নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্রিজা

অথই জলে খুঁজে বেড়াই পূর্ণিমারই চাঁদ।

আদ্রিজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

১) আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে



আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে ,

আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।



ঢেকে রাখে যেমন কুসুম, পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম।

তেমনি তোমার নিবিঢ় চলা, মরমের মূল পথ ধরে।



পুষে রাখে যেমন কুসুম, খোলসের আবরণে মুক্তোর ঘুম।

তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া, ভিতরের নীল বন্দরে।



ভাল আছি ভাল থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো।

দিয়ো তোমার মালাখানি, বাউলের এই মনটারে।

আমার ভিতরে বাহিরে..।



২) আফিম তবুও ভালো, ধর্ম সে তো হেমলক বিষ



যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ

তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।

জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি

ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে

ক্রমশঃ উঠছে ফুটে ক্ষয়রোগ, রোগের প্রকোপ



একদার অন্ধকারে ধর্ম এনে দিয়েছিল আলো,

আজ তার কংকালের হাড় আর পঁচা মাংসগুলো

ফেরি কোরে ফেরে কিছু স্বার্থাণ্বেষী ফাউল মানুষ-

সৃষ্টির অজানা অংশ পূর্ণ করে গালগল্প দিয়ে।

আফিম তবুও ভালো, ধর্ম সে তো হেমলক বিষ।



ধর্মান্ধের ধর্ম নেই, আছে লোভ, ঘৃণ্য চতুরতা,

মানুষের পৃথিবীকে শত খণ্ডে বিভক্ত করেছে

তারা টিকিয়ে রেখেছে শ্রেণীভেদ ঈশ্বরের নামে।

ঈশ্বরের নামে তারা অনাচার করেছে জায়েজ।



হা অন্ধতা! হা মুর্খামি! কতোদূর কোথায় ঈশ্বর!

অজানা শক্তির নামে হত্যাযজ্ঞ কতো রক্তপাত,

কত যে নির্মম ঝড় বয়ে গেল হাজার বছরে!

কোন্ সেই বেহেস্তের হুর আর তহুরা শরাব?

অন্তহীন যৌনাচারে নিমজ্জিত অনন্ত সময়?

যার লোভে মানুষও হয়ে যায় পশুর অধম।



আর কোন দোজখ বা আছে এর চেয়ে ভয়াবহ

ক্ষুধার আগুন সে কি হাবিয়ার চেয়ে খুব কম?

সে কি রৌরবের চেয়ে নম্র কোন নরোম আগুন?



