নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাগতম অদৃশ্যের এই ব্লগে।।আসবেন , দেখবেন , ঘুরবেন ,বুঝবেন - হারিয়ে যাবেন এই তো দুনিয়ার খেলা। আমি শুধু রুপক মাত্র ।

অদৃশ্য পথিক ০০৭

সবাইকে একদিন এই মায়া ছেড়ে হতে হবে অদৃশ্য।স্বাগতম অদৃশ্যের এই রহস্যময় ব্লগে্‌।জাতিকে লেখনীর মাধ্যমে সঠিক পথ দেখানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস আমার এই ব্লগ।

অদৃশ্য পথিক ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার শেষপ্রহর

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০৫

মীরা যখন একেক টা ফুচকা টুপ করে একেক গালে ভরে নিয়ে চোখ বন্ধ করে খাচ্ছিলো আমি তখন চটপটির প্লেট হাতে নিয়ে চশমার ফাক দিয়ে আড়চোখে ওকে দেখছিলাম।ফুচকা খাবার মত সাধারণ একটা ব্যাপারকেও এই মেয়ে কাব্যিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে।ফুচকায় টক ভরিয়ে টুক করে গালে ভরে নিয়ে আস্তে আস্তে কুড়মুড় করে খাচ্ছে আর মাথা ঝাঁকাচ্ছে। দেখতে ভালো লাগছে,বড়ই সৌন্দর্য। আমি যখন চটপটির এক চামচ মুখে দিয়ে ফুচকার সাথে মাথা ঝাঁকানোর কারণ কি ভাবতে ভাবতে এই মেয়ের উপর ১২৭ তম বারের মত মুগ্ধ হলাম তখনই মীরা চোখ খুলে আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, "হাসান, আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।"
আমি কথা শুনে সেই দিকে একটুও কান না দিয়ে চটপটি মুখে নিয়েই সামাদ মামাকে বললাম,"মামা টকের বোতলটা দেন তো"।মুখ ভর্তি চটপটি নিয়ে আমার কথা সামাদ মামা মনে হয় না বুঝলো।আমি কোত করে চটপটি টা গিলে ফেলে মীরার দিকে তাকিয়ে বললাম,বাহ,অভিনন্দন। ট্রিট দিবা কবে?
মীরা বললো এই এই আজকে কিন্তু ফুচকা তোমার খাওয়াবার কথা,এই অজুহাতে বিল আমারে দিতে বইলো না জানি।আর সারাজীবন তো আমিই খাওয়াইলাম,বিয়ে করে চলে যাবো,এইবার আমারে খাওয়াও একটু।বিয়ের দিন তো আবার খাবা কবজি ডুবিয়ে।ওই ওই শোনো বিয়েতে অবশ্যই গিফট নিয়ে আসবা,গত চার বছরে তো কোন জন্মদিনেও কিছু দেও নি।
মীরা কথা বলছে,তার বিয়ের কথা,ভালো লাগছে তার হাত পা ছুড়ে চোখ বড় বড় করে বলা কথা শুনতে,আমার চারপাশে যেন হাজার কাচের চুড়ি ভাঙছে।আচ্ছা এই মেয়েকে কী জানে সে যখন চোখ বড় বড় কথা বলে তাকে অদ্ভুত মায়াবতী লাগে? আমার হঠাত মীরার গালটা ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে হলো।সেই মুহুর্তে আমি ঘোর থেকে ফিরে এলাম মীরার কথায়।"এই আমাকে উঠতে হবে,জানোই তো বিয়ে ঠিক হলে সন্ধ্যার আগে বাসায় যেতে হয়।"আমি মনে মনে বললাম, "তোমাকে ধরে রাখার সাধ্যি কই আমার?"
যাও যাও,বিয়ে করবা,এইবার একটু মেয়ে মেয়ে হও,লাফালাফি কম করো।আর বিয়ে কবে হ্যা?? ছেলে কী করে?
"ছেলে তেমন কিছু করে না,কেবল পাশ করা এক ডাক্তার,বিশ্বাস করবা না,একদম টাক্কু,মাথায় চুল ই নেই।হাহা।আব্বুর পছন্দ ছেলে,আমিও না করি নাই।বয়স তো আর কম হলো না,বলো? ফাইনাল ইয়ার শেষ করে ফেলতে যাচ্ছি।আচ্ছা,থাকো তুমি,আমি উঠি,আর শোনো বিয়ে কিন্তু এই মাসের ২০ তারিখ,অবশ্যই আসবা।আর হ্যা,গিফট না আনলে খাওয়া নেই তোমার।
মীরা উঠে যাচ্ছে,আমি চুপচাপ বসে আছি,আস্তে আস্তে ছোট হয়ে গেলো মীরার রিক্সা।সামাদ মামার দোকানে বসে আমি তখন একটা গোল্ডলিফ সিগারেট ধরিয়ে সন্ধ্যে দেখছি,আমার চশমার গ্লাস কেমন জানি ঝাঁপসা ঝাঁপসা,শীত শীত শুরু হলে এই এক সমস্যা,কুয়াশা পড়ছে মনে হয়।মীরার রিক্সা মিলিয়ে গেলো,আমার বলা হলো না কোন কথা।
ঠিক সন্ধ্যে নামার মুখে
তোমার নাম ধরে কেউ ডাকে
মুখ লুকিয়ে কার বুকে
তোমার গল্প বলো কাকে

