![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Militancy: A Review.
জঙ্গি বর্তমানে বহুল ব্যবহিত একটা শব্দ । বাংলা একাডেমির ইংলিশ টু বাংলা অভিধানেঃ
Militant অর্থ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, শক্তি বা জোরালো চাপ প্রয়োগে নিয়োজিত বা এর সমর্থক , জঙ্গি , রণ্মুখো ,রাজনিতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে জঙ্গি ব্যক্তি । এবং Militancy এর অর্থ জঙ্গিবাদ ।
Terror: অত্যাধিক ভীতি , আতঙ্ক , সন্ত্রাস , ত্রাস সৃষ্টি কারি ব্যক্তি ।
Oxford advanced learner’s Dictionary by A. S Hornby , page 738 তে বলা হয়েছেঃ
Militant: favouring the use of force or strong pressure to achieve one’s aim…..esp. in politics( জঙ্গিঃ যে ব্যক্তি তার উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য শক্তি বা জোরালো প্রভাব ব্যবহার করে বা সমর্থন করে ।...... )
Merriam wepster’s Collegiate Dictionary তে বলা হয়েছেঃ
Militant: 1. Engaged in warfare or combat:fighting(যুদ্ধ বা সম্মুখসমরে লিপ্ত ব্যক্তি, যুদ্ধরত) .2.aggressively active(উগ্রভাবে সক্রিয়)
উপরের অর্থগুলা বিবেচনায় নিলে দেখা যায় এই সব অর্থে পৃথিবীর সকল রাজনৈতিক , আদর্শিক, পেশাজীবী সবাই এর অন্তর্ভুক্ত । কারন সকলেই নিজ নিজ সার্থ হাসিলের জন্য , আদর্শ রক্ষার জন্য উগ্রভাবে সক্রিয় । কিন্তু দুঃখের বিষয় এই শব্দের অর্থ এখন মারাত্নক বিষে পরিনত হয়েছে । সময়ের আবর্তমানে শব্দের অর্থ পরিবর্তন হতে পারে । যেমনঃ আহমেদ দিদাত তার The Choice, (page no 222) বইতে লিখেছেনঃGay:What is wrong with this word? Nothing at all ! I learnt this word in my early schooling as showing or characterised by cheerfulness and light hearted excitement ; a marry person.I was thought to sing: ”Gentle Lords and Ladies Gay , On the Mountain Dawns the Day.”( গে – এই শব্দটির খারাপ কি থাকতে পারে? …স্কুলে পরার সময় আমি নিজে এই শব্দ শিখেছিলাম… তখন তার অর্থ ছিল আনন্দিত , উতফুল্ল, হাল্কা ফুর্তি বাজ লোক । স্কুলে গান শিখেছিলাম…। তার পর আহমেদ দিদাত লিখেছেনঃ সেদিন আমি ভাবতে পারি নাই এরকম একটা নির্দোশ শব্দ এক সময় সবচেয়ে জঘন্য,ঘ্রিনিত শব্দে পরিনিত হবে । এই শব্দের বর্তমান অর্থ করা হয়, বুঝানো হয় সমকামি, আজাচারি ইত্যাদি ।
আর বাংলা একাডেমি ইংলিশ টূ বাংলা অভিধানে(page 311) এর অর্থ ১মে লেখা হয়েছেঃ হাসি খুশি , উজ্জ্বল । ৩নং অর্থে লেখা হয়েছে সমকামি ।
যে বিষয়টি বলছিলাম “গে” অর্থ যেমন বর্তমান নোংরা অর্থ । কিন্তু পুর্বে ভাল ছিল। ঠিক একই ভাবে জঙ্গি শব্দটি একসময় ভাল অর্থে ব্যবহার করা হত এখন সেটা বিষে পরিনত হয়েছে। শ্রী শৈলেন্দ বিশ্বাস , সংসদ বাংলা ইংরেজি অভিধান , পেজ নং ৪৬২ তে বলেছেনঃব্রিটিশ ইন্ডিয়ার commander in chief কে জঙ্গিলাট বলা হত ।
