![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই বানিটি নিয়ে এর আগে অনেক তর্ক হয়েছে তারপরও আবার দিচ্ছি ।
২য় বিবরন ১৮/(১৫)১৭-২২ঃতখন সদাপ্রভু আমাকে বলিলেন উহারা ভালই বলেছে । আমি উহাদের জন্য উহাদের ভাত্রিগনের মদ্ধ্যে হইতে তোমার সদৃশ্য এক ভাবাবাদি উৎপন্ন করিব , ও তাহার মুখে আমার বাক্য দিব ; আর আমি তাহাকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিব তাহা তিনি উহাদিগকে বলিবেন। আর আমার নামে তিনি যে সকল বাক্য বলিবেন ,তাহাতে যেহ কেহ কর্নপাত না করিবে তাহার প্রতি আমি প্রতিশোধ লইব । কিন্তু আমি যে বাক্য বলিতে আজ্ঞা করি নাই,আমার নামে যে কোন ভাবাবাদি দঃসাহস পুর্বক তাহা বলে কিংবা অন্য দেবতার নামে যে কেহ কথা বলে , সেই ভাবাবাদিকে মরিতে হইবে(নিহত হইতে হবে) । আর,তুমি যদি মনে মনে বল, সদাপ্রভু যে বাক্য বলেন নাই,তাহা আমরা কি প্রকারে জানিব? [তবে শুন] কোন ভাবাবাদি সদাপ্রভুর নামে কথা কহিলে যদি সেই বাক্য পরে সিদ্ধ না হয়, ও তাহার ফল উপস্থিত না হয়,তবে সেই বাক্য সদা প্রভু বলেন নাই;অই ভাবাবাদি দঃসাহস পুর্বক তাহা বলিয়াছে,তুমি তাহা হইতে উদ্বিগ্ন হইও না ।
এই হল পুরা বানি । ইহুদিদের দাবি এটা যিহোশুয়ের ব্যাপারে বলা হয়েছে । আর পলের অনুসারিদের দাবি এটা যীশুর ব্যাপারে বলা হয়েছে । আর, মুসলিমদের দাবি এটা মুহাম্মদ (স) এর ব্যাপারে বলা হয়েছে । যদি কেউ এই ভবিষ্যৎ বানিটি ভাল ভাবে চিন্তা করেন তাহলে এটা নিশ্চিত যে এই বানিটি মুহাম্মদ(স) এর ব্যাপারেই বলা হয়েছে । নিম্নের ১০ টি বিষয় তা প্রমান করেঃ
১ বিষয়ঃ।যোহন ১/১৯-২৪ উল্লেক্ষ আছে, যোহন বাপ্তাইজকে ইহুদিরা প্রশ্ন করছিল । তা নিম্ন রুপঃ
আর যোহনের সাক্ষ্য এই , যখন ইহুদিগন কয়েকজন যাজক ও লেবীয়কে দিয়া যিরুশালেম হইতে তাহার কাছে এই কথা জিজ্ঞাস করাইয়া পাঠাইলেন, আপনি কে? তখন তিনি স্বীকার করিলেন, অস্বীকার করিলেন না;তিনি স্বীকার করিলেন যে , আমি সেই খৃষ্ট নই । তাহার তাহাকে জিজ্ঞাস করিলেন ,তবে কি? আপনি কি এলিয়? তিনি বলিলেন ,আমি নই ।আপনি কি সেই ভাবাবাদি? তিনি উত্তর করিলেন , না ।
এখানে এক্টূ লক্ষ্য করুন ইহদিরা যোহনকে ৩ টি প্রশ্ন করেছেঃ
@ খ্রিস্টের ব্যাপারে @@ এলিয়ের ব্যাপারে @@@ সেই ভাবাবাদির ব্যাপারে ।তাহলে এখানে স্পস্ট যে তিন জন তিন ব্যক্তি । নিম্নের কথা থেকে তা স্পস্ট বুঝা যায়ঃ
যীশুর উপদেশ এর বর্ননা উল্লেখ করে যোহন ৭/৪০-৪১ বলা হয়েছে= সেই সকল কথা শুনিয়া লোক সমুহের মদ্ধ্যে কেহ কেহ বলিলেন , ইনি সত্যিই সেই ভাবাবাদি। আর কেহ কেহ বলিলেন, ইনি সেই খৃষ্ট ।