২.
মীরা চলে গেলো এক সন্ধ্যেয়,কিছুদিন পর আরেক সন্ধ্যেয় মীরার বিয়ে হয়ে গেলো,খুবই ধুমধামের সাথে।ছেলে দেখতে মীরা বলেছিলো টেকো,ভালো না।আমি বিয়ের আসরে মীরার পাশে ছেলেকে দেখে অবাক,বইপুত্রে রাজপুত্রের বর্ণনা দেওয়া থাকে,এই ছেলে তেমন না হলেও রাজপুত্রের ছোট ভাই তো বটেই।মোটকথা মেয়েরা যেমন চায় ঠিক তেমনি।
মীরা আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলো,"শোনো এ হলো আমার বন্ধু বিখ্যাত আতেল হাসান।সমস্যা নেই,ও কিন্তু আমার শুধুই বন্ধু,হাহা"অল্প সময়ের দুই একটা কথাতেই মীরার বরকে আমার পছন্দ হয়ে গেলো,এত দ্রুত মানুষ চেনা যায় না,তবুও মীরা ভালো থাকবে আমার মনে হলো।
মীরার বিয়ের খাবার খেতে খেতে রাত ১০:৩০ বেজে গেলো,খাসির মাংশটা ভালো রেঁধেছে বাবুর্চি, আমি দুইবার মাংশ নিয়ে ফেললাম।খেতে খেতে বুঝলাম আমার বেশ ক্ষুধা পেয়েছে।মীরা বলেছিলো কব্জি ডুবিয়ে খাবো,আসলেই খাওয়াটা তেমন হলো।এই বাবুর্চিকে একটা মেডেল দেওয়া উচিত।
খাওয়া দাওয়া শেষে আমি মীরাকে আস্তে করে ডাক দিলাম
কী ব্যাপার,"তুমি আমারে একা ডাকো কেন? সিনেমার মত আমার বিয়ের দিন বলবা নাতো আমারে পছন্দ করো?"বলেই মীরা হাসা শুরু করলো।মীরা হাসে,প্রতিবার হাজারো কাচের চুড়ি ভাঙার শব্দ পাই আমি।
আরে তুমি ফাইজলামি থামাবা কবে? বিয়ে হইছে,এখন একটু শান্ত হও।আর এই নাও তোমার গিফট।"বলেই বড় ৩ ফুট বাই দুই ফুট একটা রাপিং করা কাগজ তার হাতে দিয়ে আমি বের হয়ে আসলাম।
মীরার বিয়ে হয়ে গেলো এক শীতের সন্ধ্যায়,বছর চারেক আগে এমন এক শীতের সন্ধ্যায় ওর সাথে আমার পরিচয়।মফস্বল থেকে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি।চারপাশের সব ভালো লাগছে দেখতে।রোজ সন্ধ্যার পর বাইরে বের হই।এক সন্ধ্যায় টি এস সি তে বসে বাদাম চিবাচ্ছি,হঠাত পিছন থেকে একজন ডেকে উঠলো
"এই এই ছেলে,এই হাসান"
অচেনা একজনে নিজের নাম ধরে ডাকছে, অবাক হয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখি এক মেয়ে বলছে,"২০ টা টাকা দেতো ভাঙতি,রিক্সা ভাড়া দিবো"।
ভাড়া দিয়ে এসে আমার পাশে এসে বসে বললো,"কিরে এমন ভ্যাবলার মত কি দেখিস? "
আমি আড়চোখে চশমার ভেতর দিয়ে মেয়েটাকে দেখে বললাম আসলে আমি তোমাকে ঠিক চিনতে পারি নি।
"কী? ১০ দিন ক্লাস হয়ে গেলো,সবাই সবার নাম জানে,আর তুই ক্লাসমেট কে চিনিস ও না?"
