![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অকথ্য
কথা ছিলো রোজ সকালে কদমের ডাল ভেঙে যাওয়ার
কথা ছিলো জোনাকিদের ডানায় আলোদের মিছে মায়ার।
কে বেঁধেছে ঘর ওপাড়ায়, কার হয়েছে পুকুরে মস্ত বোয়াল
কার শাশুড়ি বড্ড দজ্জাল, কোন জামাইটা বৌ পেটায়
কথা ছিলো মাথা ভরতি প্রবলেমের
সময়ে অসময়ে দৌড়ে আসা মৌমাছির দল
সুতো ছিঁড়ে যাওয়া এক ঘুড়ির গল্প
আকাশের মন খারাপের, হিজিবিজি বাতাস আর রোদের
হালার কাক বড্ড ইবলিশ, কথা ছিলো তারো
একলা ছেলে আর দাঁড়িয়ে থাকা ইস্টিশনের
চায়ের কাপ, দোয়া দোয়া সাদা রঙ এর
কথা ছিলো, কথা আছে
কাল রাতে’র।
হঠাত্ যদি অ-দেখায় দেখা হয়ে যায় –
তবে, অ-সময়ে বলে দিবো শর্টকাট,
অ যুক্ত অকথ্য সব।
বজ্জাত শহর
ঢাকার গালে দু’ফোঁটা নোনা পানি
বজ্জাত শহর গিলেছে সমস্ত ঘুম
বুকের ভিতর লুকানো অশরীরী প্রেতাত্মা
সোড়িয়াম হলুদ, বেশ্যার লিপিষ্টিক, মধ্যরাত !
পথ চেয়ে বসে আছে ললুপ খদ্দের, মাংসের গন্ধ।
তারারা সব একেশ্বর আরাধনায় মত্ত
তিন তলায় যুবকের গিটারে ছয় তারের যুদ্ধ
বিদ্রূপ বসে আছে যত সব নিত্য সত্য
সুনসান প্রাগৈতিহাসিক শাশ্বত বানীর শব্দ।
যে পথে ভদ্ররা ছিলো রোজ, আঁধারে নিখোঁজ।
মেঘ নদী হয়ে যায়
অকারণ মেঘ উড়ে উড়ে আকাশ শূন্য হতাশ
দেখি সহবাসে কামনায় লিপ্ত আজিব বাতাস
কারেন্টের তারে অপেক্ষমাণ থাক
ক্রমাগত হারিয়ে যাওয়া সুখ আর ফিরে আসা বিষাদ কাক!
একাকীত্বের যন্ত্রণা বানাইছে কোন হালায়?
মেঘ গুলো দিন দিন নদী হয়ে যায়।
কবিতা ঘুমিয়ে পড়েছে
সাইলেন্ট!
লাইট অপ
গেইট লক
বন্দ সমস্ত দরজা
কোন কথা নেই
কবিতা এখন ঘুমে, আহা ডিস্টার্ব করবেন নাহ।
লাল নীল ট্রাফিক: সিঙ্গনেল মানিনা
সাউন্ড, উত্তেজিত নাগরিক, কোলাহল, মিছিল – স্লোগান
অই চানাচুর বাদাম! ফুল লাগবে গোলাপ ফুল? রক্তকরবী –
লেইসফিতা লেইস –
গ্যাস্ট্রিক আলসার- জন্ডিস ক্যান্সার? এক বোতলেই চমৎকার
আসেন! বসেন, কি খাবেন? কলা পাউরুটি, ফুসকা – চটপটি
চুপ থাক বেয়াদব ভাবনা।
অদৃশ্য লাল পিঁপড়া হঠাৎ কামড়ে দিবে কবিতার স্তনজোড়া
ব্লাউজের ভেতরে কবিতা হাতড়ে কাতরাবে, তবু শব্দ নেই
অঘোরে বেঘোরে ঘুমিয়ে পড়েছে কবিতা জেগে উঠার নাম নেই।
অপহৃত কিছু অপরিপক্ব স্বপ্নের নির্বাসন
যুদ্ধ শেষে ভেঙে পড়া কালভার্টের কথা বলতে আসিনি !
আজ আর ভাবায়নি কোন রমণী নির্ঘুম রাত
কিংবা আকাশের নীল মেঘ কালো হবার গল্প
মৌনতায় ছিলোনা নিজস্বতা, খুঁজিনি স্বতন্ত্রতার মানে
ললাটে নামেনি শাশ্বত বানী, অনাহারী তৃষ্ণার্ত মানুষ আজ চোখে পড়েনি -
আচমকা বিবেক বলে থামো কবি! কি ভাবো?
