![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
*****একটি গবেষণামূলক প্রতিবেদন****
আবুজর শেখ
সুসমাচার/ ইঞ্জিল
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।
মহান আল্লাহ বলেনঃ ... আমি নাযিল করেছি তাওরাত ও ইঞ্জিল ।( সুরাহ আল্ ইমরান -০৩)
মহান আল্লাহ তায়ালা যে তাওরাত ও ইঞ্জিল নাযিল করেছে তা বর্তমান বিদ্যমান নেই। আজ আমরা এখানে শুধু মাত্র ইঞ্জিল এর ব্যাপারে কথা বলব ।
ইঞ্জিল এর অনুবাদ করা হয় Gospel (সুসমাচার) বলে। অনুবাদ যেটাই করা হোক না কেন অর্থগুলা সব গুলা প্রায় কাছাকাছি । ইঞ্জিল শব্দটি মুলত অনারব শব্দ , যা আরবি ভাষায় রুপান্তরিত হয়েছে। মুল গ্রিক “ইঙ্কলিয়ন’’ শব্দ থেকে ইঞ্জিল শব্দ এসেছে। যার অর্থ “সুসংবাদ ও শিক্ষা” । আমরা সবাই জানি ঈসা (আ) এর উপর ইঞ্জিল নাযিল করা হয়েছে। এই কথা খ্রিস্টানরাও মানে কিন্তু মুল মতবিরোধ হল আমাদের ভাষ্য মুল ইঞ্জিল হারিয়ে গিয়েছে । আর তাদের ভাষ্য হল বর্তমান প্রচলিত ইঞ্জিলই হল মুল ইঞ্জিল । আমরা এই আলোচনায় ২ টা বিষয় আলোকপাত করবঃ ১। প্রকৃত সুসমাচার/ ইঞ্জিল নিয়ে । ২। এই সুসমাচার কাদের জন্য যিশু নিয়ে এসেছিলেন/ যিশু কাদের জন্য এসেছিলেন??
আমার লিখা একটু বড় হবে আজ । আমি এখানে বাইবেল থেকেই আলোকপাত করব। ইনশাআল্লাহ।
যাইহোক, মুল সুসমাচার বর্তমান প্রচলিত সুসমাচার নয় । আর এ কথায় নিশ্চিত । নিম্নের বিষয় গুলা তা প্রমান করেঃ
১।মথি ৯/৩৫ঃ যিশু সমাজ গৃহে উপদেশ দেলেন এবং রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করিলেন(preaching the gospel of the kingdom).
২। যোহন যখন লোক পাঠাইয়া যিশুকে জিজ্ঞাস করেছিলেন , আমরা কি অন্যের অপেক্ষায় থাকব? তখন যিশু কথা প্রসঙ্গে বলেনঃ মথি ১১/৫ঃ দারিদ্রের নিকট সুসমাচার প্রচার হইতেছে ।
৩।মথি ২৪/১৪ঃ রাজ্যের সুসমাচার সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে ।
৪।মথি ২৬/১৩ঃ সমুদয় জগতের যে কোন স্থানে এই সুসমাচার প্রচারিত হইবে, সেই স্থানে এই কর্মের কথা ও ইহার স্মরনার্থে বলা যাইবে ।
উপরোক্ত কথাগুলা থেকে সামগ্রিক ভাবে বুঝা যাচ্ছে যে যিশু যে সুসমাচার প্রচার করতেন সে সুসমাচার/ইঞ্জিল বর্তমান সুসমাচার নয় । যিশুর সময় পৃথক অন্য সুসমাচার ছিল যা তিনি প্রচার করতেন। খ্রিস্টানরা যে ইঞ্জিল প্রচার করে তা মুলত ইঞ্জিল নয় বরং একে বলা উচিত যিশুর জীবনী গ্রন্থ । যিশুর জীবনী লেখক মথি মোটামুটি আমাদের মুল ইঞ্জিলের কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন যা উপরের কথা থেকে বুজা যাচ্ছে। বাইবেলের নতুন নিয়মের অন্যন্যা বইতেও এই রকম সুসমাচার এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যিশুর সব কথা ও কর্ম এই চার সুসমাচার এর ভিতর বিস্তারিত বর্ননা নেই । যোহন তো একটু বাগাড়ম্বর করে বলেইছেন , ২১/২৫ঃ যিশু আরও অনেক কর্ম করিয়াছিলেন , সেই সকল যদি এক এক করিয়া লিখা যায় , তবে আমার মনে হয় লিখিতে লিখিতে এত গ্রন্থ হইয়া উঠিত যাহা জগতেও ধরিত না । তাই একথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে যিশুর অনেক কথা ও কর্ম থেকে আমরা বঞ্জিত। তারপরও যা আমাদের সামনে আছে তাই নিয়েই লড়তে হবে খ্রিস্টান ভাইদের সাথে।