মেয়েটা চোখ বড় বড় করে একদম অপরিচিত একজনের সাথে যেভাবে কথা বলছিলো,আমি প্রথম ভালো ভাবে তার দিকে তাকালাম।শ্যামলা গড়নের,মাঝারী উচ্চতার,কোঁকড়া চুলের একটা মেয়ে।অসাধারণ কেউ নয়,কিন্তু কোন কবি সাহিত্যিক হলে বলতো অদ্ভুত মায়া আছে মেয়েটার মাঝে।
সেই সন্ধ্যেয় প্রথম দেখাতে আমি মুগ্ধ হলাম মীরার উপর।
মীরা ছিলো একদম অন্যরকম,সারাক্ষণ হই হুল্লোড় নিয়ে আছে,এই প্রোজেক্ট, সেই প্রোজেক্ট, এই অনুষ্ঠান, এর জন্মদিন,ওর জন্য সারপ্রাইজ এসব নিয়েই তার দিন কাটতো।ক্লাসের সবার সাথে তার গলায় গলায় ভাব,সবার সাথে তার তুই তোকারি সম্পর্ক।আমি ছিলাম তার ঠিক উলটো টা,আজন্ম চুপচাপ আমি এসব হুল্লোড়ে ঠিক মেশাতে পারতাম না কেন জানি নিজেকে।ক্লাসের বেশীরভাগ এর সাথেই আমার তুমি তুমি সম্পর্ক।মীরা তাই বাধ্য হয়েই আমাকে কিছুদিন তুই বলার চেষ্টা করে তুমিতে ফিরে এসেছে।আমার জীবন ছিলো অতি সাধারণ গতানুগতিক। বাবা মায়ের স্বপ্ন ছেলে বড় হয়ে আজন্ম লালিত সুখের সন্ধান তাদের দেবে,আমি তাই ক্লাস করি,লাইব্রেরীতে যাই,পড়তে থাকি।মুখচোরা আমাকে সবাই আতেল ডাকে,আমিও আতেল নাম নিয়ে খুব অখুশী নই।আমার এই অতি সাধারণ দিনযাপনের মাঝে অসাধারণ সময়টুকু ছিলো মীরার সাথে কাটানো বিকেল গুলো।
মীরা আর আমি ছিলাম চুম্বকের দুই মেরু,কিন্তু অদ্ভুত ভাবে কি অসাধারণ একটা বন্ধুত্ব আমাদের হয়েছিলো।মীরা যত যাই করুক,রোজ বিকেলে আমরা কিছু সময়ের জন্যে হলেও গল্প করতাম।কোনদিন কার্জন হলে,কোনদিম টি এস সি তে,কোনদিন হাটতে হাটতে আজিমপুর ছাড়িয়ে,কোনদিন পুরান ঢাকায়।সারাদিনের সব অদ্ভুত গল্প গুলো জমিয়ে রাখতো,বিকেল বেলা সেই চোখ বড় করে হাত নেড়ে কথার ফুলঝুরি ফোটাতো।আমি স্বল্পভাষী, মীরার সামনে আরো চুপ হয়ে যেতাম,নদীর স্রোতের মত ওর কথাগুলো আমার শুনতে ভালো লাগতো।আমার এক ঘেয়ে দিনের মাঝে আমি চাতকের মত তৃষা নিয়ে এই ছোট্ট কিন্তু অসাধারণ বিকেলগুলোর জন্যে অপেক্ষা করতাম।
আমাদের সম্পর্ক ছিলো বিশ্বাসের,বন্ধু
ত্বের।এখানে চাওয়া পাওয়া ছিলো না,কামনা ছিলো না,প্রেম ছিলো না।কিন্তু আমি এক সময় বুঝতে পারলাম সারাজীবন মেয়ে থেকে দূরে থাকা এই আমি আস্তে আস্তে মীরাকে অন্যভাবে ভাবা শুরু করেছি।
মীরা!!যেদিন রাতে নীল শাড়ি পরা অবস্থায় মীরাকে আমাদের বাড়ির উঠানে একটা বাচ্চা মেয়ের পিছে খাবার হাতে দৌড়াতে দেখলাম,আমি বুঝে গেলাম মীরাকে আমি ভালোবাসি।পাগলের মত ভালোবাসি।