ইহকাল ভুলে যারা পরকালে মত্ত হয়ে আছে

চলে যাক সব পরপারে বেহেস্তে তাদের

আমরা থাকবো এই পৃথিবীর মাটি জলে নীলে,

দ্বন্দ্বময় সভ্যতার গতিশীল স্রোতের ধারায়

আগামীর স্বপ্নে মুগ্ধ বুনে যাবো সমতার বীজ







৩) অবেলায় শঙ্খধ্বনি



অতোটা হৃদয় প্রয়োজন নেই,

কিছুটা শরীর কিছুটা মাংস মাধবীও চাই।

এতোটা গ্রহণ এতো প্রশংসা প্রয়োজন নেই

কিছুটা আঘাত অবহেলা চাই প্রত্যাখান।

সাহস আমাকে প্ররোচনা দেয়

জীবন কিছুটা যাতনা শেখায়,

ক্ষুধা ও খরার এই অবেলায়

অতোটা ফুলের প্রয়োজন নেই।



বুকে ঘৃণা নিয়ে নীলিমার কথা

অনাহারে ভোগা মানুষের ব্যথা

প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন নেই-

করুণাকাতর বিনীত বাহুরা ফিরে যাও ঘরে।



নষ্ট যুবক ভ্রষ্ট আঁধারে কাঁদো কিছুদিন

কিছুদিন বিষে দহনে দ্বিধায় নিজেকে পোড়াও

না হলে মাটির মমতা তোমাতে হবে না সুঠাম,

না হলে আঁধার আরো কিছুদিন ভাসাবে তোমাকে।



অতোটা প্রেমের প্রয়োজন নেই

ভাষাহীন মুখ নিরীহ জীবন

প্রয়োজন নেই- প্রয়োজন নেই



কিছুটা হিংস্র বিদ্রোহ চাই কিছুটা আঘাত

রক্তে কিছুটা উত্তাপ চাই, উষ্ণতা চাই

চাই কিছু লাল তীব্র আগুন।





৪) কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প



তাঁর চোখ বাঁধা হলো।

বুটের প্রথম লাথি রক্তাক্ত করলো তার মুখ।

থ্যাতলানো ঠোঁটজোড়া লালা-রক্তে একাকার হলো,

জিভ নাড়তেই দুটো ভাঙা দাঁত ঝরে পড়লো কংক্রিটে।

মা…..মাগো….. চেঁচিয়ে উঠলো সে।



পাঁচশো পঞ্চান্ন মার্কা আধ-খাওয়া একটা সিগারেট

প্রথমে স্পর্শ করলো তার বুক।

পোড়া মাংসের উৎকট গন্ধ ছড়িয়ে পড়লো ঘরের বাতাসে।

জ্বলন্ত সিগারেটের স্পর্শ

তার দেহে টসটসে আঙুরের মতো ফোস্কা তুলতে লাগলো।



দ্বিতীয় লাথিতে ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে গেলো দেহ,

এবার সে চিৎকার করতে পারলো না।



তাকে চিৎ করা হলো।

পেটের ওপর উঠে এলো দু’জোড়া বুট, কালো ও কর্কশ।

কারণ সে তার পাকস্থলির কষ্টের কথা বলেছিলো,

বলেছিলো অনাহার ও ক্ষুধার কথা।



সে তার দেহের বস্ত্রহীনতার কথা বলেছিলো-

বুঝি সে-কারণে

ফর ফর করে টেনে ছিঁড়ে নেয়া হলো তার সার্ট।

প্যান্ট খোলা হলো। সে এখন বিবস্ত্র, বীভৎস।



তার দুটো হাত-

মুষ্টিবদ্ধ যে-হাত মিছিলে পতাকার মতো উড়েছে সক্রোধে,

যে-হাতে সে পোস্টার সেঁটেছে, বিলিয়েছে লিফলেট,

লোহার হাতুড়ি দিয়ে সেই হাত ভাঙা হলো।

সেই জীবন্ত হাত, জীবন্ত মানুষের হাত।



তার দশটি আঙুল-

যে-আঙুলে ছুঁয়েছে সে মার মুখ, ভায়ের শরীর,

প্রেয়সীর চিবুকের তিল।

যে-আঙুলে ছুঁয়েছে সে সাম্যমন্ত্রে দীক্ষিত সাথীর হাত,

স্বপ্নবান হাতিয়ার,

বাটখারা দিয়ে সে-আঙুল পেষা হলো।

সেই জীবন্ত আঙুল, মানুষের জীবন্ত উপমা।

লোহার সাঁড়াশি দিয়ে,

একটি একটি করে উপড়ে নেয়া হলো তার নির্দোষ নখগুলো।

কী চমৎকার লাল রক্তের রঙ।



সে এখন মৃত।

তার শরীর ঘিরে থোকা থোকা কৃষ্ণচূড়ার মতো

ছড়িয়ে রয়েছে রক্ত, তাজা লাল রক্ত।



তার থ্যাতলানো একখানা হাত

পড়ে আছে এদেশের মানচিত্রের ওপর,

আর সে হাত থেকে ঝরে পড়ছে রক্তের দুর্বিনীত লাভা-





৫) খতিয়ান



হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় ঋণে

অথচ আমার শস্যের মাঠ ভরা।

রোদ্দুর খুঁজে পাই না কখনো দিনে,

আলোতে ভাসায় রাতের বসুন্ধরা।



টোকা দিলে ঝরে পচা আঙুলের ঘাম,

ধস্ত তখন মগজের মাস্তুল

নাবিকেরা ভোলে নিজেদের ডাক নাম

চোখ জুড়ে ফোটে রক্তজবার ফুল।



ডেকে ওঠো যদি স্মৃতিভেজা ম্লান স্বরে,

উড়াও নীরবে নিভৃত রুমালখানা

পাখিরা ফিরবে পথ চিনে চিনে ঘরে

আমারি কেবল থাকবে না পথ জানা–



টোকা দিলে ঝরে পড়বে পুরনো ধুলো

চোখের কোণায় জমা একফোঁটা জল।

কার্পাস ফেটে বাতাসে ভাসবে তুলো

থাকবে না শুধু নিবেদিত তরুতল

জাগবে না বনভূমির সিথানে চাঁদ

বালির শরীরে সফেদ ফেনার ছোঁয়া

পড়বে না মনে অমীমাংসিত ফাঁদ

অবিকল রবে রয়েছে যেমন শোয়া



হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় প্রেমে

অথচ আমার ব্যাপক বিরহভূমি

ছুটে যেতে চাই– পথ যায় পায়ে থেমে

ঢেকে দাও চোখ আঙুলের নখে তুমি।





৬) বাতাশে লাশের গন্ধ



আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই

আজো আমি মাটিতে মৃত্যূর নগ্ননৃত্য দেখি,

ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে…

এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময় ?

বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে

মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ।

এই রক্তমাখা মটির ললাট ছুঁয়ে একদিন যারা বুক বেঁধেছিলো।

জীর্ণ জীবনের পুঁজে তারা খুঁজে নেয় নিষিদ্ধ আধাঁর,

আজ তারা আলোহীন খাঁচা ভালোবেসে জেগে থাকে রাত্রির গুহায়।

এ যেন নষ্ট জন্মের লজ্জায় আরষ্ট কুমারী জননী,

স্বাধীনতা – একি হবে নষ্ট জন্ম ?

একি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল ?



জাতির পতাকা খামচে ধরেছে আজ পুরোনো শকুন।



বাতাশে লাশের গন্ধ

নিয়ন আলোয় তবু নর্তকীর দেহে দুলে মাংসের তুফান।

মাটিতে রক্তের দাগ -

চালের গুদামে তবু জমা হয় অনাহারী মানুষের হাড়

এ চোখে ঘুম আসেনা। সারারাত আমার ঘুম আসেনা-

তন্দ্রার ভেতরে আমি শুনি ধর্ষিতার করুণ চিৎকার,

নদীতে পানার মতো ভেসে থাকা মানুষের পচা লাশ

মুন্ডহীন বালিকার কুকুরে খাওয়া বিভৎস্য শরীর

ভেসে ওঠে চোখের ভেতরে। আমি ঘুমুতে পারিনা, আমি

ঘুমুতে পারিনা…

রক্তের কাফনে মোড়া – কুকুরে খেয়েছে যারে, শকুনে খেয়েছে যারে

সে আমার ভাই, সে আমার মা, সে আমার প্রিয়তম পিতা।

স্বাধীনতা, সে আমার – স্বজন, হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন -

স্বাধীনতা – আমার প্রিয় মানুষের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল।

ধর্ষিতা বোনের শাড়ী ওই আমার রক্তাক্ত জাতির পতাকা।





৭)এক গ্লাস অন্ধকার হাতে



এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি।

শুন্যতার দিকে চোখ, শুন্যতা চোখের ভেতরও–

এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি।

বিলুপ্ত বনস্পতির ছায়া, বিলুপ্ত হরিণ।

মৌসুমী পাখির ঝাঁক পালকের অন্তরালে

তুষারের গহন সৌরভ ব’য়ে আর আনে না এখন।



দৃশ্যমান প্রযুক্তির জটাজুটে অবরুদ্ব কাল,

পূর্ণিমার চাঁদ থেকে ঝ’রে পড়ে সোনালী অসুখ।

ডাক শুনে পেছনে তাকাই– কেউ নেই।

এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি একা….

