নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাগতম অদৃশ্যের এই ব্লগে।।আসবেন , দেখবেন , ঘুরবেন ,বুঝবেন - হারিয়ে যাবেন এই তো দুনিয়ার খেলা। আমি শুধু রুপক মাত্র ।

অদৃশ্য পথিক ০০৭

সবাইকে একদিন এই মায়া ছেড়ে হতে হবে অদৃশ্য।স্বাগতম অদৃশ্যের এই রহস্যময় ব্লগে্‌।জাতিকে লেখনীর মাধ্যমে সঠিক পথ দেখানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস আমার এই ব্লগ।

অদৃশ্য পথিক ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা ইস্যু: আঞ্চলিক নয়; আন্তর্জাতিক ফাঁদ

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

চায়না বাংলাদেশে প্রচুর বিনিয়োগ করলেও চলে ভারতের ইশারায়। ভারত- চায়না জন্মশত্রু! স্বাভাবিকভাবে তারা এ নিয়ে বাংলাদেশের সাথে অনেক আগে থেকেই ক্ষিপ্ত! বাংলাদেশ এক প্রেমিকার টাকা দিয়ে আরেক প্রেমিকার সাথে পরকীয়ায় মেতেছে। যা চায়নার মতো পরাশক্তির জন্য ক্ষোভের কারণ হিসেবে যৌক্তিক।
.
বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে পরাশক্তি বদলের পায়তারা চলছে। একদিকে সারাবিশ্বে বিপর্যস্ত ও ক্ষয়িষ্ণু বর্তমান শক্তিধর আমেরিকা। অপরদিকে এক সময়কার সোভিয়েতের পরাশক্তি রাশিয়া শীতল যুদ্ধের সময়ে দক্ষতা দেখিয়ে নতুন করে পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারার মতো অবস্থান তৈরি করেছে। রাজনৈতিক, পারমানবিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান মিলিয়ে চায়না-রাশিয়া এলায়েন্স একটি শক্ত বন্ডিং গড়ে তুলেছে যা ইউরো-মার্কিন পরাশক্তির জন্য মাথাব্যথার বড় কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
.
আমরা দেখতে পাই ক্ষমতার পালাবদল বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাই এই মুহূর্তে কেউ সরাসরি নিজ থেকে আক্রমণে নামবেনা। যুদ্ধসৃষ্টির দায়ভার কোন পরাশক্তিই নিজ কাঁধে নিবে না। পুরো মধ্যপ্রাচ্যে তারা তাদের শক্তি ঝালিয়ে নিয়েছে। সাথে মুসলিম শক্তির পতন ঘটিয়েছে।
.
রাশিয়াকে সিরিয়ায় ব্যস্ত করে রেখেছে। কোরিয়ান পেনিনসুলায় উত্তেজনা তৈরি করে ব্যস্ত রেখেছে চীনকে। ফলে এশিয়াতে এই মুহূর্তে কোন ঝামেলা তৈরি করে চীনকে কোনঠাসা করতে পারলে একদম পুরো রাশিয়া-চায়না এলায়েন্স কাবু হয়ে পড়বে। পরাশক্তি হিসেবে তারা তাদের আরো ভালো সময় টিকিয়ে রাখতে পারবে। তবে তা করা খুব কঠিন বিবেচিত হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে।
.
রোহিঙ্গা ইস্যু কেবল জাতিগত দ্বন্দ্বের ইস্যু নয়। এর পেছনে আন্তর্জাতিক রাজনীতির বড় চাল আছে। এশিয়াতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে যথাক্রমে মুসলিম ও বৌদ্ধরা! তাই রোহিঙ্গা ইস্যুকেই তারা হাতিয়ার বানিয়েছে। তাই বাংলাদেশ-বার্মা সীমান্তের উত্তেজনা কেবল দুই দেশের ভূ-রাজনীতির বিষয় নয়! সংঘর্ষ বাঁধলে চায়না নামবে। সাথে সাথে ভারতও তার আঞ্চলিক শক্তি প্রয়োগের এক মোক্ষম সুযোগ পেয়ে যাবে। ফলে এশিয়াতে নামমাত্র মুসলিম দেশ বাংলাদেশ ভঙ্গুর হয়ে পড়বে। এতে পাকিস্থান ও তুরস্কসহ অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলোও জড়িয়ে পড়লে এক ঢিলে তিন পাখি মারার বেনেফিট পাবে যায়োনিস্টরা!
.
বাংলাদেশ ভারত ছেড়ে যদি রাশিয়া-চায়না ব্লকে যায় সেক্ষেত্রে চায়না থেকে আর্থিক ও রাজনৈতিক সব সহায়তা পাবে। ভারতকে আঞ্চলিকভাবে কোনঠাসা করতে বাংলাদেশকে চায়নার খুব দরকার। চায়নার সবচেয়ে বড় মিত্র রাশিয়া হওয়ায় এতে রাশিয়ার সমর্থন অলিখিতভাবে বাংলাদেশের পক্ষে যাবে তখন। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষে ভারত-আমেরিকা ব্লকের বাইরে আসা অসম্ভব! তাদের পা ভারতের ফাঁদে আটকে গেছে সে অনেক আগেই।
.
এখানে ভারত-আমেরিকা এবং রাশিয়া-চায়না দুই ব্লকই যায়োনিস্ট। কিন্তু ইন্ডিয়ান-আমেরিকান ব্লকের চেয়ে রাশিয়া-চায়না ব্লকে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য উত্তম। এতে সংঘর্ষ এড়িয়ে চলা সম্ভব। নয়তো পুরো উপমহাদেশও মধ্যপ্রাচ্যের মতো করুণ পরিস্থিতি বরণ করবে। তাছাড়া আমেরিকার রাজত্ব ও শেষের পথে। সারাবিশ্বে সংঘর্ষ বাধিয়ে তাদের মোড়লগীরি যায় যায় করছে।
.
বাংলাদেশকে তাই খুব বিচক্ষণতার সাথে পা ফেলতে হবে। রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক হতে হবে। ইস্যুটা বর্ডারের বাসিন্দাদের জন্য সেন্টিমেন্টাল। রোহিঙ্গারা মুসলিম হওয়ায় তা আরো বেশি সেন্টিমেন্টাল। তারা সত্যিকার অর্থেই চরম নির্যাতিত। সাথে নিজেদের ঝামেলা কূটনীতির মাধ্যমেই মেটাতে হবে বাংলাদেশকে। আন্তর্জাতিক পরাশক্তির বুদ্ধিতে চলতে গেলে তারা একদম টালমাটাল পরস্থিতির সৃষ্টি করে দিবে। ব্যাপারটা আমাদের কাছে অগুরুত্বপূর্ণ মনে হতে পারে। কেননা আমাদের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ-জঙ্গিবাদ এখনো নেই। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে এত দ্রুত সব রাষ্ট্রের পতন হবে তা কি আমরা কস্মিনকালেও ভেবেছিলাম!
.
আল্লাহ আমাদের যায়োনিস্টদের ফাঁদ থেকে রক্ষা করুন!