সারাজীবন নিজের কথা গুলো গুছিয়ে বলতে আমি খুব পারদর্শী ছিলাম না।মীরাকে তাই কখনও ভালোবাসি বলার সাহস হয় নি।মীরার মাঝেও আমি বন্ধুত্ব বাদে আর কিছু দেখি নি।
মীরাকে আমি ভালোবাসতাম,এতটা ভালোবাসতাম যতটা হলে একটা জীবন একজনকে ভালো রাখা যায়।কিন্তু আমার এ ভালোবাসায় ওকে পেতেই হবে এ আকুলতা ছিলো না,আমার নিজের মাঝে শুধু ওকে আরো বেশী ভালোবাসার আকুলতা ছিলো।তাই এসব কথা ওকে বললে বন্ধুত্ব ভেঙে যাবে ভেবে বলা হয় নি কখনো।আমি আমার নিজের মত করে ওকে ভালোবাসতেই ভালোবাসতাম।
হঠাত হঠাত হলের ছাদে রাতে গিয়ে বসতাম,নতুন সিগারেট খাওয়া শিখেছি তখন।আকাশের দিকে তাকিয়ে উদাস হয়ে সিগারেট টানতাম আর মীরাকে নিয়ে কতশত শব্দ দিয়ে কবিতা ভাবতাম।আমার ছোট্ট ডায়েরীর কত শত পাতা ভরে গিয়েছিলো এইসব কবিতায়।
দিন যেতে লাগলো,আমি ভাবতে লাগলাম ফাইনাল পরীক্ষায় পাশ টা করে নেই,মীরাকে সব বলে দিবো একদিন।
আরেকটা জিনিস আমাকে ভাবাতো,মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে আমি,বাবা মা অনেক আশা নিয়ে পাঠিয়েছে আমাকে।তাই চাকরি পাই,এখন এসব বলবো না।
আমার দিন গুলো সুন্দর ছিলো,ক্লাস,পড়াল
েখা,লাইব্রেরি, টিউশন,মীরা।মীরাকে আমি ভালোবেসেছিলাম,যতটুকু ভালো একজনকে বাসা যায়।
মীরার বিয়ে হয়ে যাবার এক সপ্তাহ পর ও ভার্সিটিতে এলো,মীরা আরো সুন্দর হয়েছে।এসে সবার সাথেই সেই হই হুল্লোড় করলেও বোঝা যাচ্ছিলো এই মেয়ের বিয়ে হয়েছে,বিয়ে হলে বোধহয় বউ বউ একটা ভাব চলেই আসে।
বিকেল বেলা যাবার আগে মীরা আমার কাছে এলো,এসে বললো উপহারটার জন্যে ধন্যবাদ। আমাকে এত সুন্দর করে আঁকিয়েছো,নিজেকেও তো এত সুন্দর লাগে নি কোনদিন।
মীরা এক কাপ চা খেয়ে চলে গেলো,আমার কেমন জানি অদ্ভুত বিষণ্ণ লাগতে লাগলো,গলার কাছে দলা পাকানো একটা কান্না।আমি মনে মনে বললাম,
"
সেই মন প্রাণ খুলে গল্প করার দিন শেষ
শুধু তাড়াহুড়ো করে যদি কিছু কথা বলে ফেলা যায়
সময় যা ছিলো হাতে সবটাই নিঃশেষ
পড়ে আছে শুধু অজস্র অসময়।"
মীরা চলে যাচ্ছে,আমি ঝাপসা দেখছি। আমি জানি না ঠিক কেনো,মীরার বিয়ে হয়ে গেছে এই দুঃখে,নাকি অসাধারণ বিকেল গুলো আর পাবো না এটা ভেবে!
ভালোবাসার জন্যে আমার দুঃখ লাগছে না এটা নিশ্চিত, কারণ আমি মীরাকে ভালোবাসতে চেয়েছি আজীবন,আমার নিজের মত করে।
আমি তাদের ছায়ার মত তোমার খোঁজে অবিরত
শূন্যে হাঁটি,শূন্যে ভাসি
না পাওয়া এক আজব ক্ষত।

