নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রয়োজনে যে বেয়াদপ হতে পারে, ভদ্রতা পাওয়ার অধিকার শুধু তাই।

অদ্বিত

পরাজয়ে ডরে না বীর।

অদ্বিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ থেকে মৃত্যুদন্ডের আইন বাতিল করা হোক

১১ ই মে, ২০২০ সকাল ৮:০৪

ভয় দেখিয়ে কাউকে কোন কিছু করা থেকে বিরত রাখা যায় না। এই মহামন্ত্র মাথায় গেথে নিয়ে লেখাটি পড়া শুরু করুন।
প্রাচীনকাল থেকে পৃথিবীতে অপরাধের শাস্তি হিসেবে বিশেষত হত্যার শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ডের বিধান আছে। 1800 সালের মধ্যে ব্রিটেনে 200 টা অপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ডের বিধান ছিল। ইসলামিক শরিয়া আইন অনুযায়ী মৃত্যুদন্ড একটি প্রচলিত শাস্তি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই বিভিন্ন মানবতাবাদী লেখক, দার্শনিক ও সমাজ সংস্কারকগণ মৃত্যুদন্ডের বিরোধীতা করতে শুরু করেন। এটা মানবতাবিরোধী, অমানবিক ও অধঃপতিত একটা শাস্তি। 1948 সালে সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষনাপত্র জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হবার পর 8 টা দেশ অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ডের আইন বাতিল করে। 1977 সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় 16 তে। 2015 সাল পর্যন্ত পৃথিবীর 140 টা দেশ মৃত্যুদন্ডের আইন বাতিল করে।
মৃত্যুদন্ডের শাস্তি মানেই রাষ্ট্র কর্তৃক নাগরিকের বেঁচে থাকার অধিকার হরন করা। এ দন্ড সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষনাপত্রের দু'টি বিধানকে লঙ্ঘন করে। প্রথমটা হল - জীবন ধারনের অধিকার। দ্বিতীয়টা হল - অত্যাচার থেকে মুক্ত হয়ে বেঁচে থাকার অধিকার। 1973 সালে যুক্তরাষ্ট্রে 150 জন বন্দীকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় যারা পরবর্তীতে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিলেন। অনেক মৃত্যুদন্ডের ক্ষেত্রে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রধান ভূমিকা পালন করে যা অত্যাচার করার মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়। সমাজের দরিদ্র শ্রেণী, সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বেশী মৃত্যুদন্ডের শিকার হয় বিচার নিরপেক্ষতার অভাবে। দেশে মৃত্যুদন্ডের আইন রাখা মানবিক আদর্শের পরিপন্থী।

