![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আর পাচটা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের মত আমিও চটি পড়ে রাস্তায় রাস্তায় হাটি
আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েদের প্রচুর পরিমান চাপের মধ্যে রাখা হয়,বিশেষ করে পড়াশোনার দিক দিয়ে।
লেখা-পড়া:বর্তামানে পড়া-শোনায় প্রচুর চাপ।যারা সায়িন্স নিয়েছে তাদের পড়াশোনা নিয়ে বলি,তাদের সায়িন্স এর সাব্জেক্ট ত পড়তেই হয় সাথে সাথে আরো কিছু ৪র্থ সাব্জেক্ট যোগ করা হয়েছে,যেমন,"ক্যারিয়ার শিক্ষা","তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি!"শারীরিক শিক্ষা"এগুলার যে প্রয়োজন নেই তা ত বলছি না,প্রয়োজন অবশ্যই আছে।কিন্তু এগুকার এক্সাম মার্ক দেওয়া হয়েছে ১০০ নাম্বার!মানে বাংলা, ইংলিশ,গনিত যতটা গুরুত্ত্ব দিয়ে করতে হবে এই গুলাও তেমন গুরত্ত্ব দিয়ে করতে হবে।এখন একজন ছাত্র/ছাত্রী পদার্থ,রসায়ন,জীব-বিজ্ঞান,বাংলা ১ম,বাংলা ২য়,আনন্দ পাঠ,ইংলিশ ১ম,ইংলিশ ২য়,হাইয়ার ম্যাথ, ধর্ম,বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় পড়বে না কি এই গুলা পড়বে?এত্ত গুলা সাব্জেক্ট পড়া আমার মতে ইমপসিবল।অবশ্য বছরে ২ টা এক্সাম হয়।কিন্তু যা সিলেবাস দেই,তা কখন করে সম্ভব হয় বা,যারা সারাদিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘনটা পড়বে তাদের অবশ্য হওয়ার কথা(কেউ এত ক্ষন পড়ে বলে আমার জানা নেই,সব্বাই ত আর আইজ্যাক নিউটন না!)তাহোলে সিলেবাস সব্বাই শেষ করবে কেমন করে?আর অন্যান্য ক্লাসের ছাত্রদের কথা বলি,তাদেরো প্রায় সেম সাব্জেক্ট শুধু পদার্থ,রসায়ন,জিব বিজ্ঞান,হাইয়ার ম্যাথ নেই অবশ্য কিন্তু ক্লাস ৩/৪ এর স্টুডেন্ট পড়ে তার মাথা এমনিতেই হ্যাং হয়ে যাওয়া উচিত!
কোচিং/বিশেষ ক্লাস:কোচিং কে অভিবাকরা দেবতুল্য মনে করে!কেন তা জানি না, তারা মনে করে বাচ্চাদের একবার ধরে-বেধেঁ কোচিং পর্যন্ত পাঠাতে পারলেই তারা মনে করে তাদের দায়িত্ব সেশ!তাদের ছেলেরা উচ্চশিক্ষিত হবে,প্রচুর জ্ঞানের অধিকারি হবে, এক্সাম এ ফার্স্ট হবে!এমন চিন্তা করা অভিবাবকদের জন্য স্বাভাবিক।কিন্তু তারা এটা বোঝে না, যে সেখানে বিদ্যা গেলান হয়(প্রমথ চৌধুর লেখা "বই পড়া"প্রবন্ধ টা পড়লে বুঝবেন)তারা শুধু তাদের মত বুঝিয়ে যায়,কোন ছাত্র বুঝল কি না, তা তাদের দেখার বিষয় না,তাদের একমাত্র লক্ষ ছাত্র জোগার করা!
আবার বর্তমানে আরো একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি যে,বিদ্যালয়ে বিশেষ ক্লাস নামক এক ধরনের ক্লাস নেওয়া হয়,যেটাকে হু বু হু কোচিং বলা যায়,!কিন্তু বিদ্যালয়ে বসে বিদ্যালয়ের স্যার দের কোচিং করানোর নিয়ম আমাদের দেশে নেই,কিন্তু সরকার যা বেতন দেয় তাতে তাদের চলে না,তাই কোচিং খুলে বিশেষ ক্লাস নাম দেওয়া!
শিক্ষক:আজকাল শিক্ষকরা ব্যাবসা শুরু করেছে, হ্যা ব্যাবসা বলছি কারন তাদের লক্ষ টাকা উপার্জন করা,ছাত্রদের কিছু শেখান নই!এমনকি তারা প্রতিটি ছাত্র/ছাত্রি কে ঘন্টা চুক্তিতে পড়ায়!যেমন:৬০ মিনিট প্রতিটা ছাত্র!এর ১ মিনিট এদিক ওদিক হবে না।৬০মিনিটে তারা প্রতিটা ছাত্রর পড়া শেষ করবে,এই ৬০ মিনিটে যদি ছাত্র/ছাত্রী কিছু নাও বুঝে থাকে তাহোলে ও তারা বেশি পড়াবে না,কারন এর পরে আবার আরো একজায়গায় যেতে হবে যে..!তাদের ডিমান্ডো প্রচুর।সায়িন্স এর স্যার রা, ৩ টা সাব্জেক্ট পড়াবে ৬০ মিনিট আর ফি:৫ টা হাজার টাকা।
অভিবাবক:হাহাহা।হাসছি কারন গার্জিয়ান্দের কান্ড দেখে আমার হাসি পায়,যেমন তারা মনে করে সারাদিন যদি প্রচুর কোচিং আর মাস্টারের কাছে তাদের পুত্রদের পাঠান যায় তাহোলেই তাদের কাজ শেষ,তারা আরাম করে সিরিয়াল নামক জিনিস দেখে!কিন্তু তারা বোঝে না তাদের পুত্রদের কতটা চাপ পড়ে!তাদেরো জীবন,তাদেরো খেলা-ধুলা করা উচিত।কিন্তু এগুলা করলেই যেন তারা যেন বখে যাবে,সব সর্বনাশ হয়ে যাবে!এদিকে বাবারা দিন কে দিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টাকা রোজগার করছে,করে প্রচুর স্যার আর কোচিং এ গেলেই তারা ভাবে তাদের পুত্র একদিন তাদের মুখ উজ্জ্বল করবে!
গাইড:বর্তামনে আরো একটা জিনিস বাজারে বের হয়েছে যার নাম"পাঠ্যপুস্তক সহায়িকা"ওরফে গাইড।যেগুলা পড়লে ছাত্র/ছাত্রী দের অভিজ্ঞতা হবে আরো জ্ঞান বাড়বে।কিন্তু বর্তমানে ছাত্র রা গাইডের ওপর ঝুখছে বেশি,এমনকি তারা পাঠ্যপুস্তক পডতে নারায!তাদের মতে গাইড পড়লেই সব পড়া হয়ে যায়!তাদের দোষ দেওয়া যায় না কারন বর্ত্মানে স্কুলে অনেক সময় এই গাইড দেখেই প্রশ্ন কর্তারা প্রশ্ন করে থাকেন!তা,হোলে তারা শধু কেন বোর্ড বই পড়বে?
শিক্ষার্থী:তাদের কথা যা বলার আগেই বলেছি।আপাতত একটা কথা বলব
"পীড়ন করিলে সে পীড়ন এসে পীড়া দেবে তোমাকেই"
©somewhere in net ltd.