ড আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার “ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ” বইতে লিখেছেন(পেজ নং ৯)ঃ আর এই জঙ্গি শব্দ গুলা আভিধানিক বা ব্যবহারিক ভাবে খারাপ বা নিন্দনিয় অর্থে ব্যবহিত হত না । এবং শাব্দিক ব্যবহারে বা রুপক ব্যবহারে যোদ্ধা, সৈনিক বুঝাতে ব্যবহিত হত।
তাহলে আমরা উপরের প্রমানাদির ভিত্তিতে বলতে পারি যে সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদ এগুলা কোন কারও উপর নিপাতিত করার একচেটিয়া শব্দ নয়। সর্বপ্রথম ১৭৯৩ সালে সন্ত্রাস শব্দ ব্যবহার করে ইউরোপ ইসরায়েল ইহুদিদের কে বুঝানোর জন্য । মানব ইতিহাসে প্রাচীন যুগের ১ম সন্ত্রাসি কর্মছিল উগ্রপন্থি ইহুদি যীল্টদের সন্ত্রাস। বিস্তারিত দেখুনঃ এন্সাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকাতেঃ Click This Link
আজ সারা দুনিয়াতে শুধু মাত্র মুসলিমদের নাম দেয়া হচ্ছে ।মুসলমানদের ভিতর যে সন্ত্রাসি নেই এই কথা কেউ বলে না। কিন্তু তাই বলে এটা একচেটীয়া নয় । সব ধর্মের লোকের ভিতর সন্ত্রাসি রয়েছে । এর জন্য তাদের ধর্ম দায়ি নয় । কিন্তু কোন মুসলিম যদি সন্ত্রাসি কর্মকান্ড করে তাহলে সরাসরি ইসলামকে দোষি করা হয় । এমনটি শুরু হয়েছে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর । টূইন টাওয়ার সম্পর্কে কিছু তথ্য দিয়েছিলাম এর আগে। ব্লগ লিংকঃ Click This Link
এখানে বলেছিলাম যে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের সাথে মুসলিমদের সম্পর্ক নেই। এটা একটা ষড়যন্ত্র মাত্র , মুসলিমদের কে হেয় করার জন্য। উপরের লিংকে ক্লিক করে লেখাটী পরুন অথবা ফেবুতে পরুন। লিংকঃ Click This Link
একটা বিষয় ভাল করে খেয়াল করলে বুঝা যায় যে যত সন্ত্রাসি হামলা বর্তমানে হচ্ছে সব মুসলিম দেশেই । যারা মারছে তারা নামধারি মুসল্মান এবং যারা মারা যাচ্ছে তারা নিরিহ মুসলিম । বিশ্বের বর্তমান অধিকাংশ জঙ্গি হামলা হচ্ছে মুসলিম দেশেই। এর কারন কি?? এমন কিছু ক্ষেত্রে আমার মনে পরে গেল আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা) এর সেই কথাটি । তিনি এই বিভ্রান্তির কথা উল্লেখ করে বলেনঃ কাফিরদের ব্যাপারে যে সকল আয়াত নাযিল হয়েছে এরা (বিভ্রান্ত মুসলিমরা) সেগুলাকে নিয়ে মুসলিমদের উপর প্রয়োগ করে ।( বুখারি ৬/২৫৩৯)
আমরা বাস্তবিক তাই দেখতে পাচ্ছি ।
যাইহোক ইসলাম কোন সন্ত্রাসির ধর্ম নয়। ইসলামের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করছে এই রকম নামধারি মুসলিমরা । অমুসলিমরা ইসলামের যত ক্ষতি না করেছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে এই মুনাফিক মুসলিমরা । আর এটাই সত্য । ইহুদি পরিকল্পনা করে , টাকা দেয় খ্রিষ্টান , মাঠকর্মি মুসলমান । মাঠ কর্মিদের জন্যই সমস্যা । সব মুসলিম মাঠ কর্মি নয় , যারা মাঠ কর্মি তারা খুবই সামান্য ।