মৃত্যুদন্ডের পক্ষে যুক্তি: প্রত্যেক মানুষের বাঁচার অধিকার আছে। যারা সজ্ঞানে একজন মানুষের বাঁচার অধিকার হরণ করে তারা নিজেদের বেঁচে থাকার অধিকারও হারায়। মৃত্যুই তার যথার্থ প্রাপ্য।
মৃত্যুদন্ডের বিপক্ষে যুক্তি: অবশ্যই প্রতিটা মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার আছে এবং কারোর বেঁচে থাকার অধিকার হরণ করাটা দন্ডনীয় অপরাধ। এতে কোন সন্দেহ নেই। দন্ড হিসেবে আপনি 30 বছর জেল দেয়া যায়। 30 বছর বন্দী থাকা মৃত্যুর চেয়ে বেশী ভয়ানক। এক বছর বন্দী থাকলেই মানুষ পাগল হয়ে যায়। কেউ বন্দী জীবন চায় না, খাচায় বন্দী পাখির জীবন কারোর কাম্য নয়। সবাই আকাশে উড়া পাখির মত মুক্তভাবে সমাজে চলে ফিরে বেড়াতে যায়। বন্দীত্ব কি কম শাস্তি মনে হয় নাকি ? এটা বিশাল ব্যাপার। ঠান্ডা মাথায় খুনীদের 30 বছর ও রাগের মাথায় যারা খুন করে তাদের 20 বছর কারাদন্ডের আইন করুন। এটাই যথেষ্ট।
অপরাধ বিজ্ঞানী সিজার বেকারিয়ার মতে, ''হত্যা একটা অপরাধ। সমাজ হত্যাকে ঘৃণা করে। কিন্তু হত্যার শাস্তি হিসেব সেই হত্যাই যখন রাষ্ট্র ঠান্ডা মাথায় কোন হত্যাকারীর উপর আরোপ করে তখন সেই সমাজকে সভ্য সমাজ বলা যায় না। জীবন কেড়ে নেবার অধিকার হত্যাকারীরও নেই, হত্যার বিচারকার্য পরিচালনা করা রাষ্ট্রেরও নেই।
মৃত্যুদন্ডের পক্ষে যুক্তি: মৃত্যুদন্ডের ফলে শুধু হত্যাই নয়, অন্য যেসব অপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ডের বিধান আছে সেই অপরাধগুলো সহজে করবে না অপরাধীরা। মৃত্যুদন্ড খুন করতে ইচ্ছুক মানুষদের একটা ভীতির মধ্যে রাখতে সমর্থ্য হয়। মৃত্যুদন্ড আইন বাতিল হলে অপরাধপ্রবণ লোকদের সাহস বেড়ে যাবে এবং তারা বড় ধরনের অপরাধ করতে উৎসাহিত হবে।