গ্রীষ্মের রৌদ্র জলসানো দুপুরে এ আকাশের নতুন কুড়ি হারানোর গল্প কি ভুলে গেছো?
স্বজন হারানো নির্মম যন্ত্রণায় এদিকের আকাশ আজো ভারী
বৈরী আকাশটা চার বসন্ত অভিশাপ কাঁধে ঘুমায়
কাশফুল ছোঁয়া টুকরো গুমোট মেঘে আচমকা নেমে এসেছিলো অন্ধকার
পাথর সমান কচিকাঁচাদের বীভৎস লাশ আর
বাকরুদ্ধ জনপথ আজো বহমান নদীর স্রোত।
সেদিনের নিস্তেজ লোকালয়ে সুনসান বিরহী আর্তনাদ
কানে বাজে চাপাপড়া বাঁচাও ধ্বনির ভৌতিক আকুলতায়।
শেয়াল, শকুনে টেনে হিঁচড়ে ছেঁড়া রক্তমাখা বিকৃত লাশ দেখিনি
মেশিনগানের ঝাঁ ঝাঁ গুলিতে ছিন্নবিচ্ছিন্ন
লাশের পুরোনো গুলিবিদ্ধ করোটি
কিংবা পচা স্যাঁতস্যাঁতে মাছি উড়ন্ত লাশ আমার চোখে পড়েনি
এর চেয়ে ভয়ানক অধিক বীভৎস লাশের স্তূপ দেখেছি সেদিনের আকাশে।
মাতার হাহাকার, পিতার বিহ্বলতার চাহনি
ভাই -বোনের নির্বাক বাকরুদ্ধতা
দুঃখিনী মায়ের আকাশ বিদীর্ণ করা বিলাপ কান্না
আশ্রয়হীন নারীর সন্তান হারানোর শোক আমি দেখেছি।
যে স্বপ্নদের বেঁচে থাকার কথা ছিলো তারা আজ ছবি
আর দীর্ঘায়ু হলো তাদের রেখে যাওয়া বিরহী শোক।
( ১১ জুলাই ২০১১ মিরসরাই ট্রাজেডির সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৫ স্কুল ছাত্রের স্মরণে )
কবিতা ভুলে গেছে নাকি আমিই
কবিতা ভুলে গেছে! নাকি আমিই?
দর্শক মণ্ডলী পায়ের উপরে পা তুলে বসুন
আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে ইলেকট্রনিক দু ঠোঁট নাড়িয়ে বলছি –
কবিতার প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই
পাখি জানে অদৃশ্য সমকাল কবির আপদামস্তক আচ্ছাদিত
অন্ধকারে নয়, আলোতে হাতড়ালে কবিতা গালি দিয়ে বলে- অপদার্থ !
ভাবনা জমিনের বিস্তৃত রানওয়েতে ল্যান্ড করেনা শব্দের বিমান
এখন সমস্ত মস্তিষ্ক জুড়ে কবিতা অঙ্কের ঐকিকনিয়ম।
সৌমিত্রকে বলেছিলাম কবিতা শিখার দরকার নেই, আকাশ শিখো
তচনচ করে দাও কালো মেঘ আর বাতাসের উন্মাদ জটলা
সে ফিক করে হেসেছে, বলেছে দাদা ছাড়োনা ঐসব, গান ধরো
অমাবস্যার ঘোর অন্ধকার, বর্ষাস্নানে ভেজা কাক ভেজা রাস্তা
কালো মেঘে ছুড়ে দিলাম কবিতার বিষ বর্শা
কথা ছিলো উল্টো বিঁধবে বুকে, হলোনা।
তোমাকে লিখতে গেলে
তোমার জন্য কবিতা লিখতে শব্দ খুঁজে পায়না এক নাগরিক কবিয়াল
কবিতার অক্ষর গুলো নৈঃশব্দ্যে মিছিলে নামে মস্তিষ্কে
সন্ধ্যা নামে মনে, ভাবনারা বন্দি অগুনিত জটিলতায়
তোমাকে লিখতে গেলে কলম ভেঙে যায়, কম হয়
আচমকা উপচে পড়ে শরীর, আর চোখের অপব্যবহার।
চোখের নিরাময় কেন্দ্র নেই চিকিৎসা করে নিবো,
একবার বলে দেখো ছুঁয়ে দিবে,
আমি আকাশ ভরতি রঙ ছড়াবো
আমার ঈশ্বর কে বলে দিবো
- এই নাও পার্থন
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১
বিজন রয় বলেছেন: অনেক ভাল।
নতুন পোস্ট দিন।