান মানুষ মিটি মিটি মাটির পিদীমের মতো জ্বলে আছে-- !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.