মিডিয়া ! একটা প্রয়োজনীয় মাদ্ধম। বর্তমান সাধারন জনতা যারা সত্য জানতে চায় তারা এই মিডিয়ার পরিবর্তন চায়। কারন , এখন এগুলা সব একচেটিয়া হয়ে গেছে। একপেশি।
আমাদের বাংলাদেশে রমাদান মাসে একটা জঙ্গি হামলা হল যা আমাদের দেশের ইতিহাসে প্রথম । বিষয়টা দুঃখ জনক, ভাববার বিষয় । দাবি করছে আই এস যে তারা হামলা চালিয়েছে । যখন এই সংবাদ আমি জানতে পারি যে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা হয়েছে তখন কেন যেন বর্তমান নামধারি আলেমদের প্রতি , স্কুল , কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি অভিমান হয়েছিল । আর ঘৃণা জন্মেছিল বর্তমান সন্তান্দের পিতা মাতার প্রতি । কারন হলঃ যে সব ছেলেরা জঙ্গি হামলা করেছে তারা জিবনে ভাল করে কুরান পরেনি । অর্থ বুঝাতো দুরের কথা । আর হাদিসের ধারের কাছেও না । কারন কি? তারা কেন পরেনি? তারা বুঝেনি কেন? বুঝেনি, পরেনি এর কারন একটাই বাবা মা ,শিক্ষক এরা এই সরল মনা সন্তাদের ব্যাপারে অবেহেলিত । তারা নামে মুসলিম মাত্র। বাবা মুসল্মান তাই আমিও মুসল্মান। এটা ইসলামি কথা নয়। যারা কুরান হাদিস সম্প্ররকে জানে না তাদের কুরান দিয়ে ২ -১ টা কথা দিয়ে খুচা দিলেই তারা ব্রেন্ড ওয়াসের পর্যায়ে চলে যাবে। ধিরে ধিরে হয়েই যাবে। কারন কুরানের অপব্যাক্ষ্যা করে তাদের মগজ ধোলাই করা হয়। আমি মনে করি সকলেরই উচিত নিজ নিজ ধর্ম এর ব্যাপারে সঠিক কথা ও ব্যখ্যা জানা। কোন অপব্যখ্যা নয়। রাসুল (সা) বলেছেনঃএ উম্মতের মধ্যে (শেষ যুগে) এমন একটা সম্প্রদায় আগমন করবে যারা বয়সে “তরুন” এবং তাদের বুদ্ধিজ্ঞান অপরিপক্কতা ও প্রগভতায় পুর্ন। মানুষ যত কথা বলে অন্মধ্যে সর্বোত্তম কথা তারা বলবে (সত্য ও ন্যায়ের কথা বলবে)। কিন্তু তারা সত্য , ন্যায় ও ইসলামের ভিতর থেকে তেমনি ভাবে ছিটকে বেরিয়ে যাবে যেমন করে তীর শিকারির দেহ ভেদ করে বের হয়ে যায়। তাদের ঈমান তাদের কণ্ঠনালি অতিক্রম করবে না.........(বুখারি ৩/১৩২১)
নবি(স) এর কথা থেকে জানা যায় যে এরা হবে তরুন বয়সের। আমরা তেমনটাই দেখতে পাচ্ছি । যত জঙ্গি হচ্ছে সব হারামিরাই তরুন বয়স আর জ্ঞান নেই তাদের। এটা মহামানব(স) বলেই গিয়েছেন। তারপর তিনি বলেনঃ তাদের কে তোমরা যেখানেই পাবে সেখানে হত্যা করবে, কারন তাদের কে যারা হত্যা করবে তাদের জন্য কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট অনেক পুরষ্কার।
আরেকটি বিষয় বলে রাখা ভাল হবে যাতে উপরের কথায় কেউ ভুল না বুঝে। ইসলামে জিহাদ বা হত্যা করা ইত্যাদি সব কিছুই রাষ্ট কর্তিক নিয়ন্ত্রিত হবে। কোন ব্যক্তিগত ভাবে নয়। আর এই বয়সের তরুণদের হত্যা করবে সরকার। তার আদেশেই তা বাস্তবায়ন হবে ।
