নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রয়োজনে যে বেয়াদপ হতে পারে, ভদ্রতা পাওয়ার অধিকার শুধু তাই।

অদ্বিত

পরাজয়ে ডরে না বীর।

অদ্বিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

দোজখে যাবার অধিকার চাই ( প্রধাণমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি )

১৬ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৪


মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী, আপনার কেন মনে হয় যে সবকিছুর একজন স্রষ্টা আছে ? স্রষ্টা নাও তো থাকতে পারে। হতেও তো পারে পৃথিবীর সব ধর্ম মিথ্যা এবং সব ধর্মপ্রচারক মিথ্যাবাদী ও জোচ্চর। ওসব মিথ্যুক ধর্মপ্রচারকদের বলা মিথ্যা আমরা হাজার হাজার বছর ধরে বংশপরম্পরায় মেনে চলেছি। ছোটবেলায় বাবা মা প্রথম ধর্ম সমন্ধে জ্ঞান দেয়, আর বাবা মাকে আমরা ভালবাসি বিধায় তাদের শেখানো সংস্কার ছুড়ে ফেলতে কষ্ট হয়। এই আর কি। আহামরি ব্যাপার নয়। চেষ্টা করলে অবশ্যই সম্ভব ধর্ম থেকে বেরিয়ে আসা। ধর্মের প্রতি মনে সন্দেহ আনুন, বিশ্বাসে ফাটল ধরান।
তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই যে, আপনার ধর্মটা সঠিক। তবু প্রশ্ন চলে আসে - স্রষ্টা প্রণীত ধর্মটা সমালোচনা করার জন্য শাস্তি প্রদানের অধিকার রাষ্ট্রকে তথা মানুষকে কে দিয়েছে ? ধর্ম সমালোচনার জন্য যদি কেউ শাস্তি দিতে পারে, তবে সেটা কেবলমাত্র স্রষ্টা। রাষ্ট্র নয়। স্রষ্টার সম্মান ও স্রষ্টা প্রণীত ধর্ম, কিতাব, পয়গম্বরের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্র নিজের হাতে তুলে নেয়ায় অর্থ হচ্ছে -
স্রষ্টা নিজের সম্মান, নিজের প্রেরিত ধর্ম, কিতাব, দূতের সম্মান রক্ষা করতে পারে না। আপনারা ধর্মানুভূতি রক্ষার্থে আইন বানিয়ে স্রষ্টাকে ছোট করছেন, অসম্মান করছেন। স্রষ্টা নিজের সম্মান, নিজের প্রেরিত ধর্ম, কিতাব, দূতের সম্মান নিজেই রক্ষা করতে পারে। এই দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে না। ধর্মের সমালোচনা করার আইনত অধিকার প্রদান করুন। নাহয় স্রষ্টা আমাদের দোজখেই পাঠাল। ওটা নিয়ে আপনার চিন্তা করতে হবে না। আপনারা দোজখে যাবেন না। ধর্ম সমালোচনার অধিকার চাই, দোজখে যাবার অধিকার চাই।

মানুষের ব্যক্তিগত অনুভূতির মূল্য আছে কিন্তু ধর্মানুভূতিসহ যেকোন সমষ্টিগত অনুভূতির মূল্য কম। কেন কম ? কারণ, অনুভূতি মাপার কোন যন্ত্র না থাকলেও সামান্য common sense থাকলেই এটা বুঝা যায় যে সবাই একসাথে মনে কষ্ট পেলে, সেই কষ্ট সবার মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। তখন প্রতিটা মানুষ আলাদাভাবে তেমন কষ্ট পায় না। ধর্মীয় অনুভৃতিতে আঘাত করতে দিন, প্লিজ।

একজন হিন্দু যদি ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করে বা একজন মুসলিম যদি হিন্দু ধর্মের সমালোচনা করে তবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধার সম্ভাবনা আছে। হিন্দুরা সংখ্যালঘু হওয়ায় হয়ত দাঙ্গায় জড়াবে না, কিন্তু মুসলিমরা চাইলে ঠিকই হিন্দুদের উপর চড়াও হয়ে যেতে পারে। এক ধর্মের মানুষ যদি আরেক ধর্মের সমালোচনা করে তবে দাঙ্গা না বাধলেও ক্ষোভ অসন্তোষ জন্ম নেয়াটাই স্বাভাবিক এবং সেই ক্ষোভ অসন্তোষ আকমণে রূপ নিতে কতক্ষণ ? কাজেই, ধর্ম সমালোচনার আইনত অধিকার ধার্মিকদের না দিয়ে শুধু ধর্মহীনদের ( নাস্তিক ও সংশয়বাদী ) দেয়া হোক। হ্যা, নাস্তিকরা ধর্ম সমালোচনা করলেও ক্ষোভ অসন্তোষ জন্ম নিবে ঠিকই কিন্তু সেই ক্ষোভ, অসন্তোষ শুধু ব্যক্তিগত আক্রমণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। প্রত্যেক ধর্ম সমালোচনাকারী নাস্তিক ব্লগারকে পুলিশী সুরক্ষা প্রদান করা হোক। ব্যাস, ঝামেলা শেষ। এখন হয়ত ভাবছেন - "ধর্মহীনদের ধর্ম সমালোচনার অধিকার দেয়া হবে কিন্তু ধার্মিকদের দেয়া হবে না - এটা কেমন কথা ? আইন তো সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।" ...... সেক্ষেত্রে আমি বলব, ''এসব ব্যাকডেটেড দৃষ্টিভঙ্গি বাদ দিন। আইন সবার জন্য সমান হবার দরকার নাই। Change your point of view.''


মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:৪৯

রাশিয়া বলেছেন: ধর্ম খুব সেন্সিটিভ ইস্যু। আপনার বাবা মাকে অমর্যাদা করলে আপনার যেমন লাগে, ধর্মকে অমর্যাদা করলে সংশ্লিষ্ট ধর্মের অনুসারীদের এর চেয়েও খারাপ লাগে। সেই খারাপ লাগা যেন ক্রোধে পরিণত না হয় - তাই আইনি সুরক্ষার দরকার আছে।

২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

অদ্বিত বলেছেন: খারাপ লাগুক। পোষ্টে তো বলেই দিয়েছি, "মানুষের ব্যক্তিগত অনুভূতির মূল্য আছে কিন্তু ধর্মানুভূতিসহ যেকোন সমষ্টিগত অনুভূতির মূল্য কম। কেন কম ? কারণ, অনুভূতি মাপার কোন যন্ত্র না থাকলেও সামান্য common sense থাকলেই এটা বুঝা যায় যে সবাই একসাথে মনে কষ্ট পেলে, সেই কষ্ট সবার মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। তখন প্রতিটা মানুষ আলাদাভাবে তেমন কষ্ট পায় না।"

২| ১৬ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:৫২

পলাতক মুর্গ বলেছেন: দোজখে যাওয়া খুব সহজ, এইজন্য অধিকার চাওয়ার দরকার নাই। আর ধর্মের সমালোচনার নামে ফাত্রামি কোন মতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এই ধরণের কালেকটিভ ফাত্রামি একসময় নাস্তিক নামধারি কিছু কুলাংগার করছে, এবং তার রক্তারক্তি ফলাফল আমরা দেখছি।

৩| ১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না।
অতীতে যারা ধর্ম নিয়ে লাফালাফি করেছে, তাদের কি হয়েছে দেখোনি?
তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নাও।

৪| ১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

কল্পদ্রুম বলেছেন: অনেক পড়ুন।কেবল ধর্ম সমালোচনাকারীদের লেখা পড়লে হবে না।ধর্মগ্রন্থগুলো পড়ুন।সেগুলোর মূল গ্রন্থ সঠিক অর্থসহ পড়ুন।সেই অর্থের তাৎপর্য বোঝার জন্য ঐ ধর্মের জ্ঞানী মানুষদের ব্যাখ্যা পড়ুন।

যারা ধর্ম সমালোচনা করেন তারা ধর্মের কোন দিকটার সমালোচনা করে সেটা জানার চেষ্টা করুন।কিভাবে,কোন ভাষায়,কেন সমালোচনা করছেন সেটাও বুঝতে চেষ্টা করুন।ধর্ম বিদ্বেষী না হয়ে ধর্ম সমালোচনাকারী হন।

৫| ১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেকটি তার সব সৃষ্টি বজায় রাখতে এবং তাদের শাস্তি দিতে ও সক্ষম। তবে সেটা মানুষ যতটা দ্রুত চায় ততটা দ্রুত সৃষ্টিকর্তা বিচার করেন না।
আর এই দুনিয়ায় সব দেশেই কিছু প্রচলিত আইন আছে সমাজ সংসারে শান্তি বজায় রাখার জন্য।আর সমালোচনা নয় যুক্তিসংগত আলোচনা সকল ধর্ম মতেই আছে।
আর দোজখে যাবার অধিকার কারো চাইতে হবেনা তা তার কাজের ফলাফলই তার পরবর্তী গন্তব্য ঠিক করে দিবে।

অতিরিক্ত সমস্ত কিছুই খারাপ তা জ্ঞান (মতলবি) হলে ।(কি?? হাসিলের পরিকল্পনা)

২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:২৪

অদ্বিত বলেছেন: যুক্তিসঙ্গত আলোচনারই আরেক নাম সমালোচনা।

৬| ১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:২০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বিদায় হজ্জের ভাষণ ইসলামের শেষ কথা ।

৭| ১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

আধাপাগল বলেছেন: না হয় স্রষ্টা আমাদের দোজখেই পাঠাল .......। দোযখে মামু বাড়ির আবদার মিটাবে। অথবা শশুর বাড়ির পোলাও কোরমা খাওয়াবে।
আরআইপি (রেষ্ট ইন দ্যা পিচ)
চিরনিদ্রায় শায়িত
আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন
---
ব্যাস। কাম শেষ।

মৃত ব্যাক্তি এখন কবরে/চিতায় এমন সুখে শান্তিতে বসবাস করতেছে যা দেখে পৃথিবীর জীবন্ত মানুষের হিংসা হয়। বেচে থাকার চাইতে মরে যাওয়াই দেখি অনেক আরামের। তবুও মানুষ কেন না মরে বেচে থাকতে চায়। মরার পরে যদি এতই সুখ পাওয়া যায় তাহলে কষ্ট করে বেচে থাকতে চায় কেন মানুষ?

৮| ১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:২৭

রুদ্র নাহিদ বলেছেন: ধার্মিক ও অধার্মিক সবার মধ্যেই সহিষ্ণুতার অভাব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.