আমি বলেছি প্রচলিত সুসমাচার এটা মুল সুসমাচার নয় বরং জীবনী । জীবনী লেখক গন অনেক সময় তার প্রিয় ভাজন কে উচ্চ করার জন্য অনেক বাড়াবাড়ি করে, মিথ্যার আশ্রয় নেয়। আর এমন প্রমান ইতিহাসের পাতায় অনেক রয়েছে। তাই যিশুর জীবনী গ্রহনিয় ও বর্জনিয় । সব কথাই গ্রহন করা যাবে না আবার সব বর্জন করা যাবে না । অধিকাংশ খ্রিস্টান মনে করে এবং তারা মনে প্রানে বিশ্বাসী যে যিশু খৃষ্ট এই প্রচলিত সুসমাচার প্রচার করেছিলেন। তাদের ধর্মগুরুরা মুলত তাদের প্রকৃত তথ্য দেয় না। যদি খৃষ্ট এই সুসমাচার প্রচার করে থাকেন তাহলে অনেক প্রশ্ন মনে কোনে চারা দিয়ে উঠে। যেমনঃ
১। সুসমাচারের উপর লিখা রয়েছে “ The Gospel According To MATTHWE/MARK/LUKE/JOHN” . প্রশ্ন হল যীশু কী মতানুসারে গসপেল প্রচার করতেন?? তাও আবার তার শিষ্যদের মতানুসারে??
২।যিশু কি তার নিজের বংশতালিকা প্রচার করতেন?? শৈশব , কথিত ক্রশ , মৃত্যু ইথ্যাদি কি প্রচার করেছেন?
৩। যিশু কি তার বংশতালিকা ভুল প্রচার করেছেন?
৪। যিশুর মাতা ম্যারির সাথে গাব্রিয়েলের কথপোকথন ইথ্যাদি কি তিনি প্রচার করেছেন?? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন উঠে আসে যদি বলি এই প্রচলিত সুসমচার যিশু প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রচার করেছেন।।
অথবা যদি এটা মানা হয় যে না , এই গুলা যিশুর জীবনী । তাহলে প্রশ্ন থাকে যে যিশুর মুল প্রচারিত সুসমাচার আমরা মানি না , বরং তার জিবিনি বইয়ের উপর নির্ভরশিল । এবং জীবনী বইতে অসত্য তথ্য থাকেব না এমন কোন কথা নেই । এটা থাকতে পারে । কিন্তু বস্তুত আমরা বাইবেলে এমন অসত্য তথ্য দেখতে পায় ।
খৃষ্ট ধর্মের জনক সেন্ট পলের লেখা গুলা যদি কেউ ভালভাবে খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে , বর্তমান প্রচলিত সুসমাচার এর থেকে কোন কথা নেই । সব পুরাতন নিয়ম থেকে রেফারেন্স টেনেছে। এবং কি পল বলেছেনঃ গালাতিয় ১/৮ঃ “আমরা যে সুসমাচার প্রচার করি তা ভিন্ন অন্য সুসমাচার যদি কেউ প্রচার করে , আমরাই করি বা সর্গ দুতই করুক তাহলে সে শাপগ্রস্থ।” পলের কথা থেকেও বুঝা যাচ্ছে যে সে যে সুসমাচার প্রচার করতে তা বর্তমান সুসমাচার ছিল না। যদি বর্তমান প্রচলিত সুসমাচার তিনি প্রচার করতেন তাহলে তার কথা থেকে কিছু কথা এই ৪ সুসমাচার থেকে পাওয়া যেত।
যাইহোক উপরের আলোচনা থেকে স্পস্ট যে প্রচলিত সুসমাচার/ ইঞ্জিল মুল ইঞ্জিল নয় । আর যে পাণ্ডুলিপি গুলা পাওয়া যায় তা ঐ জীবনী বইয়েরই পাণ্ডুলিপি । যিশু কর্তিক প্রচারিত সুসমাচার নয় ।
যিশু কাদের নিকট এসেছিলেন??