এখান থেকেই বুঝা যায় যে তারা খৃষ্ট ও ভাবাবাদি ২ ব্যক্তি হবেন ।এর জন্যি তারা একজনের বিপরিতে আরেক জনের কথা বলেছেন।
২য় বিষয়ঃ। এই ভবিষ্যৎ বানিতে বলা হয়েছে ,”তোমার(মোশির) সদৃশ”। যিহোশুয়া ও যীশু কেউই মোশির সদৃশ নয়। ২য় বিবরন ৩৪/১০ তা প্রমান করে। ২য় বিবরন ৩৪/১০= “মোশির তুল্য কোন ভাবাবাদি ইস্রায়েলের মধ্যে আর উৎপন্ন হয় নাই ।“
মোশি ও যিহোশুয়ের মধ্যে কোণ সদৃশ নেই । কারন যিহোশুয়ে ছিলে মোশির পরের নবি, স্থলাভিষিক্ত নবি ।
৩য় বিষয়ঃ। এই খানে বলা হয়েছে “ উহাদের ভাত্রিগনের মধ্যে হইতে” ।
যখন কোথাও ভাষার সৌন্দর্যের জন্য মাধুর্যাপুর্ন কথা ব্যবহার করা হয় তখন সে খানে রুপক অর্থ ব্যবহার করা হয় । যেমন, আদিপুস্তক ১৬/১২ তে ইস্মায়েলের ব্যাপারে বলা হয়েছে ‘ সে তাহার সকল ভাত্রিগনের সম্নুখে বসতি স্থাপন করিবে ।
এখানে স্পস্ট যে ইস্রায়েল থেকে আরব অনেক দূরে । তাই এখানে ভাত্রিগনের সম্মুখে বলতে আরব বুঝানো হয়েছে । আর নিঃসন্দেহে ইস্মায়েলের বাসস্থান ছিল আরবে । এখানেও রুপক অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে ।
এমন ভাত্রিগন শব্দটি বাইবেলে অনেক জায়গায় রুপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে । দেখুন, এষৌ সন্তান্দের ব্যাপারে ২য় বিবরন ২/২-৪। ইত্যাদি ।
এখন কথা হল যীশু ইস্রায়েল দের ভ্রাতা নয় । বরং তাদেরি বংশধর । তাই এটী যীশুর ব্যাপারে প্রযোজ্য নয় ।
৪র্থ বিষয়ঃ এখানে বলা হয়েছে “আমি উৎপন্ন করিব” । আর এ কথা বলার সময় যিহোয়াশু মোশির নিকট উপস্থিত ছিলেন । তা হলে কি ভাবে এটা যিহোয়াশুয়ের ব্যাপারে হয় ?
৫ম বিষয়ঃ বলা হয়েছে “তাহার মুখে আমার বাক্য দিব”। এ কথা থেকে স্পস্ট বুঝা যায় যে তার উপর আলাদ আসমানি কিতাব নাযিল হবে । তিনি পরা লেখা না জানার কারনে তা মুখস্থ করে রাখবেন।
৬ষ্ট বিষয়ঃ। বলা হয়েছে ”আর আমার নামে তিনি যে সকল বাক্য বলিবেন ,তাহাতে যেহ কেহ কর্নপাত না করিবে তাহার প্রতি আমি প্রতিশোধ লইব” ।
এই খানে এই ভাবাবাদির বইশিষ্ট বুঝানোর জন্য এই কথা বলা হয়েছে । সব নবির কথা মান্য না করলে সমস্যা নেই , কিন্তু এই নাবির কথা মান্য না করলে ঈশ্বর তার থেকে প্রতিশোধ নিবেন । যীশুর কথায় কর্নপাত না করিলে এমন কিছুই ঘটেনি। বরং যীশু বলেছেন মথি ১২/৩১-৩২=মনুষ্য পুত্রের বিরোধী কথা ক্ষমা হইবে... আত্মা বিরোধী কথা ক্ষমা হইবে না । তাহলে যীশুর এই কথা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে যীশুর বিরোধিতা করলে কোন পাপ নেই , শাস্তি নেই । কিন্তু সেই ভাবাবাদির কথায় বিরোধী করলে ঈশ্বর শাস্তি দিবেন । হ্যা, বাস্তবিক সেই ভাবাবাদির(মুহাম্মদ স) কথায় কর্নপাত যারা করেন নাই তাদের শাস্তি দিয়েছেন । বিশেষ করে ইহুদিদের । অথচ , যীশু ইহুদিদের ভয়ে পালিয়ে বেরাতেন ।