৩.
নারিন্দা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হাসান এখনো মাঝে মাঝে আশা করে এই বিশাল পৃথিবীর রাস্তায় একদিন মীরার সাথে দেখা হয়ে যাবে,একদিন হুট করে কোন হয়তো পথের বাকে ওকে দেখবে। ওর সাথে দুই একটা ছেলে মেয়ে থাকবে,মধ্যবয়সী কোন সুদর্শন পুরুষ থাকবে পাশে,যাকে দেখলেই মনে হবে মীরার বর।
সমস্যা হলো জীবন নাটক না যে পরিচালক ইচ্ছে করলেই একদিন মীরা আর হাসান কে দেখা করিয়ে দিলো।
থাক আজকের গল্প হাসানের গল্প,মীরাকে নিয়ে আজকে কিছু বলা হবে না।
মীরা হয়তো তার জীবনে নিয়ে সুখে আছে,সুখের মাঝে হয়তো একটু অসুখ ও আছে।সে থাকুক তার পৃথিবীতে।আমরা গল্প বলছি ৫০ বছর বয়সের একজন অবিবাহিত পুরুষ, হাসান নাম।যাকে প্রায় রাতেই নদীর পাড়ে উদাস মুঝে একের পর এক সিগারেট টানতে দেখা যায়।দুনিয়া কত অদ্ভুত,এই পৃথিবী কত ভালোবাসার কাঙালকে ভালোবাসা দেয় না,আবার এই পৃথিবী অনেক মীরাকে জানতে দেয় না হাসান নামের কেউ কি বিশাল অসীম ভালোবাসা বুকে নিয়ে একটা জীবন পার করে দিলো।
আচ্ছা,এটা কি মীরার সৌভাগ্য নাকি দুর্ভাগ্য?
নাহ,মীরা ভাগ্যবতী, সব ভালোবাসা জানা লাগে না,কিন্তু হাসানের মত কারো এমন ভালোবাসা পেতে অনেক বড় কপাল লাগে

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২১

স্পর্শহীন আলো বলেছেন: অসাধারণ! :)

২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩২

অদৃশ্য পথিক ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: অদৃশ্য পথিক ০০৭ ,




ভালো লিখেছেন । শুরুটা সুন্দর ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.