[sb]যিশু শুধু মাত্র ইস্রায়েলদের জন্য এসেছিলেন আর এই কথায় সতভাগ সত্য ও নিশ্চিত । যদিও গস্পেল লেখকের মদ্ধ্যে শুধু মাত্র মথিই লিখেছেন ২৮/১৯ঃ যিশু বলেছেনঃ তোমরা সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর । এখানে আমার কথা হল - যিশু এই কথা বলেছেন কথিত মৃত্যুর পর জিবিত হয়ে । কিন্তু তার জীবদ্দশায় পরজাতিয়দের (Gentiles) প্রতি তার অবস্থা কেমন ছিল তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার ।
পরজাতিয়দের প্রতি যিশুর সারা জীবন কেমন ধারনা পোষন করছে তা নিম্নে দেয়া হলঃ
১। মথি ৫/৪৩-৪৮ঃ যিশু তার শিষ্যদের অনেক উপদেশ দেয়ার পর বলছেন , আর তোমরা যদি আপন আপন ভ্রাতাদের মঙ্গলবাদ কর , অধিক কি কর্ম কর? পরজাতিয়রাও কি সেরুপ করে না??( বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটি প্রকাশিত কেরি বাইবেল) ।
King james version: do not even the publicans so??
New king james version: Do not even the tax collectors(করগ্রাহী) do so??
New revised standard version: do not even the Gentiles (পরজাতি) do the same??
এখানে নিশ্চয় পার্থক্য বুঝা যাচ্ছে । যাইহোক , এখানে বাংলা বাইবেল ও NRSV তে বলা হয়েছে পরজাতিয় । আর জেমস ভারসন এ বলা হচ্ছে করগ্রাহী ।
যিশুর উপরোক্ত কথায় এটাই প্রতিয়মান হয় যে যিশু পরজাতিয়দের নিচু চোখে দেখতেন। এ জন্যই তিনি তাদের চাইতে শিষ্যদের কর্ম ভাল করার কথা বলেছেন । আমাদের বাস্তব জিবনেও এমন ঘটনা ঘটে । বাবা মা সন্তানকে এমন কথা বলে যেঃ তুমিও ভাল পর , ভাল খাও তেমনি পাশের বাড়ির ছেলেও খায় , পড়ে তাহলে তোমার অবস্থা এমন কেন?? তাদের চাইতে তোমার ভাল হতে হবে । এই কথা দারা পিতা মাতা কি বুঝাতে চান?? তারা বুঝাতে চান যে সন্তান যেন তাদের চাইতে ভাল হয় , সন্তানকে ভাল করার প্ররনা দেয় । কিন্তু পাশের বাড়ির ছেলেকে প্রেরনা দেয় না ।
ঠিক একই ভাবে যিশু ইস্রায়েলদের প্ররনা দিয়েছেন পরজাতিয়দের চাইতে ভাল করার জন্য। কিন্তু পরজাতিয়দের জন্য নয় ।
২। মথি ৭/৬ঃপবিত্র বস্তু কুকুরদের দিও না , এবং তোমাদের মুক্তা শুকুরদের সামনে ফেলিও না । পাছে তাহারা পা দিয়া তা দলায় এবং ফিরিয়া তোমাদের আক্রমন করে ।
যিশু এখানে অ ইস্রায়েলদের কে কুকুর ও শুকুর বলে গালি দিচ্ছে । এখান থেকে বুঝা যায় তিনি পরজাতিয়দের ব্যাপারে কি ধারনা রাখতেন। তাদের শিক্ষা দেয়া তো দুরের কথা।
৩। যিশু যখন তার শিষ্যদের ধর্ম্প্রচারের জন্য পাঠান তখন অনেক উপদেশ দেন তার ভিতর একটা হলঃ মথি ১০/৬ঃ তোমরা পরজাতিয়দের নিকট যেওনা এবং শমরিয়দের কোন নগরে প্রবেশ করিও না , বরং ইস্রায়েলদের কুলের হারানো মেষের কাছে যাও ।