৭ম বিষয়ঃ। প্রেরিত ৩/১৯-২৩= অতএব তোমরা মন ফিরাও , ও ফির ,যেন তোমাদের পাপ মুছিয়া ফেলে হয়,। যেন এইরুপ প্রভুর সম্মুখ হইতে তাপ্সহান্তির স্ময় উপস্থিত হয়,এবং তোমাদের নিমিত্তে পুর্ব নিরুপিত খ্রিস্টকে ,যিশুকে , তিনি যেন প্রেরন করেন । যাহাকে সর্গ নিশ্চয় গ্রহন করিয়া রাখিবে , যে পর্যন্ত না সমস্ত বিষয়ের পুনঃস্থাপনের কাল উপস্থিত হয়। যে কালের বিষয়ে ঈশ্বর নিজ পবিত্র ভাবাবাদিগনের মুখ দারা বলিয়াছেন , যাহারা পুরা কাল হইতে হইয়া গিয়াছেন।মোশি ত বলিয়াছেন, প্রভু ঈশ্বর তোমাদের জন্য তোমাদের ভাত্রিগনের মধ্য হইতে আমার সদৃশ এক ভাবাবাদি উৎপন্ন করিবেন, তিনি তোমাদিগকে যাহা যাহা বলিবেন সেই সমস্ত বিষয় তোমরা তাহার কথা শুনিবে ,। আর এইরুপ হইবে, যে কোণ প্রানী সেই ভাবাবাদির কথা না শুনিবে, সে প্রজা লোকদের মধ্য হইতে উচ্ছিন্ন হইবে।
যে কোণ খ্রিস্টান যদি ভিত্তিহিন গোড়ামি পরিত্যাগ করে পিতরের এই বানি ভাল ভাবে চিন্তা করেন তাহলে ২য় বিবরনের ভবিষ্যৎ বানিটি যীশুর ব্যাপারে বলতে পারবেন না । পিতরের এই একটি কথা দিয়েই পৃথিবীর খ্রিস্টানদের জবাব দেয়া যায় ।
তাইতো মহান আল্লাহ বলেছেনঃ “আমি তোমাদের নিকট পাঠিয়েছি এক রাসুল তোমাদের জন্য সাক্ষি স্বরূপ , যেরূপ পাঠিয়েছিলাম ফিরাউনের নিকট ।( সুরা মুযাম্মিল ,১৫)
পিতর তার বক্তব্যে বলেছেনঃ”যাহাকে সর্গ নিশ্চয় গ্রহন করিয়া রাখিবে , যে পর্যন্ত না সমস্ত বিষয়ের পুনঃস্থাপনের কাল উপস্থিত হয়।“
এর অর্থ হলঃ যখন সেই নবির সময় আসবে এবং তার বিধি বিধান পুঙ্খানুপুঙ্খ বাস্তবায়িত হবে এবং কিয়ামতের পুর্বে যীশু আবার আসবেন ।এত দিন যিশুকে সর্গ গ্রহন করে রাখবে ।
এর আগে অনেক মিল দেখানো হয়েছে মোশির ও মুহাম্মদ স এর মাঝে । তাই আজ আমি আর সেগুলো আর দিলাম না। দয়া করে আপনারা ইযহারুল হক্ক ২ খন্ড পরে দেখতে পারেন । এবং ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখে নিবেন ।
৮ম বিষয়ঃ। বলা হয়েছেঃ কিন্তু আমি যে বাক্য বলিতে আজ্ঞা করি নাই,আমার নামে যে কোন ভাবাবাদি দঃসাহস পুর্বক তাহা বলে কিংবা অন্য দেবতার নামে যে কেহ কথা বলে , সেই ভাবাবাদিকে মরিতে হইবে(নিহত হইতে হবে) ।
মুহাম্মদ স যদি সত্যবাদি ভাবাবাদি না হতেন তা হলে তিনি নিহত হতেন ।
