নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রয়োজনে যে বেয়াদপ হতে পারে, ভদ্রতা পাওয়ার অধিকার শুধু তাই।

অদ্বিত

পরাজয়ে ডরে না বীর।

অদ্বিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবজাতির দ্বিতীয় বসতি

২৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৩৭

বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান Space X এর মালিক ইলন মাস্ক। তিনি প্রযুক্তিবিদ, ব্যবসায়ী এবং ভবিষ্যৎ সপ্নদ্রষ্টা। তাঁর কাছে সার্টিফিকেট বা ডিগ্রীর এক পয়সা দাম নাই। আপনার ভিতরে Knowledge থাকলেই শুধুমাত্র তার কোম্পানীতে কাজ করতে পারবেন। উনি আশা করেন 2025 সালের মধ্যে মানুষ মঙ্গলে বসতি স্থাপন করবে।

আগামী 2022 সালে মঙ্গলে মালপত্র পাঠানোর মিশন শুরু করবে স্পেসএক্স আর 2024 সালে মানুষ পাঠানো শুরু হবে। মঙ্গল গ্রহ পৃথিবীর তুলনায় সূর্য থেকে বেশ দূরে হওয়ায় তাপমাত্র্রা অনেক কম। সেক্ষেত্রে ইলন মাস্ক নিউক্লিয়ার মিসাইল বা পারমাণববিক বোমা মেরে তাপমাত্রা বাড়ানোর প্ল্যান করেন। নাসার বিজ্ঞানীরা বলেন, ''এতে এমন মেঘ সৃষ্টি হতে পারে যা সূর্যের আলোকে প্র্রবেশ করতে দিবে না। ফলে মঙ্গল গ্রহ আরো ঠান্ডা হয়ে যাবে।'' ... কিন্তু ইলন মাস্ক একজন উদ্যোক্তা এবং আইডিয়াবাজ। তিনি সপ্ন দেখেন এবং সপ্ন দেখান। বাংলাদেশের বোকচোদমার্কা সোলায়মান সুখন আর সুশান্ত পালের মত motivational speaker নন তিনি। বাংলাদেশে ব্যাঙের ছাতার মত মোটিভেশনাল স্পীকার গজিয়ে উঠছে। যারা শুধু speechই দিতে জানে, করতে পারে না কিছুই। কিন্তু ইলন মাস্ক শুধু মুখেই বকবক করেন না, তিনি করে দেখান। এত সহজে হাল ছাড়ার পাত্র নন। তিনি বলেন, ''মঙ্গল গ্রহের তাপমাত্রা বাড়াতে অন্য পদ্ধতিও রয়েছে। যেমন, মঙ্গলের চারপাশে এমন ভাবে বড় আকারের আয়নার প্রদক্ষিণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যে আয়নায় সূর্যের আলো প্রতিফলিত হবে। সোলার রিফ্লেক্টর স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মঙ্গলের তাপমাত্রা বাড়ানাে সম্ভব।''

আশা করা যায়, 2025 সালের মধ্যে ছোটখাট একটা বেসক্যাম্প স্থাপন হয়ে যাবে।

আরো 20-25 বছর পর মঙ্গলে কাচের ডোমের ভিতর শহর গড়ে উঠবে।

যেখানে গাছপালা, ঘর বাড়ি, খেলার মাঠ, স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যান্টিন সবই থাকবে। গাছ থাকলে অক্সিজেনও থাকবে। হয়ত আমাদের নাতি-নাতনীরা মঙ্গলের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিবে। সেদিন খুব বেশী দূরে নয় যেদিন মঙ্গলের মরুভূমিতে বাবা মা তাদের বাচ্চার সাথে বল খেলবে। মঙ্গলের নিজস্ব সংস্কৃতি থাকবে, নিজস্ব নোট থাকবে।