এখানে যিশুর অবস্থান পরিস্কার। কিছু না বললেই চলে , তাই কোন মন্তব্য করলাম না ।
৪। যিশুর নিকট এক কানানিয় স্ত্রি লোক এসে চেচাইয়া বলতেছে , প্রভু আমার প্রতি দয়া করুন , আমার মেয়েটি ভুতগ্রস্থ । তখন যিশু নিরুত্তর রইলেন। পড়ে শিষ্যরা বলল তাকে বিদায় ক্রুন । .. যিশু উত্তরে বললেন , ইস্রায়েল কুলের হারানো মেষ ছাড়া আর কাহারও নিকট আমি প্রেরিত হই নাই । কিন্তু স্ত্রী লোকটি এসে তাকে প্রনাম করে বলল , প্রভু আমার উপকার করুন। যিশু উত্তরে বললেন , সন্তানদের খাদ্য লইয়া কুকুরদের নিকট ফেলিয়া দেওয়া ভাল নয় । তাহাতে স্ত্রী লোকটি কহিল , হ্যা , প্রভু , কেননা কুকুরেরাও আপন আপন মেজ হইতে যে গুরা গারা পড়ে তাহা খায় । তখন যিশু উত্তরে বললেন , হে নারি তোমার বড়ই বিশ্বাস , তোমার যেমপ্ন ইচ্ছা তেমন হউক । তার পর তার কন্যা সুস্থ হইল ।
উপরের ঘটনাটি বিস্তারিত বর্ননা রয়েছে , মথি ১৫/২১-২৮ এ ।
এই দীর্ঘ কথোপকোথনের ভিতর কয়েকটি বিষয় লক্ষনিয়ঃ
*১*। যিশু শুধু ইস্রায়েলের জন্য ।
*২*।অ ইস্রায়েলদের/ পরজাতিয়দের কে কুকুর বলে গালি দিয়েছে।
*৩*। অনেক যুবক ধর্মগুরুরা মহিলাদের ছোয়া পেতে চায় । হতে পারে যিশু প্রথমে একটু মুড নিয়েছিল এই ছোয়া টা পাওয়ার জন্য । আর যদি ছোয়া না দিত হইত বা তার মুড নিয়েই তিনি চলতেন।
*৪*। যখন মহিলা টি উত্তর দিল “ হ্যা , প্রভু , কেননা কুকুরেরাও আপন আপন মেজ হইতে যে গুরা গারা পড়ে তাহা খায়” । তখন এই কথা শুনে যিশু নির্বাকই হয়েছিলেন বলে বুঝা যায় । কারন মহিলা কথা টি খুব দুঃখ করেই বলেছে। আর এই কারনে যিশু লজ্জায় পড়ে নিরুত্তর হয়ে গিয়েছিলেন । পড়ে কথা ঘুরে তিনি বললেন তোমার বড়ই বিশ্বাস । পড়ে তিনি তাহাকে সুস্থ করলেন । যদিও ইহুদি ও ভারতীয়রা মনে করে যেহুতু যিশুর ৩০ বছর পর্যন্ত কিছু জানা যায় নি । আর তিনি এই সময়ে মিশরে ছিলেন । তাই সেখান থেকে তিনি যাদু বিদ্যা শিখেছেন । কিন্তু আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি তিনি আল্লাহর প্রেরিত বান্দা ও রাসুল ।
আল্লাহ আমাদের এইরকম নোংরা ধারনা থেকে হেফাযত করুক ।
৫। সর্গ রাজ্যে মহান কে ? এ বিষয়ে যিশু শিক্ষা দেয়ার সময় কথা প্রসঙ্গে বলেনঃ মথি ১৮/১৭ঃ আর যদি সে তাহাদের কথা অমান্য করে , মণ্ডলী কে বল , আর যদি মণ্ডলীর কথাও অমান্য করে, সে তোমার নিকটে “ পরজাতিয় লোকের ও করগ্রাহী তুল্য হউক” ... ( বাংলা কেরি বাইবেল)
New king james version: let him be to you like a heathen and a tax collector..