পুনশ্চ০১:

চায়নার সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে অনেক কিছুই অপ্রতিকূল মনে ঠেকবে। উইঘুর নির্যাতন, ঝিনঝিয়াং প্রদেশ দখলসহ আরো কিছু ব্যাপার আমাদের মাথায় কাজ করতে পারে । কিন্তু আমাদের কেবল আঞ্চলিক ও এই মুহূর্তে রোহিঙ্গা ইস্যু মাথায় নিয়েই ভাবতে হবে। চায়নারও আমাদের দরকার। ভারতকে এই অঞ্চলে দুর্বল করার জন্য!

পুনশ্চ ০২:
আপাতত রোহিঙ্গাঢল থামানো দুষ্কর। রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাজার হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটে গিয়েছে। এতে বিজিবি'র কি ভুমিকা সে বুদ্ধিমানমাত্রই বুঝে নিবে। তাই এই মুহূর্তে অস্থায়ী শরণার্থী শিবির গঠন করে জাতিসংঘের কাছে এর দায়িত্ব নিতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। অস্থায়ী শিবিরের ব্যয়ভার মুসলিম বিশ্ব ও জাতিসংঘ বহন করবে। সাথে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশের নাগরিকত্বসহ মিয়ানমারে পুনর্বাসনের জন্য স্থানীয় ও বিশ্ব পরাশক্তিদের সাথে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে কিংবা যায়োনিস্টদের উস্কানিতে পা দিলে বিপদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। সীমান্তে লাশের সংখ্যা বাড়বে; অনুপ্রবেশ তবুও ঠেকানো সম্ভব নয়। তথাপি বাংলাদেশও পড়বে মধ্যপ্রাচ্যের মতো টালমাটাল সংকটে!

