নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞান কি সব সময় নির্ভুল?

০৪ ঠা মে, ২০২৩ সকাল ৯:৩৬

একসময় মনে করা হতো, পৃথিবী থালার মতো সেটা ভেবে মানুষগুলো ভয়ে বেশীদূর ঘুরতে যেতো না যদি থালার কিনারা থেকে পড়ে যায় তাহলে খবর আছে ৷
.
তারপর মানুষ সত্যের নিকটে আসলো যে আসলে পৃথিবী গোল আরো সত্যের কাছে আসলে বলা হলো, পৃথিবী পুরো গোল না, উট পাখির ডিমের মতো ৷
.
শুধু যে সাধারণ মানুষ মনে করা নিয়ে থাকে বেপারগুলো তেমনও না, বিজ্ঞানীরাও যুগে যুগে অনেক ভুল বিশ্বাস নিয়ে মেতে ছিলেন ৷ সত্য প্রমাণের চেষ্টা চালিয়ে গেছেন কিংবা তাদের যুক্তিকে সত্য হিসেবে মেনে নিয়েছেন ৷
.

টলেমি ছিলো একজন খ্যাতনামা গ্রিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী যিনি বলেছিলেন 'পৃথিবী স্থির থাকে, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে ৷'
.
অনেকে বলেন বিজ্ঞানীরা যা বলে তা একদম ঠিক, বেপারটা আসলে তেমন না ৷ যুগে যুগে বিজ্ঞানীদের অনেক অনুমান ধারণা প্রমাণ মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে ৷
.
তারপর প্রায় দুইশত বছর পর নিকোলাস কোপারনিকাস এসে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে , 'সূর্য স্থির থাকে, পৃথিবী বরং সূর্যের চারপাশে ঘুরে ৷'
.
কে কার পাশে ঘুরে সেটা প্রমাণ করতেই বিজ্ঞানীদের শত শত বছর চলে গেছে ৷ বিজ্ঞান বললেই যে সেটা নির্ভুল সেটা কিন্তু ঠিক না ৷ আমি আবারো বলছি, শেষ কথা বলে একটা কথা থেকে যায় ৷
.
ঘুরাঘুরি নিয়ে তর্ক বিতর্ক এভাবেই চলতেছিলো, অতপর বিজ্ঞান আবিষ্কার করলো, সূর্য পৃথিবী কেউ স্থির থাকে না তারা উভয়ে তাদের আপন কক্ষ পথে ঘুরতে থাকে ৷
.
অথচ আজ থেকে চৌদ্দশ বছর আগে আল্লাহ সূরা ইয়াসিনে জানিয়ে দিয়েছেন, 'সূর্য প্রবাহিত হয়, বহমান হয়, জারি হয় তার মুস্তাক্বার্‌র এর উদ্দেশ্যে।'
.
অনেক মনে করে বিজ্ঞান মানেই একদম সঠিক তাহলে তারা মূর্খের সাগরে বসবাস করছে। ভুলের মধ্য দিয়ে বিজ্ঞান শুদ্ধের পথে এগুতে থাকে। আর সেই শুদ্ধতার সর্বশেষ ধাপ অবশ্যই আল কোরআন। সেটাকে বলে বিশ্বাস কিংবা ইমান।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ সকাল ১০:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মানুষ মাত্রই ভুল আছে। বিজ্ঞানীও মানুষ। সুতরাং তাদের ভুল থাকতেই পারে। তাদের কথার শুদ্ধতায় অন্ধ বিশ্বাস অপ্রয়োজনীয় বিশ্বাস।

২| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ সকাল ১১:৩৮

এ আর ১৫ বলেছেন: পৃথিবী উঠ পাখির ডিমের মত কোথায় পেলেন ? এটা বহু আগে বলা হচ্ছে- পৃথিবী গোলাকার তবে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সামান্য একটু চাপা , কমলা লেবুর মত । উঠ পাখির ডিমের মত কোথায় পেয়েছেন ?

৩| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ দুপুর ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: বিজ্ঞান আমাদের আধুনিক জীবন ব্যবস্থা দিয়েছে।
বিজ্ঞান ছাড়া বাঁচা অসম্ভব।