মৃত্যুদন্ডের বিপক্ষে যুক্তি: হত্যা হল সবচেয়ে বড় অপরাধ। যেখানে হত্যা করলেও হত্যাকারীকে মৃত্যুদন্ড দেয়া যায় না। সেখানে অন্যান্য অপরাধের জন্য ( ধর্ষন, এসিড নিক্ষেপ ইত্যাদি ) মৃত্যুদন্ড দেয়ার তো প্রশ্নই উঠে না। শুরুতেই বলেছি - ভয় দেখিয়ে কাউকে কোন কিছু করা থেকে বিরত রাখা যায় না। মৃত্যুদন্ড কখনোই খুন করতে ইচ্ছুক মানুষদের ভীতির মধ্যে রাখতে সমর্থ্য নয়। ঈংল্যান্ডে রানী প্রথম এলিজাবেথের সময় পকেটমারের শাস্তি ছিল মৃত্যুদন্ড। জনসমক্ষে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার সময় সেই ভীড়ের মধ্যে পকেটমারেরা তাদের কাজ করত। পকেটমারদের ফাঁসী অন্য পকেটমারদের মনে কোন ভয়ের সঞ্চার করত না। যদি মৃত্যুদন্ড জিঘাংসাপ্রবণ মানুষদের মনে ভয়ের সঞ্চার করতে পারত তবে মৃত্যুদন্ড থাকা দেশগুলোয় অপরাধের হার কম হত। কিন্তু দেখা গেছে যেসব দেশে মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে সেসব দেশেই সবচেয়ে বেশী খুন হয়। আর যেসব দেশে মৃত্যুদন্ড নেই বা আইন খুব কঠোর নয়, ওসব দেশে খুন তো দূরের কথা যেকোন অপরাধ নেই বললেই চলে ( ইউরোপের দেশগুলো )। মৃত্যুদন্ড উঠিয়ে দিলে অপরাধপ্রবন লোকদের অপরাধ করতে উৎসাহ বাড়বে - এ ধারণা একেবারেই ভুল। এর জ্বলন্ত উদাহরণ কানাডা। কানাডা 1976 সালে মৃত্যুদন্ড তুলে নেয়। 1975 সাল থেকে 2012 সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কানাডায় খুনের হার 70% কমে গিয়েছে।
মৃত্যুদন্ডের পক্ষে যুক্তি: বাংলাদেশের অতীতে বহু আলোচিত খুনী এরশাদ শিকদারের কথা কি আপনার মনে আছে ? সে ৬০ টি খুন করেছিল। ১ম ব্যক্তির হত্যাকান্ডের পর যদি তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হত তবে কি বাকি ৫৯ জন মানুষের জীবন রক্ষা পেত না ?
মৃত্যুদন্ডের বিপক্ষে যুক্তি: এরশাদ শিকদারের ১ম খুনের পর তাকে মৃত্যুদন্ড না দিয়ে ২০ বছর কারাদন্ড দিয়ে রাখলেই হত। সে জেল থেকে বের হতেও পারত না, কাউকে মারতেও পারত না।