New rivised standard version:let such a one be to you as a Gentiles and a tax collector.
এখানেও যিশু পরজাতিয়দের কে নিচু করে দেখেছেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে পরজাতিয়রা তার নিকট জালাতনের বিষয় । এর জন্য বার বার তাদের থেকে আলাদা করে তুলনা করে।
৬। মথি ২০/২০-২৮ঃ 20 পরে সিবদিয়ের ছেলেদের মা তার দুই ছেলেকে নিয়ে যীশুর কাছে এসে তাঁকে প্রণাম করে বললেন, আমার জন্য কিছু করুন৷ 21 যীশু তাকে বললেন, ‘তুমি কি চাও?’তিনি বললেন, ‘আপনি আমায় এই প্রতিশ্রুতি দিন য়েন আপনার রাজ্যে আমার এইদুই ছেলে একজন আপনার ডানপাশে আর একজন বাঁ পাশে বসতে পায়৷’ 22 এর উত্তরে যীশু বললেন, ‘তোমরা কি চাইছ তা তোমরা জান না৷ আমি য়ে দুঃখের পেয়ালায় পান করতে যাচ্ছি তাতে কি তোমরা পান করতে পার?’ছেলেরা তাঁকে বলল, ‘হ্যাঁ, পারি!’ 23 তিনি তাদের বললেন, ‘বাস্তবিক, তোমরা আমার পেয়ালায় পান করবে; কিন্তু আমার ডানদিকে বা বাঁদিকে বসতে দেবার অধিকার আমার নেই৷ আমার পিতা যাদের জন্য তা ঠিক করে রেখেছেন, তারাই তা পাবে৷’ 24 বাকি দশজন শিষ্য এই কথা শুনে ঐ দুই ভাইয়ের ওপর রেগে গেলেন৷ 25 তখন যীশু তাঁদের নিজের কাছে ডেকে বললেন, ‘তোমরা একথা জান য়ে, অইহুদীদের শাসনকর্তারাই তাদের প্রভু, আর তাদের মধ্যে যাঁরা প্রধান তারা তাদের ওপর হুকুম চালায়৷ 26 কিন্তু তোমাদের মধ্যে সেরকম হওয়া উচিত নয়৷ তোমাদের মধ্যে য়ে বড় হতে চায়, তাকে তোমাদের সেবক হতে হবে৷ 27 আর তোমাদের মধ্যে য়ে শ্রেষ্ঠ স্থান লাভ করতে চায়, সে য়েন তোমাদের দাস হয়৷ 28 মনে রেখো, তোমাদের মানবপুত্রের মতো হতে হবে, যিনি সেবা পেতে নয় বরং সেবা করতে এসেছেন, আর অনেক লোকের মুক্তির মূল্য হিসাবে নিজের প্রাণ উত্সর্গ করতে এসেছেন৷’
এখানেও যিশু তাদের কে পরজাতিয়দের সাথে খারাপ বিষয়ে তুলনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ ‘তোমরা একথা জান য়ে, অইহুদীদের/ পরজাতিয়দের শাসনকর্তারাই তাদের প্রভু, আর তাদের মধ্যে যাঁরা প্রধান তারা তাদের ওপর হুকুম চালায়৷ কিন্তু তোমাদের মধ্যে সেরকম হওয়া উচিত নয়৷ তোমাদের মধ্যে য়ে বড় হতে চায়, তাকে তোমাদের সেবক হতে হবে৷