আরেকটি বানি বলব নবি(সা) এর । রাসুল(সা) বলেছেনঃখুওয়াইসিরার এর অনুসারিদের থেকে এমন একদল মানুষ বের হবে যারা সর্বদা কুরান পাঠ করবে কিন্তু কুরান তাদের কন্ঠনালি অতিক্রম করবে না ।এরা ইসলামের ভিতর থেকে তেমনি ভাবে ছিটকে বেরিয়ে যাবে যেমন করে তীর শিকারির দেহ ভেদ করে বের হয়ে যায়।এরা ইসলামের অনুসারিদের হত্যা করবে। প্রতিমা পাথরের অনুসারিদের ছেরে দিবে। আমি যদি তাসের পাই তবে সামুদ সম্প্রদায়কে যেভাবে নির্মুল করা হয়েছিল সেভাবেই হত্যা করে নির্মুল করব।(হাদিসটি বিস্তারিত দেখুন বুখারি ৩/১২১৯।আমি এখানে মুল কথাটি উল্লেখ করেছি))
যাইহোক আমরা রাসুল(সা) এর এই বানির সত্যতা দেখতে পাচ্ছি । এখনই মুসলিম বিশ্বের সরকারদের উচিত এদের প্রতিহত করা। এ বিষয়ে আমি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আস্থা রাখি। এই সব তরুণদের এই বিপথে যাওয়ার কারন এদের ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারনা নেই। এই কথা পুর্বেও বলেছি। অপব্যখ্যা দারা তাদের জীবন গঠিত।
আরেকটি বিষয় তা হল আই এস। আই এস এর জনক যে ইস্রায়েল ও আমেরিকা এ কথাই নিশ্চিত। আই এস এর প্রধান আবু বকর বাগদাদি কিছু দিন আগে গ্রেনেড হামলায় মারা গিয়েছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিন ১৯/১১/২০১৫ তে পুরা একটা পেজ দিয়েছে । হেড লাইন ছিলঃ “কিয়ামতের মিশনে আই এস”। প্রতিদিনের তথ্য অনুযায়ি আবু বকর বাগদাদি তিনি মুলত ইহুদি। তার আসল নামঃআকা ইলিয়েট শিমন। ২০১৩ সালে আমেরিকার এক বৈঠকে তিনি দারি রাখার সিদ্ধান্ত নেন। বিস্তারিত দেখুনঃ Click This Link
যারা সন্ত্রাসে জন্য মাদ্রাসাকে দায়ি করে তারা মুলত জ্ঞানবিরোধি কথা বলে। কারন , আমার জানা নেই কয়জন সন্ত্রাসি উতপত্তি ঘটেছে মাদ্রেয়াসা থেকে?? হ্যা, কিছু মাদ্রাসার ছাত্র আছে যারা সন্ত্রাসবাদের সাথে জরিত। কিন্তু ৯৮% সন্ত্রাসি, হিংস্রতা উত্তপত্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কিন্তু কেন এদের দায়ি করা হয় না?? শুধু মাদ্রাসাকে কেন??
অমুসলিমরা যদি কোন সন্ত্রাসি হামলা করে তাহলে তাদের ধর্মকে দায়ি করা হয় না , কিন্তু মুসলিমরা করলেই তা ইসলামি সন্ত্রাস। কুরান এগুলা শিক্ষা দেয়। ইত্যাদি ইত্যাদি। ক্রুসেড যুদ্ধের সময় খ্রিষ্টান রা যে অত্যাচার মুসলিমদের বিরুদ্ধ্যে করেছে তার ইতিহাস পরলে আজও গায়ের লোম দারিয়ে যায়। সেই বিয়াদপরাই আজ আমাদের বলছে সন্ত্রাসি। কিছু মানুষের জন্য পুরা ধর্মকে। এবং তারা বলে যে কুরান নাকি এগুলা শিক্ষা দিয়েছে। এই কথার উত্তরে বাইবেল থেকে কিছু কথা তুলে ধরলামঃবাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটি থেকে প্রকাশিত কেরি বাইবেল ও New King james version থেকে তুলে ধরা হলঃ