খুনই হোক বা অন্য কোন অপরাধই হোক, অপরাধীকে বুঝাতে হবে যে - সে যেই কাজটা করেছে তা অন্যায়। অনেকে জেনেশুনেই অপরাধ করে। একটা কাজ খারাপ, অন্যায়, অপরাধ জেনেও সে এই কাজটা করে। এ ধরনের লোকদের বুঝিয়ে লাভ নাই যে কাজটা অপরাধ। তাছাড়া কিছু কাজ নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক হলেও বিভিন্ন দেশের আইনে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত থাকে ( যেমন - ধর্ম সমালোচনা )। এসব ক্ষেত্রে আইন নিজেই অন্যায় আইন।
"অন্যায়" শব্দটা "অপরাধ" শব্দের চেয়ে অনেক বড়। বাংলাদেশের আইনে কোন কাজ অপরাধ হলেও অন্য দেশের আইনে সেটা অপরাধ নাও হতে পারে। অন্যায় স্থান-কাল পাত্র নির্বিশেষে সবসময়ই অন্যায়।
যেহেতু আইনের দৃষ্টিতে কোন কাজ অপরাধ হলেই সেটা নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অপরাধ হয় না সেহেতু যেটা বুঝাতে হবে সেটা হল - কাজটা কেন অন্যায় ? সেটার পিছনেও লজিক দেখাতে হবে। শাস্তিদানের চেয়ে বেশী জরুরী অপরাধীকে এটা বুঝানো যে, তার কাজটা করা ঠিক হয়নি। শাস্তি বা জেল দিলে হতে পারে, জেল থেকে বের হয়ে সে আবার একই কাজ করছে। এজন্য তাকে অনুতপ্ত করানোটা শাস্তি দানের চেয়ে বেশী জরুরী। একবার বুঝিয়ে সুঝিয়ে অনুতপ্ত করাতে পারলে অপরাধী এমনিতেই ভবিষ্যতে উক্ত অপরাধটি করা থেকে বিরত থাকবে। তখন অন্য অপরাধীদের দৃষ্টান্ত দেখানো যাবে এই বলে যে - "তোমাদেরই একজন অপরাধ করে অনুতপ্ত হয়েছে, ভাল পথে ফিরে এসেছে। সে যদি পারে তবে তোমরা কেন পারবে না ?" দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে কখনো দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যায় না। অপরাধীকে তার কাজের জন্য অনুতপ্ত করানোই সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত। সবচেয়ে বড় শাস্তি সেটাই, যেটা কখনোই দেয়া হয় না। না, আমি খুনী ধর্ষক এদের জেল দিতে মানা করছি না। এগুলো অনেক বড় অপরাধ। কিন্তু ছোটখাট অপরাধের ( যেমন - ব্যাঙ্ক ডাকাতি, ব্যাঙ্ক থেকে টাকা চুরি, নারী নির্যাতন, দুর্নীতি, ঘুষ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ইত্যাদি ) জন্য শাস্তি কমিয়ে দেয়া হোক। ছোটখাট অপরাধীদের অপশন দেয়া হোক। যেমন - ব্যাঙ্ক ডাকাতকে সময় দিবেন এক থেকে দেড় বছর। তার ডাকাতি করা সব টাকা ঐ সময়ের মধ্যে ফেরত দিলে আর জেল দেয়া হবে না। ফেরত দিতে না পারলে তখন জেল।
যদি ব্যাঙ্ক ডাকাতির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়, তখন ডাকাতির চেষ্টার জন্য কি শাস্তি দেয়া যেতে পারে ? নজরবন্দী করা যেতে পারে। এটাই শাস্তি। আর খুনের চেষ্টার জন্য কি শাস্তি ? পাঁচ বছর কারাদন্ড।
আবার যদি কোন পুরুষ কোন নারীকে নির্যাতন ( শুধু শারিরীক ) করে বা কোন নারী কোন পুরুষকে নির্যাতন করে তবে তাকেও অপশন দিতে হবে - যাকে সে নির্যাতন করছে হয় তার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে হবে অথবা যাকে সে নির্যাতন করছে তার হাতে নির্যাতিত হতে হবে। নির্যাতনকারী যদি নির্যাতিত ব্যক্তিকে চড় থাপ্পড় মারে, তবে তাকেও নির্যাতিত ব্যক্তির চড় থাপ্পড় খেতে হবে। বেত্রাঘাত করলে, বেত্রাঘাত পেতে হবে। এরকম আরকি। যদি এই দুই অপশনে রাজী না হয় তখন জেল।
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, শারিরীক নির্যাতনের শাস্তি শারিরীক নির্যাতন দিলে, খুনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিলে সমস্যা কি ? মৃত্যুদন্ড অনেক বড় বিষয়। খুনের বদলে মৃত্যুদন্ড দিয়ে খুন করা যায় না। কেউ কারোর চোখ উপড়ে নিলে রাষ্ট্র তার চোখ উপড়ে নিতে পারে না, কেউ এসিড নিক্ষেপ করলে রাষ্ট্র তাকে শাস্তি হিসেবে এসিড নিক্ষেপ করতে পারে না। কারণ, এগুলো ভয়াবহ। কিন্তু শারিরীক নির্যাতনের জন্য সমপরিমান শারিরীক নির্যাতন শাস্তি হিসেবে দেয়াই যায়। শারিরীক নিরর্যাতনের চেয়ে জেল অনেক ভয়াবহ শাস্তি। আমি শাস্তি কমানোর পক্ষে। কিছু কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীর সাথে সেই কাজ করা মানায় যে কাজ করে সে অপরাধী হয়েছে। কিন্তু সব অপরাধের ক্ষেত্রে এটা মানায় না। বুঝাতে পেরেছি ?