সমকালীন সুন্দরীগণ অতিদ্রুত উঠে যাচ্ছে

অভিজাত বেডরুমে,

মূল্যবান আসবাবপত্রের মতন নির্বিকার।

সভ্যতা তাকিয়ে আছে তার অন্তর্গত ক্ষয়

আর প্রশংসিত পচনের দিকে।



উজ্জ্বলতার দিকে চোখ, চেয়ে আছি–

ডীপ ফ্রিজে হিমায়িত কষ্টের পাশেই প্রলোভন,

অতৃপ্ত শরীরগুলো খুঁজে নিচ্ছে চোরাপথ– সেক্সড্রেন।



রুগ্নতার কাঁধে হাত রেখে সান্ত্বনা বিলাচ্ছে অপচয়–

মায়াবী আলোর নিচে চমৎকার হৈ চৈ, নীল রক্ত, নীল ছবি



জেগে ওঠে একখন্ড ধারালো ইস্পাত–চকচকে,

খুলির ভেতরে তার নড়াচড়া টের পাই শুধু।



ইতিমধ্যে ককটেলে ছিন্নভিন্ন পরিচয়,সম্পর্ক,পদবী–

উজ্জ্বলতার ভেতরে ফণা তুলে আর এক ভিন্ন অন্ধকার।

গ্লাসভর্তি অন্ধকার উল্টে দিই এই অন্ধকারে।





৮) ভালবাসার সময় তো নেই



ভালবাসার সময় তো নেই

ব্যস্ত ভীষন কাজে,

হাত রেখো না বুকের গাড় ভাজে।



ঘামের জলে ভিজে সাবাড়

করাল রৌদ্দুরে,

কাছএ পাই না, হৃদয়- রোদ দূরে।



কাজের মাঝে দিন কেটে যায়

কাজের কোলাহল

তৃষ্নাকে ছোয় ঘড়ায় তোলা জল।



নদী আমার বয় না পাশে

স্রোতের দেখা নেই,

আটকে রাখে গেরস্থালির লেই।



তোমার দিকে ফিরবো কখন

বন্দী আমার চোখ

পাহারা দেয় খল সামাজিক নখ।





৯) মানুষের মানচিত্র ১



আহারে বৃষ্টির রা, সোহাগি লো, আমি থাকি দূর পরবাসে।

কান্দে না তোমার বুকে একঝাঁক বুনোপাখি অবুঝ কৈতর?

কেমনে ফুরায় নিশি? বলো সই, কেমনে- বা কাটাও প্রহর?

পরাণ ছাপায়ে নামে বাউরি বাতাস, দারুণ বৃষ্টির মাসে।



যে বলে সে বলে কথা, কাছে বসে, হাতে খিলিপান দিয়ে কয়-

এতো জল ঝরে তবু পরান ভেজে না কেন, কও তো মরদ?

দুয়ারে লাগায়ে খিল যদি কেউ থাকে তারে কে দেবে দরদ।

শরীরের মোহনায় দেখি তার বুনো ঢেউ রক্ত-মাংসময়।



শরীর গুটায়ে রাখি, শামুকের মতো যাই গুটায়ে ভেতরে।

অন্ধকার চিরে চিরে বিজুলির ধলা দাঁত উপহাসে হাসে,

আমি বলি- ক্ষমা দাও, পরান বন্ধুয়া মোর থাকে পরবাসে,

দেহের রেকাবি খুলে পরানের খিলিপান কে খাওয়াবে তোরে।



গতবার আষাঢ়ও পার হয়ে গেলো তাও নামে না বাদল,

এবার জ্যোষ্ঠিতে মাঠে নেমে গেছে কিষানের লাঙল-জোয়াল।

আমাদের মাঝে দেখো জমির ভাগের মতো কতো শত আল্,

এই দূর পরবাস কবে যাবে? জমিনের আসল আদল।

কবে পাবো? কবে পাবো আল্ হীন একখণ্ড মানব-জমিন?

পরবাস থাকবে না, থাকবে না দূরত্বের এই রীতি-নীতি।

মহুয়ার মদ খেয়ে মত্ত হয়ে থাকা সেই পার্বনের তিথি

কবে পাবো? কবে পাবো শর্তহীন আবাদের নির্বিরোধ দিন?





১০) দূরে আছো দূরে



তোমাকে পারিনি ছুঁতে, তোমার তোমাকে-

উষ্ণ দেহ ছেনে ছেনে কুড়িয়েছি সুখ,

পরস্পর খুড়ে খুড়ে নিভৃতি খুঁজেছি।

তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই।



যেভাবে ঝিনুক খুলে মুক্ত খোঁজে লোকে

আমাকে খুলেই তুমি পেয়েছো অসুখ,

পেয়েছো কিনারাহীন আগুনের নদী।



শরীরের তীব্রতম গভীর উল্লাসে

তোমার চোখের ভাষা বিস্ময়ে পড়েছি-

তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই।

জীবনের ’পরে রাখা বিশ্বাসের হাত

কখন শিথিল হয়ে ঝ’রে গেছে পাতা।

কখন হৃদয় ফেলে হৃদপিন্ড ছুঁয়ে

বোসে আছি উদাসীন আনন্দ মেলায়-



তোমাকে পারিনি ছুঁতে-আমার তোমাকে,

ক্ষাপাটে গ্রীবাজ যেন, নীল পটভূমি

তছ নছ কোরে গেছি শান্ত আকাশের।

অঝোর বৃষ্টিতে আমি ভিজিয়েছি হিয়া-



তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.