১। বাইবেল , গস্পেল অব মথি ১০/৩৪ঃ যিশু বলছেনঃমনে করিও না যে আমি পৃথিবীতে শান্তি দিতে এসেছি, শান্তি দিতে আসি নাই, কিন্তু তরবারি দিতে এসেছি ।
এ কথা থেকে জানা যায় যিশু যুদ্ধ করার জন্যই এসেছিলেন। যিশু আরও বলেছেনঃ গস্পেল অব লুক ১৯/২৭ঃ পরন্ত আমার এই যে শত্রুগন ইচ্ছা করে নাই যে , আমি তাদের উপর রাজত্ব করি, তাহাদিগকে এই স্থানে আন, আর আমার সাক্ষাতে হত্যা কর।
একথ থেকে জানা যায় যিশুর মুল কাজ ছিল যুদ্ধ করা ।
২।বাইবেল, গননা পুস্তক ৩১/১৭-১৮ঃ অতএব তোমরা বালক বালিকাদের মদ্ধ্যে সমস্ত বালককে হত্যা কর, এবং শয়নের পুরুষের পরিচয় প্রাপ্ত সব স্ত্রিলোকদেরকেও হত্যা কর; কিন্তু যে বালিকারা শয়নে পুরুষের পরিচয় পায় নাই ,তাহাদিগকে আপনাদের জন্য জিবিত রাখ ।
এখানে সবাইকে হত্যা করার কথা বলা হয়েছে এবং কুমারি মেয়েদের সেক্স করার জন্য জিবিত রাখতে বলা হয়েছে।
এমন অনেক ঘটনা আছে বাইবেলে যা সরাসরি অনুসারিদের সন্ত্রাসি কার্যকর্ম শিক্ষা দেয়।
বাইবেল পরলে বুঝা যায় মানুষ হত্যা করা আনন্দমুলক কর্ম। ন্যায়ের জন্য নয়।
আর হিন্দু ধর্মে মহা ভারত পুরাটাই যুদ্ধের কথা । এসবের অধিকাংশই অনিয়মতান্ত্রিক যুদ্ধ শিক্ষা দেয় । কিন্তু ইসলাম নিয়ন্ত্রিতভাবে , সরকারে নির্দেশে যুদ্ধ এর কথা বলে। যেমন ১৯৭১ সালের যুদ্ধ। আরবিতে এটাই জিহাদ । এবং এটাই হল ইসলামিক নিয়মের যুদ্ধ। আর বর্তমান যে শয়তান গুলা , বেজন্ম জাত গুলা জিহাদ জিহাদ করে লাফালাফি করছে এবং যারা এদের মদদ দিচ্ছে তাদের সকল্কেই সরকারিভাবে বিচার করার অপেক্ষায় আজ জনতা। বিশ্বাস আজ হোক বা কাল হোক এর বিচার হবেই হবে। আর, আমেরিকা যারা এগুলার মদদ দিচ্ছে তাদেরও ইতিহাস ভবিষ্যত বিচার করবে। এমনই তো আমেরিকায় অভিষাপের কারনে মাঝে মাঝ দাবানল, প্রাকিতিক দুর্যোগ নেমে আসে।
শেষ কথা ডা, যাকির নায়েকের ব্যাপারে।
তিনি একজন ইসলামিক গবেষক। এক জন ভাল মুসলিম। এতে কোন সন্দেহ নেই। তাকে ঘিরে বর্তমান ষড়যন্ত্র চলছে। পিচ টিভি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ সুরা বাকারাতে মুমিন্দের জন্য ৫ টি পরিক্ষার কথা বলেছেন। Five tests Allah will take from all believers....তার ভিতর একটা কথা হলঃমুমিন বান্দারা যত বেশি আল্লাহ এবং তার রাসুলের কাছে আসবে সে তত বেশি পরিক্ষার সম্মুখিন হবে।
অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে পিচ টিভি বন্ধের দাবিতে মিছিল হচ্ছে, যাকির নায়েক কে বাংলাদেশে আস্তে দিচ্ছেনা । কারন কি?? তিনি কি ভুল কিছু বলেন?? হ্যা, আসলেই তিনি ভুল বলেন।তিনি মাজার পুজা, পির পুজা ইত্যাদির পক্ষে কথা বলেন না । তিনি বলেন কুরান ও হাদিসের কথা । এটাই হল তার ভুল। পির দের পকেটে এখন ভুরি ভুরি টাকা যায় না । এর জন্যি তার বিরুদ্ধে অপ্রপচার। আজ ১০/০৭/২০১৬ বাংলাদেশ প্রতিদিনে এসেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি শামিম আফজাল বলেছেনঃড যাকির নায়েক মানবতার অশান্তি , পিচ টিভি দেখা যাবে না ইত্যাদি...