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০২০ সকাল ৮:২৩

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: পুরোপুরি সহমত আপনার সাথে।

পোস্ট প্রিয়তে রেখে দিলাম আবাল পাবলিকদের সময়মত ঠান্ডা করে দেব আপনার যুক্তিগুলো দিয়ে।

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৮:০৯

অদ্বিত বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১১ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:২১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মৃত্যুদন্ড বাতিল করা উচিত ,সেই সাথে প্রেসিডন্ট এর ক্ষমাকরা বিষয়ক আইনের সংশোধন প্রয়োজন।

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৮:০৯

অদ্বিত বলেছেন: সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১১ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:২৮

ব্লগার মুহাম্মদ রাসেল বলেছেন: সহমত

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১০

অদ্বিত বলেছেন: Thanks.

৪| ১১ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:২২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আইন ঠিক মতো প্রয়োগ হলে এবং বিচার ব্যবস্থা সৎ থাকলে মৃতুদণ্ডের প্রয়োজন হয় না । স্ক্যান্ডিনেভিয়ান সহ অনেক ইউরোপীয় দেশ এবং কানাডাতে মৃত্যুদণ্ড নেই । কিন্তু ওই সকল দেশে অপরাধের পরিমান যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের চাইতে অনেক কম ।

১১ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:৩৮

অদ্বিত বলেছেন: আইন শিথিল করতে হবে। কঠোর নয়। যেমন - ব্যাঙ্কে টাকা চুরির অপরাধে বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে জেল দেয়া হয়েছে। এটা ঠিক হয়নি। তাকে এক দেড় বছর সময় দিত চুরি হওয়া টাকা ফেরত দেয়ার জন্য। ফেরত দিতে না পারলে তখন জেল। অপরাধ করলেই শাস্তি দেয়া যাবে না। বরং নিজের কৃতকর্ম সংশোধন করার সুযোগ দিতে হবে। সম্পন্ন হয়ে যাওয়া কাজ আবার restore করা যায়। কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে restore করা যায়, কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে করা যায় না। যেমন কেউ শারিরীক নির্যাতন করলে তাকে তিনটা option দেয়া যায় - হয় পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়া অথবা সমপরিমান শারিরীক নির্যাতন গ্রহণ করা নির্যাতিত ব্যক্তির হাত থেকে অথবা জেল। শাস্তি কমিয়ে আনতে হবে। শুধু মৃত্যুদন্ড বাতিল করলেই হবে না। আইনের ব্যপক সংশোধন করতে হবে।

৫| ১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
একমত।

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১০

অদ্বিত বলেছেন: সহমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার খুব কাছের কোন প্রিয় জনকে কেউ যদি হত্যা করে সেই ক্ষেত্রে আপনি কি শাস্তি দাবি করবেন? মৃত্যুদণ্ড না জেল?
পৃথিবীর সব মানুষ ভালো হয়ে গেলে কোন শাস্তির ই দরকার পড়তো না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষই অপরাধ করতে পছন্দ করে।

১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

অদ্বিত বলেছেন: আমার বাবা মাকে কেউ যদি হত্যা করে সেই ক্ষেত্রেও আমি জেলই দাবী করব। আমাকেও যদি কেউ হত্যা করে, আমি চাইব না তার মৃত্যুদন্ড হোক। কোনকিছুর জন্যই কাউকে মারা যায় না। আপনার আমার বাবা মাকে হত্যা করলেও না, আপনার আমার বোন বা স্ত্রীকে ধর্ষণ করলেও না। কোন কিছুর জন্যই না।

৭| ১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এখন এক কাহিনী অস্ত্র উদ্ধারে গিয়ে লুকিয়ে থাকা আসামীর সঙ্গীরা গুলি করে পাল্টা গুলিতে আসামী শেষ। ক্রস ফায়ার নাটক। মৃত্যুদন্ড আইনে হয় । তবে সভ্য সমাজে এইসব চলে না।

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১১

অদ্বিত বলেছেন: Absolutely Right.

৮| ১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার খুব কাছের কোন প্রিয় জনকে কেউ যদি হত্যা করে সেই ক্ষেত্রে আপনি কি শাস্তি দাবি করবেন? মৃত্যুদণ্ড না জেল?
পৃথিবীর সব মানুষ ভালো হয়ে গেলে কোন শাস্তির ই দরকার পড়তো না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষই অপরাধ করতে পছন্দ করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার এক খুনী রাষ্টপতির ক্ষমায় জেল থেকে বের হয়ে এসে আবার ও খূনে জড়িয়ে পড়েছে।

১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

অদ্বিত বলেছেন: এরকম কেস আমেরিকাতেও আছে। যে খুনের শাস্তি ভোগ করে আবার খুন করছে তাকে আবার জেলে ঢুকানো হোক। জেলেই তার সারাজীবন কেটে যাবে বাহিরের পরিবেশ, সমাজের মুখ কখনোই দেখা হবে না। নেদারল্যান্ডে অপরাধীর অভাবে জেলখানা বন্ধ হয়ে যাবার খবরটা নিশ্চয়ই শুনেছেন। ফীনল্যান্ডে বছরে মাত্র একটা খুন হয়। তাহলে আপনি কিভাবে জোর দিয়ে বলতে পারেন - পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষই অপরাধ করতে পছন্দ করে ?

৯| ১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

নতুন বলেছেন: যেই মানুষ খুন করে আরেকটা মানুষের বেচে থাকার অধিকার হরন করলো তাতে ১৪ বছর জেলে রেখে দিয়ে মুক্তি দিলে কিভাবে মৃত ব্যক্তির যে ক্ষতি, তার পরিবারের ক্ষতি হয়েছে তার প্রতি ন্যায় কিছু হলো?

