![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সন্ত্রাসবাদ ও কিছু কথা:
প্রথমেই বলে রাখা ভাল হবে যেঃ আজ যে ভাবে এই রঙয়ের ভুবনে সন্ত্রাসবাদ চলছে তা শুধু মানবতারই লঙ্ঘন নয় বরং এটি এমন একটি পথ যা মানুষকে হাকিয়ে নিয়ে যায় পাহাড়ের চুড়ায় , তারপর সেখান থেকে লাথি মেরে নিচে ফেলে দেয় মানবতাকে, ধর্মকে, বিবেককে , সামগ্রিক ভাবে তা ভেংগে চুরমার হয়ে যায় । নিশ্চিহ্ন করে দেয় ব্যক্তিজীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন, বিষিয়ে তুলে এক তুল তুলে নরম মনকে । পরবর্তিতেই এই নরম মনটি হয়ে উঠে এক জঘন্য নরপশু হয়ে ।
যাইহোক, আমরা কিভাবে এর প্রতিরোধ করব? আমাদের এই সন্ত্রাসবাদ শিক্ষাগুলা কারা দিল? পর্দার অন্তরালে রয়েছে কারা? এইগুলো অবশ্যই পর্যালোচনার দাবি রাখে।
একটি কথা বলে রাখিঃ আমার চোখের সামনে এখনও ভাসে সেই দিনগুলি । তখন বাংলাদেশে চলছে তত্ত্ববোধায়ক সরকার, ২০০৮ । যেভাবে অবৈধ স্থাপনাগুলা ভাংগা হয়েছিল , তার সাথে আমি পুরাপুরি একমত । কারন একটাই তা হল অবৈধ যে কোন কাজ পোতাশালী ব্যক্তিরাই করে। ক্ষমতা নেই একজন দিনমজুরের , রিক্সাচালকের, কৃষকের যে তারা অবৈধ স্থাপনা করে পেট চালাবে। কখনই না, এটা সম্ভবই না । সরাকারি জায়গার উপর অবৈধ স্থাপনা করে পোতাশালি ব্যক্তিরা। আর , এটাই নিশ্চিত । একজন দিনমজুর, রিক্সাচালক এরা যদি এমন কোন কাজ করত তাহলে তাদের উপকারই হত বলে মনে করি , তবে তারা এলাকায় থাকতে পারতনা ।
আমার এই কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য হল যেঃ যে কোন ধরনের অন্যায় কাজের সিংহ ভাগই হয়ে থাকে এই সব প্রভাবশালি ব্যক্তিদের দ্বারা । আমার মুল কথায় ফিরে আসিঃ
সন্ত্রাসবাদ ! এটা আসলে কি? একজন মানুষ যদি কাউকে ন্যায়ভাবে , আইনের আশ্রয় নিয়ে মেরে ফেলে(যেমন ফাসি) তাহলে সেটা সন্ত্রাস নয় । আবার যখন অন্যায় ভাবে কাউকে হত্যা করা হয় তাহলে সেটাও সন্ত্রাস নয় , এটাকে বলা যায়ঃব্যক্তিয় ভাবে ব্যক্তি খারাপ ।এবং তার শাস্তি সরকার করবে। ফাসি দিবে ।
Encyclopedia Britannica এর ভাষ্যকরগন সন্ত্রাসের সংজ্ঞা করেছেনঃ
Terrorism:the systematic use of voilence to create a general climate of fear a population and thereby to bring about a particular objective....
অর্থঃ সন্ত্রাসঃ নির্দিষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষে সুশৃঙ্খলভাবে সনিংসতা ব্যবহারের মাধ্যমে কোন জনগষ্টির ভিতর ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা ।
সন্ত্রাসের ব্যাপারে Encyclopedia Britannica তে বিস্তারিত দেখুনঃ https://global.britannica.com/topic/terrorism
টুইন টাওয়ার এর একটি ঘঠনা না উল্লেখ করে পারছিনা । কিছু দিব পুর্বে আমার নিকট একটি বই হস্তগত হয় । ফরাসি সাংবাদিক Thierry Meyssan এর বহুল পঠিত বই: 9-11 -The Big lie বইতে পরিস্কার ভাবে তিনি উল্লেখ করেছেনঃ
ওই হামলার পেছনে ছিল মার্কিন প্রশাসনের একটি দক্ষিণপন্থী অংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ‘সমর শিল্প’- যারা আফগানিস্তান ও ইরাকে যুদ্ধ শুরুর অজুহাত খুঁজছিল। মধ্যপ্রাচ্যে ইউনোকল ও অন্যান্য তেল কোম্পানির পাইপলাইন স্থাপনের পরিকল্পনাসহ ওই অঞ্চলের ভূকৌশলগত স্বার্থও নাকি এর পেছনে কাজ করেছে। এছাড়া ঘটনার পর ফ্রান্সের বিখ্যাত পত্রিকা লা মঁদ ‘১১ সেপ্টেম্বর : অভ্যন্তরীণ কাজ?’ শিরোনামে তিন পৃষ্ঠাব্যাপী একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য বইটি পরুন, লিংকঃ Click This Link
খ্যাতনামা ব্রিটিশ সাংবাদিক রবার্ট ফিস্কও প্রশ্ন তুলেছেন। লন্ডনের দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় “Even I Question the truth about 9 11” শীর্ষক এক নিবন্ধে (২৫.০৮.০৭ ইং) তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো সম্পর্কে বলছি। উদাহরণস্বরূপ, এটা যদি সত্য হয় যে, সবচেয়ে অনুকূল অবস্থায় কেরোসিন ৮২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে পুড়ে, তাহলে টুইন টাওয়ারের স্টিলের দণ্ডগুলো- যার গলনাঙ্ক প্রায় ১ হাজার ৪৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বলে ধরা হয়- একই সময়ে ভেঙে পড়ল কীভাবে? (এগুলো ৮.১ থেকে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে ভেঙে পড়েছিল)।
বিস্তারিত আর্টীকেল পরার জন্য লিংকঃ Click This Link
এমন আরও অনেক নতি প্রমান রয়েছে যে টুইন টাওয়ার এর হামলা কোন মুসলিম করেনি । এটি আমারেকার একটা নিল নকশা ছিল মাত্র ।
এই হল টুইন টাওয়ার হামলা এর নেপথ্য ।
আজ আমরা মুসলিমরা কত নির্যাতিত। অন্যায় করে তারা বহন করি আমরা। যাইহোক, আরও কিছু তথ্যঃ
ভারতের নরেন্দ্র মদি যখন নির্বাচনে বিজয় হয় তখন সাপ্তাহিক ধাবমান ২১ মে ২০১৪ , বর্ষ ২, সংখা ১৩ তে এসেছে হাযার হাযার মুসলিম হত্যাকারি মোদির বিজয়। ২৭/২/২০০২ এ যে ট্রেনে হামলা হয় তাতে সরাসরি মোদির ইন্ধন ছিল, কিন্তু নাম দেয়া হয় মুসলিমদের ।
আজ এই পর্যন্তই । চলবে ধারাবাহিক লেখা।
©somewhere in net ltd.