দুঃখের বিষয় এই শামিম আফজালের নাতনি নায়িকা পরিমনি(সেক্সি)। তার নাতনির ব্যাপ্রে কোন কথা নেই, ফতুয়া নেই। এই রকম কুলাংগার ব্যক্তিদের জন্য আজ ইসলামের এই অবস্থা। অপরদিকে নয়া দিগন্ত ১০/০৭/২০১৬ আজ বলেছেঃ ডা জাকির নায়েকের ব্যাপারে ১ম লিখে The Daily Star ..তাদের বক্ত্যব্ব হল যারা জঙ্গি হামলা করেছিল তারা জাকির নায়েকের লেকচার শুনত। নয়া দিগন্ত আরও বলেছেঃ জঙ্গি নিবরাশ ভারতের নায়িকা শ্রদ্ধা কাপুরের অনুসারি ছিলেন এবং তারা এক সাথে একটা সুন্দর নাচ নেচেছিলেন । বাংলাদেশের খবর পাও্যার পর ভারত সরকার পিচ টিভি বন্ধ করেন। এবং Daily Star জাকির নায়েকের নামে মিথ্যাচার করেছে বলে ডা জাকির নায়েক বিবৃতি দিয়েছে। তিনি বলেন যারা বলছে আমাকে মালেশিয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে তারা মিথ্যা বলছে । আমি মালেশিয়ার সরকারি ভাবে আমন্ত্রিত হয়ে সেখানে গিয়েছি এবং ১৫ জন মন্ত্রির সাথে দেখা করেছি। জাকির নায়েকের মাল্যেশিয়ার সফরে ইউটিউব লিংকঃ https://www.youtube.com/watch?v=oIPcG6QiPM0
আর যারা জাকির নায়েকের বিরোধিতা করে তারা পুর্বে থেকেই কাঠ মোল্লা। যাদের দারা ভাল কিছু আশা করা জায় না। ইতিহাস থেকে আমি একটু আভাষ পাচ্ছি একটা ঘটনা। ভারত উপমহাদেশের বিখ্যাত ব্যক্তি শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলবি , তিনি মাজার , ভন্ড পির এদের বিরুদ্ধ্যে কলম ধরেছিলেন বিধায় এই পির পন্থিরা, মাজার পন্থিরা, মিলাদ পন্থিরা তার হাত কেটে দিয়েছিল। প্রত্যেক ব্যক্তিই নির্যাতিত হবে যদি সে সঠিক ইসলামের পথে থাকে। চরমোনাই এক বিয়াদপ । কারন তারা মুসলিম দের ভিতর বিভেদ তৈরি করে। আর, ব্যবসায় লস হচ্ছে এমন মোল্লা, বক্তা এরা তার বিরোধিতা করে। যেমনঃ নুরুল ইসলাম অলিপুরি ।
বাংলাদেশে যে নামধারি আলেম্রা পিচ টিভি বন্ধ্যের দাবি করে মিছিল করে তারা স্টার জলসা বন্ধ্যের জন্য মিছিল করে না কেন?? কেন তারা অশ্লিলতার বিরুদ্ধ্যে মিছিল করে না। হুজুর!! তোমাদের কথার দাম বর্তমান stool ।।তোমাদের কথা মানুষ শুনেনা। টাকা এখন পাও্যা যায় না। এর জন্যই তো তোমরা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধ্যে লেগেছ।। সাধু !! একটু পরিবর্তন হও ।
শেষে বলব যেঃ জঙ্গি ব্যাপারে সতর্ক হন। সন্তান্দের সঠিক ভাবে ধর্মিয় শিক্ষা সহ শিক্ষিত করুন । তা না হলে বেরন্ড অয়াশ হয়ে যাবে। ইহোকাল , পরকাল উভয়টাই হারাবে। আর, জাকির নায়েক কে ভালবাসি যারা বলে তার কথা তে জঙ্গিরা উৎসাহ পেয়েছে তারা মুলত মিথ্যা বলছে। আমরা তার পাশে আছি ইনশাআল্লাহ।
আমিন।
©somewhere in net ltd.