একজন নারীকে ধষন করা হলো, হত্যা করা হলো তাকে আপনি ১৪ বছর জেলে রেখে দিলেন, মুক্তি পেয়ে সেই পুরুষ বিয়ে করে সংসার করলো তারপরে ৭০ বছরে সাভাবিক ভাবে মারা গেলো?

মানুষের বেচে থাকার অধিকার হরন করলে তার সাজা অবশ্যই মৃত্যু দন্ড হওয়া উচিত। অন্য কাজের সাজা জেলের এবং বেশি জরিমানা বেশি হওয়া উচিত।

১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

অদ্বিত বলেছেন: যেই মানুষ খুন করে আরেকটা মানুষের বেচে থাকার অধিকার হরন করলো তাকে মৃত্যুদন্ড দিলেই বা কিভাবে মৃত ব্যক্তির যে ক্ষতি, তার পরিবারের ক্ষতি হয়েছে তার প্রতি ন্যায় হবে, সেটা kindly বলবেন কি ? যে মারা গেছে সে তো আর ফিরে আসবে না, লাভ কি ?
একজন নারীকে ধর্ষন করা হলো, হত্যা করা হলো তাকে 14 বছর জেল কেন দেয়া হবে ? 20-25 বছর জেল দেয়া হবে ? যখন সে জেল থেকে বর হবে সে বিয়ে করে সংসার করতে পারবে না। ধরুন, কেউ 25 বছর বয়সে ধর্ষণসহ হত্যা করল, তাকে 25 বছর জেলে রাখলে যখন ছাড়া পাবে তখন তার বয়স 50. বিয়ে তো দূরের কথা। খাওয়ার জন্য কাজ জোগাড় করাই প্রায় অসম্ভব।
আর যদি by chance কাজ জোগাড় করে বিয়ে সন্তান সন্ততি নিয়ে সুখে মারা যায়, সমস্যা কি ? যথেষ্ট শাস্তি তো হয়েছে। এখন সুখে দিন কাটাক, তাতে আপনার এত জ্বলছে কেন ?
আপনি কি ভাবেন যারা খুন ধর্ষণ করছে, তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবার কোন অধিকার নাই ? এরকম ভাবেন আপনি ? আপনার চিন্তায় সমস্যা আছে। আরেকটু উদার হোন। যারা খুন ধর্ষন করে, তাদেরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবার অধিকার আছে।

১০| ১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৩৯

নতুন বলেছেন: ভয় দেখিয়ে কাউকে কোন কিছু করা থেকে বিরত রাখা যায় না। এই মহামন্ত্র মাথায় গেথে নিয়ে লেখাটি পড়া শুরু করুন।

এটা ভুল আইডিয়া।

যাদের জ্ঞান আছে তারা অবশ্যই নিজের প্রজ্ঞার কারনেই খারাপ কাজে বিরত থাকে।

কিন্তু যারা বুঝতে যায় না। তারা কিসের কারনে খারাপ কাজ হতে বিরত থাকবে?

ভয়। কারন সন্ত্রাসীরা মানুষকে ভয় দেখিয়েই তাদের প্রভাব বিস্তার করে থাকে।

একটা প্রবাদ আছে সমাজে... পন্ডিতে বোঝে আকারে ইঙ্গিতে, মূখে বোঝে গুতায়...