মহান আল্লাহ বলেনঃসে যদি আমার নামে কিছু রচনা করে চালাতে চেষ্টা করত, আমি অবশ্যই তার দক্ষিন হস্ত ধরে ফেলতাম, এবং কেটে দিতাম জীবন ধমনি। (সুরা হাক্কা, ৪৪-৪৬)
মুহাম্মদ স সাভাবিক ভাবে মারা গিয়েছেন ।
মহান আল্লাহ বলেনঃআল্লাহ তোমাকে মানুষ হতে রক্ষা করবেন।(সুরা মায়িদা, ৬৭)
তাহলে আমাদের সামনে স্পস্ট যে মুহাম্মদ সা সাভাবিক ভাবে মারা গিয়েছেন এবং তিনি ছিলেন সত্যবাদি । পক্ষান্তরে, খ্রিস্টান্দের বিশ্বাস অনুযায়ী যীশু মারা গিয়েছেন । তাহলে এই ভবিশ্যত বানি যদি যীশুর ক্ষেত্রে প্রযোয্য হয় তাহলে খ্রিস্টান্দের এটা মান্তেই হবে যে যীশু ঈশ্বর এর নামে মিথ্যা কথা বলতেন । তাই , তিনি পাপি ছিলেন । এই কারনেই তাকে ঈশ্বর মেরে ফেলল । অতএব তিনি সেই নবি ছিলেন না । সেই নবি ছিলেন মুহাম্মদ সা. ।
৯ম বিষয়ঃ বলা হয়েছে “কোন ভাবাবাদি সদাপ্রভুর নামে কথা কহিলে যদি সেই বাক্য পরে সিদ্ধ না হয়, ও তাহার ফল উপস্থিত না হয়,তবে সেই বাক্য সদা প্রভু বলেন নাই;অই ভাবাবাদি দঃসাহস পুর্বক তাহা বলিয়াছে,তুমি তাহা হইতে উদ্বিগ্ন হইও না ।“
এইখানের কথায় মাত্র ২ টা ভাববানি তুলে ধরছি যীশুর ও মুহাম্মদ সা ... এর ।
১ নং যিশুঃ মথি লিখিত ১০/২৩ পদ টি পুর্ন হয় নি। এটী মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে । কারন এই ভাববানিতে যীশু বলেছিলেনঃইস্রায়েলের দেশের সমস্ত গ্রামে তোমাদের যাওয়া শেষ হইবার আগে মনুশ্যপুত্র আসিবেন ।
সত্য বলতে কি,শিষ্যরা মারা গিয়েছে, তারা ফিরিয়ে এসেছে কিন্তু যীশু আসেন নি তার কথা মত । আরও লক্ষণীয় যে ২ হাযার বছর হয়ে গেছে তাও আসেন নি ।
২ নং মুহাম্মদ(স)ঃনবি(সা) মৃত্যুর সময় বলে গিয়েছেলেনঃ তার বংশের মধ্যে সর্বপ্রথম ফাতিমা(রা) ই তার কাছে আগমন করবেন।
বস্তুত তাই হয়েছিল। নবি(স) এর মৃত্যুর মাত্র ৬ মাস পর ফাতিমা মারা গিয়েছিলেন ।
এখানে মাত্র ১ টা ভাববানি উল্লেখ করলাম । এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য দেখুনঃ ইযহারুল জক ২ খন্ড ২২০-২২৭ নং পেজ ।
১০ম বিষয়ঃ ইহুদি খ্রিস্টান রা যানে যে এই সেই নবি। তারপরও তারা মানে না। যেমনঃ যোহন ১১/৪৯-৫৭, ১৮/১-২৪ এ বলা হয়েছে যেঃ মহা যাজক কায়েফা তিনি জানতে পেরেছিলেন যে যিশুই খৃষ্ট , কিন্তু তার পরও তিনি তাকে জাগতিক কারনে মেনে নেন নি, বরং তিনি তাকে মৃতুদন্ড দিয়েছিলেন ।
ঠিক একই ভাবে ইহুদু খ্রিস্টান ধর্মগুরুরা জানে যে এই সেই তাওরাত , ইঞ্জিলের প্রতুশ্রুতি ভাবাবাদি তার পরও তারা মানে না ।
©somewhere in net ltd.