নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গরুর চামড়া কি মাদ্রাসা শিক্ষার বলি হয়েছে ?

১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১১

যতদিন আইএসও ও এলডব্লিউজির কমপ্লায়েন্স স্বীকৃতি না পাওয়া যাবে ততদিন কোরবানির গরু ছাগলের চামড়া এভাবে নদীতে ফেলে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই ।
.
ছোটবেলায় আমাদের শোভাকলোণীতে কোরবানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো কার গরুর চামড়া কত দামে বিক্রী হচ্ছে এটা দেখা ।
.
পনের হাজার টাকা গুরুর চামড়া দেড়হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রী হয়েছে । মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে চলতো কার আগে কে চামড়া সংগ্রহ করতে পারবে তার প্রতিযোগিতা ।
.
এলডব্লিউজির সনদ পেতে ১৩৬৫ বাংলাদেশ অর্জন করেছে মাত্র ২০০ নম্বর। যেখানে ১০০ নম্বর সিইটিপি দিয়ে, বাকি ১০০ নম্বর ডাম্পিং ইয়ার্ড দিয়ে। অবশিষ্ট ১১৬৫ নম্বর এখনও বিসিক ও ট্যানারি মালিকদের অর্জন করতে হবে।
.
এমন যদি হয় এই দায় অবশ্যই সরকারকে নিতে হবে । আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ব্যবসা করার মতো তারা এখনো ব্যবসায়ীদের পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে পারেনি ।
.
আমার ব্যক্তিগত অভিমতে যেটা মনে হয়, আমাদের দেশে বিদেশীরা তো ঠিকি কমপ্লায়ান্স করে গার্মেন্টস শিল্পে ব্যবসা করে যাচ্ছে যা পুরো পৃথিবীতে প্রথম সারিতে রয়েছে । সরকারও ঠিকি পরিবেশ সৃষ্টি করতে অনন্য ভূমিকা রেখে চলছে । তাহলে চামড়া শিল্পে আমরা কেনো কমপ্লায়েন্স হতে পারছি না?
.
এর মূল কারণ হতে পারে, এদেশে চামড়া শিল্পের উপর নির্ভর করতো প্রায় মাদ্রাসা মক্তব এতিমখানা এমনকি কাওমী ধরণার মদ্রাসাও ।
.
বিবিসির প্রায় বছর ‘কাঁচা চামড়ার বাজারে বিপর্যয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাদ্রাসা-এতিমখানা’ এমন নিউজগুলো দেখে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন ঘাপলাটা কোন জায়গায় ।
.
বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের বিকাশকে যে তিলে তিলে বাধাগ্রস্ত করা হবে এটা সহজেই অনুমেয় । এরপরেও কি আল্লাহ মাদ্রাসা এতিমখানাগুলো চালাচ্ছে না? রিজিকের মালিকতো রাজ্জাক । কমপ্লায়েন্স ইস্যু দিয়ে ব্যবসার প্রসার দমিয়ে রাখা পশ্চিমা এবং ইউরোপিয়ানদের একটা পুরনো কৌশল ।
.
সঙ্গত কারণে সনদ পেতে বাংলাদেশ এখন ১৩৬৫ নম্বরের মধ্যে ২০০ পাচ্ছে যখন ১৫০০/২০০০/৩০০০ টাকায় চামড়া বিক্রী করতাম তখন এই নাম্বারিং কোথায় ছিলো? তখনকার ৩০০০ টাকা মানে এখন ১৫০০০ থেকে ২১০০০ টাকারও বেশী ।
.
তখন যে গরু বিশ হাজার টাকা ছিলো তা এখন দেড় লাখ টাকা সে হিসেব করলে সাতগুণ বেড়েছে গরুর দাম অথচ উল্টো দিকে সাতগুণ কমেছে চামড়া দাম ।
.
ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, প্রায় এক কোটি গরু ছাগল কোরবানি করা হয় । এভারেজে দুইহাজার টাকা করে হিসেব করলেও দুই হাজার কোটি টাকা বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ যা দিয়ে এক যুগে আরেকটা পদ্মা সেতু করা সম্ভব ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩১

অক্পটে বলেছেন: ব্যাপরটা সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলার জন্য ধন্যবাদ। যাদের ইশারায় কলকব্জা নড়ে এই দেশে তাদের নজরে এই লেখাটা আসা দরকার ছিল। কিন্তু ওরা লুটের কাজে এত ব্যস্ত যে ব্লগ পড়ার সময় ওদের নেই।

২| ১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫০

জ্যাকেল বলেছেন: আমাদের সরকারে যারা বসে আছেন তারা মহা ধান্দায় ব্যস্ত আছেন, উনাদের এইসব দেখবার মত ইচ্ছা কস্মিনকালেও হইবে না। এরা দোজখে যাবার জন্য পাগল হয়ে আছে।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


সাদা চামড়ার নিয়োগ দরকার?

৪| ১১ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
গরিব, দরিদ্র, এতিমের হক নষ্ট করার দায় যারা নিচ্ছে তাদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গার শক্তি কাদের আছে?

৫| ১১ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: সবই অশুভ শক্তির খেলা।

৬| ১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: সরকার অদক্ষ ও অযোগ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.