১১ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:০৭

অদ্বিত বলেছেন: সন্ত্রাসীরা ভয় দেখালে আমাদেরও ভয় দেখাতে হবে ? কেন ?
যারা বুঝতে যায় না। তারা কিসের কারনে খারাপ কাজ হতে বিরত থাকবে ? কারণ তো একটা নয়। একশটা। কয়টা কারণ বলব ?
বুঝতে না চাইলে জোর করে হাত পা দড়ি দিয়ে বেধে বুঝাতে হবে। যতক্ষণ বুঝবে না ততক্ষণ আটকে রাখা হবে, বুঝলে ছেড়ে দেয়া হবে। জেলখানায় বছরের পর বছর আটকে রাখার চাইতে যতক্ষণ না বুঝে ততক্ষণ আটকে রাখাটা better option না ?
এখন প্রশ্ন আসে - পুলিশ কিভাবে বুঝবে যে অপরাধী বুঝতে পারছে কিনা ? Lie detector মেশিন। এ যন্ত্রে হাত রেখে মিথ্যা কথা বললে যন্ত্র ধরে ফেলে। মিথ্যা বলার সময় মানুষের শ্বাস প্রশ্বাস ঘন ঘন হয়, রক্তচাপ বেড়ে যায়। শরীরের এই সূক্ষ পরিবর্তন এ যন্ত্র ধরতে পারে। খুবই চালাক মানুষ হয়ত স্বাভাবিকভাবে সত্যের মত মিথ্যা বলে যেতে পারে এবং যন্ত্রকে ফাঁকি দিতে পারে। সেটা খুবই rare case. এখন Lie Detector আরো উন্নত ও sensitive হয়ে উঠছে। তারপরও সাবধানের মার নেই। তাই Lie detector test এ পাশ করার পরও তিন চার বছর নজরে রাখা হবে। ব্যাস, এভাবেও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা যায়।
মানব মনের চিরন্তন প্রশ্ন - খারাপ হলে সমস্যা কি ? অন্যায় করলে সমস্যা কি ?
উত্তরঃ- ধরুন, আপনি একজনের সম্পদ চুরি করলেন। যার সম্পদ চুরি করেছেন সেও প্রতিশোধ নেবার জন্য আপনার সম্পদ চুরি করবে। আপনি আবার প্রতিশোধ নেবার জন্য তার সম্পদ চুরি করবেন। সেও আবার আপনার উপর প্রতিশোধ নিবে। ফলাফল - আপনারা কেউই মনে শান্তি পাবেন না। সবসময় মানসিক অশান্তিতে থাকবে্ন। এটাই হল খারাপ হওয়ার সমস্যা, অন্যায় করার সমস্যা। মনের অশান্তি ছাড়া আর কোন সমস্যা নাই।
খারাপ হওয়ার সমস্যা কি বা অন্যায় করলে সমস্যা কি - এটা যখন মানুষকে বুঝাতে পারবেন তখন কাউকে আইনের ভয় দেখিয়ে অন্যায় থেকে দূরে রাখার প্রয়োজনই পড়বে না।

১১| ১১ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি যদি ইসলাম ধর্মের না হন তবে কোন কথা নেই।
আর আপনি যদি ইসলাম ধর্মাবলম্বী হন,
তাহলে,
ইসলামেই মৃত্যুদন্ডের বিধান আছে।
আপনি কি কোরান বদলে ফেলতে পারবেন?

১১ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

অদ্বিত বলেছেন: কোরআন বদলানোর প্রসঙ্গ আসছে কোথা থেকে ? কোরান বদলানোর প্রয়োজন নাই। কোরানের শাসন না চললেই হল।
বাংলাদেশের মত ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে কোরানের শাসন কেন চলবে ?

১২| ১১ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার মতো উদার হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। কেউ অপকর্ম করলে তাকে অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হবে। আমি তাকে মাফ করার পক্ষে নই।

১১ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

অদ্বিত বলেছেন: আমি তো মাফ করতে বলছি না। শাস্তি হোক তবে কম হোক। বেশী শাস্তিই বেশী অপরাধের মূল কারণ। আপনি বা আপনার মত লোকেরা উদার হতে না পারলে দেশে অপরাধের পরিমান বাড়বে। আর উদার হলে কমবে।
পোষ্টে এত সুন্দর করে বুঝালাম - যেসব দেশে আইন কঠোর সেসব দেশে অপরাধের হার বেশী। যেসব দেশে আইন শিথিল সেসব দেশে অপরাধের হার কম।
তারপরও একই কথা বলছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.