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার সংগে একমত।







ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৬

অদৃশ্য পথিক ০০৭ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ , মন্তব্য করার জন্য

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


"আল্লাহ আমাদের যায়োনিস্টদের ফাঁদ থেকে রক্ষা করুন! "

-লেখার সারমর্ম ভালো লেগেছে; চীনারা এটা করছে, রাশিয়া ওটা করছে, আমেরিকা এটা এবং সেটা করছে, তা করুক; আমাদেরকে আল্লাহ যায়োনিস্টদের ফাঁদ থেকে রক্ষা করলেই কল্লা ফতে! আপনার লেখার কোন অর্থ নেই, লেখাটা খোঁড়া লেখা

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

অদৃশ্য পথিক ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬

মানুষ জিহাদ হাসান বলেছেন: আমেরিকা যার বন্ধুৃ তার শত্রুর প্রয়োজন হয়না।যার উদাহরন অনেক(বর্তমানে ভারত)।চীনের সাথে যুদ্ধ লাগানোর জন্য মোদিকে তারা বাছাই করেছে।কিনতু মোদি তো অার যুদ্ধ করার মত সাহসি না।আর তাই দোকালামে মাথাগরম করে সৈন্য নামালেও শেষমেস লেজ গুটাতে হয়েছে।তাই আমেরিকার প্রয়োজন ১জন সামরিক জান্তা যে যুদ্ধ বাধাতে কার্পন্য করবে না।এজন্যই বার্মাকে বাছাই করেছে জাতিগত বিভক্তির জন্য।কয়েক বছর যদি এই বিভক্তি জিইয়ে রাখা যায়,আর বাংলাদেশ যদি রোহিংগা ইস্যুতে জতিসংঘ,আমেরিকা,পশ্চিমের কারু সহায়তা চায় তাহলেই হলো,১ ঠিলে সব পাখি মারা।বংগবসাগরে ১ টা নৌঘাটি,সহায়তার নামে রোহিংগাদের অস্র ও প্রশিক্ষন।সবশেষে বানরের রুটিভাগ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৯

অদৃশ্য পথিক ০০৭ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

বিষাদ সময় বলেছেন: রোহিঙ্গা ইস্যু: দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ফাঁদ

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৯

অদৃশ্য পথিক ০০৭ বলেছেন: একই কথা

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২২

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ভালো লিখেছেন। বিষয়গুলি আসলেই জটিল। তবে বাংলাদেশের অবস্থা সাম রাখি না কুল রাখি! পরক্রিয়া শব্দটির ব্যবহার যথার্থ হয়েছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২১

অদৃশ্য পথিক ০০৭ বলেছেন: বাংলাদেশ পড়ছে ঊভয় সংকটে

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: লেহা টেহা পড়ে যা বুঝি তা হল আম্রিকার ই এক মাত্র সোনা আছে, আর সব ভুদাই।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩২

অদৃশ্য পথিক ০০৭ বলেছেন: ঠিক তা নয় , তবে তারা এই উপমহাদেশে কলকাঠি নাড়াচ্ছে

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৫

আবু তালেব শেখ বলেছেন: ঠিক মনে হচ্ছে লেখাটা

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

অদৃশ্য পথিক ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: বাংলাদেশ কি সামাল দিতে পারবে এসব পরিস্থিতির?

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

নতুন বলেছেন: এটা মায়ামারের রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতারিত করার একটা কৌশল... ।

এখন চীন/ভারত মায়ানমারে বিনিয়োগ করছে তাই তারা সমথ`ন দেবে এই সুযোগে তারা রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিলো..


এখন এই ৫-৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের সমস্যা.... এরা আর কখনোই ফিরে যাবেনা। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.