ব্যক্তিগতভাবে, আমি চাইনা কোন ধার্মিক লোক মঙ্গলে যাক। তাহলে ওখানেও জঙ্গিবাদ শুরু হয়ে যাবে। ধর্মের বিষবৃক্ষের বীজ যেন কিছুতেই মঙ্গলের মাটিতে বপন না হয়। তবেই মঙ্গল গ্রহ আমাদের জন্য perfect 2nd home হয়ে উঠবে।

এখন মুমিনকুলের প্রশ্ন হল - "কেন মঙ্গলে বসতি স্থাপন করা জরুরী ? আল্লাহ তো আমাদের বসবাসের জন্য পৃথিবীকে ঠিক করে দিয়েছে। পৃথিবী ছেড়ে অন্যত্র বসতি স্থাপন করতে দিবে না মহান আল্লাহতায়ালা। তাছাড়া মঙ্গলে বসতি স্থাপন করতে যে টাকা খরচ হবে সে টাকা দিয়ে পৃথিবীটাকে আরো সুন্দর করলে হয় না ?" .....
উত্তরঃ প্রথমত, যদি কোন জাদুমন্ত্রবলে Global Warming & জলবায়ু পরিবর্তন আপনি থামিয়েও দেন ( কথার কথা ) তবু পৃথিবীতে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী অস্তিত্বের গ্যারিন্টি দিতে পারবেন না। আজ হতে 65 মিলিয়ন বছর আগে একটা বিশাল উল্কাপিন্ডের আঘাতে ডাইনোসরেরা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। পৃথিবীতে 10 কোটি বছর সময় ধরে ডাইনোসরেরা ছিল, তারাই টিকল না। আর মানুষ তো মাত্র 2 লাখ বছর হয়েছে, পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছে বিবর্তনের ধারায়। যদিও আমরা মিসাইল দিয়ে উল্কা ধ্বংস করে দিতে পারি। তবু সূর্যের তাপমাত্রা বাড়ায় আগামী 100 কোটি বছরের মধ্যে পৃথিবী বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যাবে। আর 500 কোটি বছর পর সূর্য লাল দানব তারায় পরিণত হয়ে পৃথিবীসহ নিকটস্থ গ্রহগুলোকে গ্রাস করে ফেলবে। তখন ? পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলেও যেন আমরা টিকে থাকি বা আমাদের থেকে বিবর্তিত হয়ে কোন প্রাণীর উদ্ভব ঘটলে তারা যেন টিকে থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে না ? সবচেয়ে বড় কথা - দুটোই করলে সমস্যা কি ? পৃৃথিবীকেও বাঁচানোর চেষ্টা করা যাক। আবার Back up প্ল্যান হিসেবে কিছু মানুষ অন্য গ্রহে পাঠিয়েও দেয়া যাক। আর মহাকাশ অভিযানের টাকা দিয়েই কেন পৃথিবীকে সুন্দর করতে হবে ? টাকার কি এতই অভাব ? পৃথিবীকে সুন্দর করা বা রক্ষা করার জন্য যে অর্থ প্রয়োজন সেটা অন্য source থেকেও জোগাড় করা যায়।
মানুষ যা কল্পনা করতে পারে, তা বাস্তবেও পরিণত করতে পারে। কল্পনার ঘোড়ায় লাগাম টানার দরকার নাই, কল্পনার ঘোড়াকে ছুটতে দিন। মানুষ মঙ্গলে বসতি স্থাপন করার সাথে সাথে কোরআন, পুরাণ মিথ্যা হয়ে যাবে। সকল ধর্ম বলছে - পৃথিবীতে কেয়ামত আসলে মানবজাতি শেষ। কিন্তু মানবজাতিকে একাধিক গ্রহে ছড়িয়ে দিলে কেয়ামত এড়ানো সম্ভব হবে। ধর্মগ্রন্থ মিথ্যা হয়ে যাবার ভয়ে যারা চান না মানুষ মঙ্গলে যাক, তারা পোষ্ট হতে 100 হাত দূরে থাকুন, প্লিজ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:২৬

আমি সাজিদ বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা। আশা করি এই জীবনকালেই দেখে যেতে পারবো। জয় ইলন মাস্ক৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.