এখানেও তার ঘৃণা ফুটে উঠেছে। যদিও কথা গুলা ভাল ছিল তার নিজ ইহুদিদের উপদেশের ক্ষেত্রে । এই বলে এই নয় যে তিনি কথায় কথায় শুধু অ ইহুদিদের কে টেনে আনবেন ।
উপরের সব ঘটনা থেকে এটা পরিস্কারভাবে প্রমান করে যে যিশু অ ইহুদিদের দেখতে পারতেন না । তার চোখে পরজাতিয়রা/ অ ইহুদিরা / অ ইস্রায়েল্রা ছিলেন কুকুরের মত , শুকুরের মত । কিন্তু কি করে কথিত ক্রুশ এ মরার পড়ে জিবিত হয়ে , সর্গে যাও্যার পুর্ব মুহুর্তে বলেন তোমরা সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর?? তিনি তার সারা জিবনে এক জন অ ইস্রায়েলকে ভাল চোখে দেখেছেন বলে বাইবেল থেকে প্রমান নেই । তিনি কি এক জন কেউ পাঠাইতে পারতেন না অ ইহুদিকে দিক্ষা দেয়ার জন্য । এই বিস্তর আলোচনায় যিশুর এই কথায় যে ব্যখ্যা টি সবচেয়ে সঠিক তা হলঃ যেহুতু যিশু তার জীবদ্দশায় পুরা ইস্রায়েলে ধর্ম্প্রচারের কাজ করতে পারে নাই , তাই এখানে সমুদয় জাতি বলতে মুলত ইস্রায়েল এর জাতিকেই বুঝানো হয়েছে। আরও আমরা জানি ইস্রায়েলের ১২ টি গত্র ছিল । তাই এই কথায় বলাই সবচেয়ে সঠিক । যে যিশু জিবনে পরজাতিয়দের ভাল চোখে দেখলনা , শিষ্য করলনা কাউকে , সে কিভাবে এই কথা বলে ?? এটা খুব কমই বিশ্বাস যোগ্য । হতে পারে যেহুতু যিশু বলেছেনঃ মথি ২০/১৯ঃ ক্রুশে দিবার জন্য পরজাতিয়দের হস্তে সমর্পন করিবেন । তাই এই মারের যন্ত্রনার কথায় ভেবে মনে ভয়ে বলেছেনঃ সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর।। যাইহোক , এই গুলা বাতুল কথা। সব থেকে সঠিক কথা এটাই যে ইস্রায়েল এর জাতিকেই বুঝানো হয়েছে। তা না হলে বাতুল কথা এক সময় মাস্তুল হয়ে উঠবে ।
পরিশেষে এই সুদীর্ঘ আলোচনা থেকে আমাদের কাছে পরিস্কার যে যিশু / ঈসা(আ) শুধু মাত্র ইস্রায়েলের জন্যই এসেছিলেন ।
পরিশেষে একটা কবিতা বলে আমার লেখার ইতি টানবঃ
আল হাজ্জাজ নামক এক ইসলামি ব্যক্তিত্য কবিতার সুরে ভাষন দিয়েছিলেন মসজিদে ঢুকে। তা হলঃ
“আধার সরিয়ে আমিই
উঠে যাই সুউচ্চ প্রচারবেদিতে
মাথার শিরোপা সরালেই
আমায় চিনবে সবাই।”
( The History of Arabs by P.K Hitti , page no: 159 , gaankosh prokashoni)
আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক পথ দান করুক। আমিন
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
তা'হলে আপনিও গবেষক?