৪| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ দুপুর ১:২১

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: বিজ্ঞান যুক্তি ও প্রমাণ নির্ভর একটা বিষয়। অনেক কিছুতেই ভুল থাকতে পারে, বিজ্ঞান তা সংশোধন করে প্রতিস্থাপিত করে নেয়। কেউই বলেনি বিজ্ঞানের সব অকাট্য সত্য। প্রগতির পথে বিজ্ঞানের অভিযাত্রা। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র ভেদে এর কোন দ্বন্দ্ব নেই। সমস্ত পৃথিবীর বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান পিপাসুগণ যুক্তিনির্ভরতাকেই সরলভাবে মেনে নেয়। যেখানে দ্বন্দ্ব বা দ্বিমত তর্ক-বিতর্ক, আলাপ আলোচনা এবং সাম্ভাব্য প্রমাণের ভিত্তিতে সর্বজনগ্রাহ্য বিষয়টিকেই সকলে গ্রহণ করেন। উগ্রতা বা খোঁড়া যুক্তি দিয়ে কখনো বিজ্ঞান চলে না।
ধর্মান্ধরাই কেবল নিজের ধর্মটাকে চিরসত্য প্রমাণ করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। ক্ষেত্রবিশেষে বিজ্ঞানের সাথে মেলাতে গিয়ে কাঁঠালের আমসত্ব বানিয়ে ফেলেন। ধর্ম হলো গভীর বিশ্বাস, আর বিজ্ঞান হলো গবেষণা ও যুক্তি-প্রমাণের বিষয়। প্রয়োজন আছে কি এদুটোকে এক কাতারে দাঁড় করানোর চেষ্টা করার?

৫| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ দুপুর ১:২৭

মামুinসামু বলেছেন:

৬| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ৮:২৫

কামাল১৮ বলেছেন: বিজ্ঞানের কোন সত্যকে ভুল প্রমান করতে পারলে বিজ্ঞান সেটা মেনে নেয়।এটাই বিজ্ঞান।কিন্তু ধর্ম সেটা মেনে নেয় না।তাদের বক্তব্য ধর্মে যা আছে এটাই চিরন্তন সত্য।তারা জানেই না চিরন্তন সত্য বলে কিছুই নাই।

৭| ০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বিজ্ঞান চলে "ট্রায়াল এন্ড এরর" মেথডে। তাই বিজ্ঞান নিজেই পরবর্তী সময়ে নিজের ভুল ধরে শুধরে নেয়। যেমন সাম্প্রতিক সময়ে মহাবিশ্ব সৃষ্টির বেশ কিছু পরের সময়ের চিত্র হাতে এসেছে, এখন যদি আরও শক্তিশালী যন্ত্র এমন ছবি তোলে যা মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময়েরই আগের, তাহলে বিগব্যাং থিওরির মত অনেক আবিষ্কার ভুল প্রমাণিত হবে।

৮| ০৫ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:৩০

নতুন বলেছেন: বিজ্ঞানের যুক্তি প্রমান ভুল পাওয়া গেছে সংশধন করা হয়। নতুন থিউরি আসে... ভুল গুলি সুধরে মানুষ সত্য জানতে পারে,,, এটাই বিজ্ঞানের সৌন্দর্য্য।

কিন্তু ধর্মের কথা গুলি চিরসত্য বলে মেনে নেয়।

গোলাকার পৃথিবির ধারনা ইসলাম আসার অনেক আগেই ছিলো।

Spherical Earth or Earth's curvature refers to the approximation of figure of the Earth as a sphere. The earliest documented mention of the concept dates from around the 5th century BC, when it appears in the writings of Greek philosophers.[1][2] In the 3rd century BC, Hellenistic astronomy established the roughly spherical shape of Earth as a physical fact and calculated the Earth's circumference. This knowledge was gradually adopted throughout the Old World during Late Antiquity and the Middle Ages.[3][4][5][6] A practical demonstration of Earth's sphericity was achieved by Ferdinand Magellan and Juan Sebastián Elcano's circumnavigation (1519–1522).[7]
- https://en.wikipedia.org/wiki/Spherical_Earth

ধর্মীয় বিশ্বাস চাদ দীখন্ডিত হয়েছিলো। বিশ্বাস করা খুবই সহজ যে আঙ্গুলীর ইসারাতে চাদ দুই টুকরা হয়ে গিয়েছিলো এবং আবার বর্তমানের মতন অবস্থানে এসেছিলো।

কিন্তু যারা বর্তমানের পদার্থ বিজ্ঞান যারা বোঝেন তারা হয়তো বুঝতে পারবেন যে আঙ্গুলের ইসারাতে চাদ দুই টুকরা হয়ে আবার মিশে যেতে কতগুলি অসম্ভব এক সাথে সম্ভবত হতে হবে। কিন্তু মানুষ তার জীবনে কোন ১টাও অসম্ভব কে সম্ভব হতে দেখে না।

৯| ০৫ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অবশ্যই বিজ্ঞানের সবকিছু নির্ভুল নয়। তবে সময়ের সাথে তা নির্ভুল করার চেষ্টা করা হয়। বিজ্ঞানের যেটা ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক সেটা ধর্ম যা নির্দেশ করে সেটাই সুমলিমদের বিশ্বাস করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.